![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা নিষিদ্ধ বিষয় নিয়ে কথন কিভাবে শুরু করব ঠিক বুঝে উঠতে পারছিনা।
বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পরিবারের মত আমাদের পরিবারেও সিগারেট নিষিদ্ধ। আমি যে বিড়িখোর এইটা যদি আমার বাবা-মা জানতে পারে তাহলে আমার মা আমাকে কিছুই বলবেনা। কারন এই কথা শোনা অথবা ঘটনা দর্শনের পরে আমার শ্রদ্ধেয় বাপজান পূত্রের প্রতি অতিরিক্ত রাগে ষ্ট্রোক করে বসবে, এহেন বীপদজনক পরিস্থিতিতে কে কাকে কি বলবে!
আমার দাদাজান ছিলেন অতিরিক্ত এবং বিশিষ্ট রকমের ভদ্রলোক, তিনি তার বাপজানকে পর্জন্ত হুক্কা ছাড়িয়ে ছেড়েছেন। এবং তার পুত্ররা, আমার বাপজান সহ চাচাজানরাও কোনদিন কোনরকম ধোয়াকে পানীয় রুপে গ্রহন করেনাই। আর সেইখানে আমিজান যদি বিড়িখোর রুপে সনাক্ত হই তবে তা আসলে বড়ই ভয়াভহ রুপ ধারন করবে। এইসকল নিষিদ্ধতা এবং কড়া আঈনের কারনে হোক অথবা অন্যকোন কারনে হোক সিগারেটের প্রতি আমার আগ্রহটা একটু বেশি। যদিও আমার আসক্তি আগ্রহ অপেক্ষা অনেক কম। আমি সাধারণত দিনে ২-৩ টা সিগারেট পান করি, দিন বিশেষ একটাও পড়ে যায়। মুল কারন হিসেবে বলা যায় যেহেতু আমার পরানে সিগারেট নিয়ে অতিরিক্ত ভয় বিরাজমান সেহেতু মাইনকা চিপা ছাড়া সিগারেট খাওয়া হয়না অথবা যায়না।
এই চিপা-চাপায় যাইতে যাইয়া এবং খাইতে যাইয়া অনেক রকমের অভিজ্ঞতা কামাইছি। যার কিছু ছিল, উত্তেজনাকর কিছু লজ্জাস্কর কিছু অন্যান্য।
খুব শৈশবের কিছুটা সময় আমার গ্রামে কেটেছে, তখন দেখতাম আমার বয়েসি পোলাপাইন কদুর (লাউ) ডগা অথবা পাটখড়িতে আগুন দিয়ে টানা-টানি করত। আমি নিজেও দুইদিন দুই টান দিয়েছিলাম। একবার খুব কেঁশেছিলাম আরেকবার একটু জোরে পাটখড়িতে টান দিয়ে জিভ পুড়িয়ে ফেলেছিলাম। তার মানে সেই নার্সারি থেকে শুরু।
শুরুটা নার্সারি থেকে হলেও মাঝে অনেকদিনের বীরতি ছিল। বানিজ্যিক ভাবে সিগারেট খাওয়া শুরু করলাম ইউনিতে উঠে ফোর্থ সেমিতে। (এখানে বানিজ্যিক ভাবে বলতে টাকা খরচ করে সিগারেট কিনে খাওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে।)
ভার্সিটি কোচিং এর সময়ে একটা বান্ধবী জুটিয়েছিলাম। ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ার পরে ও বলল খাওয়াবি না? আমি বললাম অবশ্যই, কি খাবি বল, পকেটে ১৮৫ টাকা আছে, এর মধ্যে যা খাবি খা। ও বলল এক প্যকেট ব্যানসন কিনে দে। অনেকেই তো অনেক কিছু খাওয়াইল তুই বিড়ি খাওয়া। আমি সত্যি সত্যিই তাকে এক প্যাকেট ব্যানসন বিড়ি কিনে দিয়েছিলাম। আমি বললাম এই জিনিষ খাবি কোথায়, ও বলল কালকে রূম্পা দাওয়াত দিছে, খাওয়ার পরে ওদের ছাদে যেয়ে খাবো। চরম লাগে।
বান্ধবিটার বিয়ে হয়ে গেছে, জানিনা তার জামাই তাকে খাওয়ার পরে খেতে দেয় কিনা।
প্রথম যখন সিগারেট ধরলাম তখন গোল্ডফ্লেক নামের, একটাকা দামের, হালকা পাতলা কামের সিগারেট খেতাম কারন অন্য কোন ব্র্যান্ড বেশি কড়া লাগত এমনকি ব্যানসনও। কিন্তু সমাজের অন্যন্য বিড়িখোরগণ ব্যপারটাকে ছোটলোকি মনে করত তাই বাধ্যহয়েই বেলাল এ্যান্ড হেলাল (B&H) বংশে যোগদান করলাম।
সিগারেটের এই গোত্র সম্পর্কে বন্ধু শাওন বলেছিল, আমার ঘর থেকে যদি জানে যে আমি সিগারেট খাই তাহলে তেমন কিছু বলবেনা কিন্তু যদি জানে যে আমি ব্যানসন খাই তাইলে…………
যাউকগা আমরা চিপায় ফিরা আসি। একদিন এক চিপায় টানতাছি, আমার বাপের এক দোস্ত ধাপ কইরা সেই চিপায় পড়ল ঢুইকা। আমার তখন মুখের ভেতর রাজ্যের ধোয়া।আমি হাতের জ্বলন্ত জিনিষটা হাতের ভেতরেই দারুন কৌশলে নিভিয়ে ফেললাম, কৌশলের গুতায় অবশ্য হাতে ঠোসকা পড়ে গিয়েছিল। এরপর কুশল বিনিময় সালাম-কালামের পর্ব।আমি কথা বলি আরা আমার মুখ দিয়ে ধোয়া বের হয় আস্তে আস্তে করে। শেষে উলটো দিকে মুখ নিয়ে কয়েকবার কাশিঁর অভিনয় করে ধোয়া মুক্ত হলাম। সে তো অবশ্যই বুঝেছিল কিন্তু বুদ্ধিজ্ঞান পূর্ন পন্ডিত বলিয়া আমার বাপজানরে কিছুই জানায়নাই। আহারে কত্ত ভালো!
মাঝে কিছু দিন জন্ডিসের মত হইল, তখন ভাতই খাইতে পারিনা, বিড়ি-বুড়ি তো তফাত। বেশকিছুদিন ছিল রোগটা। সুস্থ হওয়ার পরেও কিছুদিন বিড়ি খাইতে ইচ্ছা হইতনা। আমিতো মহা খুসি। কেউ যদি ফোন দিয়া জিজ্ঞেস করতো কেমন আছস? আমি উত্তরে বলতাম, ওই! কাহীনিতো ঘইটা গেছে আমি তো বিড়ি ছাইড়া দিছি। যদিও কিছু দিন পরে যেই ডিম্ব সেই লেম্বু।
বন্ধু মামুন একবার বিড়ি কে সম্পুর্ন রুপে পরিত্যাজ্য ঘোষনা করল। সপ্তাখানেক পরে আমার হাত থেকে অর্ধ পোড়া সিগারেটটা নিয়ে গর্বের সাথে বলল বিড়ি ছাড়া না ছাড়া একই কথা, খালি খালি না খাইয়া লাভটা কি!
আমাদের ভেতরে বন্ধু তুষার হচ্ছে কড়াকড়ি রকমের খোর। ক্যাম্পাসে নির্গত বিড়ির অর্ধেক ধোয়াই সে একা উতপাদন করে। তার সাথে ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে পড়া এক কচি মেয়ের চুড়ান্ত রকমের কড়া সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি সারাদিন ঘ্যান ঘ্যান করত, হয় বিড়ি ছাড়ো নয় আমাকে ছাড়ো। বন্ধুটি একদিন বলেই ফেলল যাও তোমারে ছাইড়া দিলাম। ছাড়া পেয়ে মেয়েটি আধা বোতল স্যাভলন খেয়ে ফেলল(মঝারি সাইজের বোতল)। তথ্য সূত্রে জানা গিয়েছিল ঘরে ওই আধা বোতলই ছিল। ভাগ্যিস…………
সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরনঃ (Loading…….)
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: হা হা হা, ওকেজ মামা! দোয়া রাইখেন, যাতে বাপের কাছে ধরা না খাইয়া টাইনা যাইতে পারি।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
ইলুমিনেটি বলেছেন: ভালো লিখেছেন বাহে!... লিখতে থাকুন...
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকেও বাহে!
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: সিগারেট নিয়ে ফাইজলামি পোষ্ট এখনই মুছে দেয়া হোক, এই ব্লগারের সুলেমানি ভ্যান চাই
ঐ পিচ্চি পুলা, তুমি বিড়ির কি বুঝ অ্যা? তুমার আব্বুরে কইয়া দিমু
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১৩
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: তা বড়দা কি ফাইজলামি করলেন নাকি সিরিকাসলি কইলেন
সিরিকাস্লি কইলে ঠিক আছে আমি আবার ফাইজলামি একদমই না পছন্দ করি।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬
নাযীর আহমদ বলেছেন: বিয়াফোক বিনোদন পাইলাম (বেলাল এন্ড হেলাল ) সিগারেট নিয়া আমার ও এইরাম এক্কান মজার করুন কাহিনি আছে মাগার বেটারে এখনো ছাড়িতে পারি নাই, তবে মাশাল্লাহ এখন অনেকটা কন্ট্রলে আছি- সারা দিনে ২টা বেলাল এন্ড হেলাল। আগে যেখানে ১০-১৫ টা কন্টিনিউ ছিলো ? তো মজার কাহিনি হলো- সঙ্কেপে বলি মজার ২-১টা- সিগারেটের ধূয়া মার বকুনির ঢরে খেয়ে ফেলা, ধোয়া দিয়ে রিং বানানো, কত্ত আবুলরে বলতাম দেখ আমার চোখ দিয়ে ধোয়া বের হয় ? বেচারা চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতো ? আর কাম চলতো নিচের দিকে !
ইচ্ছে করে করতাম না, (নিজদের মাঝে আবুল যে থাকতো ) লাইটার নাই কত্ত কষ্টে আগুন কালেকশন করা ? আরো কত কি ?
করুন কাহিনি- বন্ধু আরেফিনের চলে যাওয়া ! যার জন্য কুত্তা সিগারেট তুই দায়ী, তরে আমি লাত্তি মারি ? তার পর ও ছাড়তে পারি না ?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৮
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: ১০-১৫ টা থেকে ক্রমহ্রাসমান পদ্ধতিতে ২-৩ টায় আসার জন্য আপনাকে শুভবাদ।
ধোয়া দিয়ে রিং বানাইতে পারিনা
এবং বন্ধু আরেফিনের চলে যাওয়ার জন্য দুঃখ প্রকাশ।
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
সজু বলেছেন: এখনো পারি নাই ছাড়তে, চাই ও না ছাড়তে
কি লাভ, কেও কি পারবে তার অভাব পূরণ করতে ????
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১০
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: খাটি কথা বলেছেন, পুরাপুরিই সহমত।
৬| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:০৭
শিবলী বলেছেন: মজা পেলাম।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১১
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: আপনার মজায় আমিও মজিত হইলাম।
৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭
আরিফইসলাম বলেছেন: আমার ও শুরুটা নার্সারি থেকে। বহু কাহিনি আছে, তবে লেখার মত সময় নাই। মাঝে -ছাড়ি,মাঝে-ধরি। বেলাল এ্যান্ড হেলাল (B&H) নিয়ে আছি। তবে আপনার লেখা পড়ে মজা পেলাম।
৮| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:১৩
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: আসলে ভাই, এই বিষয়ক কাহিনি আলিফ লায়লার কাহিনির চাইতেও দীর্ঘ, আসলেই লিখে শেষ করা যাবেনা।
কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা ভাই ! কি মনে করাইয়া দিলেন!!...
ঝড়ের দিন.. বাইরে অন্ধকার হয়ে কাল বৈশাখী বইছে...
সামনে চেয়ারে তিনি... বাতাসের ঝাপটায় কাত হয়ে পড়ে গাছের শাখা..
তিনার চোখের ঝাপটায় কাত হয় আমার মন
হঠাৎ মনে চাপল নেশা..
মূখে দিয়ে লাইটার ধরতেই ঝট করে টেনে নেয়ায় হতভম্ব!!
আব্দার। এইটা ছাড়তে হবে।
কি আর করা সুযোগে আমিও আব্দার জুড়ে দিলাম.. লোহায় লোহা কাটে.. নেশায় নেশা কাটে এইটা ছাড়লে কোনটা পামু
এর পরে বাচ্চারা দূর রহো ১৮ +
সোজা উটৈ এসে মূখটা ঝপটে ধরল.. কুছুক্ষন আমি আর আমাতে ছিলুম না
:#>
--
এরপরে বেশ কয়েক মাস.. তারপর লুকিয়ে লুকিয়ে.. তারপর নিজেই আবার একদিন ধরায়া দিল (ভাগ্যবানের ইমো) ..
কিন্তু এতসূখ ভাগ্যে সইলো না---
একদিন কান্দায়া শ্বশুর বাড়ী চইলা গেলগা
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১৯
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: ভাই, আপনার বড় গল্পের ছোটরুপ তো অনেক ভালো লাগলো, তয় শেষকালে কান্দায় গেলো এইডা কেমন হইল
যে কান্দাইছে তারে একটা কাচা সিগারেত চাবায় খাওয়ার নেমন্তন্ন।
১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩১
রান০০৭ বলেছেন: বেশি দিন বেঁচে খুব বেশি কি লাভ আছে?
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২৭
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: হুম, শুধু বেচে থেকে লাভ নাই, পরিপূর্নতার সাথে বেচে থেকে লাভ আছে। কিন্তু সেই লাভ কেউই করতে পারেনা।
১১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৩৭
ghooom বলেছেন: কস কি মমিন থুক্কু বিদ্রোহী ভৃগু
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২৮
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: শুইনা ফেলাইছি কইলাম, সবাইরে কইয়া দিমু।
১২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:৫১
নীরব 009 বলেছেন: সংবিধিবদ্ধ সতর্কিকরনঃ (Loading…….)
চ্রম হইসে
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:২৯
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন:
১৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৪
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: ভাইয়া মজা করছি কিন্তু,
হ্যাপি ব্লগিং
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩২
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: বলতে হবেনা, আমি জানি ভাইয়া। ব্লগে অল্প কিছুদিন হইছে আসছি কিন্তু এর মধ্যে কয়েকজন সম্পর্কে হালকা পাতলা ধারনা হইছে। আপনার অন্যান্য মন্তব্য এবং পোষ্ট পড়ে আপনাকে পজিটিভই মনে হইছে।
আপনাকেও শুভবাদ।
১৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:৫০
অরিত্রো বলেছেন: সিগারেট নিয়ে ফাইজলামি পোষ্ট এখনই মুছে দেয়া হোক
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩০
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: রাইত দুপুর কালে এইডা কি কইলেন (মাথায় থাডা পড়ার ইমো)
১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪২
সহ্চর বলেছেন: "ভিতরে কিচ্ছু নাই খালি আওঁআজ"- নারে ভাই আপনার ভিতরে অনেক কিছু আছে(অন্তত লেখা লেখি সংক্রান্ত)
অনেক মজা করে লিখসেন। চালিয়ে যান।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৩
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: বিকট ভাবে অনুপ্রেরনার জন্য ধইন্যা, চালায় যাওয়ার চেষ্টায় আছি, ধাক্কা দেওয়াটা আপনাদের কাজ।
১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৯
হিম১২৩ বলেছেন: জটিল হইছে।+++
২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৪
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: আপনারেও ১২৩ টা +
১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৫৬
মহান পংকজ বলেছেন: সামুতে আইজ পেত্থম কোনো ব্যাপক পুষ্ট পাইলাম গো। কডিন হইছে
আসলে বিড়ি নিয়া কতা উডছে কত কথা মনে পইরা যায়, কি রাইখা কি কমু।
সুখে খাই, দুখে খাই, আনন্দে খাই, কষ্টে খাই,হাসতে হাসতে খাই, কাঁদতে কাঁদতে খাই,কষ্ট ভুলতে খাই, ভুলে যাওয়া কষ্ট মনে করতে খাই, নেশা লাগানোর জন্য খাই, নেশা কাটার জন্য খাই, খাওয়ার আগে খাই, খেয়ে খাই, লুকিয়ে খাই, দেখিয়ে খাই, কাউকে কষ্ট দিতে খাই , অন্যের কষ্ট শুনতে খাই, দিনে খাই , রাতে খাই, মাঝে মাঝে স্বপ্নেও খাই, খেতে খেতে কাশি আবার কাশতে কাশতে খাই, জানি একদিন মরে যাব তাই মরার জন্য ও বেশি বেশি খাই।
একদিনের একটা মজার কথা বলি, এক বন্ধু বুদ্ধি দিল সিগারেটের শুকার সাথে যদি হাকিমপুরী জর্দা মিশিয়ে খাওয়া যায় তাইলে জটিলস লাগে পুরাই ম্যানথল। আর স্বাদে মোর সিগ্রেট ফেল। বলতে দেরী আর কাজ করতে দেরী নাই। রেডি করে বসলাম, তখন খুব বেশী খাইনা, একটান দিয়ে দেখলাম জটিল মানে জটিল, কিন্তু এর পরের টান থেকে আর ভাল লাগেনা। মুখটা বিস্বাদ হয়ে গেছিল, রাইতে ভাত ও খাইতে পারিনাই। কিন্তু ম্যানথল হয়ে গেছিল। তবে এক্সপেরিমেন্ট ভালো, এখনও নিউমার্কেট এ গেলে একটা না একটা নতুন সিগ্রেট খাই ই। তবে ৫৫৫ এর মত স্বাদ আর অন্য কোনটাই পাইনা, এখন বেলাল আর হেলাল দিয়েই চলছে। মাঝে মাঝে লালটাও খাই, পুলাপাইন বেশী থাকলে পুষায়না।
১৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:১৮
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: ভাই, আপনের লেখা পইড়া হাসতে হাসতে আমরা দুই দোস্ত মাথায় ঠোকাঠুকি।
জানি একদিন মরে যাব তাই মরার জন্য ও বেশি বেশি খাই।
মাঝে মাঝে লালটাও খাই, পুলাপাইন বেশী থাকলে পুষায়না।
চরম কইছেন,
হ্যাপি স্মোকিং
১৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: Click This Link
২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৫০
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: ক্লিকাইছি
লেখাটা অনেক দুঃখের এবং মনকে ভাবিয়ে তোলার মত। এরকম লেখা আরো আশা করছি।
২০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: সিগারেট নিয়া পোষ্ট!!!! আমি না আইসা পারলাম্না। পোষ্ট টা এভোয়েড করার চেষ্টা করলাম, পারলাম না, সে এক দারুন আসক্তির ইতিহাস।
নীরব ভাইয়ের চমৎকৃত গল্প শুনে প্রান জুরিয়ে গেল।
যাই ভাই একটা সিগারেট ধরাই।
২১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
রোবট ভিশন বলেছেন: হ্যা আইসা পড়লাম...
সবাই সিগারেট ধরে কলেজ বা ইউনিভার্সিটি লাইফে...
এই হতভাগা আমি বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটি লাইফ শেষ করে বৈদেশে এসে একা একা থাকার স্ট্রেস মনে হয় আমি নিতে পারলাম না... তাই টাইম পাসের সর্বাপেক্ষা ভাল বন্ধু হিসেবে সিগারেট কে বেছে নিলাম। আজ গত ৪ বছর ধরে প্রতি ২৪ ঘন্টায় এক প্যাকেট শেষ করি...
আমার বাসাই মা-বাবা কেউ জানে না, আমি এখন একজন বড় মাপের ধূমপায়ী। তাই যখন দেশে ফিরবো অবশ্যই এই অভ্যাসটা ছেড়ে দেব। আমাকে ছাড়তেই হবে...
২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:৩২
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: প্রথমেই, উপদেশমুলক মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থি।
বড় মাপের ধুমপায়ি থেকে বড় মাপের আধুমপায়ি হওয়ার আকাঙ্খাকে সাধুবাদ জানাই।
তবে, ধুমপান ছাড়ার জন্য আমি ছোট হাতে কিছু বেশি ছোট টিপস দিতে পারি।
আপনার ভাস্যমতে আপনি ২৪ ঘন্টায় ২০ টা সিগারেট শেষ করেন। এইটা কমানোর জন্য আপনাকে দিনের কোন নিদৃষ্ট পাঁচটা সময় নির্বাচন করতে হবে এবং ঐ পাঁচবারের প্রতিবার আপনাকে ৩ টা করে সিগারেট একবারে শেষ করতে হবে। আস্তে আস্তে সিগারেট এর সংখ্যা ৩ টা থেকে ২ টায় নিয়ে আসতে হবে। এরপর কমাতে হবে ধুমপানের সময় দিনে চার বার ২ টা করে। ক্রমান্বয়ে ৩,২,১ বারে চলে আসতে হবে।
এই পদ্ধতিতে যেই সুবিধাটা পাবেন তা হচ্ছে, সিগারেটের প্রতি আপনার নেশা সময় অনূযায়ী নীয়ন্ত্রিত হবে। একসময় এমন আসবে যে দিনের ঐ নিদৃষ্ট সময়গুলো ছাড়া আপনার সিগারেটের কথা মনে হচ্ছেনা, অথবা খেতে ইচ্ছা করছেনা।
এই পদ্ধতিতে ধুমপান কমিয়ে আনা বা এ থেকে সম্পুর্ন মুক্ত থাকা তুলনামুলক ভাবে সহজ।
তবে, দেশে আসার অন্ততপক্ষে ৪-৫ মাস আগে থেকে আপনাকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে, না'হলে হঠাত এসেই আপনি কোনভাবেই ধুমপান ছাড়তে পারবেননা।
২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:২৯
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: @জোৎস্নার ফুল, আমি দু:খিত আপনাকে ভুল অপ্রাসঙ্গিক লিংক দিয়েছি। যেটা দেবার ইচ্ছে ছিল সেটা ফানি। দীর্ঘ জীবনের রহস্য
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:০৪
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: দীর্ঘ জীবনের রহস্য আসলেই রখস্যজনক।
২৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:২৪
আমি শুভ্র বলেছেন: সিগারেটের উপকারিতা নিয়ে আমার একটা পোস্ট আছে
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৫৯
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: সিগারেটের উপকারিতা নিয়ে আপনার পোস্টটা আগেই পড়েছি। অধুমপায়িদের ধুমপানের জন্য উতসাহিত করে আপনার এই পোষ্ট দেশ ও জাতির বিশেষ কল্যান বয়ে আনবে বলে আশা করছি।
২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১৫
সাকীব বলেছেন: খুবি মজা পেলাম লেখাটা পড়ে।
আমারো একই কাহিনী। বয়সতো কম হইলোনা, এখোনো চিপা ছাড়া বিড়ি খাইতে পারিনা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: এইসব জিনিষ চিপায় খাওনি ভালা, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে দিনে দিনে চিপাগুলানও কুইম্যা যাইতাছে।
২৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:১৪
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: এখন আর খাই না বললেও চলে ! দিনে ৮ টা ১০ টা ! তাও লাইট !
একসময় গোল্ড লীফ প্যাকেট পার ডে ছিলো !
আহা , কি সেই সব দিন !
৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:২৭
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: দিনে ৮ টা ১০ টা ! তাও লাইট
২৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩০
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ধুমপান একটি অভ্যাস নয় একটি দর্শন।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৬
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: সহমত।
প্রজন্ম সাহেবের উক্তিটিকে এই প্রজন্মের সর্বশ্রেষ্ঠ উক্তিতে আখ্যায়িত করা যায়।
২৭| ০৫ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০১
সাগর চক্রবতী বলেছেন: হালকা পাতলা কামের সিগারেট খেতাম কারন অন্য কোন ব্র্যান্ড বেশি কড়া লাগত এমনকি ব্যানসনও। কিন্তু সমাজের অন্যন্য বিড়িখোরগণ ব্যপারটাকে ছোটলোকি মনে করত তাই বাধ্যহয়েই বেলাল এ্যান্ড হেলাল (B&H) বংশে যোগদান করলাম।
ভাই আপনার মতো আমার অবস্থা।একবারে একটা বেনসন খেতে না পারার কারনে মহান পংকজ ও অনান্যদের কাছে হাসির খোরাক হয়েছি।
০৫ ই মে, ২০১১ রাত ২:০৯
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: মহান পঙ্কজ কাজটা ঠিক করেনাই। এখন একটা ব্যান্সন ৭ টাকা। হাতে হ্যারিকেন এবং বিভিন্ন যায়গায় বাশ খাওয়ার মতন অবস্থা।
২৮| ০৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪
ডাংগুলি বলেছেন: ভাই আপনার স্যাটয়ার তো মারাত্নক।
০৬ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২৩
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: জ্বি ভাই, খালি আপনেই বুঝলেন
২৯| ১৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:০৬
লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ছুডু মানুষ এগুলান খাই না
২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩১
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: জেনে খুসি হলুম, আশা করি বড় হয়েও ধুমপান বর্জিত থাকবেন।
৩০| ১৭ ই জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:২০
ইমাম হাসান রনি বলেছেন: লিন্কিন পার্ক বলেছেন:
ছুডু মানুষ এগুলান খাই না
২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৩২
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: ছুডু হন আর বুড়া হন না খাওন ই বালা।
৩১| ২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
রাশেদ হাসান নোবেল বলেছেন: ami eishob khay na
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:২৬
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: শুনে খুসি হলাম, নোবেল ভাই।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
৩২| ২২ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:০২
shfikul বলেছেন: সিগারেট কি আসলেই ক্ষতিকর ?
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:২৭
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: প্রশ্নটার মর্মার্থ বুঝলাম না।
৩৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:০৮
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: হাহাহাহাহা.....
এমন সুখপাঠ্য লেখা অনেক দিন পর পড়লাম।
চমতকার লেখার হাত আপনার ভাই।
২৩ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:২৮
জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: সবই আপনাদের অনুপ্রেরনা
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩
চা সিগারেট বলেছেন: খেক খেক। আইসা গেলাম । আর থাকতে পারলাম না। সিগারেট নিয়ে পোস্ট আর আমি থাকব না? টেনে যা মামা টেনে যা। ছাড়িস নে। ফুসফুস জ্বলে পুড়ে হয়ে যাক ডালপুরি, তবুও না।