নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জোবায়দা খানম

জোবায়দা খানম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছয় ছয়টি রাত তারা একই সাথে একই ঘরে একই বিছানায়

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:০১

আত্মহত্যা কেন করবে সে। স্বাভাবিক হবার চেষ্টায় আছে কাকলি। না সে শক্ত হয়। বিপদে হার মানা নয়। সে হার মানার মেয়েও নয়।



গেলো দুই বছরে আগে অক্টোবরের ৪ তারিখ কাকলির জীবনে এলো আরো একজন পুরুষ। পুরুষ ছেলেটি তার বয়সে ছোট। মোবাইল ফোনে তাদের যোগাযোগ তারপর পরিচয়।



কাকলি তার অতীত বর্ণনা করে সব কিছু পরিস্কার করে ছেলেটির কাছে সহানুভূতি পেতে শুরু করেছে। অতীতে কাকলির জীবনে একটি দুটি ছেলে এসেছিল সবাই তার সাথে প্রতারনা করেছে। তার সম্ভ্রমকে জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে একান্ত নিজের ইচ্ছায় আবার অনিচ্ছায়। সে সমাজের পুরুষের লালশার শিকার। এসব শোনার পর নতুন মানুষটি যে কাকলির জীবনে এসেছে তার মন গলে যায়। মহানুভবতা দেখায়। আসিফ ভাবে মেয়েদের জীবনে এসব হওয়া সম্ভব। হরহামেশাই হয়ে আসছে।



ফোনে অনেক ধরনের কথা বার্তা চলে আসিফের সাথে কাকলির। তারা জীবন সাজায়। জীবনে কে কিভাবে পাড়ি জমাবে সুখের ঠিকানায়।



মেস বাসায় থেকে কাকলি পড়াশুনা চলে দুইটা টিউশনি চালিয়ে। আসিফের তা শুনে খারাপ লাগে।



: শুন, তুমি আর টিউশনি করাবে না।

: কেন? কি সমস্যা।

: তুমি মেসে একটি সিঙ্গেল রুম নিবে। আর যা লাগে আমাকে বলবে আমি পাঠিয়ে দিবো। তুমার সব সমস্যা আমার।



আসিফ কাকলিকে ভালোবেসে তার ভরণ পোষনের দায়ভার নিজের কাধে নিয়ে নেয়। কাকলি তাকে অবলম্বন ভেবে চলতে থাকে।



দিন যায় সব ঠিক ঠাক চলছিল। আসিফ থাকে অনেক ৩ শত মাইল দুরের এক ঠিকানায়। তাই তাদের যোগাযোগের মাধ্যম মোবাইল ফোন।



একদিন কাকলির মোবাইলে ফোন এলো আর বাকি দিনের মত আসিফই করেছে।

: হ্যালো, বল কেমন আছো।

: জান, একটা খারাপ সংবাদ আছে। আমার মা মারা গেছে।

: ইন্নানিল্লাহ, কিভাবে। তুমি শান্ত হও। আমি আছি তো?



আসিফ তার মা'কে হারিয়ে পাগল প্রায়। তার একমাত্র কাছের মানুষ এখন শুধুই কাকলি। যতটুকু শান্তনা দেয়া দরকার মুঠোফোনে জানায়। আবার ভাবে কাকলি, আসিফের কাছে গিয়ে শান্তনার পরশ জানালে মন্দ হয় না।



একটি মেয়ে এবার সকল শৃংখল ভেঙ্গে একা একটি ছেলের জন্য ৩০০ শত মাইল পাড়ি দিয়ে তাকে হাতের পরশ দিয়ে শান্তনা বানি শোনাতে যাচ্ছে। অনেক ভালো লাগা, ভাবনা, খুনশুটি আবার সংকা সব কাজ করছিল কাকলির মধ্যে। এমনিতে ছেলেটি তার মা হারিয়ে অনেক কষ্টে আছে। তাই মেয়েটি মায়ায় পড়ে গিয়েছিল ছেলেটির।



অনেক ঝাড় ঝাপটা পাড় করে অবশেষে দেখা হলো দু'জনার। ছয় ছয়টি রাত তারা একই সাথে একই ঘরে একই বিছানায় কাটালো। তাদের মধ্যে না কোন সামাজিক বন্ধনহীনতার ভয় ছিল না ছিল তাদের মধ্যে কোন ভবিষ্যত ভাবনা। এ যেন অবাধ ভালোবাসা। বারন মানা করার কেউ নেই। শুধু একজন পুরুষ ও নারীর মিলনের উদাম চাওয়া।



দিনগুলো যেন কিভাবে পেরিয়ে গেলো। কাকলিকে আবার ফিরে যেতে হবে আসিফের থেকে অনেক দূরে। এভাবে আর তারা মিলিত হতে পারবে না এই কষ্টে আরেকবার শেষ বিদায়ের আগে আসিফের বুকে ঝাপটে পড়ে কাকলি-



: জান, আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।

: আমিও ..।

: তুমি আমাকে ভুলে যাবে না বলো?

: না, কখনই না। তুমি আমার লক্ষী সোনা।



ফিরতি পথে আসিফ একটি টিকেট হাতে ধরিয়ে দিয়ে কাকলিকে দু' হাত নাড়িয়ে বিদায় জানাল ( চলমান)



কেন মেয়েটিকে নষ্টা গালি শুনতে হয় বারবার !! (পর্ব-১)





কেন মেয়েটিকে নষ্টা গালি শুনতে হয় বারবার !! (পর্ব-২)





মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলো সে আত্মহত্যা করবে (পর্ব-৩)







মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৩৮

ইয়াসিন কবির বলেছেন: সত্যি কথা বলতে গেলে লিখাটি অতটা ভালো লাগে নি। কিছু ব্যাপার বোধহয় আর একটু বর্ণনা করা যেত। আসলে আমি লেখার কিছুই বুঝি না। কিন্তু খুব একটা ভালো লাগেনি তাই জানালাম। দু:খিত যদি আমার কথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন।

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

স্রাবনের রাত বলেছেন: গল্প টা, অনেক শর্ট কার্ট হয়ে গিয়েছে ।
আর একটু বড় হলে ভাল লাগত ।
আপনার জন্য শুভকামনা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.