নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গল্প ছাড়া আর কিছু না

বলতে চাই না। লিখতে চাই।

রাগিব নিযাম

আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।

রাগিব নিযাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধারাবাহিক উপন্যাস: বাংলাদেশের অতিমানবেরা s02(অধ্যায়-১, পর্ব-৩)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:০২

সিরিঞ্জটা একটানে খুলে নিয়ে বেড থেকে নেমে পড়লো শহিদুল্লাহ। পেছন পেছন দৌড়ে আসছেন তালহা, নার্স, ওয়ার্ড বয় এবং আরো অনেকে। দৌড়ে ছুট লাগালো স্টেডিয়াম অভিমুখে। হতবাক হয়ে গেলো চারপাশের অবস্থা দেখে। ৬৬ বছর আগে এসব কল্পনা করা যায় না। আর আজ যেনো কতো তারিখ? একটা লোককে জিজ্ঞেস করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো শহিদুল্লাহ। একটা ভ্যানগাড়িতে আগুন জ্বলতে দেখে চারপাশে চোখ বুলালো। মানুষের আহাজারি। "হায় হায় কুরআন পুড়াইলোরে" চারদিকে আর্তধ্বনি। মাথা ঘুরিয়ে দেখলো একদল লোক ভ্যানে আগুন দিচ্ছে।
-আ্যই বেজন্মার গুষ্টি! তোরা কিসে আগুন দিচ্ছিস তোরা জানিস?
-কি আমরা বেজন্মা?
-তো আর কি?

সাথে সাথে একটা লোক রিভলবার বের করে শহিদুল্লাহর বুক বরাবরে গুলি চালালো। দেখাদেখি আরো কয়জন গুলি চালালো। মুহুর্মুহু গুলিতে গোটা স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকা নরকে পরিনত হলো। ঢেকে গেলো ধোয়ায়।

কিইইচ করে টায়ার পিছলা খাওয়ার আওয়াজ হলো রাস্তায়। ধোয়ায় সরে গিয়ে মুক্ত বাতাসের দখলে গেলো স্টেডিয়াম এলাকা। মানুষটা তারপরও ঠায় দাঁড়িয়ে। দুই হাত মুঠ করে পাজরের দিকে টানতে লাগলো ভ্যানে আগুন দেয়া লোকগুলোর বরাবর।

"খট খট খটাং" বিশ্রী ধাতব শব্দ তুলে বুলেটগুলো ফিরে গেলো তাদের আগের জায়গায়।

মুহুর্তে দশগুণ নরকের আগুনে পরিনত হলো। আক্রমণকারীদের দিক থেকে গগনবিদারী আওয়াজ এলো। এক লোক হাটুতে হাত দিয়ে ক্ষত চেপে ধরে চোখ বড়ো বড়ো করে নিশ্বাস নিয়ে বললো, "কে তুমি?"

পেছন থেকে শহিদুল্লাহর পাশে এসে দাঁড়ালেন মেজর তালহা।

"উনি মেজর বাংলাদেশ"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.