![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাদাসিধে, সাধারণ টাইপের মানুষের দলে। তবে রাজনৈতিক অপরিপক্ক্বতা আমার অপছন্দ।
গাড়িতে বসে আছি অনেকক্ষণ ধরে। একজন সাংবাদিক হয়ে এভাবে কতক্ষণ আর সহ্য করা যায়। বাপ-মেয়ে দুজনে কোথায় যে গেলো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। শুধু দেখলাম হাতে একটা দস্তানা পড়েছেন হাসমান। গায়ে টাইট ফিট স্যুট। মুখে মুখোশ, মেয়েও তেমন। সাথে আরো অনেক কিছুই ছিলো সম্ভবত।
একটা সময় বোরিং লাগতে শুরু করলো। হাতদুটো পেছনে টেনে আআড়মোড়া করতে যাবো কিসে হাত লেগে যেনো প্রতিধ্বনি হওয়া শব্দের মতো একজন বলে উঠলো, "শুভ সন্ধ্যা জনাব"।
তাজ্জব বনে গেলাম। আ্যই কে বলে বলে ঘুরে বসলাম।
-জনাব আমি একজন ডিজিটাল আ্যসিস্টেন্ট। আমাকে দেখা যায় না। তবে আমি সব ধরণের টেকনোলজিক্যাল কাজ করে দিতে পারি।
-যেমন?
-এই যে দেখুন।
ঝি ঝ্যাঁ করে রাস্তার দুপাশের লাইটপোস্ট থেকে একবার আলো জ্বলতে নিভতে দেখা গেলো। বাস্তবেই এরকম বুদ্ধিমান সহকারী আদতে খুব দরকার। এরপর আরেকটি অদ্ভুত কাজ করে বসলো সে যা দেখে হা হয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারলাম না। গাড়ি অটোমেটিক চলতে লাগলো কোন রকম কমান্ড ছাড়া।
আমি ভয় পেয়ে বললাম স্টপ। গাড়ি থেমে গেলো। আমাকে বললো কোথায় যেতে চান? খুট করে একটা ভাসমান, দৃশ্যমান কিন্তু অস্পর্শনীয় একটা ডিজিটাল ম্যাপ চলে এলো। আমি বললাম, এই মুহুর্তে হাসমান সাহেব কোথায়? ক্লিক, ক্লিক করে পাশে আরো দুইটা স্ক্রীন ভেসে উঠলো। একটা লাইভ ভিডিও। আরেকটা জিপিএস ট্র্যাকার। আমি দেখতে পেলাম তাদের দুজনকে। চারজন মুখোশ পড়া লোক মাটিতে পড়ে আছে।
-এই যে আ্যাসিস্ট্যান্ট, তোমার নাম কি?
-কে-ওয়াই৪৪ সিস্টেম নাম। ওনারা আদর করে জুয়ন ডাকে।
-জুয়ন। তোমার কাজ করার ক্ষমতা দেখতে চাই। হাসমান ভাই আজ যে অপারেশনে গেছেন তার সেখানে ঢোকা পর্যন্ত প্রত্যেকটা ছবি তুমি আমার ব্লগে পোস্ট করবে। আমার স্মার্টফোন আ্যক্সেস করছি, তোমার ওয়াইফাই অন করো। ছবি তুলতে গেলাম।
-যো আজ্ঞা জনাব।
অন্ধকার মতন একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে লাগলাম। কিন্তু জানতাম না আমাকে নিয়েই বড় বিপদ হবে তাদের।
©somewhere in net ltd.