নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জলছবি

যদি মানুষ না হই তবে যেন আবার জন্ম নিই মানুষ হয়ে. . .

জোবায়ের মিলন

আমি মানুষ। মানবিক বোধই যার যোগ্যতা।

জোবায়ের মিলন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুঁ’দিয়ে পড়ে ফেলা কয়েকটি কবিতা

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১২

১।

আমার নাম রেখো প্রেমিক





আমি

ভাবতে ভাবতে যদি মরে যাই

আমার নাম রেখো ভাবুক

সূর্যের ভ্রু থেকে এক চিমটি কাজল এনে

আমার চোখে মেখে দিয়ে বল, ও সূর্যের কথা বলত



আমি

চিন্তা করতে করতে যদি মরে যাই

আমার নাম রেখো চিন্তাবিদ

চাঁদের ঠোঁট থেকে এক বিন্দু জ্যোৎস্না এনে

আমার দু’হাতের বাঁজুতে বেঁধে দিয়ে বল, ও পূর্নিমার কবিতা লিখত



যুব্ধ করতে করতে যদি মরে যাই

আমার নাম রেখো যোব্ধা

পবিত্র ভূমি থেকে এক মুষ্ঠি ধুলো এনে

আমার বুকে ছিটিয়ে দিয়ে বল, ও যুব্ধ চেয়েছিল-যুব্ধ



আর

গান গাইতে গাইতে যদি মরে যাই

আমার নাম রেখো গায়েন,

আর

ভালোবাসতে বাসতে যদি মরে যাই

আমার নাম রেখো প্রেমিক



২।

ভ্রষ্ট যাদুকর



এখন

প্রেমিকের ঠোঁটে কামড় দিয়ে মিষ্ট লালার চেয়ে

বিষাক্ত বিষ ছড়িয়ে দিলেই তার নাম হয় ভালোবাসা

নির্জন ঘরে নিষিক্ত করনের আরেক নাম হয় আদর

হয় নিখাদ প্রেম

শার্টের বোতাম পাল্টেফেলার মতো শরীরতত্ত্বিয় সূত্র বদলানোর নাম হয় সভ্যতা

হয় আধুনিক প্রেমাখ্যান

গোপান বিহারে যাপিত জীবনের পংক্তি গুলো-

সাদা ফ্রেমে আটকে তার নাম রাখা হয় ফ্রেন্ডশীপ!

নিয়তি নিয়ম

...

কালের দু’হাতে হাবিজাবি মারি ও মরক

বার বার হেয়ে গিয়ে আজ

শিখে গেছি প্রেমের রণকৌশল

আমিও পঙতি গুলোর মতো







৩।

নাটাই ঘুড়ি



আমার আছে ইচ্ছের স্বাধীনতা

আমি চাইলে আকাশ দেখতে পারি

চাইলে চৈত্রের রোদে পুরে খাক হয়ে

পড়ে থাকতে পারি উলঙ্গ জমিনে

আমি চাইলে বেছে নিতে পারি ঝুম অন্ধকারে একাকীত্ব জীবন

অথবা শরীরের বাজারে বেশ্যাত চরাচর



ছোরা হাতে পারি আমি আপন গায়ের মাংস

ফালি ফালি করে কেটে ছেটে

কসাইর দোকানে বসাতে ভাগ

... নূপুর পায়ে বাইজির মতো নেচে নেচে

দেখাতে পারি বেদেনীর নৃত্য

কে আমাকে রোখে?



প্রিয়তমার প্রিয় বাজুতে এঁকে নিতে পারি জয়নুল পিকাসো

দিতে পারি নিলামে সহসা

মায়ের প্রিয় জুতো জোড়া এক আনায় বেচে দিয়ে

কিনতে পারি ফাইব-ফিপটি-ফাইব

আঙ্গিনার যেখানে করেছি রোপান হাসনাহেনা

সেখানেই চালাতে পারি ইস্পাতি মই

চাষাবাদ করতে পারি সজারুর কাটা

এটা তো ধাঁধাঁর সংসার







৪।

একটা মাছের আশায়





নীলক্ষার নীলে লিখে দিলাম তোমার নাম

যদি তুমি সত্য হও

অথবা যদি সত্য হয় আমার ঘাস রঙা প্রেম

তুমি ফিরে আসবে



বকের পালক মত পাখা মেলে তুমি একরাশ মেঘ

তোমার চুল ছুঁয়ে নেমে আসে বাদামি বৃষ্টি

ফড়িং প্রজাপতি শুষে নেয় আতরের গন্ধ

বুকের জমিনে যে চাঁদর পাতা ভিজে ওঠে সে

প্রতিদিন প্রতিরাত

...

নালার খরো জলে ভেসে যায় আদলে রাখা কৃষ্ণচুড়া

ভেসে যায় নোবানের সুবাতাস

বদির চেয়ে থাকে এক দুরাশায়. . . অপলক দৃষ্টি

কে তারে বোঝে?



মাটির কসমে মনের দাগ

ছোপ ছোপ রক্ত জমাট বাঁধা এপাশ ওপাশ

জানালার গ্রীলে চাঁদের পোয়াতি দু:খ

লুডু খেলে ছয় নায়



বেসামাল ভিতরের অবুঝ কিশোরী

কী বাসনায় কাটাবে সময়!

পেছনে নদীর ভাঙ্গা ঘর সামনে অনিশ্চিত অন্ধকার

তবু জাল বোনা

একটা মাছের আশায়





৫।

বন্ধু হবে?

(কোনো একজন মানুষকে- - -)



তুমি আমার বন্ধু হবে?

বন্ধু হলে তোমার কাছে নত হবো

কাঠাল পাতায় বাসা বাঁধা দু:খ গুলো তোমায় কবো

তুমি আমার বন্ধু হবে

বন্ধু হলে তোমার কাছে নত হবো. . .



চলার পথে বলার পথে কতই না মেঘ মেঘলা বাদল

... সরল পথের বাঁক ঘুরিয়ে পখকে করে হজবরল

তাই না দেখে বন্ধু তুমি

পথ হারাবে?

আমি বন্ধু তোমার আছি এই তো তোমার কাছাকাছি

তুমি আমি এক হৃদয়ে খেলি কিন্তু কানামাছি



বন্ধু আমি মেঘ যে হলে জানি তুমি রৌদ্র হবে

ভালোয় মন্দে বন্ধু তুমি আমার রবে



তুমি আমার বন্ধু হবে?







৬।

ওটা কার ছবি



যেখানে তোমাকে দেখেছিলাম

সেখানে তুমি নেই

তোমার চুলের মিহি ভাঁজে এক অনন্য চিত্রাংক

ওটা কার ছবি?



ভাটায় গেলে নদী

কেউ কেউ কূলে আঁকে রেঁখা

জীবনের জল ছাপ;

জানে, তবু না জেনে বীজ বোনে অমিয় আশায়

জোয়ার করে না ক্ষমা, মুছে দেয়-

... পুনর্বার ঢেউয়ের তোড়ে

. . .সব মুছে যায়

আঁকিয়ের ভাঙ্গে ঘোর, বুঝে নেয় সব লেনা-দেনা

মিখ্যে কুহক এ সংসার



আমি এখন এক অনাথ সদনের সদয় গেরস্থ

কেটে যায় দিন রাত অনাথের সাহচর্যে

মাঝে মাঝে মাঝ রাতে ঘুম ভাঙ্গে পরনো দু:স্বপ্নে

বেবোলার মতো বলে উঠি-

তোমার পাশে ওটা কে?







৭।



সন্ধিক্ষণ



সবাই যুব্ধে যায় না-কেউ কেউ যুব্ধে যায়

তুমি কে সেই কেউ কেউ নও?

যোব্ধার হাত আঙ্গুল নোখ-

তোমারই হাত আঙ্গুল নোখের মত

যোব্ধার চোখ কান নাক মুখ

তোমাই চোখ কান নাক মুখের মত

যোব্ধার অস্থি মজ্জা, শরীর সর্বাংশ

তোমারই অস্থি মজ্জা, শরীর সর্বাংশের মত

তবে তুমি কেন ঘরে?



বার বার আসেনা অগ্নিবীণা

আসেনা যুব্ধের ডাক. . .



সন্ধিক্ষণে সাথে থাকতে হয় সময়ের

সন্ধিক্ষণে পাশে থাকতে হয দেশের



৮।



০০গাঁধা



তুমি বরং কবিতা লেখ

কেন পড়ো ?

তার চেয়ে ঘাস কাটো

গরুর নয়-ঘোড়ার কিংবা গাঁধার ঘাস

তাতেও যদি তৃষ্ণা থাকে-

তুমি বরং মুরগী পালো, হাঁস পালো

ভেড়া না হয় ছাগল পালো;

যা ইচ্ছে তা করতে তোমায় কে বলেছে?

শিমুল চেনো, মাহির কথা ঢোল পেটানো-চেনো তাকে?



বাজার দরে নাইতে নেমে

বাজার করা ঠিক হবে না

যাও তুমি যাও-

মুরগী পালো, হাঁস পালো, না পোষালে ছাগল পালো. . .



কবিতা পড়া!!!

তুমি বরং কবিতা লেখ





৯।

যদি ভালোবাসতে চাও



যদি ভালোবাসতে চাও-তবে খুন হয়ে যাও

যদি ভালোবাসতে চাও-তবে খুন করে নাও

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.