![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার একটা ঘর ছিল, ভেঙে গেছে কালবৈশাখী ঝড়ে, চোখে কিছু স্বপ্ন ছিল, সাগরে ভেসে গেছে প্লাবণে, জীবনডার প্রতি খুউব ভালোবাসা ছিল, ভালোবাসার মানুষ ছিল বলে। হারিয়ে গেছে মানুষ মানুষের মধ্য থেকে, তাই বসে আছি চাতক চোখে, মানুষ যদি কভু আসে মানুষের ভিড়ে....।। আমার স্মৃতির রাজ্য আপনার আগমনে ধন্য হল,
১৩ নবেম্বর ২০১৬ইং সকালে ঘুম ভাঙতেই দেরি হয়ে গেল। আগে থেকেই চিন্তা ছিল সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার। কারণ, যেতে হবে বহুদূর। একটু সকালে রওয়ানা হতে পারলে বেলা থাকতে পৌঁছা যাবে। কিন্তু তা আর হল না। ফেসবুকে ঘুরতে ঘুরতে ঘুমোতেই দেরি হয়ে গেল। ফেসবুকটা আসলে কেমন যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। বন্ধুদের সাথে কথা বলা, কমেন্টের রিপ্লে দেওয়া, নিউজ ফিডে বন্ধুদের পোষ্ট দেখতে দেখতে কখন যে রাত একটা বেজে যায় বোঝাই যায় না। সেদিনও তাই হল। একটু তাড়া ছিল বলে সকাল প্রায় সাড়ে আটটার দিকে ঘুম ভাঙতেই তড়িঘড়ি করে ব্রাশে পেষ্ট লাগিয়ে দাঁত ঘষতে ঘষতে গোসল করতে বেরিয়ে পড়ি। বালতি তে পানি ছেড়ে দাঁত ব্রাশ করছি। হঠাৎ মনে পড়ে গেল, ও হ! কাজ তো আরও একটা বাকি রয়ে গেছে! যেতেই হবে গ্রামের দিকে। বড়ি নিতেই হবে তিন চারটি, নয়তো খুব কষ্ট হবে। সমস্যা হবে না, মাত্র দশ মিনিটের রাস্তা, মোটরসাইকেলে যেতে আসতে সর্বোচ্চ ত্রিশ মিনিট। তাই কোনরকম গোসল করে চলে আসলাম তাড়াতাড়ি।
সকালের খাবার কেমন যেন ভাল লাগছে না। না, ভাল করে খাওয়া হল না। বললাম রেখে দাও, পরে এসে খেয়ে একবারে বেরিয়ে পড়বো। তার পর মোটরসাইকেল বের করে চলে যাই গ্রামের দিকে। আমি যে বড়িটা খুঁজছি সেটা গ্রামের এক পরিচিত ফার্মেসি থেকেই নেই। তাই সেখানে যাওয়া। গ্রাম থেকে ঘুরে আসতে প্রায় এগারোটা বেজে গেল। আমার গ্রামের বাড়িতেও যেতে হয়েছিল, তাই দেরি হয়ে গেল। যাক, এবার বাসায় ডুকে ব্যাগে প্রয়োজনীয় কাপড়চোপড় ভরে আবারও অল্প খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম। মাকে বললাম, আম্মা আমি চলে যাচ্ছি। মা ঘরে শুয়ে ছিল। মা'র শরীরটা ইদানিং খুব একটা ভাল যাচ্ছে না। অসুখ যেন বাসা বেঁধেছে স্থায়ী ভাবেই। মা তবুও রুম থেকে বেড়িয়ে আসছে দেখে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করে দিলাম। আম্মা এসে বললো, যা আল্লাহর নাম নিয়ে, সাবধানে গাড়ি চালাস। আচ্ছা, তুমি সময় মতো ভাত খাবে, ওষুধ গুলো ঠিকমতো খেও বলে, গাড়ি স্টার্ট করে বেড়িয়ে পড়লাম।
বাসস্ট্যান্ড এসে পাম্পে থেকে তিনশ টাকার পেট্রোল ভরে পুলকের হোন্ডা গ্যারেজে দাঁড়ালাম। পুলক ভাই আমার থেকে বয়সে অনেক বড়ই হবে, তবুও খুব ফ্রি আমার সাথে। বন্ধুর মতোই কথাবার্তা বলি আমরা। তার সাথে দেখা হয়েই হল আরও প্রায় একঘন্টা দেরি। তো, তার কাছ থেকে কাজ শেষ করে যখন রওয়ানা হলাম তখন একটা পার হয়ে গেছে। তাই একটু তারাতারিই গাড়ি চালিয়েছি সেদিন। কারণ, সন্ধ্যার পরে আবার ঘাঁটে নৌকা পাওয়া যাবেনা। তাই আমাকে একটু জোড়েই গাড়ি চালাতে হল সেদিন। নয়তো এমনিতে আমি তেমন স্পিডে মোটরসাইকেল চালাই না। শেরপুর থেকে নকলা হয়ে ফুলপুর থেকে তারাকান্দীর ভিতর দিয়ে শ্যামগঞ্জ এসে এক দোকানে আমি চা সিগারেট খাই প্রতিবার বাড়ি যাওয়া আসার সময়। সেদিনও দাঁড়ালাম। পথে যদিও আরও দুই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম চা খাওয়ার জন্য।
তারাকান্দী থেকে শ্যামগঞ্জ যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে সেলফোনে তোলা ছবি।
শ্যামগঞ্জ থেকে চা- খেয়ে রওয়ানা হতে প্রায় সাড়ে তিনটা বেজে গেল। তারপর নেত্রকোনা পৌঁছে রাজুর বাজার ক্রসকরে একটা দোকানে দাঁড়ালাম চা খাবো। নেত্রকোনা শহরে বড় ভাই থাকে। তার সাথে প্রতিবার দেখা করলেও সেদিন আর দেখা করা হল না সময়ের অভাবে। যা হোক, সেখানে চা শেষ করে রওয়ানা হলাম ঠাকরাকোনা পার হয়ে মোহনগঞ্জ এসে আবারও শহর পেরিয়ে একটা দোকানে চা খেয়ে রওয়ানা হলাম বোয়ালী বাজারের উদ্দেশ্যে। ছেছড়াখালি বাজার পাড় হয়ে বোয়ালী ঘাট পর্যন্ত যখন পৌঁছলাম তখন বেলা প্রায় শেষ প্রহরে। ঘাটে এসে দেখলাম একটা নৌকা দাড়িয়ে আছে। ছাড়তে এখনও প্রায় আধাঘন্টা বাকি। তাই আমি ভাবলাম কয়েকটা ছবি তুলে রাখি। সূর্যাস্তকালের দৃশ্যগুলো আমার কাছে ভালই লাগলো। তাই বোয়ালী ব্রিজের উপর এলাম। ব্রিজের উপর থেকে ছবিগুলো ভাল লাগবে ভেবে উঠে গেলাম ব্রিজে।
ছবিগুলো বোয়ালী ব্রিজের উপর থেকে পশ্চিম দিকের।
(ছবি আরও অনেক গুলোই তুলেছিলাম। ব্লগের জায়গার নাকি অভাব তাই দিতে পারলাম না)
যা হোক, নৌকা ছাড়ার সময় হয়ে গেছে। তাই, ডাক পেয়ে চলে গেলাম নৌকায়। মোটরসাইকেল নৌকাতে তুলে আমি গাড়ির বসে আছি নৌকা ছেড়ে দিল আমার গন্তব্যের পথে। সেদিনের সূর্যাস্ত আমি দেখেছিলাম পানিতে ভেসে। সে যে কি অনুভূতি! তা প্রকাশ করতে পারছিনা গুছিয়ে।
বোয়ালী ঘাট ছেড়ে লেপসিয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেল নৌকা। চলেছে, ব্রিজের নিচ দিয়ে একটু দূরে যেতেই সূর্যাস্তকালের শেষ ছবিটা তুলে নিলাম। ধীরে ধীরে ইঞ্জিন চালিত নৌকা (ট্রলার)চলছে। সারাদিন টেনশন আর ক্লান্তি যেন ঘুচে গেল এক নিমিষেই। হাওড়ের ঠাণ্ডা নির্মল হাওয়া। চারিদিকে কেবল পানি আর পানি। স্বর্ণাভ সূর্যের অন্তিমকাল। অন্ধকার যেন অতি দ্রুতই গ্রাস করতে চাইছে সকল আলো। নিমিষেই হারিয়ে গেল স্বর্ণালী সূর্য। আমি উপভোগ করলাম হাওড় এলাকায় হাওড়ের পানিতে ভেসে ভেসে সূর্যাস্ত।
প্রকৃতি যে মানুষের ক্লান্তি ভুলিয়ে দিতে পারে আমি সেদিন বুঝিলাম। সারাদিনের ভ্রমণ ক্লান্তি ভুলে গেলাম সন্ধ্যার আগমনে। কিছুক্ষণের মধ্যেই চারিদিকে অন্ধকার নেমে এল। সন্ধ্যার কিছু পরেই আমি পৌঁছে গেলাম গন্তব্যে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৮
জীবন সাগর বলেছেন: উৎসাহিত হলাম ভাই।
প্রেরণা হয়ে থাকুন।
শুভকামনা জানবেন
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩২
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
হারিয়ে কই আর যাবেন ,যদি যান সঙ্গে নিয়েন !
ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে ।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫০
জীবন সাগর বলেছেন: না ভাই, আপনাকে ছেড়ে যাবো না। সামু ছাড়া আমার চলেই না হা হা হা
আপনার আন্তরিকতায় আমি উৎসাহিত ভাই।
শুভকামনা জানবেন সবসময়
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এই পোস্টের ছবিগুলোও সুন্দর!
লাইক
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩
জীবন সাগর বলেছেন: শুভ সকাল।
প্রশংসা পেয়ে উৎসাহিত হলাম। প্রেরণা হয়ে থাকবেন।
শুভকামনা রইল।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: সুন্দর সুন্দর ছবির সাথে লিখেছেনও চমৎকার।
+++++
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৫
জীবন সাগর বলেছেন: ভালো লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল
ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:২৬
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: চমৎকার।
ব্লগে স্বাগতম।