নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনী_দা _ফাজিল

জনী_দা _ফাজিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ‘চাঁদাবাজি’, সাংবাদিকদের ওপর হামল সাবাস সোনার ছেলেরা

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

Click This Link



বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২১ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে চিহ্নিত করেছে। এদের মধ্যে ছয় জনকে আটক করেছে পুলিশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।



জগন্নাথ হল ও এস এম হলের সাধারন শিক্ষার্থীরা জানায়, মধ্য রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ফুলার রোডে এস এম হলের ১০/১২জন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী রাস্তা দিয়ে যাওয়া রিকশা, রিকশাভ্যান, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন যাহবাহন থামিয়ে পহেলা বৈশাখের নামে চাঁদাবাজি করছিল।



বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এ খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা টিএসসি থেকে ভোর সাড়ে চারটার দিকে ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা একটি মোটরসাইকেল থামানোর চেষ্টা করছিল। সাংবাদিকরা তখন তাদের পরিচয় জানতে চান।





এ সময় তারা নিজেদের এস এম হল ছাত্রলীগের কর্মী বলে পরিচয় দেয়। সেখানে থাকা গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফকে প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক আহমেদ জায়িফ তাকে জিঞ্জাসা করেন "গণযোযোগের শিক্ষার্থী হয়ে তুমি ছিনতাই করছ কেন?"





এ সময় আসিফকে নিয়ে জায়িফসহ অন্য সাংবাদিকরা জগন্নাথ হলের দিকে হাঁটতে শুরু করেন। তখন এস এম হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে আসিফকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।



বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সাংবাদিকরা জানান, সাংবাদিকতা বিভাগের ছোট ভাই হিসেবে আসিফকে বোঝাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু ছাত্রলীগের কর্মীরা কোনো কথা না শুনে আহমেদ জায়িফ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক মলয় কুমার দত্ত, সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দুলাল সমদ্দার, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সুজন মন্ডল ও ডেইরি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক প্রতীক চক্রবর্তীকে এলোপাতাড়ি পেটায়।



এ সময় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক শরিফুল হাসান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তার উপরও হামলা চালায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এরপর এস এম হল থেকে লাঠি সোঁটা এনেও সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় তারা।



খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টার আমজাদ আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারন সম্পাদক ওমর শরীফ ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এর আগেই ছাত্রলীগের কর্মীরা এস এম হলের দিকে চলে যায়।



পরে প্রক্টর ও ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা এস এম হলের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারন সম্পাদক নিজামুল ইসলাম দিদারের মাধ্যমে হামলাকারী শামীম (ইংরেজি), ঐতিহ্য (ইতিহাস), আসিফ উদ্দিন আহমেদ (গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা), তানভির (ফিন্যান্স), মুরাদ (ফিন্যান্স) ও তাপসকে চিহ্নিত করে। এরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।



এই ছয় জন দাবি করেন, তারা ছিনতাই করছিলেন না, তবে গাড়ি থামিয়ে নববর্ষ উপলক্ষে কিছু ‘বকশিস’ তুলছিলেন। কিন্তু পরে অন্যরা এসে সাংবাদিকদের মারধর করে।





চাঁদাবাজি ও হামলার ঘটনায় আরও যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, শাহীন (অর্থনীতি), শাহাদত (আইন), সাইদ (সঙ্গীত বিভাগ), পলাশ (মাস্টার্স), নাহিদ (চতুর্থ বর্ষ), হাসান (ইসলামিক স্টাডিজ), রাসেল (মাস্টার্স), ওবায়দুল (মাস্টার্স, সমাজবিজ্ঞান), ওসমান (মাস্টার্স, সমাজবিজ্ঞান), জামান (মাস্টার্স), লিটন (দর্শন)। এছাড়াও রয়েছে আলমগীর, বান্না, পিকুল এবং রাসেল। এরা সবাই এস এম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।





এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী সাংবাদিকদের জানান, ছিনতায়ের প্রতিবাদ করার কারণেই সাংবাদিকরা হামলার শিকার হয়েছে বলে অভিযুক্তরা শিকার করেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, "ঘটনাটি দুখঃজনক। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আমরা চিহ্তি করেছি। তাদেরকে ছাত্রলীগ থেকে স্থাযীভাবে বহিস্কার করা হবে।"



এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

মোমের মানুষ বলেছেন: পহেলা বৈশাখেতে আনন্দ করতে হইব না, তাই একটু টাকা পয়সা কালেক্ট
এই আর কি.....।

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০২

ধীবর বলেছেন: ভালো হইছে। আমি খুব খুশি হইছি। প্র আলোর মত দালাল পত্রিকার সব কয়টারেই পিটানি দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.