নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এ পৃথিবীর সমস্ত পতাকা শোষিতের রক্তে লাল

যমজজীবন

যমজজীবন

পৃথিবী ভালো নেই।

যমজজীবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

‎'মনের মানুষ' একটি চলচ্চিত্রের নাম। তাহার কর্তাবাবু গৌতমেরে জিজ্ঞাসা করা দরকার, এ-লা তোয়ারে এমিক্কা গুদ্দা(সাহস) কে দিল?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৯

.. (মানলাম)- গৌতম ঘোষ ভালো মানের চলচ্চিত্রকার। গুটিকয় নির্মাণ তাইতো বলে। আর তার নির্মাণের হিড়িক এ পর্যায় এসে দু'ই বাঙলায় কতগুলো চক্ষুর আবদারও হয়ত মিটায়। ম্যালা গুনাগুন আছে/থাকতেই পারে। কলকব্জা নাড়ালে কতসব দৃশ্যের কারিগর তিনি। সেসব 'সিনেমা... নির্মাণ বিষয়ক, যন্ত্রের খুটিনাটি' আচ্ছা-সাচ্ছা সিনেমাঅলার/করিয়ের বিচারে কি হবে তা যেমন আন্দাজ করা যায়/যাচ্ছে, তেমনি এও অনুমেয় যারা শিল্প-সাহিত্যের নমুনা জীবন-যাপনে আঁকিবুকি করে, আর্ট-কালচার করে বেড়ায় তাদের বাকভঙ্গি/দৃষ্টিভঙ্গি/মননভঙ্গি- সর্বসাকুল্যে চিন্তন পদ্ধতির কাছে শেষ পর্যন্ত একজন চলচ্চিত্রকার গৌতম ঘোষ কোন কোন পরিমাপকে তুল্যমূল্যে গুরুত্ব পাবেন-। সাথে আছে অতিঅবশ্যই দু'বাঙলার অতি আদর-সমাদার পাওয়া ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। এ মহাত্মাদের এই 'মনের মানুষ' রচনা ও নির্মানে বাঙ্গালি তথা দেশী মানুষের অর্জিত বিদেশী চোখে, আর বিদেশীদের চোখে 'লালন' নামক কোন এক জীবনচরিত কেমন দেখাচ্ছে, কি করম করে দেখতে শেখাচ্ছে, এবং গ্রহন করতে বলছে সে কারসাজিটা যদিবা কারো চোউক্ষে পড়ে তবে দেখা যাবে- দাদার দাদাঘিরি ফলানোর মুন্সিয়ানাটা বেশ প্রশংসা পবার যোগ্যতা রাখে! কিভাবে? এই ভাবে-

নিম্মেপ্রদত্ত...



'মনের মানুষ' নামক চলচ্চিত্রে লালন ফকিরের যে জীবন পদ্ধতির চর্চা ও তার সে জীবনের ভেতর দিয়ে যে দর্শন চর্চা- তাকে প্রস্ফুটিত করতে গিয়ে/ ঐ সব চোখের কাছে (মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, এবং... নিন্মবর্গ) হাজির-নাজির করতে গিয়ে পরিচালক গৌতম ঘোষ 'খানিকট...া কল্পনা করে/ধরে নিয়ে অর্থাৎ মনগড়া ভাবে' এবং 'অতীব চতুরতার সাথে' লালন চরিত্রের কেন্দ্র, তথা লালনের(তাহাদের) জীবন-দর্শনের 'বাঁচা-মরা, টিকে থাকা, পৃষ্ঠপোষকতায়'- 'তিল পরিমান ঘটনাকে তাল পরিমান করে', ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে রবীন্দ্রনাথের দাদা যতীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাথে দেখা হওয়া, মানে ঠাকুর পরিবারের সাথে- আবার শিল্পসাহিত্যের প্রভাবশালী পরিবারও বটে, সে জমিদার পরিবারের সাথে দেখা হওয়া, মানে জমিদারের সাথে দেখা হওয়া - যারা লালনকে, লালনের আখড়াকে তাদের জমিদারী তালুকের কর/খাজনা থেকে 'মওকুফ', এবং জমি 'দান' করে টিকিয়েছিল, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল- তৎঘটনাকেই আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সূত্রে/দৃশ্যে, গল্পের কেন্দ্র বানিয়ে, ইনিয়েবিনিয়ে এই বোঝালো যে- কলিকাইত্যা/পশ্চিম বঙ্গের জমিদার, ভালু জমিদার আরকি-, কিছুটা উদারপন্থি, সাহিত্য পৃষ্ঠপোষক, যারা আঠারো কি ঊনবিংশ শতকের তথাকথিত একটা রেনেসাঁয় উদার হয়েছেন, ইউরোপিয় উদারপন্থী ঐতিহ্য যাদের ভেতর ঢুকে গেছে বা যারা গ্রহন করেছে সেসব ক্ষয়িঞ্চু জমিদার, উঠতি উচ্চশ্রেণী বা মধ্যবিত্ত শ্রেণী তাদের যে একটা সুদূর-কুদূর প্রসারী ফলাফল, সে ফলাফলের পাশাপাশি, সমান্তরালে- অসহিষ্ণুতা, জাতপাত হঠাতে, অসাম্যতার বিরুদ্ধে আরেকটা স্রোত, চোরা স্রোত চলছিল, মানে যা বিশেষ ভাবে প্রকাশ্য বা সমাদার, সমাঝদার দুনিয়ায়, রঙচঙয়ের কাছে পৌছাচ্ছে না, নাগাল পাচ্ছে না- কিন্তু যেখাটায় মুক্তচিন্তার অস্তিত্ব ছিল সে সব আউল-বাউল দশাকে, দর্শনকে মুক্তহস্তে দান করে টিকিয়ে, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল- কারা (?)- গৌতম, সুনীলের মতন মানবকূল যে বাটীতে থাকেন সে চিহূ- 'কলিকাত্তা'র অগ্রসর মানুষেরা !!!

(এসব বেশ বেশ রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক বিচারের গুরুত্ব রাখে, লালন কল্পিত কোন দেবদেবতা নয়, ইচ্ছা পূরণের কোন কাহীনিও নয়- যে তারে নিয়ে যেখানে সেখানে বসিয়ে, যা ইচ্ছে তাই বানিয়ে যাব। ক্ষেমতা দেখাবো। আমজনতা ঐ ঠাকুর বাড়ি কেন্দ্রিক সাক্ষাৎটাকে অনু কি পরমানু পরিমান তুল্যমুল্যে থেকে দেখে। শুধু রঙমাখিয়ে দেখার স্বভাব এই আমরা কেঁদো মধবিত্তের। কেননা, আমরা আমাদের মধ্যম/'মধ্য জাতের' মেরু রক্ষায় রবীবাবুদের সাথে যদি 'ফকির সাহেব'দের কে (সিনেমায় যতীন্দ্রনাথের মুখে লালন কে ফকির সাহেব সম্মোদন করা হয়) জড়ায়ে প্যাচায়ে, মিলেঝুলে রেখে দিতে পারি তো আমাদের আরো কতক দিন- দিনগুজরান সহজ হয়।)



এখন গৌতমেরে জিজ্ঞাসা করা দরকার, এ-লা তোয়ারে এমিক্কা গুদ্দা(সাহস) কে দিল?



উপরিক্ত এসব দিকউল্লেখ্যে অনেক অনেক এ দেশী আর্ট-কালচার করিয়ে কাকু/দাদুরাও বেখোশ হতে পারে। ঐ পশ্চিম পাড়াতো হবেই।

এই গেল আমার দৃষ্টিতে জরুরী একটা দিক, আরেকটা অতি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো লালন ফকিরের গান নিয়ে। সে বাহাস আজকের মতো তোলা থাকুক।



ভণিতা পর্ব : ক্ষমিবেন। এমন হুটহাট জুড়ে বসার জন্য। সিনেমাটা প্রথম দিনেই প্রথম শো দেখেছিলাম। হা দেখলাম। দেখার অধিক আমি আর উত্তীর্ণ হতে পারি নাই। যাহাকে আবার 'দেখা' বললে কর্তারা ক্ষেপে যাবার চান্স আছে। বলবে- মানে, তোমার তো চোক্ষুই নাই, ঠুলি খুলে আস। বলতে হবে দর্শন করলাম, বা আরো পৌরাণিক শব্দ জুড়াতে হবে। চাট্টিখানি কথা নয়, কলিকাইত্যা দাদারা বানিয়েছেন। তুচ্চ, সামান্য লোকে দেখে মাত্র। অভিজাত্যের ঠেলা থাকলে সেটা হয় দর্শন। আর্ট-কালচার করিয়ে-। কিন্তু আমার তো সেটা নাই...

এখন সে হলে বসে চটপট করাটা, মনে মনে ঘোঁৎ ঘোঁৎ করাটা ভগবানের কল্যাণে/কৃপায় কিছুটা বলেকয়ে দিতে পারলাম। তবে নির্দিষ্ট করে ধরে ধরে বলা না, অনেক বিস্তর আলাপের ব্যপার-। আমি এখানে আমার হাল্কা মতামত জানালাম এই যা-। আরো কি যেন বলা বাকী, বা কথা গুলো আরো সহজে আরো কিছু দিকের সাথে যোগ-বিযোগ দিয়ে বলার ছিল। যাইহোক, হাতের কাছে বিড়ি নাই তাই আর ধৌজ্জও নাই। রস-কষ-যদু-মধুর ক্ষেতা পুড়ি।



পেন্নাম।



___________________________________________

আরো একটু যোগসূত্র উত্থাপন:



এক ঘোড়া রোগ, ব্লু ফ্লিম/বৈদেশী নাচন-কুদন দেখে দেখে স্বপ্নদোষে আক্রান্ত, ঘিলুতে ঘিলু না থেকে অন্যকিছুর তোড়জোড় করা মধ্যবিত্ত, প্রগতিশীল ভেকবাজ, অসাম্প্রদায়িক ভাব অর্জন করেছি এমন হাবভাব ধরা লুচ্চা, ভোগবাদী, বিজ্ঞাপনী, পন্যায়ন বিশ্বের রুচি সম্পন্ন শহুরে সমাজের গোপন চাহিদা। অথচ ভেংচা ধরার/দেখানোর বেলায় লালন'কে হাজির করে ছুতা খোঁজে। হতে চায় য়ূরোপীদের মতোন খোলামেলা কিন্তু মুখে বলার জো নাই তাই একে একে নানান গোপন অভিসন্ধি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ঠিক এ জায়গায় তাদের পিছিয়ে থাকাটাকে আস্ত সমাজের পিছিয়ে থাকা বলে চালিয়ে নেয়। তাই যৌনতাকে যথেচ্চার পদ্ধতিতে, য়ূরোপীয় ঢঙে-রঙে আমদানি করতে চায়। এ জায়গায় সচেতন ভাবে না হয়ে, মূর্খতা থেকে, অজ্ঞানতা থেকেও যদি হয় তবে মনে রাখতে হবে তাতেও এদের মাপ নেই। ধরে চড়াতে হবে। কেননা, এদের মগজে বৃটিশ এবং তৎপরবর্তি বিশ্বের গু হান্দাই গেছে, এবং সেটাতে তাদের লাজ লজ্জা নাই। । তো এদের যদি মানিয়া লই তবে- কার্যত পুজি'রই সেবা করা হবে। যেহেতু এদের খাছলত/এরা কাদের চিন্তাকে প্রতিষ্ঠিত করে এসব আমরা বুঝি তবে এও বুঝবো- মোক্ষম কু-যুক্তি/পদ্ধতি হিসেবে লালনকে এ জায়গায় নাদান শ্রেণীর খাদ্য বানিয়ে গিলানো যায় এ চালাকী তারা জেনে ফেলেছে। । অতত্রব হা-হুতাশা জুড়ে দিয়ে লাভ নেই।



মজার কথা হচ্ছে লালন 'দাসী' বলতে কি বোঝালো সে ভাবের বলয় নষ্ট করে/ দাসী শব্দের চিহূকে, চিহূয়ক পদ্ধতিকে অন্য এঙ্গেলে/বিকৃত করে আমাদের পাঠ করাতে জোর করছে। (এ সব নিয়ে বিস্তর লেখালেখির ধান্ধায় আছি) এবং শেষতক নারীকে গতানুগতিক গরহাজির করে পুরুষালী,... পুরুষতান্ত্রিক মেজাজেই উপস্থাপন করে।

আর 'মনের মানুষ' বলতে ক্যামন যেন 'মনপুরা' সিনেমার প্রেম বোঝাইল কিনা তাও কয়েক উঠতি নওজোয়ানকে ধইরা জিজ্ঞাসিলে বুঝতে পারা যাইবে। আহারে ব্যবসা। বোধহয় এ কারণেই চঞ্চল'রে সিনেমায় খাটাইছে। আমার বেজায় সন্দেহ হয়, চঞ্চলের মনপুরা' আকর্ষণটাকেই, জনপ্রিয়তাকেই সে পুঁজি করেছে।



গৌতম কি জানে না আমাদের এ অঞ্চলে মানুষ- নারী-পুরুষ বহু আগ থেকেই এহেন কামের সঙ্গে পরিচিত, লিপ্ত। তবে নিশ্চই তার গঠন আলাদা। য়ূরোপীয়ানদের মতো মাংশশী, ছিদ্র অন্বেষণকারী/বিলাসী না। প্রেমে, আবেগে, মর্মের শত বন্ধনের সাথে ঐক্য ঘটলেই তবে তাতে তারা সায় দেয়। সেখানে বিয়ে প্রথা তো দূরের কথা ধর্মও তুচ্চজ্ঞান গণ্য হয়। সমান্তবাদী, ধর্মবাদী, মতলবাজদের নীতিবাদ কোন কিছুরই পাত্তাপুত্তা নেই। আহা গৌতম এ সামন্য কামবোধ জ্ঞানটাও রাখে না? অথচ কি ছার বোঝালো আমাদের? আসলে মনে মনে বাস তো করে ভিন দেশে...।

এ নদীয়া অঞ্চলের মানুষ মাতাল হয়ে কি কুকুরের সঙ্গে না বেড়ালের সঙ্গে না দরজার ফুটোর সঙ্গে লিপ্ত হয় তা তার জানাবোঝায় এ করণেই নাই। কিন্তু জিজ্ঞাস করেন অস্বীকার যাবে। ম্যালা জ্ঞান ফলাবে। খেয়াল করলে দেখা যাবে পাতিলে ঢুঁ মেরে চুরি করা বেড়ালটার নাকে-মুখে কালিঝুলি মাখা আছে, সে বে-সুরুত বেড়াল কিন্তু নিজে দেখছে না। ভাবছে- হা কে আর জানে আমি যে চুরি করে একটুকরা আধাসেদ্ধ মাছ খেয়েছি। তেমনি গৌতমের শ্রেণী যৌনতাকে সংষ্কার/ধর্মীয় বেড়াজাল থেকে ছাড়ানোর নামে পুজির ধর্মের সঙ্গে যোগ ঘটায়।

আলহামদুলিল্লা। সকল প্রসংসা আল্লাতালার।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১২/-৮

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৯

নষ্ট কবি বলেছেন: আমি তো মনে করছিলাম কি না কি........

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৭

যমজজীবন বলেছেন: কি?

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৯

চে গুয়েভারা ২ বলেছেন: cohobi valO hoiche jani. ajaira kZacaler laigga -

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৯

যমজজীবন বলেছেন: হুম

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:১১

আসক্ত_আমি বলেছেন: বহুত বড় রিচক নিয়া ফেলচেন ভাইজান, সাবধাণ। ব্যান খাবার পরবল সম্ভাবনা আচে কিন্তু। :D

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৩৪

যমজজীবন বলেছেন: বলেন কি খাইছে?

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:২২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
লালনকে নিয়ে সিনেমা - প্রচন্ড আগ্রহী হয়েছিলাম।
কিন্তু
পরে যখন জানতে পারলাম তথ্যবিকৃতি ঘটেছে, মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো। গৌতম ঘোষ তার মতো করে পশ্চিম বাংলার জনগনের জন্য উপযোগী মুভি বানিয়েছেন, লালনের জীবন কাহিনী বর্ণনার জন্য নয়।
আর আমাদের মিডিয়া ও দেখতেছি অযথা লাফালাফি শুরু করে দিছে।
গতকাল একটি ভারতীয় অনলাইন নিউজ সাইটে দেখলাম , ভারতীয় বাংলা সিনেমার কর্তাব্যক্তিরা বাংলাদেশী বাজার ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। যৌথ প্রযোজনা এমনকি একজন মনীষীর জীবনীকে ভারতীয়দের মতো করে নির্মিত "মনের মানূষ"ই কি প্রথম ধাপ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৩২

যমজজীবন বলেছেন: আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়@ ধন্যবাদ। হা আপনি আরো খানিকটা যোগ করে দিলেন। যদ্দূর মনে হয় আমাদের চেয়ে কলিকাত্তায় বেশী প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তি দিয়েছে। কারণ কি?

ঘোষের কিছু সাক্ষাৎকার পড়লাম এ-ও পত্রিকায়। সে নাকি লালনকে নিয়ে গবেষণা করেছে। তো যা পড়লাম আর দেখলাম , দেখালো- তাতে বেশ বোঝা হয়ে গেছে সে কদ্দূর কি পড়েছে আর বুঝেছে। এখনো উপনিবেশীক শিক্ষা, মগজটাই ঝড়ে ফেলতে পারে নাই।
লালন কে সহজে, অল্পতে জানার জন্য এই সিনেমাটা ক্রমেই লালন বিষয়ক পাঠ হয়ে পড়বে। কেননা এতে কষ্ট কম। তো এইটা আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল। ইতিহাসকে যেভাবে শ্রেনীচরিত্র/ সাম্প্রদায়িক ভঙ্গিতে হাজির করলো তা দেখে, বুঝে সকলেরই বিচার করা উচিত।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৫

স্বপ্নবাজ শয়ন বলেছেন: লালনকে নিয়ে সিনেমা - প্রচন্ড আগ্রহী হয়েছিলাম।
কিন্তু
পরে যখন জানতে পারলাম তথ্যবিকৃতি ঘটেছে, মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো। গৌতম ঘোষ তার মতো করে পশ্চিম বাংলার জনগনের জন্য উপযোগী মুভি বানিয়েছেন, লালনের জীবন কাহিনী বর্ণনার জন্য নয়।
আর আমাদের মিডিয়া ও দেখতেছি অযথা লাফালাফি শুরু করে দিছে।
গতকাল একটি ভারতীয় অনলাইন নিউজ সাইটে দেখলাম , ভারতীয় বাংলা সিনেমার কর্তাব্যক্তিরা বাংলাদেশী বাজার ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। যৌথ প্রযোজনা এমনকি একজন মনীষীর জীবনীকে ভারতীয়দের মতো করে নির্মিত "মনের মানূষ"ই কি প্রথম ধাপ?

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪১

ঘুমরাজ বলেছেন: স্বপ্নবাজ শয়ন বলেছেন: লালনকে নিয়ে সিনেমা - প্রচন্ড আগ্রহী হয়েছিলাম।
কিন্তু
পরে যখন জানতে পারলাম তথ্যবিকৃতি ঘটেছে, মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো। গৌতম ঘোষ তার মতো করে পশ্চিম বাংলার জনগনের জন্য উপযোগী মুভি বানিয়েছেন, লালনের জীবন কাহিনী বর্ণনার জন্য নয়।
আর আমাদের মিডিয়া ও দেখতেছি অযথা লাফালাফি শুরু করে দিছে।
গতকাল একটি ভারতীয় অনলাইন নিউজ সাইটে দেখলাম , ভারতীয় বাংলা সিনেমার কর্তাব্যক্তিরা বাংলাদেশী বাজার ধরার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। যৌথ প্রযোজনা এমনকি একজন মনীষীর জীবনীকে ভারতীয়দের মতো করে নির্মিত "মনের মানূষ"ই কি প্রথম ধাপ?

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪৩

মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: কেমন আছেন কবি ?

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪৩

যমজজীবন বলেছেন: চাষাভূষার ছেলেপিলে-মেয়ে-ঝিয়েরা কেউ ধান ফলাবে কিন্তু সেটা খাবার যোগ্য-অযোগ্য, গু-গন্ধ যাচাই করবেন সাহেবেরা, কেননা তাহারা মুখে গ্রোস দেয় আর আমারা ঝামটার বাড়ি খাই, আমাদের খাইতে নাই। আমারা নকশীতে সুই-সুতার সুক্ষ ফোঁড় দেব আর তাহার উঞ্চতা ভোগ করিবেন। আমরা ছেড়া ত্যানা পরিয়া থাকিব। আর যদি ভগবানে কৃপায় ধর- স্যার , না এটা তিনি ত্যাগ করেছেন, তাইলে কি হবে...? আচ্চা যাই হোক, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের পরিবারের মতো একটা মহাত্মা জমিদার পরিবার থাকেন তো আউল-বাউল লালন ফকিরদের বা ভ্যাদাইম্মা কবি, গায়ক, সাহিত্যিক জনের সাহিত্য করতে চাওয়ার পৃষ্ঠপোষক ভাগ্যে ঝোটে।
মানে এই রকম আরকি, আমার জীবনের প্রধান ঘটনাকি জিজ্ঞাসিলে- তো আমি বললাম, বা আমার হয়ে আরেক জন বলল, ঐ অমুক মিয়া-ভূইয়া যে দিন আমারে একটা জমি দান করলো সেদিন থেকে আমি আমার আখড়া রক্ষা করিয়া বাঁচিলাম।


অনেকে এসবেরে রবীন্দ্র বিদ্বেষ ভাবতে পারে। তাদের জন্য বলা- না হে মশাই, এইটা সামান্তীয়, অভিজাত জাতকূলের বিরোদ্ধে, ভাবের বিরোদ্ধে লালনীয় লড়াই।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫৭

মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: কেন রে ভাই ? চিন পরিচয়ে ত কোনো বিপদ দেখি না আমি। বাদ দেন।

কিন্তু কি মনে হয় আপনার? এটা কি শুধু 'লোকজ'রে দখল করবার জন্য বাংলার শিক্ষিত (উপনিবেশি) মুসলমান আর শিক্ষিত হিন্দুর প্রয়াস? পশ্চিমের প্রগতিশীলতার পরিচয়ে ঘোরতর বাবুদের অবস্থান কি শুধু এই উপনিবেশি জমিদারি আশরাফি দিয়া বোঝা যায় ?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৮

যমজজীবন বলেছেন: হা প্রথমত প্রয়াশটা তদ্দূরই। যদ্দূর অস্তিত্ব টের পেয়েছে বা রক্ষা করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তবে এ দুনিয়াদারীতে সেটা আরো আগাইলো, স্রেফ উপনিবেশীক কায়দাকানুনেই মগজ খেলে না, তারা আরো আরো সেয়ানা হইছে। শ্রেনীঐক্যের জায়গা, ঘৃণা, লড়াই নষ্ট করে দেবার জন্য কূটিল জটিল উপস্থাপনে জঙ্গি ছুতা দিয়ে সে রাজনীতির খাতে কাত করে দেবার উছিলা, উপকারিতা বুঝে গেছে। আরো যে যে জায়গা দখল করার তদ্ববির তা তো ঐ স্রেফ হিন্দুজাত, মুসলমানি ঘোরতর কাইজ্জা দিয়ে বোঝার উপায় নাই, তবে বেশ একটা প্রগতির সুরুত নিয়ে শেষমেশ আড়ালে আবডালে সাম্প্রদায়িকতাই বাঁচিয়ে রাখা তার অস্তিত্বের স্বার্থে দরকার। ব্যপক মানুষকে এমন একটা ধারণায় আটকে ফেলতে চাওয়া, যা সাম্রাজ্যবাদিদের যেসব প্রগতি, পশ্চিমাদের প্রাচ্যের জন্য চিন্তার চিনিচম্পাকলা ঝুলানোই- যাতে তারা আর সমর্থক, দ্বিমত, রোধ কিছুতেই না থাকে।জড়। এটা একধরণের 'সুশীল' চিন্তার গাধাগরু বানানোই-।
যেমন এ দেশী চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ কিছু দিন আগে 'রানওয়ে' নামে যা বানাইলো তা বুর্জোয়া একটা নীতি-নৈতিকতার বড়ি গেলানো, এসব রাজনীতিরই সুস্পষ্ট প্রজেক্ট/সবক। একদিকে আইন ভজা, অন্যদিকে ধম্মকক্ম মানে নীতি-নৈতিকতা ফুটানো আর গোপনে, সময়ে সময়ে নগ্ন বন্ধুকধারী হয়ে উঠা। আইন>নৈতিকতা>বন্ধুক।

এই লালন দিয়েও- মধ্যবিত্ত বুদ্ধিসুদ্ধিরে, পয়সাঅলা রাজনীতির শ্যেণ্যচোউখ না উঁচিয়ে এরা খুব শান্ত থেকেই আমজনতার ভেতর থেকে সাংগঠনিক মেজাজা উড়িয়ে দিয়ে মগজের কারাকারবারে ঢুকে যাবার রাস্তা জেনে গেছে। আগে সেটা ব্যবহূত হতো য়ূরোপিয় শিক্ষাদিক্ষা দিয়ে, শিক্ষায়ই শক্তি/ নলেজ ইজ পাওয়ার- এখন সেটা খোদ হাঠে মাঠের ঐ লোকজ, 'মানুষের লড়াইয়ের নন্দন' গুলো কব্জা করে হচ্ছে।
লোকজ, প্রান্তস্থ, পরিধিকে তাদের কেন্দ্রে এনে শিকার করবার গর্তে ঢুকানোই। এবং তৎসংলগ্ন দেয়ালটাকে অস্পষ্ট করা। কিন্তু যতই শূকরের পালে ছাগল ঢুকে পড়ুক না কেন ভ্য ভ্য শব্দে তার ধরা খেতেই হবে। কারন লালন কে নেয়া কুতুকুতু মধ্যবিত্তের কাম না, মাজায়, মগজে সে জোর নাই, বেশীক্ষণ ঘাটেতে সক্ষম না। এটা লড়াইয়ের জন্যই, ঐ ফকির-মেসকিনেরই ধারালো ভাব। চক্করটা বেশ। চরকি খাবেই।

১০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫৯

সাইফুল ফারদিন বলেছেন: কি লিখছেন ভাই? ঘুরিয়ে পেছিয়ে না ক্যাচলাইয়া সোজা ভাবে লিখতে পারেন না? নাকি শুধু আমার কাছেই এমন মনে হইছে??

ছবিটি আমি ও প্রথম দিনের প্রথম শোতে দেখছিলাম। তবে আপনি যেভাবে ঘোলাটে করে ফেলছেন তা কিন্তু এত ঘোলাটে না। কোন কোন সিকোয়েন্স আপনার কাছে বিকৃত মনে হল?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৩

যমজজীবন বলেছেন: আমি সিকোয়েন্স নিয়া কথা কইতে আইছি? কি মনে হয়?

সব ঠিকি আছে। কোন ভুল নাই। মেধাবী চলচ্চিত্রকার। সাহসী। আমি তো তার বেজায় ভক্ত। কিন্তু কথা বলতে আসছি অন্য ভাবচক্কর নিয়ে....। চক্করটা বেজায় মজার।

১১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৩

কাব্য কথা বলেছেন: ছবিতো সবাই বলছে অনেক ভালো হয়েছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৭

যমজজীবন বলেছেন: আরে আমি কি বলছি ছবি খারাপ হইছে?
কাব্য কথা @ আমার বিষয়টাতো অন্যদিক নিয়া। লালনকে উপস্থাপনের ধরণ নিয়ে। সেটায় কি কেন্দ্র ছিল? কি জন্য, কি কারণে, কোন মতে-পথে, দর্শণে? দরুণ আপনি কাব্য বেশ গরিব, ফকিরি জীবন যাপন করেন যেটা লালন করতো। তো জমিদার আপনাকে দয়া দাক্ষিন্য দেখাল। আপনার মতাদর্শকে, আপনার সৃষ্টিকে কিছুটা নিজের দাবীদারম, তার দ্বারা উপকৃত এমন আচারণ দেখিয়ে বলল- এই হালা তোরে আশ্রয় দিলাম হে, না হয় তো না খাইয়া মরতি।

তো এই রকম আরকি, জীবনের প্রধান ঘটনাকি জিজ্ঞাসিলে- তো আমি বললাম, বা আমার হয়ে আরেক জন বলল, ঐ অমুক মিয়া-ভূইয়া যে দিন আমারে একটা জমি দান করলো সেদিন থেকে আমি আমার আখড়া রক্ষা করিয়া বাঁচিলাম। লালনকে এমন করে দেখানোর মানেটা কোন দিকে দিকে যেতে পারে, যায় তা ধরতে পারছেন? মজার কিন্তু। আপনারে আমারে ধরেন ঐ ৪৭ এ যে দেশ ভাগ হইছে তারো আগে ঐ পশ্চিম বাঙলার জমিদাররা অত্যাচার করছিল না আদর করছিল? ইতিহাস কি বলে? তো ঠিক ঐজায়গায় ধরেন আমার কথা হইলো- আমি জমিদার, বা সামান্ত প্রথার বিরোধী জায়গা থেকে বলতে চাই ঐ কলকাতার দাদাগণ কেন কবলতে চাইছেন বা একজমিদার দিয়ে ইতিহাসে লিখাইতে চাচ্ছেন, চাওয়ার রেওয়াজ তৈয়ার করা চেষ্টা করছেন যে- আমরা তোমাদের বাচাইয়া খাওয়াইয়া, রাখছি। আহা, .....

১২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২৯

লাল দরজা বলেছেন: সিনেমাটা দেখার সময় আপনের লেখা স্মরনে রাখুম। লেখা পইড়া তব্দা লাইগা গেছে! আর কিছু বলার নাই। B:-)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৮

যমজজীবন বলেছেন: লাল দরজা@ আপনি কি 'লাল দরজা' সিনেমাটা দেখছিলেন?

১৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৯

সাজ্জাদ ভূইয়া বলেছেন: সূর্য্য সেন রে নিয়া নাকি হিন্দি সিনেমা হচ্ছে...
দেখি অইখানে কিভাবে উপস্থাপন করে...
আমাদের সিনেমার বাজারের দিকে দাদাদের চোখ ...

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:২০

যমজজীবন বলেছেন: আমোগো গপ্পকাহিনী নিয়েও.....ইতিহাসের চরিত্র ওদের মতো করে সাজাতে চায়....কেন? আমাদের কার/কাহার আবার তাতে সাহায্য করে?

১৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:২৪

মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: আরো যে যে জায়গা দখল করার তদ্ববির তা তো ঐ স্রেফ হিন্দুজাত, মুসলমানি ঘোরতর কাইজ্জা দিয়ে বোঝার উপায় নাই

সেইটাই। দেখেশুনে তা-ই মনে হচ্ছে।

ফলে এই স্বার্থের অস্তিত্বের স্বার্থে যদিও আড়ালে আবডালে সাম্প্রদায়িকতাই বাঁচিয়ে রাখা এদের খুব দরকার , কিন্তু এটুকুই এখন আর সব নয়, যেমনটি আপনি বলছেন।

এমনকি চূড়ান্তভাবে যদিও ''ব্যপক মানুষকে এমন একটা ধারণায় আটকে ফেলতে চাওয়া, যা সাম্রাজ্যবাদিদের যেসব প্রগতি, পশ্চিমাদের প্রাচ্যের জন্য চিন্তার চিনিচম্পাকলা ঝুলানোই- যাতে তারা আর সমর্থক, দ্বিমত, রোধ কিছুতেই না থাকে'' হল এমন প্রয়াসের মনজিলে মকসুদ।

কিন্তু দুনিয়াজুড়ে এই সাম্রাজ্যিক খায়েশের মধ্যে বিশেষ করে এই অঞ্চলে, ভারতবর্ষে এটা যেভাবে হচ্ছে, যেই শ্রেনী পেশা পরিচয়ের মানুষদের মাধ্যমে- এবং যে ক্ষমতাবান গোষ্ঠির মাধ্যমে তাদের হালসাকিন কি ?


সাবেকি উপনিবেশি শিক্ষিত হিন্দু আশরাফদের ক্রমশ বিবর্তিত শ্রেনী হিসাবে এই সময়ে এই সুনীল আর ঘোষ সাহেব েবং আনন্দবাজার আর ইমপ্রেস গোষ্ঠীর এখনকার স্বার্র্থ কি? নানা জাতি-গোষ্ঠীর এই বিশাল ভারতবর্ষের মধ্যে ক্রমশ মহাশক্তি হয়ে ওঠা ইনডিয়ার কেন্দ্রীয় শাসকগোষ্ঠীর বলয়ে এরা কারা? এককালে এদের ভাষায় বাংলার ফকির-টকির কেন এদের আগ্রহ হয়ে উঠতেছে ? সেই আলাপ টা কইরেন। বুঝতে পারতেছি। সম্ভবত আপনি তাৎক্ষনিক খসড়া লেখতেছেন। আপনার পোস্ট মন্তব্য মিলায়ে। আলাদা লেখা আকারে দেখতে পাবো এ আশা রইল। আর ব্লগেই সম্ভবত একখান লেখা আছে এ বিষয়ে। তালাশ দিয়া দেখি।

জয় গুরু !

১৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:২৭

মোহাম্মদ আরজু বলেছেন: আর হা। লড়াকু ফকির ফ্যাকরা ধারাল আর চক্করমতি ভাব কাটানোর চেষ্টা ত করা হইছেই।

এই যেমন জ্যোতিঠাকুর বলতেছেন লালনকে; ফকির সাহেব !
লালনরে নিয়া এই প্রথম একখানা কৌতুক, এবং একখানা কড়া কৌতুক উপভোগ করলাম :)

১৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫২

প্রদীপ মিত্র বলেছেন: আপনি কাকে তথাকথিত রেনেসাঁ বলছেন? দোষ খুজতে চাইলে জুতার ফিতায় কেন ময়লা এরকম কথা বলে আজগুপি অনেক সমালোচনাই বের করা যায় ভাইডি

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:২৬

যমজজীবন বলেছেন: প্রদীপ ''রেনেসাঁ'' কি?
আপনার দোষ ধরাটা ঠিক গ্রেফতার করতে পারলাম না। একটু বিস্তারিত বলেন, যে কোন দিক থেকে। আহলে সুবিধা হয়। দেখি বাহাস জমে কিনা।
আমি কাকে তথাকথিত রেনেসাঁ বললাম তা তো সেখানে লেখাই আছে। আপনার দ্বিমত কোন জায়গায় জানান...।

১৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

ফাহিম007007 বলেছেন: Lalon ke hindu celo na musolman celo amra ke kau jani?
kintu 'moner manus' chobita amra dakhe teni hindu ata kotota sotte janaben ke?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৬

যমজজীবন বলেছেন: হা ঐ সময়কার বর্ণ হিন্দুদের ঘরেই তার জন্ম। ইতিহাস তাই বলে।

১৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯

আকাশ_পাগলা বলেছেন: 'মনের মানুষ' নামক চলচ্চিত্রে লালন ফকিরের যে জীবন পদ্ধতির চর্চা ও তার সে জীবনের ভেতর দিয়ে যে দর্শন চর্চা- তাকে প্রস্ফুটিত করতে গিয়ে/ ঐ সব চোখের কাছে (মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত, এবং... নিন্মবর্গ) হাজির-নাজির করতে গিয়ে পরিচালক গৌতম ঘোষ 'খানিকট...া কল্পনা করে/ধরে নিয়ে অর্থাৎ মনগড়া ভাবে' এবং 'অতীব চতুরতার সাথে' লালন চরিত্রের কেন্দ্র, তথা লালনের(তাহাদের) জীবন-দর্শনের 'বাঁচা-মরা, টিকে থাকা, পৃষ্ঠপোষকতায়'- 'তিল পরিমান ঘটনাকে তাল পরিমান করে', ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে রবীন্দ্রনাথের দাদা যতীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাথে দেখা হওয়া, মানে ঠাকুর পরিবারের সাথে- আবার শিল্পসাহিত্যের প্রভাবশালী পরিবারও বটে, সে জমিদার পরিবারের সাথে দেখা হওয়া, মানে জমিদারের সাথে দেখা হওয়া - যারা লালনকে, লালনের আখড়াকে তাদের জমিদারী তালুকের কর/খাজনা থেকে 'মওকুফ', এবং জমি 'দান' করে টিকিয়েছিল, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল- তৎঘটনাকেই আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত সূত্রে/দৃশ্যে, গল্পের কেন্দ্র বানিয়ে, ইনিয়েবিনিয়ে এই বোঝালো যে- কলিকাইত্যা/পশ্চিম বঙ্গের জমিদার, ভালু জমিদার আরকি-, কিছুটা উদারপন্থি, সাহিত্য পৃষ্ঠপোষক, যারা আঠারো কি ঊনবিংশ শতকের তথাকথিত একটা রেনেসাঁয় উদার হয়েছেন, ইউরোপিয় উদারপন্থী ঐতিহ্য যাদের ভেতর ঢুকে গেছে বা যারা গ্রহন করেছে সেসব ক্ষয়িঞ্চু জমিদার, উঠতি উচ্চশ্রেণী বা মধ্যবিত্ত শ্রেণী তাদের যে একটা সুদূর-কুদূর প্রসারী ফলাফল, সে ফলাফলের পাশাপাশি, সমান্তরালে- অসহিষ্ণুতা, জাতপাত হঠাতে, অসাম্যতার বিরুদ্ধে আরেকটা স্রোত, চোরা স্রোত চলছিল, মানে যা বিশেষ ভাবে প্রকাশ্য বা সমাদার, সমাঝদার দুনিয়ায়, রঙচঙয়ের কাছে পৌছাচ্ছে না, নাগাল পাচ্ছে না- কিন্তু যেখাটায় মুক্তচিন্তার অস্তিত্ব ছিল সে সব আউল-বাউল দশাকে, দর্শনকে মুক্তহস্তে দান করে টিকিয়ে, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল- কারা (?)- গৌতম, সুনীলের মতন মানবকূল যে বাটীতে থাকেন সে চিহূ- 'কলিকাত্তা'র অগ্রসর মানুষেরা !!!




পুরাটা একটা লাইন। দাড়ি । । । । । -- এই জিনিসটা ছোটবেলায় শেখায় নাই??? এইটা লাইনে ব্যবহার করা যায় না? একটা লাইনটা পড়ে, এতবড় লাইনটা পড়ে মাথা চক্কর দিয়ে উঠল।
যার সমালোচনা করতে আসছেন, সেও আপনার মত এত বড় সুশীল না।

আপনার অতিমাত্রায় সুশীলীয় ভাষা, মাথা ব্যাথা করে দিল। গৌতমও এমনই আর্টিস্টিক জিনিস বানাতে গেছে যেটা আপনার মাথার উপর দিয়ে গেছে। যেভাবে আপনার আর্টিস্টিক ব্লগটা আমার মাথার উপর দিয়ে যেতে যেতে বাড়ি খেল, আর আমি ব্যাথা পেলাম।

লাইনের শেষ শব্দটাও প্রথম শব্দের সাথে রিলেটেড। মানে, প্রথম থেকে সব শব্দ মনে রেখে মাথায় রেখে পুরা লাইন শেষ না করে অর্থ বুঝা যাবেনা।

উফফফফফ।

মাইনাস।

(আমি আপনাকে বুঝাতে চাচ্ছি যে, দোষ খুঁজলে সবখানে খুজা যায় আর কিবোর্ড হাতে পাইলে সবাই সমালোচনা করতে পারে। )

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩২

যমজজীবন বলেছেন: এক বাক্য বা লাইনেই বিষয়টা বলতে চাইছি। এক থোকায় বোঝানোর জন্য। ভেঙ্গে ভুঙ্গে পরে কোন এক লেখায় পুরা প্রকল্পটা যত সব ক্যারিকেচার আছে সব শুদ্ধা বলবো। আর দাঁড়ির ব্যবহারটা ছোট বেলায় শিখেছিলাম বড় বেলায় ভুলে গেছি। আবার শিখে নেব নে।
আর মাইনাসে আমার কি আসে যায়। আপনারে ব্যথা দিতে পারলাম এতে আমি আনন্দিত।

হা অনলাইন দুনিয়া সমালোচনা করা জন্য একটা মাশাল্লা জিনিষ।

১৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৬

সিদ্ধার্থ আনন্দ বলেছেন:
একদা সুনীলের উপন্যাসটা পড়তে গিয়া ব্যাপক হাসতেসিলাম।
তখনো ভাবতে পারি নাই- ইহায় এক সময় লালনের সঠিক ইতিহাস হইবে।
এবং বারবার ইহার পুনরুৎপাদন ঘটবে।

এখনও হাসতে ইচ্ছে করসে। তবে অনেক দুঃখে।।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪৪

যমজজীবন বলেছেন: সিদ্ধার্থ আনন্দ > সহমত। ব্যথিত।
উপন্যাসটা আমার পড়া নাই। বয়সন্ধি কালের অনেক কিছুর মাতো এও আমার ফেলে আসা হয়েছে। এই সুনীল, সমরেশ, শীর্ষেন্দু - দের আমি তেমনটা নেই নাই। তাতে আমার বিশেষ ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয় না। আর পড়তেও চাই না।

কিছু দিন আগে 'দেশ' প্রত্রিকায় সুনীলের এক উপন্যাস বের হয়েছিল। তো আমার এক বন্ধু পড়ল আর একটা আচ্ছা মতো সমালোচনা লিখলো- তাতে সে দেখিয়েছে এই দাদারা আমাদের দেশ-দশ, রাজনীতি, সংস্কৃতি এবং একাত্তর নিয়ে যা যা বলে, বলতে চায় তার ভেতর একধরণের জামাতী চিন্তার মিল পাওয়া যায়। জামাতীরা বলে ধর্ম মিশিয়ে আর এরা অসাম্প্রদায়িক ভেক ধরে। দুই খারাপ।

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯

শূদ্র বলেছেন: রবীবাবুর দাদা বিরাট গুনিন বুর্জগ আছিলেন। যিনি লালনের খাজনা মাপ করেছিলেন। লালন তারপর এইসব জমিদাররে আসরে গাতক হিসেবে দিন গুজনার করেছেন। শেষতক লালন একজন গাতক? আর রবী বাবুর পরিবারবর্গ হইলেন বিরাট প্রজাবৎসল। ইতিহাসতো বলে ভিন্ন কথা। শাহাজাদপুর (বর্তমান সিরাজগঞ্জ) জমিদারি টিকিয়ে রাখার জন্য এমন কোনো কর্ম (কর্মের আগে একটা অপ বসাইলেও কোনো আপত্তি নাই) বাদ রাখেননি। সেই জমিদার বাবুর বির দ্ধে বিদ্রোহেরও আওয়াজ শোনা যাচ্ছে পাবনা সিরাজগঞ্জের প্রজাবিদ্রোহে। সেই যাইহোক, তো এই জমিদার পুতদের চোখে আবার লালনকে দেখতে হলো আমাদের। শালার কলির পড়েছে অকাল, ছাগলে চাটে বাঘের গাল।
.........
লালন আমাদের পূর্ব বাংলার নিন্মবর্গের মানুষের চিন্তার ঐক্য। সেই ঐক্য ভেঙ্গে দিলো সূনীল-গৌতম নামের দুই দস্যু।
গৌতম আগে ছবি যা বানায়ছে তার সমালোচনা আমার নেই, কিন্তু লালনকে নিয়ে এতো কাহাতক ফাজলামি।
আর সূনীলের কথা কি কবো? শালায়, কুত্তায়, ঘিরিঘিটি, সা¤প্রদায়িক, বর্নবাদী যে সব উপন্যাস লিখতাছে তার তুলনা করার কোনো শাকিন আমার জানা নেই। তথ্যের নামে গাজাখুরি, যা খুশি তাই লিখেন। এরারে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওন উচিত না। বাংলাদেশ সম্পর্কে তার যে ভাবনা তা জামাতিগো থেকে এক পা এগিয়ে।
..........................
লালনের গান মধ্যবিত্ত ঘরানার ঢংয়ে গেয়ে নিন্মবর্গ মানুষের চিন্তাকে দখল করার চেষ্টা করা হয়েছে তার থেকে বেশি মাত্রায় অপরাধ এবং দুসাহস এই যে লালনকে অধিকর্তা শ্রেণীর আর্তিকরণ করার চেষ্টা।
.............

রবীবন্দ্রনাথ পরিবার ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম পরিবকার যারা ইংরেজদের পার্টনার করে কয়লাখনির ব্যবসা ফেদেছিলেন। আমাদের জানাশোনা ইতিহাস বলে রবীবাবুর পরিবার সেই চেনা ইতিহাস থেকে কখনো বের হয়ে আসতে চাননি। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেই রবী বাবুর দাদা লালনকে খাজনা মাপ করে দিয়ে যে ওদার্য তিনি দেখালেন বিষয়টিকেই সিনেমার প্রধান উবজিব্য করে তোলার একটা রাজনীতি আছে বলে আমার মনে হয়। সেখানে তাদেরকে মহান করে দেখানোর চেষ্টা আর কি।
সেইখানে যতো আপত্তি।
আমি যদি ব্লগারের বিষয়টি ধরতে পেরে থাকি, তাইলে লালনে সিনেমার উপস্থাপনের ঢংটাই বিশ্রি উদ্দেশ্য প্রণেদিত এটাই বোঝাতে চেয়েছেন।
পটাড়ার মাস্তান প্রশেনজিতকে দিয়ে লালন চরিত্রে অভিনয় করার ফলটা আরও নেতিবাচক হয়েছে। গৌতম এক শ তে শূন্য পেয়েছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৩৩

যমজজীবন বলেছেন:

১. আমাদের লোকায়ত সংস্কৃতি কব্জা করা। যা লড়াইয়ের ভাষা/অস্ত্র/উপাদান। পুঁজি এটা ছলেবলে কব্জা করতে করতে ক্রমেই লড়াইয়ের ময়দানে আমরা দেখবো/দেখতে থাকবো এই সব উপাদান আর চর্চা করা যাচ্ছে না। ফিউশনের ধোপে এর মেজাজ ভিন্ন হয়ে গেছে। লুতুপুতু, সাতে নাই পাঁচে/পাছে নাই এমন ভাব-বলয়ে ঢুকিয়ে একটা বুর্জোয়া নীতি-নৈতিকতার বড়ি গেলানো, এবং বাদ-প্রতিবাদহীন, রোধহীন, অ-রাজনৈতিক মানুষ জন্ম দেয়াই এর কাজ।

২. পৃষ্ঠপোষকতার নামে/দাবীদার হয়ে উপনিবেশী ইতিহাসের পাঠ-পঠন উল্টে দেয়া। এবং তৎকালীন জমিদার/বর্ণহিন্দুর অত্যাচারে এ ব-বঙ্গের মানুষের যে জাতপাত বিরোধী, বৈষম্য বিরোধী অবস্থান এবং সংস্কৃতিসহ জীবনের যে আকার/চর্চা দাঁড়িয়েছিল তাকে অস্বীকার করা। এক-আধ ভালো জমিদারের উদাহরণ টেনে পুরো ইতিহাস গুলিয়ে দেয়া।

৩. শহুরে মধ্য/উচ্চের কাচকলা সংস্কৃতির ফাঁক ভরাট করতে লোকায়ত/আউল/বাউল দর্শনের/ধারার সাথে একটা সমান্তরাল ভাব দেখানো। একে বাহবা দেয়া।তবে এটাও বলা যে- 'অনাধুনিক'। ঠিক এমন যে, ঐ বৃটিশ সময় 'আমাদের শিক্ষিত সমাজ সচেতনরা' যেভাবে চিন্তা করছিল তার ধারে কাছে 'এই অশিক্ষিত আউল-বাউলরা'ও অসম্প্রাদয়িক একটা চর্চা করেছে। তবে 'আমাদের মতো' শিক্ষিত/আধুনিক না হলেও তার একটা গ্রহন যোগ্যতা ছিল। একই সাথে 'আমি' এবং 'অপর' ধারনার বশবর্তী থেকে জাতকূল/শ্রেনী আভিজাত্যের ঠাঁটবাঁট ধরা এবং একই সাথে সেটা অস্পষ্ট করে আত্মরক্ষা করা/ ঝাঁকে মিশে থাকার অভিনয় করা।

৪. উদার পুঁজির যে মেকি/ভেকবাজ সুরুত - তেমন করে সংস্কৃতিক ক্ষেত্রে কূৎসিত, ভোগবিলাসী রূপ লুকিয়ে ভালোমানুষি সুরুতের, কৃঞ্ছতা সাধন, পরিমিতি বোধ দেখানো, মানুষের সেবা/ভজার নামে মুখোশ ধরা। মানে ভাবটা এমন- আমরা টাকাঅলারা অত্যচারী না, এসব আমরাও করে বেড়াই, আমরাও এসবের কদর বুঝি, সমাদার করি।(ইনূচের সামাজিক ব্যবসার মতো, এবং গ্রামীন চেক/খদ্দরের কাপড়/বিবি রাসেল গামছা গতরে তুলে সহজ মানুষ সাজা)

৫. লালন একজন অসম্প্রদায়িক, হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদ মানতেন না, তিনি রেষারেষি করা অপছন্দ করতেন/ অহিংস- এ বলে, লালন বা এ ধারাকে 'চিহূ' বানিয়ে যে প্রগতিশীলতা/ মানবিকতা দেখানো হয় তা দিয়ে এ সময়ের জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ঘরানা/ধারনার সাথে মিল দিয়ে 'শ্রেণীরাজনীতির বলপ্রয়োগের' বিরোদ্ধে, বা মানুষের ন্যায্য অধিকারের দাবীর বিরোদ্ধে ব্যারিকেড দেয়া, স্বোচ্চার হবার নামে মধ্য এবং কিছু পরিমান নিন্মবর্গের মগজে কারফিউর ভয় ঢুকিয়ে দেয়া, সমর্থন আদায় করা।

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩

প্রলাপ বলেছেন: কিছুই বুঝি নাই। বাংলায় লেখলে ভালা হইতো। এত বড় বড় বাক্য দুনিয়ার কোন ভাষায় আছে বলে ঝানতাম না। বাক্য ছোট কইরা বোঝার সুবিধা কইরা দিলে কৃতজ্ঞ থাকুম।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৫৯

যমজজীবন বলেছেন: অবশ্যই। আমি চেষ্টা করবো। তবে পরবর্তী কোন লেখায়।
শহীদুল জহীর নামে এক গল্পকার আছেন যার একটা বড়সড় গল্প আছে কোন দাড়ি ছাড়াই। প্রুফরিডার লেখকের ভুল মনে করে নিজ মতো দাড়ি দিয়ে 'ঠিক' করলো। ছাপাও হয়ে গেল। কিন্তু লেখক দেখার পর তো টাস্কি খেলেন, বাহা একি হলো। বাজারে ছাড়তে দিলেন না। নতুন করে আবর কাজ করাতে বাধ্য করলেন প্রকাশক কে। যাই হোক আমি কোন গল্পকারের মতো ফ্যান্টাসি বা আঙ্গিকগত পরিক্ষা করছি না, করার জন্য এই কাজ করি নাই।

আমার এই দীর্ঘ বাক্য লেখার উদ্দেশ্য- এই কথা গুলো (দাড়ি না দেয়া বাক্যটা) যেন লেখার মতো না দেখায় বা কেউ পড়ে। অর্থাৎ আমিই আসলে লিখি নাই এমন ভাব কাজ করিয়েছি নিজের ভেতর- যে, এটা যেন বৈঠকের মতো লাগে। সরাসরি বলছি এমন মনে হয়। যেন চোখ-নাক-মুখ-ভ্রু-ঠোট-দাত কিড়মিড় করে বলছি এবং অস্থির হয়ে, ক্ষোভ নিয়ে বলে যাচ্ছি এমন মনে হয়।

যাই হোক, আমার চাওয়াটা ধোপে টিকলো না।

২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১:৩২

জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমোগো গপ্পকাহিনী নিয়েও.....ইতিহাসের চরিত্র ওদের মতো করে সাজাতে চায়....কেন? আমাদের কার/কাহার আবার তাতে সাহায্য করে?---আমাগো গল্পকাহিনি কোনটা?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.