![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুটি চোঁখের আলোই হারিয়েছেন রুমানা মঞ্জুর। গত ৫ জুন নিজ পিত্রালয়ে স্বামী হাসান সাঈদের পৌশাচিক নির্যাতনের শিকার রুমানা মঞ্জুর গতকাল ভারতের দুটি স্বনামধন্য চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন। চিকিৎসকরা দীর্ঘ পরীক্ষা শেষে তার চোঁখের আলো ফিরিয়ে দেবার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। (তার চোঁখের আলো যেন ফিরে আসে সে প্রার্থনা আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে) ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নেমেই কান্নায় জড়িত কণ্ঠে রুমানা বললেন, ”আমার সঙ্গে আমার মেয়ের জীবনটাও নষ্ট হয়ে গেল”
সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টিকারী স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত ভার্সিটি শিক্ষিকা রুমানা মনজুরের চিকিৎসা বিষয়ে মিডিয়ায় প্রচুর লেখালেখি ও খবর প্রকাশিত হলেও, তার মেয়েশিশুটির চিকিৎসা বিষয়ে কারও নজর পড়েনি, যা শিশুটির ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি। শিশুটি পিতা কর্তৃক তার মায়ের ওপর সংঘটিত লোমহর্ষক ভয়ংকর রক্তাক্ত নির্যাতন প্রত্যক্ষ করেছে। বীভৎস আক্রমণে মায়ের আর্তচিৎকার ও আর্তনাদ প্রত্যক্ষ করেছে। এ দৃশ্য শিশুটির মনোস্তরে সৃষ্ট আতংকের প্রতিক্রিয়া ঘটতে থাকবে, যা ভবিষ্যতে মনোদৈহিকভাবে তার বিরাট ক্ষতি হবে। পাঁচ বছরের নিস্পাপ এই শিশুটির জীবনটাকে নষ্ট করার জন্য দায়ী কে? কে তাকে বঞ্চিত করলো তার মাতা পিতার স্নেহ লাভের অধিকার থেকে? তার জন্য তার মাতার যেমন স্নেহ ভালোবাসা আছে তেমনি তার পিতারও রয়েছে নির্ভেজাল ও অকৃত্তিম ভালোবাসা। সন্তানের প্রতি মায়ের যেমন উৎকণ্ঠা রয়েছে তেমনি রয়েছে তার পিতারও। শুধু মাত্র নিজেদের ভুল বোঝাবুঝি ও ইগো সমস্যার করণে আজ এই নিস্পাপ মেয়েটিকে তার অনাগত ভবিষৎ জীবনে বয়ে বেড়াতে হবে অনেক না পাওয়া বেদনা টাকার বিনিময়ে যার যোগান দেওয়া সম্ভব হবে না। রুমানা তার দৃষ্টি শক্তি হারিয়েছেন তাই আর হয়তো দেখতে পারবেননা প্রিয় সন্তানের ফুলের মতো নিস্পাপ মুখ। রুমানাকে আহত করার জন্য তার স্বামীরও হয়তো কঠিন সাজা হবে যার দরুণ সেও হয়তো বঞ্চিত হবে তার প্রিয় সন্তানের সান্বিধ্য। আর তাদের দু’জনের অভাব বোধ করবে এই নিস্পাপ মেয়েটি। মেয়েটির কী দোষ ছিলো? পিতা মাতার স্নেহ ভালোবাসা পাওয়া তার মৌলিক অধিকার। তার পরেও সে তা থেকে বঞ্চিত হবে। তার অধিকার হরণ করার জন্য কে দায়ী হবেন? কি করে আনুশাহ তার ক্ষতিপূরণ আদায় করবে?
নিস্পাপ এই শিশুটির অধিকার হরণের জন্য তার পিতাকে যদি দায়ী করা হয় তা হলে একই অপরাধে তার মা’ ও দায়ী। সংসার জীবনটা বড় জটিল ও ভঙ্গুর। একে সযতনে লালন করতে হয়। সামাজিক ও ধর্মীয় অনুশাসন যেমন সংসার জীবনে অত্যাবশ্যক তেমনি একজনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রদর্শন করাও জরুরী। রুমানা ও সাঈদের সংশার জীবনে শিক্ষা ও অর্থের প্রাচুর্য থাকলেও অভাব ছিলো শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসার। অভাব ছিলো বিশ্বাসের। সন্ধেহ তাদের দাম্পত্য জীবনকে দূর্বীসহ করে তুলেছিলো। তাদের ভালোবাসায় চিড় ধরাতে একে অপরকে কটাক্ষ করা, হেয় প্রতিপন্নকরা মূল ভুমিকা পালন করছে। যাতে করে একজন অপরজনের প্রতি শ্রদ্বা ও ভালোবাসা ঘুণায় রূপ নেয়। যার ফলশ্র“তিতে আজকের এই পরিণতি।
আমরা দিন দিন যতই তথাকথিত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি, যতই প্রগতিশীল বলে নিজেদেরকে দাবী করছি ঠিক তেমনি ভাবেই অন্যের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করছি বিসর্জন দিচ্ছি আমাদের নৈতিকতা, ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক অনুসাশন। নারীকে আমরা সমান অধিকার দিতে গিয়ে তাদেরকে অসম্মান করছি, সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার নামে আত্মীয় বহিভূত মানুষের সাথে সম্পর্ক গঠন আমাদের শ্রদ্ধেয় কন্যা জায়া জননীকে উশৃঙ্খল করে তুলছে যা প্রকটভাবে দৃশ্যমান। সামাজিক এই অধঃপতনের জন্য অযাচিত মেলামেশা, মোবইল ফোনের অত্যাধিক অপব্যবহার, ফেসবুক, টুইটারসহ নানান সাইটের অবাধ ব্যবহার এর জন্য দায়ী তা অনস্বীকার্য।
আজ আনুশাকে তার সুন্দর অনাগত জীবনের অন্তরায়ের একমাত্র কারণ তার পিতা-মাতার অবিবেচক কর্মকান্ড, নৈতিকতা ও শ্রদ্ধাবোধের অভাব। সুতরাং আনুশা’র সুন্দর ভবিষ্যৎ নন্ডভন্ড করার জন্য তার জীবনের প্রাতে এই সুনামির আঘাত হানার জন্য তাদের উভয়ের শাস্তি দাবী করছি। সাথে সাথে সহমর্মিতা থাকলো ছোট্ট এই শিশুটির জন্য। সে যেন তার ছোট্ট জীবনের শুরুতে হোচট খাওয়াকে সামলে উঠতে পারে। গড়ে তুলতে সক্ষম হয় এমন একটি জীবন যেখানে থাকবেনা এমন নিষ্ঠুর হানাহানি ও ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাবোধের অবক্ষয়। তোমার এই যুদ্ধে আমরা তোমার সহযোদ্ধা। শুভ কামনা রইলো আনুশা তোমার জন্য।
২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৩
জারনো বলেছেন:
একলা বগ সুন্দর বলেছেন। আমরা আমাদের দ্বায়ভার অপরের কাধে চাপিয়ে নিজেকে সকল অন্যায়ের উর্ধে স্থান দিতে পুলকিত হই। কিন্তু
বাস্তবতা ভিন্ন। আমাদের মাঝে নৈতিকতা, সামাজিকতা ও ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোদ নাই বলেই এই অধঃপতন। সকলে আমরা সামাজিকতা, নৈতিকতা ও ধর্মীয় অনুশাসনের আওতায় নিয়ে আসি তা হলে আমাদের কৃতকর্মের জন্য অন্যকে ভুগতে হবে না।
ধন্যবাদ আবারও
২| ২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
শেলী বেলী বলেছেন: ভাই, আপনাকে ভাল মানুষ বলে আমার মনে হচ্ছে না । শুধু হাসান সাঈদের কাছ থেকে না, আপনার মত মানুষের কাছ থেকেও আমাদের দূরে থাকা উচিত ।
২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৯
জারনো বলেছেন:
শেলী আপু মানুষ কে কেমন তার মূল্যায়ণ তার কাজে, কথায় ও ব্যবহারে। মানুষের মনের অগোচরে কোন পাপ নাই। আপনি আপনার ভিতরের মানুষটাকে প্রশ্ন করুণ দেখবেন জবাব পেয়ে যাবেন আপনি কেমন। আমরা সবাই যদি নিজেকে চিনতে পারি তা হলে সমাজ থেকে সকল অন্যায়, দুর্নীতি দূরীভূত হবে। কে ভালো কে মন্দ তার বিচারের ভারটা না হয় তারই উপর ছেড়ে দেন যে মানুষকে সৃজন করেছেন।
সক্রেটিসকে যখন বিষ পাণে বাধ্য করে হত্যা করা হয়, তখন তিনি যে বিখ্যাত উক্তিটি করেছিলেন তার উদ্ধৃতি দিচ্ছি ":
"I to die, you to live but
which is better only God knows”
৩| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০০
সাম্যবাদী বলেছেন: একলা বগের সাথে একমত।
২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০৯
জারনো বলেছেন:
একমত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ। আমার বিশ্বাস ছিলো সকলেই একমত হবেন এই ছোট্ট মেয়েটির পক্ষে সহানুভূতি প্রকাশ করবেন। কিন্তু শেলী বেলী ম্যাডাম আমর থেকে দূরে থাকতে চাইছেন যা পক্ষান্তরে আনুশা'র বিপক্ষেই যাওয়া। যাহোক সকলকেতো আর সব কাজে পাওয়া যায় না। তাই বলে কোন কাজ বন্ধ হয়ে যায়না।
৪| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:০৬
একলা বগ বলেছেন: শেলী ম্যাডামের আপনাকে ভাল মনে না হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি আছে, আপনি উনাদের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায় বাগড়া দিছেন। হার্ডকোর ক্যরিয়ারিস্ট মহিলাদের এই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার মূল উদ্দেশ্য স্বামী সন্তানের দায়িত্বের বোঝা থেকে মুক্ত হয়ে কর্পোরেট সমাজের উপর তলায় প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ানোর স্বাধীনতা, আপনি সেই স্বাধীনতার উপরে পারিবারিক মূল্যবোধের বোঝা চাপাতে চেয়েছেন। আপনারে ভাল লোক মনে করার কোন কারন নাই।আপনি অতি অবশ্যই একটা খ্রাপ লোক।
২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪১
জারনো বলেছেন: একলা বগ বলেছেন: শেলী ম্যাডামের আপনাকে ভাল মনে না হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি আছে, মূল উদ্দেশ্য স্বামী সন্তানের দায়িত্বের বোঝা থেকে মুক্ত হয়ে কর্পোরেট সমাজের উপর তলায় প্রজাপতির মত উড়ে বেড়ানোর স্বাধীনতা, আপনি সেই স্বাধীনতার উপরে পারিবারিক মূল্যবোধের বোঝা চাপাতে চেয়েছেন। আপনারে ভাল লোক মনে করার কোন কারন নাই।আপনি অতি অবশ্যই একটা খ্রাপ লোক।
আমিতো এত কিছু চিন্তা করি নাই। তা হলে তো অনেক ভুল হয়ে গেছে!! তবে আমার বিশ্বাস ছিলো দাম্পত্য জীবনের এমন একটা সময় আসে যখন সবার উর্ধে থাকে সন্তান। অনেক ঘাত প্রতিঘাত ও পাওয়া না পাওয়ার বেদনা ভুলে যায় এই সন্তানের মুখ চেয়ে এবং তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায়। সন্তানের মঙ্গলের জন্য নিজেদের চাওয়া পাওয়াকে বিসর্জন দেয়। কিন্তু যে সকল অবিবেচক দম্পতি তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ না ভেবে নিজেদের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেয় তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার সমায়ে দাবী।
৫| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৬
একলা বগ বলেছেন: কিন্তু যে সকল অবিবেচক দম্পতি তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ না ভেবে নিজেদের চাওয়া পাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে সন্তানের ভবিষ্যৎ অন্ধকার করে দেয় তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার সমায়ে দাবী। ------------ হক কথা।
৬| ২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৩
জারনো বলেছেন:
ধন্যবাদ বগ ভাইয়া।
৭| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৫
শারমিন সোনালী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩
জারনো বলেছেন:
ধন্যবাদ কিসের জন্য বুঝতে অপারগ হলেও ধন্যবাদ জানানোর জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
৮| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০৯
আতরআলী বলেছেন: অবশ্যই এ ক্ষতিপূরণ রুমানাকে দিতে হবে। বেটির চোখ দুইটাতো গেলো এবার কিডনি বিক্রি করে হলেও আনুশা'র জন্য টাকা জোগাড় করতে হবে। সাঈদকে মুক্তি দিয়ে পাঠারে আরেকটা বিয়া করানো হোক, যে আনুশাকে লালনপালন করবে। রুমানার কিডনি বাল্ব এসব নিয়ে তারপর ফাঁসি দেয়া হোক। যাতে করে আর কোন মাইয়া কখনো বলদ না পোষে।
২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬
জারনো বলেছেন:
সন্তানের ক্ষতির দায়ভার শুধু তার পিতা মতাই নয় তাদের আত্মীয় স্বজনের উপরও বর্তায়। যাদের কারণে সন্তানদের এই অপূরণীয় ক্ষতি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা দেওয়া গেলেই ভবিষ্যতে এ ধরণের হিংসাত্মক ঘটনা সমাজ থেকে উৎপাটিত হবে। আনুশার মাতা পিতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত করার দায় ভার শুধু সাঈদের নয় তার পারিপার্শ্বিক অবস্থাও দায়ী।
আমাদের দেশে একটা অদ্ভূত নিয়ম আছে, বাস্তায় চলবার সময় আগের গাড়ীর ভুলে কোন দূঃর্ঘটনা ঘটলেও দায়ভার বহন করতে হয় পিছনের গাডীর।
রুমানা ও সাঈদের হাতাহাতির সময় যদি স্ত্রী কণ্যাদের হাতে মার্টিনের মতো সাঈদের অবস্থা হতো তা হলে রুমানার মতো এতো প্রচারণা পেত কিনা সন্ধেহ। তার পরও রুমানার জন্য সহমর্মিতা। এমন পরিস্থিতি কোন পরিবারে আবার পূনরাবৃ্ত্তি হোক তা কাম্য নয়।
৯| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১৬
দর্শণধারী বলেছেন: আতরআলী বুঝি এক গালে মারলে আরেকটা গাল পেতে দেন?
মারতে এলে উদোম গায়ে বসে থাকেন?
রুচিশীলতার এতোটাই অভাব আপনার যে.... ....
২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৬
জারনো বলেছেন:
দর্শণধারী আর আতর আলী ভাই বি কুল । আমরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে আক্রমনমূলক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকি আর গঠনমূলক মন্তব্য প্রদানে চেষ্টা করি যাতে করে সমাজ সংসার থেকে এই বিষবৃক্ষ উৎপাটিত হয়।
১০| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১৮
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আমি আপনার অনেক কথার সাথেই দ্বিমত পোষন করছি।
২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩২
জারনো বলেছেন: রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আমি আপনার অনেক কথার সাথেই দ্বিমত পোষন করছি।
যাহোক অন্তত কিছু কথার সাথেতো এক মত পোষণ করছেন। অন্তত আনুশা'র সাথে থাকুন।
১১| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:২৪
আতরআলী বলেছেন: @দর্শণধারী
আমার মন্তব্য আপনার এন্টেনার উপর দিয়ে গেছে গা।
২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৭
জারনো বলেছেন:
আমার এন্টেনায় কিন্তু কিছু্ই ক্যাচ করতে পারেনাই আতর আলী ভাই।
১২| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আপনি বলেছেন সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার নামে আত্মীয় বহিভূত মানুষের সাথে সম্পর্ক গঠন আমাদের শ্রদ্ধেয় কন্যা জায়া জননীকে উশৃঙ্খল করে তুলছে যা প্রকটভাবে দৃশ্যমান। সামাজিক এই অধঃপতনের জন্য অযাচিত মেলামেশা, মোবইল ফোনের অত্যাধিক অপব্যবহার, ফেসবুক, টুইটারসহ নানান সাইটের অবাধ ব্যবহার এর জন্য দায়ী তা অনস্বীকার্য।
এটা আপনি কি করে বলতে পারলেন?? আমি আপনাকে মুক্তমনা ই ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন হয়ত আমার ভুল ভাংছে।
আচ্ছা একটা কথার জবাব দিন। আপনার সাথেও তো আমার মেইলে যোগাযোগ হয়। আপনি তো আমার আত্মীয় না। তো আমাকে কি উচ্ছৃংখল মনে করছেন?? এরকম কিছু কি দৃশ্যমান হয়েছে??
দেখুন খামাখা ফেসবুক, টুইটার, মোবাইল ফোন এর দোষ দেবেন না। দোষ ব্যক্তির হতে পারে। আধুনিকতার ব্যলেন্স করতে পারেনি। আর দোষ বলতে পারেন সন্দেহপ্রবন মনের ।এই দুইয়ের মাঝে যে কোনো একটা বা দুইটাই থাকলে সেখানে ঝামেলা লাগবে। আর ঝামেলা লাগলে সেখান থেকে সরে আসাই ভাল। তাহলে এই জাতীয় ঘটনা সামনে আমাদের দেখতে হবে না।
২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
জারনো বলেছেন: রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন:এটা আপনি কি করে বলতে পারলেন?? আমি আপনাকে মুক্তমনা ই ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন হয়ত আমার ভুল ভাংছে।
হয়তো আমি আপনাকে বুঝাতে পারিনাই বা আপনি বুঝতে পারেণ নি আমার মতো করে। আমি কিন্তু উল্লেখ করেছি অপব্যবহার আবারও বলছি অপব্যবহার যা আপনি কোট করেছেন এবং অবাধ ব্যবহার।
বিজ্ঞাণের আশির্বাদকে দোষারোপ নয় দোষ আমাদের অপব্যবহারের। এর অপব্যবহারের কারণে সৃষ্টি হচ্ছে সন্ধেহ, কমে যাচ্ছে সামাজিকতা, ক্ষীণ হচ্ছে শ্রদ্ধাবোধ। স্বামী স্ত্রীর মাঝে দুরত্ব সৃষ্টিতে ফেসবুক, টুইটার, মোবাইলফোন যে ভুমিকা রাখছেনা তা কেমন করে বলবেন। সংসার ভাঙ্গার পিছনে ফেসবুক কতটা দায়ী তার একটি পরিসংখ্যান ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে, দেখে থাকবেন হয়তো। আত্মহত্যার ঘটনাও উদ্বেগজনক। সুতরাং কি করে অস্বীকার করবেন।
১৩| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৮
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: আমার এবং আমার স্বামীর দুই জনের ই ফেসবুক আছে। আমার ফেসবুকে হাজারের উপরে বন্ধু। আমার স্বামীর ও তাই। আমার কোনোদিন মাথাতেই আসেনি ম্যাচিওর মানুষের ও ফেসবুকে প্রেম হয়। এটা পুরা টিনেজারদের কালচার। আমরা শুধু ফেসবুকে এ্যকাউন্ট খোলা এই কালচারের সাথে তাল মিলিয়েছি ক্ষতিকর কিছু নেই দেখে। ফেসবুকে বয়স্ক কারো প্রেম করা মানে সবাই জানবে চিনবে ছবি দেখবে..অনেক ঝামেলা। টিনেজাররা এতকিছু কেয়ার করেনা কারন ওদের সাথের সবাই একই কাজ করছে। ওদের এত সময়ও নাই অন্যদের সবারটা দেখে বেড়াবে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ফেসবুকের মত সিলি ব্যপার নিয়ে কেন যে ঝামেলা লাগবে তাই আমি বুঝে পাই না। তবে কারো মনে সন্দেহ হলে তার সাথে না থাকাই ভাল। সন্দেহপ্রবন মানুষ কে নিয়ে আর যাই হক সারাজীবন থাকা যায় না।
২১ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জারনো বলেছেন:
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ফেসবুকের মত সিলি ব্যপার নিয়ে কেন যে ঝামেলা লাগবে তাই আমি বুঝে পাই না। তবে কারো মনে সন্দেহ হলে তার সাথে না থাকাই ভাল। সন্দেহপ্রবন মানুষ কে নিয়ে আর যাই হক সারাজীবন থাকা যায় না।
একথা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই যে, রুমানার যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়, তার সন্তানের উপর তার প্রতিফলন ঘটবে। আমরা হয়তো আমাদের সহমর্মীতা বা সমবেদনা জানাতে পারবো। এই সহানুভূতি বা সমবেদনা তার ক্ষতির এক কণাও পূরণ করতে পারবে না। সুতরাং বাস্তবতা আর আবেগের বাস লক্ষ যোজন দূরে। যখন তাদের দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি শুরু হয় তখন্ই তাদের প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ ছিলো। সংসার জীবনটা বড়ই ভঙ্গুর। একে যতনে পরিচর্যা করতে হয়। আপনি হয়তো এমন কোন পরিস্থিতির মাঝে পড়েন নি যেহেতু আপনারা দু'জনেই দ্বায়িত্ববাণ ও একের প্রতি অপরজনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সময় পার করছেন। কিন্তু রুমানার দাম্পত্য জীবন ছিলো ভ্ন্নি প্রকৃতির। সাঈদের হীনমন্যতায় ভোগা যেহেতু সে চোঁখে দেখতে পেতো না, কানা বলে পরিহাসের পাত্র, লেখা পড়া স্ত্রীর চেয়ে কম, স্ত্রীর বাসায় ঘর জামাই থাকা, নিজ পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা তাকে মানসিক বিকারগ্রস্থ করে তুলেছে। সুতরাং তার কাছে সুস্থ্য আচরণ আশা করা বৃথা। এখানে তার স্ত্রীর দ্বায়্ত্বি ছিলো তাকে ভালোবাসায়, শ্রদ্ধায় তার হীনমন্যতাকে দূর করা। যদি একান্তই সম্ভব না হয়ে থাকে তা হলে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিয়ে এর সমাধান করা উচিৎ ছিলো তার পরিবারের। আমার মনে হয় এই পরিবারেরে সংশ্লিষ্ট কেউই যথাযথ ভাবে তাদের দ্বায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন যার করুণ পরিনতি আজকের দৃষ্টিহীন রুমানা। আমরা তার কোন উপকারে আসতে পারবো কী ? বড় বড় কথা, আবেগঘন বক্তৃতা, মানব বন্ধন সাঈদের জেল ফাঁসির বিনিময়ে যদি রুমানা তার দৃস্টি ফিরে পান তা হলে হাজার বার সাঈদ ফাঁসির দাবী জানাবে। তাতে অন্তত আনুশার ভবিষ্যৎ উজ্বল হবে রুমানার চোঁখের স্নেহ মাখা দৃষ্টিতে।
১৪| ২১ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২২
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন:
নারীকে আমরা সমান অধিকার দিতে গিয়ে তাদেরকে অসম্মান করছি,
তার মানে নারীকে সম্মান দিতে হলে তাদেরকে কম অধিকার দিতে হবে? লাইনটি কি ব্যাখ্যা করবেন?
সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার নামে আত্মীয় বহিভূত মানুষের সাথে সম্পর্ক গঠন আমাদের শ্রদ্ধেয় কন্যা জায়া জননীকে উশৃঙ্খল করে তুলছে যা প্রকটভাবে দৃশ্যমান
প্রকট ভাবে দৃশ্যমান যা বললেন তার সহজ অনুবাদ কি হয়? সামহোয়ারইনের মতো কমিউনিটি ব্লগও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। শ্রদ্ধেয় কন্যা জায়া জননীরা এখানে এলে শুধু মাত্র আত্মীয়দের ব্লগে কমেন্ট করবেন, নয়তো উশৃঙ্খল হয়ে যাবেন। এটাই কি বলতে চাইলনে?
২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:১৭
জারনো বলেছেন:
মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রব্বুল আলামিন নারীদের মর্যাদা দিয়েছেন সব চাইতে বেশী। আমরা তার বিধান বুঝতে না পেরে তাকে সমান অধিকার দেবার কথা বলে তার মর্যাদার স্থান থেকে নিচে টেনে আনবার চেষ্টা করে তাকে অসম্মান করছি। নারী মাতৃরূপে সৃষ্টিকর্তার বিধান মতো তার নির্দিষ্ট গন্ডিতে থেকে আল্লাহর হুকুম আহকাম পালন করলে এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হতো না সমাজের। একজন নারী মাতৃরূপে যখন আভির্ভূত হন তখন তার সমমর্যাদার কেউ থাকে কী? সকল দুনিয়ার সকল সম্পদের বিপরীতে যদি একজন মা দাড়াঁয় তখন তার পাল্লাই ভারী হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমি আমার মা'য়ের জন্য সকল অর্জন বিলিয়ে দিতে পারি। পারবেন আমার সকল কিছু নিয়ে আমার মা'কে ফিরিয়ে দিতে ? মায়ের মর্যাদার কোন ভাগ হবার নয়। মায়ের অধিকার এর চেয়ে বেশী অধিকার কী দিবার আছে তাকে?
সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করে কিছু বিধি নিষেধ বেধে দিয়েছেন। তার নিষেধ অমান্য করে আমাদের আদি মাতা হাওয়া বিবি বেহেশত থেকে বহিস্কার হেয়েছেন। তেমনি ভাবে পৃথিবীতে কোন পুরুষের সাথে মেয়েরা দেখা করবেন, কথা বলবেন তার ও গন্ডি টেনে দিয়েছেন। এটা বাস্তব যে সকল রমণীকুল আত্মীয় ভিন্ন অন্য মানুষের সাথে দেখা দুরে থাকুক ঘোমটার আড়ালে থেকেও কথা বলার চিন্তা স্বপ্নেও করেনা তারাই মোবাইল ফোনের কল্যানে দীর্ঘসময় বাক্যালাপ করে অপরিচিত জনের সাথে। কথার সূত্র ধরে সৃষ্টি হয় নানান জটিলতা। সংখ্যায় নগন্য হলেও একে অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। সামু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম অবশ্যই, এখানেও যে অনেক সময় বিতর্ক ও জটিলতার সৃস্টি হয়না তা ব্লগের প্রতি দৃষ্টি রাখলে দেখতে পাবেন। বিজ্ঞাণের আবিস্কার প্রতিটি উৎস যথাযথ ব্যবহার না করতে পারলেই তার ক্ষতিকর প্রভাবে কলুষিত হয় সেই আবিস্কার। সুতরাং কেউ যদি তার লিমিট ক্রস করে তা হলে প্রকৃতির নিয়মেই ধ্বংশ অনিবার্য। কারণ সৃষ্টিকর্তা সীমালঙ্ঘনকারীর জন্য চরম হুসিয়ারী উচ্চারণ করেছেন।
১৫| ২১ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৬
দর্শণধারী বলেছেন: আপনাদের সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে আনুশের কথা বিবেচনা করেই রোমানা নির্যাতন সহ্য করেছেন বছরের পর বছর। চড় থাপ্পড় মারার মধ্যে যা সীমাবদ্ধ ছিল তা সহজে কারো সাথে শেয়ার করতেন না। এমন ভয়ানক পরিস্থিতি না হলে কেউ জানতোও না।
(এমন আরো অনেক মেয়ে আছে যারা মানসিক কিংবা শারীরিক বা উভয় নির্যাতন সয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর, পুরুষরাও নির্যাতিত হয় তবে মেয়েরা বলতে পারলেও পুরুষরা বলতেও পারে না)।
৮ নং কমেন্টের বিপরীতে আতর আলী বা লেখককে বলতে চাই আনুশার দেশ-বিদেশে বেশ নানা-নানী, মামা-মামী, খালা-খালু আছে, যারা আপনারা কেউ না বললেও ওর খেয়াল রাখবে, যত্নে রাখবে এর জন্য ওর মার কিছু বিক্রি করার প্রয়োজন নেই। এমন বিকৃত মস্তিষ্ক প্রসুত চিন্তা ধারা বাদ দেয়ার জন্য অনুরোধ রইল।
২১ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:২৯
জারনো বলেছেন:
"ও হীরামন পাখিরে--
শিকল কেটে উড়িয়ে দেবো
আমার মাকে যদি এনে দাও _"
গানের কথাগুলো ঠিত এমন না হলেও ভাবার্থ এমনই ছিলো। শুনে থাকবেন হয়তো। আমার লেখার বিষয়বস্তু্ এই থিমের উপর। দুনিয়ার সকল সম্পদ আনুশা'র পদতলে অর্পন করলেও কী সে তার মায়ের দৃষ্টি ফিরে পাবে। রুমানার সন্তানের নিস্পাপ মুখটি দেখার যে আকুতি তা কি মিটবে ইহ জীবনে। সাঈদের এক মুহুর্তের পশু প্রবৃত্তির কাছে পরাজিত মানবতার মাসুল দিতে পারবে সমগ্র পৃথিবীর ধনসম্পদ? দেশে বিদেশে আনুশা'র নানা নানী কী দিতে পারবে আনুশা'কে? সে পিতা মাতার স্নেহ ভালোবাসায় বড় হবে এটাই ছিলো স্বাভাবিক, কে ফিরিয়ে দিবে তাকে পিতা মাতার স্নেহ ভালবাসা ? আমরা যারা রুমানার জন্য ব্যথিত হই, চোঁখের কোনে নিজেদের অজান্তে অশ্রু নামে তারা কীই বা করতে পারি তাদের জন্য ? সহানুভূতি বা সহমর্মিতা এবং রুঢ় বাস্তবতা এক জি্নিস নয়। সুতরাং আনুশার জন্য আবারও সহানুভূতি ও প্রার্থনা সে যেন এই শোক ও অপুরনীয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারে।
১৬| ২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩০
একলা বগ বলেছেন: ফেসবুক, মোবাইল এইগুলোর অবাধ ব্যবহার মানুষের অনেক ক্ষতির সুযোগ আনলক করে দিছে। আপনি স্বীকার করেন আর নাই করেন, সমাজের প্রায় সব মানুষই সুযোগের অভাবে ভদ্রলোক। কারো কারো ক্ষেত্রে অভদ্র হবার জন্য অল্প একটু সুযোগ দরকার হয় কারো কারো রেজিস্টেন্স বেশী হওয়ায় হয়তো অভদ্র হওয়ার জন্য অনেক বেশী সুযোগ দরকার হয়। আফটার অল মানুষের ভিতরে পশুপ্রবৃত্তি থাকেই। এইযে রুপকথার রাজকন্যা বড় গলায় নিজের ক্রেডিট জাহির করলেন যে ফেসবুকে হাজারের উপরে বন্ধু থাকার পরেও তিনি "সিলি টিন-এজারদের" মত আচরন করেন না, কারন তিনি ম্যাচিওর, সেইটাও একটা নির্দিষ্ট অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, তাঁর জন্য আরো বেশী সুযোগ করে দিতে থাকেন একটা লেভেলে গিয়ে উনার ম্যাচিওর পারসোনালিটির রেজিসটেন্স আর কাজ করবে না। (@রূপকথার রাজকন্যা, এইটা একটা ফ্যাক্ট, শুধু আপনার ক্ষেত্রে না, সবার ক্ষেত্রে, আমার এবং এই পোষ্টের লেখকের ক্ষেত্রেও)।
ধর্মীয় এবং সামাজিক বিধিনিষেধের দরকার সেইজন্যই।
২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০
জারনো বলেছেন:
বগ ভাইয়ের এই কম্টে এর উত্তর রাজকণ্যা তার মতো করে দিবেন বলে আমার বিশ্বাস। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবারই আছে সুতরাং কারে মাতের সাথে কারে মতের পার্থক্য থাকবে এটাই স্বভাবিক। তবে এ কথা ভুললে চলবেনা যে রুমানা দম্পতির যে কোন একজনের ভুলের জন্য তাদের সন্তানের যে অপুরণীয় ক্ষতি সাধন হয়েছে তা পূরণ করার ক্ষমতা কোন মানুষেরই নাই। সৃষ্টিকর্তা তার অভাব পূরণ করুন এই প্রার্থনা জানান।
১৭| ২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৩
বিবর্ন বেদনা বলেছেন: আলোচনা খুব ভাল লাগতেছে।পড়ে কিছু বলার আশা রাখি।আসলেই আমরা দোষী বানাতে গিয়ে মেয়েটার উপর থেকে নজর এরিয়ে গেছে অনেক।আপনাকে ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য।
পুরো বিসয়তার সাথে সামাজক অবক্ষয় জড়িত।পারিবারিক কলহ,প্সুখি দাম্পত্ত জীবন ,মুল্লবধের অবক্ষয় এসবের পিছনে অবশ্যয় বিজ্ঞানের অপব্যবহার জড়িত।
আমরা কোন ঘটনা ঘটার পর নিজেদের মনজগ এতটায় সেই ঘটনায় দেই যে,আমরা মুল বিসয়তি এরিয়ে যাই।এক্ষেত্রে হয়ত সেই সমসসার সমাধান হয় কিন্তু সমসসার মুল উতপাতিত হয়না।
পারিবারিক কলহ,পরিবারের মানিসের পশুত্ব,মূল্যবোধের অবক্ষয় এসবের কারনে বড় রকমের ঘটনা ঘটছে।আর এর ফলে মাঝখান থেকে অনুশাদের ভবিষ্যৎ অনিসচয়তার ভিতরে পড়ে যায়।
আবার ও ধন্যবাদ এমন পোস্টের জন্য
২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
জারনো বলেছেন:
সমস্যাটির মূলে আসবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। রুমানা কিংবা সাঈদ আমার মূল প্রতিপাদ্য নয়। তাদের ভুলের কারণে বা অসহিঞ্চুতার করণে তাদের অজান্তে আনুশার যে অপূরণীয় ক্ষতি তারা করেছে তা কোন দিনই পূরণ হবার নয়। সুতরাং এমন ভুলের মাসুল যেন আর কোন আনুশাকে দিতে না হয় সে দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন।
১৮| ২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৮
রেজোওয়ানা বলেছেন: ঠিক বলেছেন জারনো ভাইয়া, মেয়েরা কেন গৃহকর্ম বাদ দিয়ে চাকরী বাকরী করবে, ফেসবুক টুইটার ব্লগ এই সাইট গুলোতেও তাদের বিচরনের কোন দরকার নেই। এতে করে বেগানা পুরুষদের সাথে তাদের পরিচয় ঘটবে, বেগানা পুরুষেরা এদের মাধ্যমে ভুল পথে পরিচালিত হবে। মেয়েদেরকে সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন সন্তান উৎপাদনের জন্য, ঘরের কাজ করার জন্য, নিজ পুরুষের সেবা শুশুস্রা করার জন্য, তারা কেন ঘরের বাইরে বের হচ্ছে!! এই সব মহিলাদের জন্যই আজ সমাজের এই অধ:পতন।
আর রুমানা ম্যাডাম এতই বেল্লেলা, এতই উশৃংখল যে সে তার স্বামী সন্তান কে রেখে পি এই ডি করেতে বাইরে যেতে চায়, ফেসবুকে অন্যদের সাথে বন্ধুত্ব করে......ছি ছি ছি। চোখ উপরে নিয়ে তার উপযুক্ত শাস্তিই দেয়া হয়েছে। ঠিকই বলেছেন রুমানা আর সাইদ দুজনেই সমান দোষী, এদের কে ৫০০ দোররা সহকার সমান শাস্তি দেয়া হোক।
আর দোয়া করি এক সময়ে আপনিও একজন কন্যা শিশুর জনক হোন, এবং সেই কণ্যা শিশুর জন্যই একই বিধান (মানে উচ্চ শিক্ষা পরিহার কিংবা মোবইল ফোনের অত্যাধিক অপব্যবহার, ফেসবুক, টুইটারসহ নানান সাইটের অবাধ ব্যবহার বন্ধ) চালু করবেন........
আল্লাহ আপনার মংগল করুন।
২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
জারনো বলেছেন:
রেজোয়ানাপু ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। একজনের সাথে অন্যজনের দ্বিমত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। 6 কে উল্টা করে দেখলে 9 দেখায়, এখানে কোন দিকদিয়ে দেখবেন সেটাই প্রধান বিবেচ্য বিষয়। আমার বক্তব্য ছিলো অপ-ব্যবহার ও অতি ব্যবহার। প্রতিটি বিষয়েরই একটা বিরূপ প্রতিক্রিয়া থাকে। রূপ থাকা ভালো কিন্তু তা যখন বেশী মাত্রার হয় তখন সেটা অপরূপ। যেসন সংস্কৃতির বিপরীত শব্দ অপসংস্কৃতি। শিক্ষা মানুষকে শালীন করে অশালীন নয়। সুতরাং শালীনতা ভদ্রতা ও জানবার জন্য শিক্ষা কখনো ক্ষতিকর নয় যদি তা না হয় অপশিক্ষা। শিক্ষা অর্জনের নামে, শিক্ষা গ্রহণের নানান সুযোগ এর অপব্যবহার করে বর্তমানে যা হচ্ছে তাকি গ্রহণযোগ্য। একটি উদাহরণ দেই " সকাল ১০ টায় স্কুল ইউনিফর্ম পরে জিয়া উদ্যানে ছেলে বন্ধুর সাথে সময় কাটানো কোন শিক্ষা সূচীতে আছে" আমি বলছিনা সকলেই শিক্ষার নামে এই সুযোগের অবব্যবহার করে। আমার অবস্থান তাদের বিপক্ষে। শিক্ষার বিপক্ষে নয়। ইন্টারনেট, মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগ সাইট ক্ষতিকর নয় যদিনা এর অপব্যবহার করা হয়। মোবাইল ফো্ন আজ প্রয়োজনের চেয়ে বেশী ব্যবহার হয় ছেলে মেয়েদের মিলন ঘটাতে। যে মেয়ে অপরিচিত পুরুষের সাথে কথা বলা চরম গর্হিত কাজ মনে করে তারাও দিনের পর দিন একটা অপরিচিত ছেলের সাথে কথা বলে এমনটি রাত পার করে দিচ্ছে।এটা নিশ্চয়ই সুনজরে দেখবেননা। আপনারই ছেলে,মেয়ে অথবা ভাই-বোন যদি সারা রাত মোবাইল ফোনে কথা বলে রাত পার করে আর দিনে ঘুমিয়ে কাটায় পড়া লেখা ও চাকরী বাদ দিয়ে তা হলে তা আপনিযে ইতিবাচক হিসেবে দেখবেন না তা আমি শপথ করে বলতে পারি। মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটে আমার বোন বা কন্যা অপর একটি অপরিচিত ছেলের সাথে সামাজিক যোগাযোগের দোহাই দিয়ে রাত যেগে আড্ডা দিবে তা আমি কোন দিনই ভালো চোখে দেখবোনা বা সমর্থন করবনা তাতে যদি আপনি আমাকে ব্যকডেটেড বা বুর্জোয়া শ্রেণীও মনে করেন তবুও। আসলে পরের কন্যা বা পরের বউ মাধূরী বা ঐশ্বরিয়া সাজে দেখতে ভালো লাগলেও নিজের স্ত্রী বা কন্যাকে দেখতে চাইবোনা। এটা কেউই হয়তো চাইবেনা, যেমন চাইবোনা আমার স্ত্রী বা কন্যা আমার অগচোরে অন্য ছেলের সাথে কথা বলে।
আমাদের বাবা মা, আমাদের পূর্বপ্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করেছে, তারা কমবেশী উচ্চ শিক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয়েও পড়েছে তবে তাদের এমন কোন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। আসলে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী। সুশিক্ষা, কুশিক্ষা, ব্যবহার, অপব্যবহার, ক্ষতিকর ও অত্যাবশকিয় এবং অনাবশ্যক কথাগুলোর অর্থ বুঝতে হবে।
আমরা রুমানার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে পারবো, সহমর্মিতা, সমবেদনা জানাতে পারবো। সাঈদের অমানুসিক কার্যাবলীর জন্য তাকে জেল ফাঁসির দাবী করতে পারবো। তাতে কি কোন উপকার হবে রুমানার বা তার ছোট্ট শিশু আনুশা'র? আনুশা কি ফিরে পাবে বাবা মায়ের স্নেহ ভালোবাসা ? তাকে ভালোবাসা ও পিতা মাতার স্নেহ থেকে বঞ্চিত করার জন্য আমি তার পিতা-মাতার শাস্তি দাবী করছি। যেন পিতা মাতার ভুলের জন্য আর কোন শিশুকে এমন অসহনীয় পরিবেশে বেড়ে উঠতে না হয়। শিশুরা অবুঝ হলেও তার পিতা মাতা অবুঝ নয় সুতরাং তারা এর দ্বায়ভার এড়াতে পারেনা কোন ভাবেই।
১৯| ২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৮
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সবগুলো মন্তব্য গোগ্রাসে গিলে ফেললাম। লেখক আর একলা বগের মন্তব্যগুলোর পর মনে হলো প্রায় সবই বলা হয়ে গেছে। আর কিছু বলার নেই। আপনাদের সাথে সহমত। লিখার জন্য প্লাস
২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৮
জারনো বলেছেন:
ইফতেখার ভূইয়া ধন্যবাদ আপনাকে। একলা বক আসলে অপ্রিয় হলেও সত্যি কথাটিই বলেছেন। দূর্মূখেরা বলেন, Character is nothing; it is simply lack of opportunity. আমাদের বিবেক আমাদের সামাজিক অবস্থান আমাদের সুযোগ দেয় না বলেই হয়তো আমরা চরিত্রবান। তবে এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে এই সকল ছোট ছোট ভুল গুলি আমাদের পারবিরীক জীবনে দূর্যোগ নিয়ে আসে সুনামীর মতো যার তোড়ে পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় পরবর্তী প্রজন্ম, আমাদের আদরের ছেলে মেয়েরা। ভালো থাকবেন
২০| ২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৫
জারনো বলেছেন: কামালপ্রতাপ বলেছেন: আনুশা’র সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করার দায়ভার বাবা মা দুজনের। কারণ মা পরকীয়া করে এবং বাবা হিংস্রতা দেখিয়ে এই শিশুটির সন্দুর ভবিষ্যত অনিশ্চিত করেছে। তাই তারা এখন তাদের কর্মফল স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভোগ করছে।
আসুন আমরা সকলে শিশুটির সুন্দর ভবিষ্যত কামনা করি।
২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯
জারনো বলেছেন:
তেলের শিশি ভাংলে আমরা শিশুর উপর রাগ করি,
কিন্তু আমরা বুড়ো খোকারা যে সংসার ভেঙ্গে ভাগ
করি, শিশুদের বাবা মায়ের স্নেহ ভালোবাসা থেকে
বঞ্চিত করি তখন তার বিচার কে করবে?
আমার মতে আনুশাকে অনিশ্চিত ও অমসৃন পথে ঢেলে দেবার জন্য
তার পিতা মাতা উভয়ে দায়ী। সাঈদের অন্যায়ের শাস্তি হলে
আনুশা'র ভাগ্য বিপর্যয়ের দায়ে তাদের উভয়ের শাস্তি প্রাপ্য
২১| ২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৬
এক মুসাফির বলেছেন: আমার ব্লগে আপনার একটা মন্তব্যের জবাব ছিল।
হা নিঃসন্দেহে কোন সমস্যার সমধান করতে পারাটা অনেক বড় মহতী উদ্দোগ।
শুধু তাই নয় কোন সমস্যার সুস্ট সমধান কামনা করাটাও মহত্তের লক্ষন।
কিন্তু মানুষ-মানুষে পারস্পরিক বিশ্বাস আর শ্রদ্ধাবোধ না থাকলে বা অস্মানিত হবার ভয়ে হলেও অনেকের কেবল শুভ কামনা ছাড়া কিছুই করার থাকেনা।
ধন্যবাদ শুভ চিন্তার জন্য।
২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
জারনো বলেছেন:
পাছে লোকে কিছু বলে এই কথা চিন্তা করে যারা কিছু করতে পিছপা হয় তাদের দ্বারা সমাজের খুব একটা উপকার হয় কী?
পুকুরে ছিপ ফেলে মাছ শিকার আর সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে মাছ শিকার এক কথা নয় যদিও উভয়েই মৎস্য শিকারী। যা হোক
অন্যায়ের প্রতিবাদ করা উত্তম না পারলেও অন্তত সেই কাজের জন্য ঘৃণা পোষণ করা উচিৎ। ধন্যবাদ আপনার অকপট সত্য প্রকাশের জন্য। এটাও অনেকে করতে ভয় পায়, যদি পাছে লোকে কিছু বলে !!
২২| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮
এক মুসাফির বলেছেন: পাছে লোকে কিছু বলা আর মানুষে মানুষে শ্রদ্ধাবোধ কিন্তু এক বিষয়না জনাব।
২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১১
জারনো বলেছেন:
তাতো অবশ্যই। শ্রদ্ধাবোধ জাগে ভালোবাসা থেকে, অন্তর থেকে। একজন মানুষকে ভালোবাসতে পারলেই তাকে শ্রদ্ধাও করা যায় আবার সম্মান ও স্নেহও করা যায়। এটা দেখানো যায়না। এটা প্রমাণও করা যায়না। তবে সহযোদ্ধা হতে দৃশ্যমান হতে হয়। অদৃশ্য বন্ধুর চেয়ে দৃশ্যমান শত্রুও ভালো জানেন তো ?
২৩| ২২ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
জাহাংগীর ৮৭ বলেছেন: বলছিলেন সাংবাদিক সুপন রায় -হাসান সাঈদ যেদিন ঢাকার মুগদা’র বাসা থেকে ধরা পড়লেন, সেই সন্ধ্যায় তার সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়। হাতে হ্যান্ডকাফ পরা। গায়ে কালো রঙের একটি গেঞ্জি। চোখে চশমা। চেয়ারে বসে আছেন। আমাকে দেখে সরাসরি চোখের দিকে তাকালেন। পরিচয় জানতে চাইলেন। পরিচয় দিলাম। বললাম, আপনার স্ত্রী’র কথা শুনেছি। আপনার কথা শুনতে চাই। আপনি যদি অনুমতি দেন। তিনি উত্তরে বললেন, ‘আজতো আমি সার্কাসের জোকার হয়ে গেছি। সাংবাদিকদের অনেকে (সংবাদ সম্মেলনের সময়) আমার চোখ তুলে নেয়ার কথাও বলেছেন। আপনিই প্রথম সুন্দর করে আমার সঙ্গে কথা বলছেন’।
কোন প্রশ্ন না করে আমি তার মুখ থেকে তার মতো করে ঘটনা শুনতে চাইলাম। তিনি চশমা খুলে চোখ মুছলেন। লম্বা করে নিঃশ্বাস নিলেন। তারপর বললেন, ‘আমি হেমাকে (রুমানার ডাক নাম) অনেক ভালোবাসি। সন্তানকে অত্যন্ত ভালোবাসি। আমি চাইনি, এ নিয়ে আমাকে কথা বলতে হোক’। তখন সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রক্টর ঢুকলেন। তার সঙ্গে আরও দু’জন। একজন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। অন্য জনের পরিচয় জানা হয়নি।
হাসান সাঈদ কাঁদছেন। বারবার চোখ মুছছিলেন। বললেন, ‘হেমাকে কানাডায় পড়াশোনা করার ব্যবস্থা আমিই করে দিয়েছি। আমার থ্রি হুইলার ছিল। ওগুলো বিক্রি করে ওকে কানাডায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। বিশ্বাস করুন, ও এমন ছিল না। অত্যন্ত ভালো মেয়ে ছিল। আমার খেয়াল করতো। আমার সন্তানের খেয়াল করতো। আমি ও আমার মেয়ে ওর জন্য অপেক্ষা করে ছিলাম। ২৬৯ দিন আমরা অপেক্ষা করেছি। কিন্তু কানাডা থেকে ফিরে আসার পর দেখি, আমার হেমা আগের মতো নেই। আমার খেয়াল করে না। সন্তানের খেয়াল করে না। আমি কষ্ট পেলাম’।
কথা বলছেন সাঈদ। আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছেন। চশমা খুলে হাতের তালুতে চোখ মুছছেন। এক নিঃশ্বাসে বলে যাচ্ছেন। পাশে দাঁড়িয়ে মুগদার যে বাসায় তিনি আশ্রয় নিয়েছিলেন, সে বাসার অভিভাবক। হাসানের স্বজন। একটু দূরে চট্টগ্রামে যে বাসায় ছিলেন, সে বাসার আশ্রয়দাতা তরুণ। তিনি মাঝখানে ব্যাখ্যা করছিলেন, কোন পরিস্থিতিতে হাসানকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। হাসানের মায়ের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা।
হাসান বললেন, ‘হেমার সঙ্গে এ নিয়ে অনেক ঝগড়া হয়। ও আমার কাছে তার সবকিছু খুলে বলে। স্বীকার করে। আমরা সিদ্ধান্ত নিই, একসঙ্গে ‘ডরমিকম’ (ঘুমের ওষুধ) খেয়ে আত্মহত্যা করবো। পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবো। আমি ১৯২টি ডরমিকম খেয়ে ফেলি। এক পর্যায়ে নিঃস্তেজ হয়ে পড়ি। ওরাই (হেমা ও তার বাবা) আমাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করে। ২৫-২৭শে মে, ২০১১ আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিই। তারপর ওদের বাসায় চলে যাই। ২রা জুন আমাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়’।
৫ই জুন বিকালে ঘটনার শুরু কেমন করে হলো- সে ব্যাপারে জানতে চাই। হাসান বলেন, ‘কম্পিউটার খোলা রেখে হেমা ওয়াশরুমে যায়। আমি সামনে গিয়ে দেখি, ফেসবুক খোলা। তার এক বন্ধুর সঙ্গে (নাভিদ বিন তাহের, ইরানি নাগরিক) আলাপ চলছিল। হেমা আমাকে কথা দিয়েছিল, নাভিদের কথা ভুলে যাবে। কোন ধরনের যোগাযোগ আর রাখবে না। আমি ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে ওই ছেলেটিকে বাদ দিয়ে দিই। ওয়াশরুম থেকে ফিরে হেমা দেখে তার ফ্রেন্ডলিস্টে ওই ছেলেটি আর নেই। এটি দেখে সে ক্ষেপে যায়। আমার ওপর হামলে পড়ে। আমাদের মধ্যে অনেকক্ষণ ধস্তাধস্তি হয়। তারই একপর্যায়ে হেমা আমার চশমা টেনে খুলে ফেলে। আমি জানি না, তারপর কিভাবে কি হয়ে গেল?’
২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:০৮
জারনো বলেছেন:
জাহাঙ্গীর ভাই আপনার উপরোক্ত পোস্টে গতকাল মন্তব্য করেছিলাম। এই পোস্ট কপি করে পোস্ট দিয়েছিলেন বিবর্ন বেদনা, সেখানেও মন্তব্য করেছি দেখে থাকবেন হয়তো। ভালো থাকবেন ।
২৪| ২২ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: বুয়েটিয়ান হয়েও ঘরজামাই। চাকুরি করার মুরোদ নাই, পেলেও দুদিন পরেই লাথি দিয়ে বের করে দেয় এমপ্লেয়ার। যার একমাত্র কাজ শশুরের অন্ন ধংশ করা। ভালমত খোজ নিলে দেখা যাবে ডাইলখোর। তার বর্তমান অপরাধ এর কথা বাদ দিলেও তার কাছে কি ভবিষ্যৎ আসা করেন।
আতর আলি একটা মুল্যবান কথা বলেছেন।
সাঈদকে মুক্তি দিয়ে পাঁঠা টাকে আরেকটা বিয়ে করানো হোক, যে আনুশাকে লালনপালন করবে।
কারন রুমানা অসুস্থ, ওরা থাকবে রুমানার পিত্রালয়ে।
ইসলামে চারটা পর্যন্ত বিয়ে করা যায়।
২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৮:১৭
জারনো বলেছেন:
মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কী
মানুষ পেতে পারেণা ও বন্ধু ?
মানলাম সাঈদ সকল অপরাধে অপরাধী।
তাই বলে উন্মাদ বা প্রতিবন্ধি কোন মানুষ কী
মানুষের আদর ভালোবাসা থেকে কেবলই
বঞ্চিত থাকবে? তাকে কী পরম মমতায়, যত্নে
স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যেতো না?
তার অক্ষমতাকে কেন বার বার বিদ্রুপ করা হতো।
শারীরিক কোন সমস্যা নিশ্চয়ই তার কোন অপরাধ
নয় ! চোঁখে দেখতে পায় না বলে তাকে কানা বলতে হবে?
যা হোক তর্কে করে হয়তো কোন সমাধানে আসা যাবেনা।
তবে রুমানা ও সাঈদের দাম্পত্য জীবনের সুনামীতে যে
অপূরণীয় ক্ষতির সম্মূখীন আনুশা তা যেন সে কাটিয়ে উঠতে
পারে আসুন আমরা সেই প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে।
২৫| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩৭
জারনো বলেছেন:
জাহাংগীর ৮৭ বলেছেন: thank u,brother.
২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:৩৮
জারনো বলেছেন:
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচছা
২৬| ২৩ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৪৭
জারনো বলেছেন: রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন:এটা আপনি কি করে বলতে পারলেন?? আমি আপনাকে মুক্তমনা ই ভেবেছিলাম। কিন্তু এখন হয়ত আমার ভুল ভাংছে।
রাজকন্যা আপুর উপরোক্ত মন্ত্যবের জবাবে তার জন্য " আমার খোলা চিঠি "
২৩ জুন ২০১১ইং
আপু কেমন আছো ?
মনে হয় তুমি আমার উপর রাগ করে ভূত হয়ে আছো?
আপু আমি কিন্তু অতটা ব্যকডেটেড না যতটুকু তুমি
ধারণা করছো। আমি যথেষ্ট আধুনিক মনস্কা তবে
সীমা লঙ্ঘন করা কে সমর্থন করিনা। পারিবারিক
কিংম্বা দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও ভালবাসা
একটি জরুরী উপদান। এর কমতি থাকলে ভালোবাসা
বাঁচতে পারেনা। দাম্পত্যজীবন নামক গাছটির পরিচর্য্যা
করতে বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা ভক্তির বারি সিঞ্চন অত্যাবশ্যক।
কারো আচরণে যদি কখনো সন্ধেহের আগাছা বাড়তে
থাকে তা হলে উভয়ের মুক্ত আলোচনায় সে আগাছা
উপড়ে ফেলতে হবে। কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করে বা
উপহাস করে একে একজনের কাছ থেকে দূরে চলে
গেলে তার দ্বায়ভার উভয়কেই বহন করতে হবে। এক
হাতে যেমন তালি বাজে না তেমনি দুহাত একত্রে
হলে অনেক বড় বড় সমস্যা সমাধান কোন ব্যাপারই
নয়।
তুমি উল্লেখ করেেেছা আমার এবং তোমার ভিতর
যে আলাপচারিতা হয় তাতে তোমাদের দাম্পত্য
জীবনে কোন প্রভাব ফেলেনাই। আমার এবং তোমার
মতো এমন হাজার বন্ধুর সাথে কথা বললেও হয়তো
কোন সমস্যা হবে না কারন আমরা সীমা লঙ্ঘন করিনাই।
সীমাবদ্ধতার ভিতর থেকে সামাজিক যোগাযোগ দোষের
নয় তবে সীমা অতিক্রম করলে এই যোগাযোগই একদিন
দুষ্ট ক্ষত হয়ে বিশ্বাসের ঘরে চিড় ধরাতে পারে।
সব কিছুই নিয়মের মাঝে নিয়ে আসতে পারলে তা হয়
সুখের আর অনিয়ম হলেই দুঃখের অনলে জ্বলতে হয়।
আশা করি বুঝাতে পেরেছি। কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে
আবার লিখো আমার সাধ্যমত ব্যাখ্যা দিতে চেষ্ট্ াকরবো।
ভালো থেকো তুমি।
তোমার স্নেহধন্য
জারনো
২৭| ২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২২
আমি-মুসাফির বলেছেন: এক কাজ করা যায়, ফেসবুক, টুইটার, ইন্টারনেট, মেইল, মোবাইল, এসএমএস সবকিছু নিষিদ্ধ বলে ঘোষনা করা যায়।
এমন কি মেয়েদের জন্য ডাক তথা চিঠিও নিষিদ্ধ বলে ঘোষনা করা যেতে পারে।
নাকি বলেন???
২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১
জারনো বলেছেন:
আমি সবকিছু নিষিদ্ধ করার পক্ষে নই। তবে সীমিত করা যেতে পারে। অতিব্যবহারে বা অপব্যবহার যে কোন কর্মই রিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরঞ্জিত কোন কিছুই সমাজের মঙ্গল বয়ে আনতে পারেনা। মুসাফির খানা যদি প্রতিদিনই ব্যবহার করেণ তা হলে সেটা আর মুসাফির খানা থাকবেনা। ম্বশুরবাড়ি যেমন মধুর হাড়ি তেমনি বিষের হাড়ি হতে সময় খুব একটা বেশী দরকার হয়না।
নাকি বলেন????
২৮| ২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৩
শারমিন সোনালী বলেছেন: ধন্যবাদ
২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
জারনো বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকেও শারমিন আপু
২৯| ২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৭
শারমিন সোনালী বলেছেন: রুমানা মঞ্জুরের যেন কোন পোস্ট পড়লেই আমার বাক রুদ্ধ হয়ে যায় । মানুষ যে এত পাষন্ড ও পশুর মত আচরণ করতে পারে সেকথা গলো চিন্তা করলে নিস্তেজ হয়ে পড়ি। রুমানা মঞ্জুরের ঘটনা খুবই মর্মান্তিক। লেখক ভাই আপনাকে ধন্যবাদ।
২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৯
জারনো বলেছেন:
আসলে মানুষ যখন পশুবৃত্তির কাছে পরাজিত হয় তখনই সে পশুর মতো আচরণ করে। ক্ষণিকের এই ভুলে কত বড় ক্ষতি হতে পারে তা তখন বুঝতে না পারলেও পরবর্তীতে সারা জীবন তার প্রায়শ্চিত্ত করলেও সেই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব্ হয় না। আমি সাঈদ দম্পতির ভুলের খেশারত আনুশার সারা জীবনকে তাড়িত করবে। ব্যহত করবে তার স্বাভাবিক জীবন প্রবাহ।
৩০| ২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৯
জারনো বলেছেন:
শুকনা মরিচ বলেছেন: রুমানার মতো আমিও একজন মা । আমি কল্পনাই করতে পারিনা - আমি আমার ৩ বছরের আদরের ছেলেটাকে আর কোনোদিন দেখতে পাবোনা ।
রুমানা কিভাবে বেঁচে আছে ? আল্লাহ তুমি রুমানাকে শক্তি দাও ।
২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০১
জারনো বলেছেন:
রুমানার মতো সকল মা'য়ের প্রতি আমাদের সমবেদনা। আমরা চাইনা আর কোন রুমানা এমন পৈশাচিক হামলার শিকার হোক।
৩১| ২৬ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৪
জারনো বলেছেন:
অলস শরীফ বলেছেন: সবার একই কথা রুমানা পরকীয়া করার কারনে সাঈদ এমন খারাপ আচরন করেছে। কিন্তু আমি যদি বলি রুমানা খারাপ হওয়ার জন্য সাঈদ নিজেই দায়ী।কোন পুরুষ যেমন তার কোন কিছুর অভাব মেটানোর জন্য অনেক কিছু করে তেমন একটা নারীরও অনেক চাহিদা থাকে। আর রুমানার পরকীয়া করার ইচ্ছা থাকলে এমনিতে করতে পারত কারন সে সাঈদের উপর নির্ভশীল না । কিন্তু সর্বোপরি রুমানার চোখ তো ফিরে আসবে না। তাহলে এর সমাধান কে দিবে?
২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ৮:০৯
জারনো বলেছেন:
ক্ষনিকের ভুলে আমরা যে মহামূল্যবান সম্পদ হারিয়ে ফেলি তা সারা জীবন তপস্যা করেও অর্জন করতে পারিনা। কে দায়ী আর কে নির্দোষ তার হিসাব না হয় নাই বা করলাম এই মুহুর্তে। রুমানার সারা জীবনের প্রায়শ্চিত্ত তার চোঁখ ফিরিয়ে দিতে পারবেনা তেমনি আনুশা বঞ্চিত হবে তার বাবা মায়ের আদর স্নেহ ভালোবাসা থেকে। পিতার হস্ত তার মাথায় স্নেহের পরশ বুলাবেনা, মায়ের অতৃপ্ত নয়ন তার দুঃখি মায়াবী মুখ কোনদিন দেখতে পাবেনা।
৩২| ২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:০৮
qazi1414 বলেছেন: বেশ মন্তব্য পড়লাম ! না লিখে পারলাম না ।
[sb]আমি লেখক কে ধন্যবাদ জানাই ! ভাল লিখেছেন ।
# জাতি গঠনে উচ্চ শিক্ষার প্রয়োজন , কিন্তু বিষয় হল কার জন্য কতটুকু , কি ধরনের , জীবনের কোন পর্যায়ে শিক্ষা প্রয়োজন ?
*যে শিক্ষা গ্রহন আমাকে শান্তি, সংসার , সন্তান থেকে দুরে রাখে , সামাজিক স্থিতিবস্থা নষ্ট করে তার প্রয়োজনীয়তা কত টুকু?
#পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীরা অধিকার বন্ঞিত এটা সত্য , কিন্তু সর্বত্র কি এ রকম হয় ? গরিব দুখি মানুষের জীবন মান খুবই কষ্টের , অর্থ কষ্ট সেসব নারীদের স্বামী ভাতের জন্য বহু ক্ষেত্রেই নির্যাতন সইতে হয়।
কিন্তু উচ্চ/উচ্চ মধ্যবিত্ত নারীগন ?
বর্তমানে তারা স্বাধীনতা পাচ্ছেন ! ইগো সমস্যার জন্ম এখানেই !
স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয় ।
স্বাধীনতা মানে নয় যাখুশি তা করার সুযোগ।সংসারে নারী পুরুষ উভয়কেই অনেক কিছুই ছাড় দিতে হয়।একজন যা পছন্দ করছেনা অন্যজনের তা অবশ্যই পরিত্যাগ করা উচিৎ !
আমরা একটা প্রকট সমস্যায় জর্জরিত : একাধারে আমরা ধর্ম কে মানি আবার মানিনা ! ধর্মের কিছু কিছু অংশ মানছি আবার কিছু অংশ মানছি না !
বর্তমান প্রজন্ম অধিক স্বাধীনতা পেয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতি ঝুকে যাচ্ছে !
অধ:পতন এখানেই বাস করে।
কিছু প্রশ্ন সবার জন্য.........
১। সাঈদ কি নেশা করত ? পরনারী আসক্তি ? পয়সার জন্য মারধর ?
কোন প্রমান ?
২।সাইদের কি অন্য সংসার আছে?
৩। সাঈদ কি উশৃঙ্খল ?
৪। সাঈদ কি মানসিক রোগি ?
এর সব গুলোর উত্তর সম্ভাবত না !!!!
তবে সাঈদ কোন কারনে এমন আচরণ করল ? এটা কোন সাধারন জ্ঞান সম্পন্ন লোকের পক্ষেই বোঝা সম্ভব !!
আসলে নারী কে সম্মান .ক্ষমতা, স্বাধীনতা , অধিকার প্রদান করতে গিয়ে পুরুষের অধিকার ভিষণ রকমের লংঙ্ঘিত হচ্ছে !! এটা বলার কেই নেই !
স্বীকার করি এবং পুরুস নারীর সমতা চাই বলেই বলছি।
সাঈদ চেয়েছিল অত সুন্দর সংসার টা টিকে যাক ! বহু দিনের (সবার কাছে অদৃশ্যমান ) সমস্যার বিস্ফোরণে আজ সাঈদ দোষি , মাঝের সময় টাতে কি ঘটল তা অবশ্যই বিবেচনা করা উচিৎ ! তবে সাঈদের এহেন জানোয়ারের মতো আচরণ এর বিচার চাই ।
পরকিয়া বা সামান্য ঝগড়ার কারণে সংসার ভেঙ্গে দেওয়ার ক্ষমতা কে যারা স্বাধীনতা বলেন তাদের ঘৃণা করি,ঘৃণা করি এবং ঘৃণা করি।
আমরা শান্তি পূ্ণ সংসার চাই।
২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জারনো বলেছেন:
qazi1414 আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য আন্তুরিক ধন্যবাদ। আসলে আমার লেখার উদ্দেশ্য কাউকে হেয় করা বা নারী পুরুষে বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে নয়। নারী পুরুষ মিলেই মানবতা। এর একটিকে হেয় প্রতিপন্ন করা মানে মানবতাকে হেয় করা। নারী পুরুষের মিলিত শক্তিই মানবতার বন্ধনকে দৃঢ় করে। আমরা আমাদের ক্ষনিকের ভুলের জন্য যে সমস্যার সৃষ্টি করি তার মাসুল দিতে গিয়ে মানবতাকে লুণ্ঠিত করি। রুমানা দম্পতির যে ক্ষতি হয়ে গেলো তার মাসুল দিতে হবে তার সন্তানকে। কেন? তার কি অপরাধ? কেন সে বঞ্চিত হবে পিতা মাতার ভালোবাসা থেকে? আমরা যারা রোমানার পক্ষে অথবা সাঈদের বিপক্ষে যুক্তি দেই তাদের কী ক্ষমতা আছে আনুশার ভবিষ্যত চলার পথকে সুগম করার। সমগ্র বিশ্বের বিনিমেয়েও কি সে পাবে পিতার মমতা আর মায়ের চোঁখের আলো? আবেগ কখনোই কোন সমস্যার সমাধান দিতে পারেনা, বাস্তব বড় নির্মম নিষ্ঠর। আসুন আমরা সকলে আনুশার মঙ্গল কামনা করি।
রুমানার প্রতি সাঈদের নিমর্মতা ও পৌশাকিক হামলার নিন্দা জানাই, রুমানা তার চোঁখের আলো ফিরে পাক সে প্রার্থনাও সৃষ্টিকর্তার কাছে। সকলের মঙ্গল হোক।
৩৩| ২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৯
মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: পোস্টের মূল বক্তব্যের সাথে সম্পুর্ণ একমত। সাথে একলা বগ এর কমেন্ট ও আছে। সব কথাই বলা হয়েছে, তাই আমার নতুন কিছু বলার নেই।
পারিবারিক জীবনে শান্তিপ্রত্যাশী প্রতিটি নারী-পুরুষের এম পোষ্টটি অবশ্যই কমেন্টসহ পড়া উচিৎ, ক্যারিয়ারীস্ট মেয়েরা এবং লম্পট পুরুষরা না পড়লেও চলবে।
২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩১
জারনো বলেছেন:
আমারা নারী পুরুষের বিভাজন চাইনা। আমরা চাই মানবের কল্যান। যেখানে নারী পুরুষের য়ৌথ প্রচেষ্টা পারিবারিক জীবনকে স্বর্গীয় সুখে ভরিয়ে তুলবে। নারী বা পুরুষ কেউই কারো প্রতিপক্ষ নয়। উভয়ের ভালোবাসার বারি সিঞ্চনে সংসার নামের ক্ষেত্রটিতে সোনার ফসল ফলবে যার সুফল ভোগকরবে তার পরিবার ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
৩৪| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫
অচিন দেশের পাখি বলেছেন: আজব। এসব কি ধরনের মেন্টালিটির মানুষের সাথে আমরা মেয়েরা বাস করছি B:-) B:-) B:-)
ভাবতেই অবাক লাগছে, আপনাদের বউ সন্তান কে আপনার কাছে বা নানির কাছে রেখে এক বছরের জন্য বিদেশে পড়তে গেলে বা ফেসবুকে কোন ছেলে বন্ধুর সাথে কথা বললে আপনারাও সাইদের মত, বা আরও জঘন্য কছু করবেন
যেন বউ এর ভুলের বিচার সরকার আপনাদের হাতেই দিয়েছে। বউ যা করবে টাই খারাপ, আর স্বামী রা ধোয়া তুলসি পাতা। বউ কে মেরে চোখ অন্ধ করে দেবার পরও তারা বললে, বেশ করেছি, মেরেছি, আন্ধ করেছি কোন দোষ তো করিনি। বউ খারাপ।। বিচার করার অধিকার শুধুই আপনাদের।
মেয়ে জাতি সাবধান।
একি ঘটনা আপনার মেয়ের সাথেও ঘটবে। ২০/২৫ টা বছর পার হতে দিন।
২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৮
জারনো বলেছেন:
না এটা সাঈদের মোটেও ঠিক হয়নি। বউ যার সাথে খুশি চ্যাট করবে, ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ রাখবে তাতে তোমার কি? চোঁখে দেখোনা শুধু শুধু স্ত্রীকে সন্ধেহের চোঁখে কেন দেখবে? বউকে এত ভালোবাসতে নেই। তোমার অপরাধ তুমি পরপুরুষের সাথে বউয়ের কথা বলা পছন্দ করনা, তোমার অপরাধ তুমি পরকীয়া করোনা, তোমার অপরাধ তোমার ব্যবসায়ের পুঁজি বিক্রি করে স্ত্রীকে বিদেশে পড়ার সুযোগ দেওয়া। এসব তোমার অন্যায়। বউয়ের প্রতি তোমার আরো ভক্তি শ্রদ্ধা বাড়ানো দরকার ছিলো। সে বিদেশী ডিগ্রি নিয়ে তোমাকে ধন্য করবে। তোমার মতো অন্ধের সাথে স্ত্রীর সম্পর্ক রাখছে তাতে তোমার ধন্য হওয়া উচিৎ ছিলো। তুমি কেন এর বেশী আশা করো?
Click This Link
তুমি যদি সালাহউদ্দিনের মতো বউয়ের হাতে জীবন দিতে তা হলে সমগ্র পুরুষ নারী তোমার স্বর্গীয় প্রেম দেখে ধন্য ধন্য করতো। হায়রে অভাগা সাঈদ তুমি বউকে কেন এমন ভাবে নিজের ভাবতে গেলে? তোমার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি তোমার ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের জন্য।
৩৫| ২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০
অচিন দেশের পাখি বলেছেন: যেসব বাবা রা বউ সন্তান ফেলে বছরের পর বছর বিদেশে থাকে, তাদের সন্তানের বিকাশের জন্য বাবার প্রয়োজন নেই? যে বাবা রা সারাদিন অফিসের ব্যাস্ততা কাটিয়ে বাসায় এসে সারাদিন ফেসবুকে অন্য মেয়ে দের ছবি আর স্ট্যাটাস এ কমেন্ট দেয়, অনেক রাত পর্যন্ত ফেসবুক ঘেঁটে ঘুমায় যায়, সন্তান কে সময় দেয়া তাদের দায়িত্তে পড়ে না? এটাও তো অপরাধ। এখন এই দোষে স্ত্রী রাও জামাই দের মেরে আহত করুক।
২৮ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
জারনো বলেছেন:
আমি সেই সব বাবাদের ধিক জানাই যারা সারাদিন অফিস শেষে রাত জেগে অন্য মেয়েদের (তারাও কারোনা কারো বউ, বোন কিংবা মেয়ে) ছবি দেখে স্টাটাসে কমেন্টস দেয়, চ্যাট করে, রোমান্টিক আলাপে রাত পার করে। পুরুষ মানুষ দেশে কিংবা বিদেশে টাকা পয়সা রোজগার করে বউ সন্তানদের ভরনপোষণ করবে বিবাহের সময়তো এমন অঙ্গিকারই করা হয়। বউকে যে স্বামীর প্রতি বিস্বস্ত থাকবে এমন একটা অলিখিত নিয়মও থাকে তাই না? কিন্তু তারা যদি স্বামীর অবর্তমানে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে আর তার বন্ধুদের সহয়তায় সেই বিদেশ ফেরত স্বামীর সকল ধনসম্পদ হাতিয়ে নিতে তাকে পুড়িয়ে মারে তা হলেও তাকে কিছু বলা যাবেনা। কারণ পুরুষ নির্যাতন আইন না থালেও মেয়ে নির্যাতন আইন তো তাকে রক্ষা করবেই। ধিক অতি প্রগতিশীল নারী প্রবক্তাদের যারা নারী পুরুষের বৈষম্য তৈরী করে মানবতাকে কলঙ্কিত করে। যার অনলে মানবসভ্যতা পুড়ে মরে।
চন্ডালিনী নারী, প্রেয়সী না হোক মাতৃরূপে আবির্ভূত হওঃ শান্তিময় হোক দাম্পত্য ও পারিবারিক জীবন, শীতল হোক ধরা
Click This Link
৩৬| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৬
ত্রিনিত্রি বলেছেন: না এটা সাঈদের মোটেও ঠিক হয়নি। বউ যার সাথে খুশি চ্যাট করবে, ফেসবুকে সামাজিক যোগাযোগ রাখবে তাতে তোমার কি? চোঁখে দেখোনা শুধু শুধু স্ত্রীকে সন্ধেহের চোঁখে কেন দেখবে? বউকে এত ভালোবাসতে নেই।
আশ্চর্য ব্যাপার, আপনি কি সাঈদ কেন কাজটি করেছে তার স্বপেক্ষে ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করছেন???? ভালোবাসার এই অবস্থা??? চোখ তুলে নেয়া??
আনুশা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ, ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চাদের মানসিক সমস্যা প্রকট হয়। কিন্তু সেজন্য আপনি রুমানাকে দায়ী করতে পারেন না। আপনার কি একবারো কথাটা মনে হয়েছে যে সাঈদ যে কাজটি রুমানার সাথে করেছে, সেটা এই বাচ্চার মনে কি রকম ছাপ ফেলেছে?? সে যদি ভবিষ্যতে আর কোন পুরুষকে বিশ্বাস না করতে তার জন্য দায়ী কি রুমানা? একটা বুয়েট গ্রাজুয়েট যে কোন কাজ না করে শ্বশুড়ের অন্ন খাচ্ছে, এবং প্রায়ই গায়ে হাত তুলে, তার সাথে রুমানা এতদিন কেন ছিলো? আমার তো মনে হয় বাচ্চার জন্যই ছিলো।
অবশ্য রেজোয়ানা আপুর মন্তব্যের পরে আর কোন কিছু লেখার অপেক্ষা রাখে না।
ইনশাল্লাহ আপনি কন্যা সন্তানের জনক হবেন। এবং তাকে উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে মানুষ করবেন।
২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২৫
জারনো বলেছেন:
ত্রিনিত্রি বলেছেন: আশ্চর্য ব্যাপার, আপনি কি সাঈদ কেন কাজটি করেছে তার স্বপেক্ষে ব্যাখ্যা দেবার চেষ্টা করছেন???? ভালোবাসার এই অবস্থা??? চোখ তুলে নেয়া??
আনুশা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্থ, ব্রোকেন ফ্যামিলির বাচ্চাদের মানসিক সমস্যা প্রকট হয়। কিন্তু সেজন্য আপনি রুমানাকে দায়ী করতে পারেন না।
রুমানা দম্পতির আজকের এই পরিণতির জন্য কে দায়ী তার হিসাব না হয় নাই করলাম। আমার লেখার মূল সাবজেক্ট ছিলো আনুশা। আনুশার সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য শুধু পিতা দায়ী? সংসারটা কি শুধু তার বাবার? মা'য়ের কোন ভুমিকা থাকেনা সংসারে? সত্যিই বড় বিচিত্র এই সংসার জীবন ! সকল দ্বায় দ্বায়িত্ব পালন করবেন পিতা অথচ অতি প্রগতিবাদীদের কারণে তিনি হবেন নিগৃহীত।
আনুশার বাবার তো কোন বদঅভ্যাস ছিলো বলে রুমানা বলেন নি, চরিত্রের দোষ, পরিবাররে প্রতি অবহেলা, কিংবা সন্তানের প্রতি অযত্ন ! তা হলে কেন এমন পিশাচ হয়ে উঠেন বাবারা ?
৩৭| ২৮ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:১৮
অচিন দেশের পাখি বলেছেন: ঘুরিয়ে পেচিয়ে এত কথা লিখার কোন দরকারই আপনার ছিল না। শুধু শুধু সময় নষ্ট করলেন। এক বাক্যে সামারী টানতে পারতেন '' গাছ ও তাল দুই ই আমার বা আমাদের'' বলে।
যত্তসব!!
২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩১
জারনো বলেছেন:
থাকেন অচিন দেশে, সুতারাং দেশের পরিস্থিতি বুঝতে হলে আরও চোঁখ কান খোলা রাখতে হবে। আপনি বলেছেন " এখন এই দোষে স্ত্রী রাও জামাই দের মেরে আহত করুক"
এখন আর সেই দোষ করার প্রয়োজনও পড়েনা। বিনা দোষেও স্বামীকে আগুনে পুড়িয়ে কাবাব করা হয়। তার প্রমানতো দিলাম উপরের লিংক এ। আসলে দেশটা পুরুষতান্ত্রিক হলেও পুরুষের আন্তরিকতা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় নারীরা সবসময়ই প্একটা সুবিধাজনক স্থানে নিজেদের অবস্থান নিরাপদ করে রেখেছেন তাই আপনারদের জন্য নারী নির্যাতন আইন থাকলেও পুরুষদের জন্য শুধুই করুনা !!
৩৮| ২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ৯:২৬
অচিন দেশের পাখি বলেছেন: শেষে একটি কথাই বলা চলে। '' GET WELL SOON'' & ''GOD BLESS YOUR FUTURE DAUGHTER''
২৯ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৪০
জারনো বলেছেন:
দোয়া করবেন যেন আমার কন্যাকে আমি কোন ক্রমেই তথাকথিত প্রগতি বাদী নারী রূপে তৈরী না করি যা তাকে ধর্মীয় অনুশাসন মানতে অবাধ্য করতে বাধ্য করে। আমার মা' যেমন ভাবে পারিবারিক সম্প্রীতি ও স্বদভাব বজায় রেখে চলতে শিক্ষা দিয়েছেন যার সুফল আমরা ভোগ করছি তেমনি আমিও চাইবো আমার কন্যা সেই ভাবেই বেড়ে উঠবে।
"একবার জিহ্বাকে প্রশ্ন করা হলো, ৩২টি হিংশ্র দাঁতের মাঝে তুমি কি ভাবে বাস করো? জিহ্বাবা জবাব দিয়েছে "আমি কখনোই আমার নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করিনা বলেই নীরাপদে আছি"
সুতারাং সবাই যদি তার সীমার মধ্যে থেকে সংসার ধর্ম পালন করে তা হলে সংঘাত হবার কথা নয়। আল্লাহ সীমা লঙ্ঘনকারীকে পছন্দ করেন না।
৩৯| ২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১৬
নাসের০১৯ বলেছেন: আমি একমত লেখকের সংগে!!
২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১০
জারনো বলেছেন:
প্রত্যেকের স্বাধীন মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। তাই পক্ষে বিপক্ষে মত থাকতেই পারে। আমার মতই নির্ভূল তা বলার ধৃষ্ঠতা পোষণ করিনা। পক্ষে বিপক্ষের সুচিন্তিত মতামত ও তর্ক বিতর্কের মাঝ থেকে প্রকৃত সত্যটি বেরিয়ে আসবে যা আমাদের আগামী চলার পথকে সুগম করবে। সুতরাং সকলের মন্তব্য সাদরে গৃহীত হচ্ছে। তবে সকলকে বিনীত ভাবে জানাচ্ছি যে আমার এই পোস্টটি রূমানা কিংবা সাঈদের দাম্পত্য সমস্যার সমাধানের জন্য নয়, কেবল মাত্র তাদের সন্তান আনুশার ভবিষ্যৎ নিয়ে।
সহমত প্রকাশের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
৪০| ২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৪:১৬
২৯ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৯
জারনো বলেছেন:
সুন্দর লিখছ্নে। সত্যি এই মোবাইল ফোন আমাদের মিথ্যা বলাতে বাধ্য করছে। আমরা নিজেদের অজান্তে মিথ্যুক হয়ে যাচ্ছি। কথা বলছি গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে বউকে বলছি অফিসের বস।
৪১| ২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪০
জারনো বলেছেন:
জয় আকবার বলেছেন: কেন এই নির্যাতন? আমরা কি সমাজ থেকে এই রকম লোকদের নিরমুল করতে পারি না?
২৯ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৩
জারনো বলেছেন:
আমাদের অসুস্থ্য মানসিকতা, দাম্পত্য জীবনে একের প্রতি অপরের শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও বিশ্বাসের অভাব আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে দূর্বিসহ করে তুলছে। সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা ও পারিবারিক মূল্যবোধ সমুন্বত করতে পারলে হয়তো এই সমস্যার মোকাবেলা করা সম্ভব তবে তার জন্য আমাদের মানসিকতার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। অতিপ্রগতিবাদী ভাবধারা আমাদের শুধু পিছনের দিকে টেনে নিবে সামনে নয়।
৪২| ৩০ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:২২
নাসের০১৯ বলেছেন: অচিন দেশের পাখি, রূপকথার রাজকন্যা, শেলী বেলী আপনারা শারমিন সোনালী আপুর কাছ থেকে শিখেন। কারন আপনাদের মাথায় ঘিলু কম!! অথবা আপনারা অপরিপকক মানসিকতার অথবা অসুস্থ্য মানসিকতার লোক!!
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন " আমার এবং আমার স্বামীর দুই জনের ই ফেসবুক আছে। আমার ফেসবুকে হাজারের উপরে বন্ধু।" আমার Question
এতো বন্ধু দিয়ে আপনি বা আপনারা কি করেন? এতো সময় কোথায় পান?
০৫ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:২২
জারনো বলেছেন:
নাসের০১৯ দাদা; বন্ধু থাকাতো দোষের নয়। আমি চাই পৃথিবীর সকল মানুষ হোক আমার বন্ধু। তবে বন্ধুত্বেরও মানেটা জানতে হয়। বন্ধুত্বের একটা নির্দ্দিষ্ট গন্ডি থাকে। বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে যত্নসহকারে পরিচর্যা করতে হয়। সীমা পেরুলে বা সীমা লঙ্ঘণ করলে তখন আর
বন্ধুত্ব থাকেনা। লোভ লালসা বন্ধুত্বের মৃত্যু ঘটায়। সুতরাং বন্ধত্ব করুন যত খুশি সীমার মদ্ধে থেকে।
৪৩| ৩০ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
নাসের০১৯ বলেছেন: অনলাইন প্রথম আলো -তে আমি লেখকের মত এ ধরনের মন্তব্য লিখেছিলাম কিনতু তারা রুমানার পক্ষ্ লিখা গুলো ছাপাইছে সাঈদের পক্ষ্ লিখা ছাপায় নাই!! শুধু তাদের মতের গুলো ছাপাইছে!!
এরা হলো ধর্মহীন নাসতিক!! এরাই সমাজের বিশৃংখলা সৃষটি কারি!!
০৫ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৩৭
জারনো বলেছেন:
এটা হলো আমাদের সংকীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা নিজেদের মতকে মনে করি সর্বোতকৃষ্ট। অপরের মতকে আমরা বিবেচনায় আনতে চাইনা। আমরা বলিছিনা যে, রুমানার প্রতি সে পৈশাচিক নির্যাতন করা হয়েছে তা সমর্থন যোগ্য। আমরা তার বিপক্ষে নই। তেমনি ভাবে আমরা সাঈদের বিপক্ষেও নই। আমরা অন্যায়ের বিপক্ষে। আমরা আনুশার পক্ষেও। আনুশার সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করার দ্বায়ভার পিতামাতা উভয়ের উপর বর্তায়। এই অন্যায়ের জন্য একজনকে দায়ী করার সুযোগ নেই। সাঈদ তার কৃত কর্মের জন্য শাস্তি পাবেন এটা যদি আমারা চাই তা হলে তাদের সন্তান কেন তার অধিকার বঞ্চিত হবার ক্ষতিপূরণ পাবে না। সে বঞ্চিত হচ্ছে পিতামাতার স্বেহ থেকে, সে বঞ্চিত হচ্ছে তার মায়ের চোখেঁ সুন্দর পৃথিবী দেখা থেকে। কেন ?
৪৪| ৩০ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৮
নাসের০১৯ বলেছেন: সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে,আবার
সংসার দুখের হয় রমনীর দোষে!!
০৫ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৪০
জারনো বলেছেন:
এর বিপরীত ও হয়। পৃথিবীতে যা কিছু কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
সুতরাং বলতে পারেন, সংসার সুখের হয় পুরুষের গুনে, সংসার ধ্বংশ হয় পুরুষের দোষে।
অবশ্য নারীরা এটা মানবেন কিনা সন্ধেহ আছে। কারণ সংসার নারীরাই পরিচালনা করেন। আর পুরুষ সামলায় বাহির। সুতরাং সংসারের দ্বায়ভারটা নারীদেরই বেশী।
৪৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০১
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: নাসের০১৯@ আমরা সংকীর্ন দুনিয়াতে বাস করিনা। আমি এমন একটা অফিসে কাজ করি যেখানে সাত হাজারের উপরের কর্মী আছেন। তার মধ্যে ৯০ ভাগ ই পুরুষ। অনেকে এই ব্লগেই আছেন। আমি যেসব যায়গায় লেখাপড়া করে এসেছি সেখানেও ছেলেরা ছিল। বন্ধু বানানো, তাদের সাথে সদ্ভাব রাখার ক্ষমতা, তাদের সাথে সম্পর্কের সীমারেখা ব্যপারে ঠিকমতো ধারনা না থাকলে মনে হতেই পারে এত বন্ধু দিয়ে কি হবে!!
০৫ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:০০
জারনো বলেছেন:
আপু শুভ সকাল। ভালো আছেন ? আপনার মন্তব্যের উত্তর নাসের০১৯ ভালো দিতে পারবেন। তবে আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, হাজার হাজার বন্ধু থাকা দোষের নয়। আমিতো চাই পৃথিবীর সকল মানুষকে বন্ধু বানাতে। তবে আপনি নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন যে, বন্ধুত্বের একটা নির্দ্দিষ্ট গন্ডি আছে যার মাঝে থেকে একে পরিচর্যা করতে হয়। যখন আমরা সেই গন্ডিটা পেরিয়ে যাই, লোভ, লালসা ঢুকে পরে বন্ধুত্বের গন্ডিতে তখন সেখানে সংঘাহ হবেই। সুতরাং নিদ্দিষ্ট গন্ডিতে থেকে বন্ধুত্ব করেন যত খুশি তত।
৪৬| ০৬ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৫৯
রূপকথার রাজকন্যা বলেছেন: @লেখক আমিও সে কথাই বলতে চাচ্ছি। হাজার খানেক বন্ধু থাকাটা দোষের না। তবে জানা থাকা জরূরী বন্ধুত্ব কোন লিমিট পর্যন্ত থাকা উচিত। যারা জানেন না তারা বন্ধু বানাতে ও পারেন না আর বন্ধু বানালেও সেখানে গুবলেট পাকিয়ে ফেলেন আর বলতে থাকেন বেশি বন্ধু দিয়ে কি হবে!!
৪৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
আহমাদ জাদীদ বলেছেন: আপনাদের জন্য এই পোস্ট
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জুন, ২০১১ সকাল ১১:৩৬
একলা বগ বলেছেন: এই পোস্টটি আরো আগে মানবী ম্যাডামদের দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু তারা তাদের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার নেশায় এত বিভোর যে সত্যিকারের ছবিটা নিজেরাও দেখতে চান না, মানুষ দেখুক সেইটাও চান না।