নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার একটা ঘর ছিল, ভেঙে গেছে কালবৈশাখী ঝড়ে, চোখে কিছু স্বপ্ন ছিল, সাগরে ভেসে গেছে প্লাবণে, জীবনডার প্রতি খুউব ভালোবাসা ছিল, ভালোবাসার মানুষ ছিল বলে। হারিয়ে গেছে মানুষ মানুষের মধ্য থেকে, তাই বসে আছি চাতক চোখে, মানুষ যদি কভু আসে মানুষের ভিড়ে....

জীবন সাগর

আমার একটা ঘর ছিল, ভেঙে গেছে কালবৈশাখী ঝড়ে, চোখে কিছু স্বপ্ন ছিল, সাগরে ভেসে গেছে প্লাবণে, জীবনডার প্রতি খুউব ভালোবাসা ছিল, ভালোবাসার মানুষ ছিল বলে। হারিয়ে গেছে মানুষ মানুষের মধ্য থেকে, তাই বসে আছি চাতক চোখে, মানুষ যদি কভু আসে মানুষের ভিড়ে....।। আমার স্মৃতির রাজ্য আপনার আগমনে ধন্য হল,

জীবন সাগর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মনে পড়ে আজও সেই তোমাকে ...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:২৪


নীরব নির্জন জনশূন্য আঁকা বাঁকা পথ ধরে হেটে চলেছি। মনের ভিতর নানা ধরণের চিন্তার আনাগোনা। কি হয়, কে দেখে ফেলে। নতুন এলাকা, চারিদিক ঘন গাছ গাছালী। মাঝেমাঝে ফাকা মাঠ। রাস্তার দুপাশ দিয়ে সারি সারি গাছ, একজন একুশ বছরের সদ্য যৌবনে পা দেওয়া টগবগে যুবক, সাথে সতেরো বছরের যৌবনা কিশোরী। যে কেউ দেখলে কিছুটা ভাবতেই পারে, তা দোষের বা অসম্ভব কিছুনা। তাই বুঝি মনে বারবার একই চিন্তা ঘুরেফিরে আসছে। তবুও যেন কেমন সাহসী মনে হচ্ছে আজ নিজেকে। মনের সাহস টুকু মুর্শেদা নমক সেই সাহসী সঙ্গিনীর জন্যই হয়তো।

বেশ কয়েকদিন যাবত তার সাথে আমার সম্পর্কটা ধীরে ধীরে গভীরতম হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যে দেখা করা রাস্তায় চলার পথে। মানুষের মাঝে কিছু বলতে না পারার কষ্টে বিরহিত হৃদয়। সুযোগ খুঁজতে থাকা দুজনের মনেই এমন একটা নির্জন জায়গার সন্ধান পাওয়া ছিল সৌভাগ্যের ব্যাপার। এই পথের সন্ধান মুর্শেদাই দিয়েছিল সকালে দোকানে এসে। বলেছিল, আপনি দশটার দিকে কলেজ পেরিয়ে ওইদিকের রাস্তায় থাকবেন। আমি শুধু গার কাত করে উত্তর দিয়েছিলাম। মনের ভেতর যে অবাধ্য ছেলেটা আনন্দে নাচতে ছিল তা কাউকে বুঝতেই দেইনি। মুর্শেদার চোখের দিকে তাকাতেই ওর দাত দিয়ে ঠোট চিবানি দেখে মনে মনে ভেবেছিলাম আজ বুঝি ভালোবাসার মানুষটিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলতে পারবো, মুর্শেদা, আমি তোমাকে না পেলে চিরদিন অজানা দহনে পুড়বো। সে দোকান থেকে চলে যাওয়ার পর আমি সকালের নাস্তা করে রেড়ি হয়ে বেরিয়ে পড়ি প্রায় সাড়ে ন'টার দিকেই।

মেইন রাস্তার পাশে এসে একটা দোকানে চা খাচ্ছি। তখন ন'টা চল্লিশ বাজে। চা কাপে চুমুক দেই আর কলেজের পিছন দিকে চেয়ে থাকি। চা শেষ করে ছয়টা সিগারেট ও তিনটা চকোলেট নিয়ে বিশ টাকা দোকানদারকে দিয়ে একটা গোল্ডলিফ সিগারেট ধরিয়ে টানতে থাকি। মনে প্রিয়া সঙ্গের আনন্দ থাকলেও একটা ভয় ছিল। একে তো আমি এই এলাকার কিছুই চিনি না, জানিনা। তারপর একটা মেয়ের সাথে হাটবো কথা বলবো। যদি খারাপ কিছু ঘটে যায় তো ...।

কখন যে মুর্শেদা আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়ে আছে টের পাইনি। আমি সিগারেটে টান দিয়ে গার ঘুরিয়ে সিগারেটের ধুঁয়া ছাড়বো দেখি মুর্শেদা। আমি তাড়াতাড়ি অন্যদিক হয়ে ধুঁয়া ছেড়ে সিগারেট সহ হাতটি পিছনে নিতেই, সে একটু রাগ হয়ে বলল হয়েছে আর লুকাতে হবে না দেখে ফেলেছি। এবার আসেন তো একটু ওইদিকে যাবো আমার এক বান্ধবীর বাড়িতে। আমি কিছু না বলে হাটতে থাকলাম। কোনো কথা যেন বলার সাহস করে উঠতে পারছিনা। আপনি না আমাকে কথা দিয়েছেন আর সিগারেট খাবেন না? আমি কিছু না বলে হাটছি।
কি হল কথা বলেন না কেন? আমি কি বলবো কিছু বুঝতেছি না। বললাম তুমি কি আমাকে শাসন করতে এসেছো আজকে?
তার ঠোটে হাসি অনুভব করছি। কিছু বললো না। নিচের দিকে চেয়ে চুপচাপ হাটছে। কতক্ষণ আমরা মেইন রাস্তা ছেড়ে ডান দিকের একটি সরু রাস্তাধরে চলেছি। আমি বললাম আমার না ভয় হচ্ছে।
কেন? আমি বললাম, না এমনিতেই। সে বলে, এমনিতেই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। এই সাইডের কেউ আমাকে চিনে না তেমন। আমি বললাম, তবুও কেমন যেনো লাগছে। কেমন লাগছে? মুর্শেদা একটু দমকের সুরেই বললো। আমি বললাম একটা যুবতী মেয়ের সাথে একা নির্জন রাস্তায় হাটছি, যদি কেউ দেখে কিছু প্রশ্ন করে তো কি বলবো। আপনার কিছু বলতে হবে না। যা বলার আমিই বলবো।

তার কথায় আমার মনের ভেতরটা অনেক হাল্কা হয়ে গেল মনে হচ্ছে। বেশ সাহসী মনে হচ্ছিল নিজেকে। তাই একটু কাছে চেপে মুর্শেদার কাঁধে ডান হাতটা রেখে বললাম। তোমার ভয় লাগছে না? মুর্শেদা আমার সাথে একটু ঘেঁষে হাটতে হাটতে বললো, কেন ভয় লাগবে! আমরা কি করছি? তবে আপনি যা ভাবছেন, তা যদি করেন তো ভয় লাগবে। মুচকি হাসছে সে। আমি বললাম, কেন! আমি কি ভাবছি, তুমি কি বুঝলা? সে এবার আমার দিকে ফিরে দাঁড়িয়ে আমার ডাকনার নিচে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে বলছে আমি বুঝতে পারছি...। আপনি নির্জন রাস্তা দেখে কেমন যেন হয়ে যাচ্ছেন। আহ! কেমন অনুভূতি তখন কেমনে বলবো। ভালোবাসা বুঝি মনের কথা বুঝে ? আমি একটা হাত তার পিঠে ধরে চেপে পিশে দিচ্ছি আমার সাথে বুকের সাথে। ওর কপালে চুমু দিয়ে বললাম, তোমার ঠুটে একটা চুমু দেই।

ও কেমন যেন ছটফটিয়ে আমার বুকে মাথা চেপে জড়িয়ে ধরলো শক্ত করে। ওর বুকের সাথে আমার বুক মিশে একাকার ...। ভালোবাসার সুখ মানুষকে, কতটা সুখী করতে পারে আমি বুঝে গেলাম যেন! ভালোবাসা বুঝি এমনই, ধুধু মরুর বুকে জল ছিটিয়ে ভেজানোর চেষ্টা করা....। বহু কাঙ্ক্ষিত স্পর্শে আমার তপ্ত বুকের দহন নিমিষেই নিভে গেল..! যেন শীতল উষ্ণতায় শুষ্ক মরু বুকে সবুজের সৃষ্টি। চৈত্রে খরা রোদে জমিন পেল কাঙ্ক্ষিত ভরা বৃষ্টি। আমি আবেশে মিশে যাই প্রিয়া বক্ষদেশে, কপালে দয়ে যাই চুমু এঁকে। দুজনার মাঝে কেবল ভালোবাসা আর প্রেম, করছে মহাকাব্যের সৃষ্টি।
আমি বললাম,
আমি পেয়েছি প্রিয়া তোমারে,কল্পনায় যতোটা চেয়েছি আপন করে। তুমি থেকো আমার হয়ে, যতদিন এই পৃথিবী রবে।
প্রিয়তমা চোখ বুজে ঘন নিঃশ্বাস ছেড়ে ছেড়ে বলে, তুমি যেও না কখনো ভুলে, রেখো আমাকে যতনে, তোমার মনের রাজ্যে দাসী করে।
আমি বলি, ভুলে যাবো পৃথিবী, হারাতে রাজি দুনিয়ার যতো সুখ, তবু, তোমাকে চাই না হারাতে।
প্রিয়া আমার, চোখের কোনায় অশ্রু জমিয়ে বলে, আমি চাই না কিছু আর তেমাকে ছাড়া, যতদিন বাঁচি রইবো তোমার বুকে, এমনি করে।
আমাদের সুখানুভব প্রেমালাপ বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারলো না। হঠাৎ এক পথচারী আসছে এদিকে..। আবার দুজন দুজনা থেকে দূরত্বে। সুখের স্বপ্ন ভেঙে গেল দুজনার। হাটছি অনেকক্ষণ ...।

চারিদিকে সবুজ গাছ গাছালী ঘেরা রাস্তা। আবারও নীরব পুরনো বৃক্ষের নিচে দাঁড়িয়ে দুজন ভাবছি, এখানে কিছুক্ষণ বসে যাই। প্রিয়া রাজি তাই ... বৃক্ষের উঁচু শেকড়ে বসে গা দিলাম হেলিয়ে। ভাবছি, প্রিয়া যদি বুঝে ক্ষণ, বসে মোর পাশে। তবে বলবো হাতটি ধরে... যাবে না তো কভু ভুলে! কিংবা প্রিয়া বুকে মাথা রেখে যৌবন ফুলের গন্ধে হবো মাতাল ... প্রিয়া দিবে হাত বুলিয়ে আমার চুলে।
সে বুঝলো না, বসে রইলো দূরে। আমার মন খারাপ দেখে বলছে, কেন তোমার মন করছো খারাপ? চেয়ে দেখো দূরে, কৃষকের ক্ষেতে।
আমি তৃপ্তির হাসি হেসে বললাম, দেখেছি, আমি চাই না তুমি পুড় কোনো কলঙ্ক আগুনে। এর পর অনেক কথা ...। কতদিন রবো, তারপর কোথায়, কেমন করে হবে দেখা ....। আরও কতো কথা। আমি কিছুই রাখিনি গোপন, সবই দিয়েছি বলে। প্রিয়া মুখপানে চেয়ে আমি বুঝিলাম বিরহানল দিয়েছি জ্বালিয়ে। মলিন বদনে আমার মুখপানে চেয়ে আছে, যেন নির্বাক, শত জনমের দুঃখ এসে ভর করেছে তার বুকে।
চল, এবার উঠি প্রিয়, প্রায় দেড়টা বাজে। ও হ! আমার কলেজ আজ একটায় হবে ছুটি মা সেটা জানে! এই বলে ওঠে হাটতে লাগলো বাড়ির রাস্তা ধরে, আমিও।

আমি তো লেখক নই। তাই পুরো ঘটনা পারছিনা সাজিয়ে লেখতে। হাটতে হাটতে.... সেই কলেজ... কলেজের পিছন দিয়ে সরু রাস্তা। তার বাড়ি থেকে প্রায় দশ মিনিটের পথ কলেজ। এই রাস্তাটা যেন পুরো জঙ্গলের ভেতর দিয়ে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে জঙ্গলের মতোই ঘন গাছপালা। অনেকটা ভূতুড়ে রাস্তার মতো নিরিবিলি থাকে, কেউ আসে না এ পথে। তাই বুঝি প্রিয়া আমার হাত ধরে হাটছে নির্ভয়ে।

এবার বাড়ির কাছাকাছি রাস্তার বাঁকে জঙ্গল ঘেরা নির্জনে এসে প্রিয়া যেন অনেক সাহসী আর অনেকটা সেক্সি হয়ে ওঠেছে। আমাকে জড়িয়ে ধরে নিজেই চুমু দিতে দিতে চরম উত্তেজিত ...! এবার যেন আমারই ভয় হতে লাগলো। কেমনে বোঝাই নিজেকে, কেমনে বোঝাই তৃষ্ণার্ত প্রিয়াকে....! আমাকে শক্ত করে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে অাদর করতে থাকে ....। এভাবেই প্রায় পাঁচ মিনিট। আমার অবস্থা খুবই খারাপ। শরীরে আগুন জ্বলছে। নিজেকে সামলে নিতেই হচ্ছে তবু প্রিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার জন্যে! পাশের জঙ্গলে হঠাৎ শব্দ শুনে থেমে গেল সে। আমিও মুক্ত হয়ে দেখি গরু পাতা ছিড়ে খাইছে গাছ থেকে। আবারও হাটতে শুরু দুজনে। তাদের বাড়ির সামনে পৌঁছে গেছি। আমি দাঁড়িয়ে আছি ...। সে হাত ধরে বলে তুমি দাঁড়াও এখানে, সে আমাকে ঘরের পিছনে দাঁড়িয়ে রেখে বাড়ির ভেতর গেল। আমি ভাবছি, কি হয় - তার মা যদি বাড়ি থাকে তবে.... কি হবে!

মুর্শেদা ফিরে এসে বলছে, এসো ভেতরে। আমি বলি না, ভয় লাগছে। ও বলে ভয় নেই, বাবা মাঠে, মা হয়তো পাশেই নানু বাড়ি বেড়াতে গেছে, ছোট বোন আছে, ছোট ভাই এখনও স্কুলে, চলো ঘরে একটু পানি খেয়ে যাবে। আমি বলি যাবো, আগে বল তবে। কী? আমি বলি যে আদর ওখানে পারলে না দিতে ভয়ে, তা যদি দাও যাবো তবে। ও.. সখ কত...বলে মুখ ভেঙচি দিয়ে। আমি উল্টো ঘুরতেই পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে, ও আমার জান, কেন যাচ্ছ রাগ করে! থাকো কিছুক্ষণ আমার পাশে আমার হয়ে। ওমনি ছোট বোন এসে আমার হাত ধরে ঘরে নিয়ে গেল একরকম জুড় করে। আমাকে একটি বিছানায় বসতে দিয়ে বলছে, আমি না এলে যাবেননা যেন, আপু তুমি পাহাড়া দাও, আমি আসছি দোকান থেকে। এই বলে ছোটবোন ঘরথেকে বেড়িয়ে গেল।

মুর্শেদা ঘরে না ডুকে দরজায় দাঁড়িয়ে আছে, আর মুচকি হাসছে আমার দিকে চেয়ে। আমি ডাকি, আসে না। বলে, না, ওখানে যাওয়া যাবেনা, ওখানে গেলে ক্ষতি হওয়ার ভয় আছে। আমি বলি না না কোন ক্ষতি হবে না, বিশ্বাস করো। ও আসে না, আমি ওঠে এসে তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে উচু করে বিছানায় এসে বসি ওকে কুলে বসিয়েই, বলি কিসের ভয় পাচ্ছিলে তুমি! কেন, তুমি বোঝ না, কিসের ভয়! এখন কোথায় বসিয়েছো। আমি বলি কেন, আমার কুলে তোমার ভালো লাগছে না? তবে নেমে পড়। আমি বলতেই ঘুরে আমাকে জড়িয়ে শুয়িয়ে আমার উপর শুয়ে বলে, এত রাগ কেন গো আমার মনে রাজা। আজ তোমাকে ইচ্ছে মতো ....। আমাকে হাতে পায়ে জড়িয়ে চুমু দিতে দিতে প্রায় ভিজিয়ে ফেললো মুখটা। আমি সুখানুভব না করে ওর উত্তেজনা দেখে ভয়ে ভিতু হয়ে গেলাম! এত সাহসী মেয়েরা হতে পারে! আমিও একসময় তাকে জড়িয়ে চুমু দিতে থাকি ....।

কিছুক্ষণ পরেই ছোটবোন আসার শব্দ শুনে দুজন ওঠে বসি একটু দূরে দূরে। ছোটবোনটি আমাকে খাওয়াবে বলে বিস্কিট এনেছে। গ্রামের দরিদ্র পরিবার ওদের। আমি জানি। তাই বুঝি মুর্শেদাকে আমি বেশি বেশি ভালোবাসি। আমার ভালোবাসা দরকার। আমার মনের দরকার। আমি যা চাই তা মুর্শেদার মাঝে আছে। তাই আমি তৃপ্তির সাথে বিস্কিট খেয়ে বেরিয়ে এলাম ঘর থেকে। পিছনে মুর্শেদা এসে শেষ চুমু দিল আমাকে জড়িয়ে। পরক্ষণেই ছোটবোন বলছে ভাইয়া আবার আসবেন কিন্তু। আমি গাড় কাত করে সায় দিয়ে হেটে চলি আমার গন্তব্যপথ ধরে।

আজ থেকে প্রায় চৌদ্দ বছর আগের স্মৃতি আমাকে এখনো অনুভূতি দেয় ... আমাকে ভাসায় আবেগে। আমাকে কষ্টের চূড়ায় নিয়ে যায় তার সাথে আমার সুখস্মৃতি গুলো। আমার চোখ ভাসে শ্রাবণে, যখন ভাবি তার কথা.... আমি কাঁদতে থাকি নিজেকে অপরাধী ভেবে। আমি ভুলতে পারিনা, কিছুতেই না। আমার চোখে ভেসে ওঠে মুর্শেদা। ওর নিষ্পাপ মুখটি আমাকে এখনো কাঁদায়। আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদি নীরবে নিভৃতে একেলা .... বলি! মনে পড়ে আজও সেই তোমাকে.....

( ২০০৩ইং সাল, আমার সুখস্মৃতি গুলো মাত্র ২২ দিন, তবুও জীবন জুড়ে থাকবে অম্লান হয়ে।)

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১১

অতৃপ্তচোখ বলেছেন: জানিনা ! কষ্ট আমাকে কেন টানে বারবার।

ভালই লাগলো স্মৃতিকথা। শেষের কষ্টটা বুঝি পাহাড় সম।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮

জীবন সাগর বলেছেন: কষ্টের কাজই মনে হয় বাড়ি বাড়ি ঘুরে মন থেকে মনে জায়গা খুঁজা!
আপনার ভাল লাগাতে আমার সার্থকতা। স্বগত রইল আমার স্মৃতির রাজ্যে।
পাশে থাকুন প্রেরণা হয়ে

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম । ভাল লাগল স্মৃতি কথা । লিখার হাতটি মনে হল বেশ ভাল । সামুর পাতায় আসা যে কয়টি গল্প প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছি এটি তার মধ্যে একটি । আশা করি নিয়মিত এমন সুন্দর সুন্দর লিখা দেখতে পাব ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

জীবন সাগর বলেছেন: অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানবেন। পুরোটা পড়েছেন জানতে পেরে উৎসাহিত হলাম। কৃতজ্ঞতা রইল প্রেরণার প্রতি। আমি ফেসবুকে ঘুরতাম। কেন জানি ফেসবুকটা একঘুয়েমি মনে হয়। ভাবছিলাম নতুন কিছু। যেখানে জানতে পারবো। ব্লগে আপনাদের লেখা আমাকে মুগ্ধ করেছে। অনেক গুনি জনদের বিচরণ সামুতে। তাই চেষ্টা করছি ব্লগে নিয়মিত হতে।

আমার জীবনের এটাই প্রথম কোনো স্মৃতিচারণ। এর আগে এমন করে কোথাও নিজের স্মৃতি প্রকাশ করিনি। তাই আকর্ষণীয় করে লেখতে পারিনি হয়তো। তবুও আপনার আন্তরিকতায় সার্থক আমার স্মৃতি। ছোট জীবনে অনেক স্মৃতি লুকিয়ে আছে। প্রকাশ করিনা ভয় বা কিছুটা লজ্জায়। দোআ করবেন এবার ইচ্ছা করেছি আমার স্মৃতি গুলো সামুতে জড়ো করবো।

আপনার শুভেচ্ছা আমার আশির্বাদ হয়ে থাকুক।

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য । লিখে যান নিয়মিত । ব্যস্ততা ও অনেক লিখার ভিরে অনেক সময় হয়ত নতুন কোন লিখা হারিয়ে যায় , দেখা হয়না । তাই সম্ভব হলে নতুন কোন লিখা দিলে যে কোন ভাবে আমার ব্লগে একটু জানান দিলে নতুন লিখা দেখতে সুবিধা হবে ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪

জীবন সাগর বলেছেন: হ্যা ভাই, অবশ্যই ঘুরবো আমার প্রিয় লেখদের ব্লগে নতুন জানার আগ্রহে। আপনাকে পেয়ে সত্যিই মনে হচ্ছে আমি ভাগ্যবান। ভাল দিকনির্দেশনা পাবো ব্লগ সম্পর্কে সবসময়।

আমার শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫০

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
শুভ ব্লগিং

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

জীবন সাগর বলেছেন: অভিনন্দন এই দরিদ্র কুটিরে।
আগমনে ধন্য। উৎসাহ পেলাম। ভাল থাকবেন, শুভকামনা রইল

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: স্মৃতিতে ভালোবাসা রেখে গেলাম।


স্বাগতম। শুভ ব্লগিং

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

জীবন সাগর বলেছেন: ভালো লাগা পেয়ে ধন্য হল স্মৃতিগুলো।


শুভকামনা জানবেন।

৬| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে সুস্বাগতম!
তবে প্রথম স্মৃতিচারণটা একটু বেশীই খোলামেলা করে ফেলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.