নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জনী_দা _ফাজিল

জনী_দা _ফাজিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিপিডি পক্ষপাতদুষ্ট, তারা দুষ্টচক্র: মুহিত

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট মন্তব্য করে সংস্থাটির ‘সরকারবিরোধী’ ভুমিকার সমালোচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত



মন্ত্রী বলেন, “আমার খুব দুঃখ লেগেছে, আমাদের ‘সো কলড সিভিল সোসাইটি’ ধারাবাহিকভাবে আমাদের সরকারকে ‘অ্যাটাক’ করে গেছে। তারা ‘কনটিনিউয়াসলি’ আমাদের অ্যাটাক করেছে। তারা ইকনোমিস্ট- এর খবরকে সূত্র ধরে সরকারের সমালোচনা করেছে। কিন্তু কেউ কোনো গবেষণা করেনি। এটা আমার জন্য; আমার সরকারের জন্য খুবই দুঃখের।”



মঙ্গলবার বিকেলে বাজেট পেশ করার দুইদিন আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি সিপিডি’র কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।



অর্থমন্ত্রী হিসেবে ৬ জুন সংসদে জীবনের শেষ বাজেট দেবেন সিভিল সার্ভিস থেকে রাজনীতিতে আসা মুহিত। এ যাবত ছয়টি বাজেট দিয়েছেন তিনি। এর দুটি দেন জেনারেল এইচ এম এরশাদের আমলে অর্থমন্ত্রী থাকার সময়।



মুহিত বলেন, “সিপিডি আমাদের সরকারকে অপছন্দ করে তাই তারা উঠতে বসতে আমাদের সমালোচনা করেছে। সিপিডির একটা পরিচয় ছিল, নিরপেক্ষতা- তাদের সেই নিরপেক্ষতা চলে গেছে।



“সিপিডি একের পর এক বোগাস রিপোর্ট দিয়েছে। ২০১১ সালে তারা বলেছে, দেশ ডুবে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সরকার অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। তাদের সব রিপোর্টই মিথ্যা। কোনো তথ্যেরই ভিত্তি নেই।



“সরকারকে অপদস্ত করতেই তারা এ সব তথ্য দিয়ে গেছে।”



অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বর্তমান সরকারের সাড়ে চার বছরে সাফল্য- ব্যর্থতা দুটোই আছে। এসবের মূল্যায়নই আমি আমার শেষ বাজেটে তুলে ধরবো। আমার শেষ বাজেটের দর্শন হচ্ছে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি।



“গতকালও সিপিডি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে চলতি অর্থবছরে ৬ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে না। তাদের এ ‘প্রজেকশন’ মোটেও সঠিক নয়। আমি বলছি এবার ৬ দশমিক ৩ থেকে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে।



“গত বছর আমরা ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। এর আগের কোনো সরকারই ধারাবাহিকভাবে এই হারে প্রবৃদ্ধি দিয়ে যেতে পারেনি।



“তারপরও সিপিডি আমাদের সরকারের সমালোচনা করেই চলেছে। একটা নিরপেক্ষ সংস্থা এ ধরণের সমালোচনা করতেই পারে না। সে কারণেই আমি বার বার বলছি সিপিডি নিরপেক্ষতা হারিয়েছে।



“সিপিডি একটি দুষ্টচক্র। তাদের কাজই সরকারের সমালোচনা করা। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।





“তারা বলেছে, নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করা হলে অন্যান্য খাতে বরাদ্দ কমে যাবে। কিন্তু তারা এটা ভাবেনি যে, বাজেটের আকারও অনেক বাড়ছে। বাজেটের আকার বাড়লে পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দ রাখলে অন্য খাতে কোনো সমস্যা হবে না।



“এছাড়া ভারত সরকারের অনুদানের ২০ কোটি ডলার আমরা পদ্মা সেতুতে খরচ করবো। ইতিমধ্যে ভারত সরকার আমাদের সে অনুমতি দিয়েছে। এই ২০ কোটি ডলারের ১০ কোটি ডলার আমরা ইতিমধ্যেই পেয়েছি।”



অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহানের নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালে সিপিডি যাত্রা শুরু করে।



সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “মূলতঃ জাতীয় ও আঞ্চলিক পর‌্যায়ের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন খাতে গবেষণা করে। পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে সরকারের নীতি বিশ্লেষণ ও সমালোচনাও করে থাকে।



সংস্থাটির একটি বোর্ড অব ট্রাস্টি রয়েছে। অধ্যাপক রেহমান সোবহান এর চেয়ারম্যান।



বোর্ডে নোবেলজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক দুজন উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী রয়েছেন।



ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য।



বোর্ডে আরো আছেন বাংলা একাডেমীর সভাপতি আনিসুজ্জামান, নারী নেত্রী খুশি কবীর, সৈয়দ হুমায়ুন কবীর, নুরুল হক, সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান এবং লায়লা রহমান কবীর।



বোর্ড সদস্যদের প্রায় সবাই সুশীল সমাজ নামে পরিচিত বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.