ধারাবাহিক উপন্যাস: বাংলাদেশের অতিমানবেরা s02(অধ্যায়-১, পর্ব-৭)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০৩

সাগর রুনির আসল খুনিকে খুঁজে বের করা মুশকিল। তাই বলে কি চেষ্টা হবে না। জাহিন তাই এখন খুঁজে যাচ্ছে তার মামা মামীর আসল খুনিকে।

ক্লিং।

এলিভেটর খুলে গেলো।
দরজার এপাশে কান পাতলো। আফজলের ফ্ল্যাটে হয়তো প্রহরা বসানো হয়েছে। ক্লিক করেই আপনা আপনি দরোজা খুলে গেলো। শা শা করে দক্ষিণ দিক থেকে বাতাস আসছে। এমন সময় হুট করে একজন অস্ত্রধারী চলে এলো সামনে। জাহিন মুচকি হেসে দাঁড়ালো। লোকটা গুলি চালালো। কিন্তু বুলেট একচুল নড়লো না ট্রিগারে হাত পড়ার পর। বুউম করে গোটা মেকানিজম ফেটে পড়লো। হঠাৎ একশ গজ দুর থেকে ধাই ধাই করে গুলি ছুটে এলো। রাউন্ডে রাউন্ডে গুলি আসছে। কিন্তু জাফিনের শক্তিশালী টেলি নার্ভ সিস্টেম গুলিগুলো ফেরত পাঠালো আগের জায়গায়। চিৎকার ভেসে এলো। পাত্তা দিলো না জাহিন।

সামনে এসেই দেখলো আফজল দাড়িয়ে আছে।

-বল কে করিয়েছে এই কাজ?
-আ আ আমারে কইছে ফোনে। পরে দল বল সহ যাইতে কয় অই রাতে। বিশ্বাস করেন আমি ভিতরে ঢুহি নাই।
-চোপ শালা!

মড়াত।

ঠিকানা জানা আছে। কাকে খুন করতে হবে তা ভোলেনি। জায়গামতো পৌছে গেলো। জনৈক নেতা মিটিং এ বসেছেন। ১২জন বসেছে। হুট করে জাহিন ঢুকলো সেখানে। নিরবে। সন্তর্পণ এ।

-তো যেইটা বলছিলাম, কে জানি আমাদের ভাড়া করা খুনিদের মেরে ফেলছে। আমাদের যতো দ্রুত সম্ভব আলাদা হয়ে যেতে হবে।

-সেটা আর সম্ভব না নেতা সাহেব। অনেক দেরি হয়ে গেছে যে।
-কে? কে তুমি?
-আমি জাহিন। দ্য নার্ভ কন্ট্রোলার।
-জাহিন আইনের বাইরে এসব করা কি ঠিক হচ্ছে। ধাম, ধাম ধাতব শব্দে পেছনে কে যেনো পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে।
-আপনি কে?
-আমি যন্ত্রমানব। আর কিছু করার দরকার নেই। এরা অল্পতেই শিক্ষা পেয়ে গেছে।
-শিক্ষা? দিনের পর দিন ক্ষমতায় থেকে জনগণকে চুষে খাচ্ছে। শালা রাজনীতির 'র' বুঝে? এরা তো এই দেশের নাগরিকত্বের যোগ্যও না। এই নে।

বলার সাথে সাথেই গোটা ঘরের পরিবেশ মুহুর্তেই বদলে গেলো। নেতার উপর যেনো ঘরের সবাই ঝাঁপিয়ে পড়লো।

জাহিনের মাইন্ড ফ্রিজিং ম্যাজিকে সবাই হিপনোটাইজ হয়ে নেতাকে মার দিলো।

-চলো জাহিন। আমাদের কাজ আছে।

পরদিন সব পত্রিকাগুলোর হেডলাইন ছিলো "সাগর-রুনির খুনি নেতা গ্রেফতার"

এমন বেচে থাকার পরিবেশ কে না চায়!?

২ টি +০/-০