|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুবায়ের বিন রিয়াজ
হাঁয় বন্ধু! আমি হাসিখুশি একজন তরুণ। হাসতে ও হাসাতে ভালোবাসি। লেখতে ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষের সেবা করতে।
ভালো করে ডান-বাম সব দেখলাম। না, আমি সঠিক জায়গায় -ই- এসেছি। আমাকে দেখে আমার কলিগ ও স্টুডেন্টরা বলতে শুরু করল, স্যার! স্যার! বেলুন ফুলান। বেলুন ফুলান। বললাম- কেন এত সাজসজ্জা? সবাই চিল্লিয়ে বললেন-হায়, হায়, কি বলেন স্যার, আপনি জানেন না, আজ তো মাঈন স্যারের (কোচিংয়ের পরিচালক)জন্মদিন। তাই এত আয়োজন। বললাম- হু। দাও, বেলুন দাও। ক্লাস যেহেতু হবেনা, তো আর কি করা, বসে বসে বেলুন ফুলাই।
কয়েকটা বেলুন দেয়া হলো। এর আগে জীবনে কখনো বেলুন ফুলাইনি। তারপরেও ভাবলাম- বেলুন তো, ফুঁ দিলেই ফুলে যাবে। মাগার, ফুঁ দেই কিন্তু বেলুন ফুলেনা। সবার ফুঁ এ বেলুন ফুলে। আমার ফুঁ এ কাজ হয়না। চিন্তা করলাম- একটু শক্তি দিয়ে ফুঁ দিলেই নিশ্চয় ফুলবে। কিন্তু না, শক্তি প্রয়োগ করে মুখ ব্যাথা হলো, কিন্তু বেলুন সাইজ মতো হলো না।
আমার চেষ্টা করতে করতে অন্যদের অসংখ্য বেলুন ফুলানো হয়ে গেছে। আর আমি যে বেলুন ফুলানোতে আনাড়ি, তাও এতক্ষণে কয়েকজনের চোখে ধরা পড়ে গেছে। তারা চিল্লিয়ে বলে উঠলেন, হায়, হায়, স্যার! বেলুন ফুলাইতে পারেন না!? আমি একটু ভাব নিয়ে, আরে বেলুন- টেলুন তো কখনো ফুলাইনি। তাই আর কি...।
তারা আমাকে বললেন, স্যার! বেলুনের মাথাটা পুরোটুকু মুখে ঢুকিয়ে দেন। বেলুনটা সোজা রেখে, সামান্য নিচু করে আস্তে ফুঁ দেন, দেখবেন ফুলে যাবে। তাঁদের টেকনিক ফলো করে, বেলুনে সামান্য ফুঁ দিলাম। সাথে সাথেই বেলুন কি সুন্দর ফুলতে শুরু করল। নিজের ফুঁলানো বেলুন দেখে, মনটা আনন্দে ভরে গেল। অল্প সময়ে-ই - অনেক বেলুন ফুঁলিয়ে ফেললাম। আমার ফুলানো বেলুন দিয়ে, মূল গেটের কিছু অংশ সাজানো হলো। গেট সাজানো শেষ হলে, দেখলাম- গেটটা দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে। কাজ করে, কাজের ফলাফলটা সুন্দর হলে, মনে অনেক আনন্দ হয়। গেটটা দেখেই আমার এ অনুভূতি হল।
কাজ শেষে গালে হাত দিয়ে ভাবলাম- ছোট্ট ছোট্ট বেলুন, এটা ফুলানোও শিখতে হয়! না শিখে চমৎকার করে ফুঁলানো যায়না!
আসলেই দুনিয়ায় ছোট বলতে কিছু নেই। সহজ বলতে কিছু নেই। সব কিছুই শিখতে হয়। টেকনিক জানতে হয়। শিখলে ও কৌশল জানলে, তবেই পুরা দুনিয়াটাই সহজ হয়ে যায়।
তাই, শেখা ও জানার বিকল্প কিছু নেই।
০ টি 
+০/-০©somewhere in net ltd.