নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয়িতা রহমান

জয়িতা রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাঁঠালের পুষ্টিমুল্য ও স্বাস্থ্য উপকারিতা

১৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

কথায় আছে, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তার থেকে দূরে থাকা যায়। তবে শুধু মাত্র আপেল না, আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এমন অনেক ফল রয়েছে যেগুলো খুবই উপকারী। আজ সবাইকে কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতা জানাবো। তার আগে চমকপ্রদ এই ফলটি সম্পর্কে কিছু ধারনা দেয়া দরকার।
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা- এতে থাকা ভিটামিন সি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে এবং রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দৃঢ় করে।
২। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে- কাঁঠালে রয়েছে lignans, saponins ও isoflavones নামক ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট অর্থাৎ এই পদার্থগুলোতে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী রয়েছে। এই পদার্থগুলোর রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধক ক্ষমতা।
৩। হজমে সাহায্য করে- এর আলসার প্রতিরোধক গুনাগুনের জন্য এটি আলসার প্রতিরোধ করতে পারে এবং হজমের সমস্যা দূর করে। এছাড়া কোষ্ঠ্যকাঠিন্য থাকলে কাঁঠাল খেলে তা অন্ত্রের চলাচল সহজ করে।
৪। দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে-এতে থাকা ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজ চমৎকারভাবে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে রক্তের সুগারের মাত্রা কোন রকম না বাড়িয়েই।
৫। উচ্চ রক্তচাপ কমায়- এটি পটাশিয়ামের খুব ভাল উৎস হওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এবং হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
৬।অ্যাজমা প্রতিরোধ করে- গবেষণায় বলা হয়ে থাকে যদি কাঁঠালের শিকড় এবং এর নির্যাস ফুটিয়ে পানিটা খাওয়া হয় তাহলে অ্যাজমা প্রতিরোধ সম্ভব।
৭। রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে- কাঁঠাল রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে এবং এটি দেহের সর্বত্র রক্ত চলাচলে সাহায্য করে।
৮। থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে- কাঁঠাল হচ্ছে কপারের একটি খুব ভালো উৎস ফলে এটি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভালো ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে যেকোনো কড়া ঔষধ খাওয়ার আগে কাঁঠাল খেয়ে দেখতে পারেন।
৯। হাড়কে মজবুত করে- কাঁঠালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম যা ক্যালসিয়াম শোষণ করে। আর ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনকে মজবুত করে এবং হাড়ের বিভিন্ন রোগ যেমন অস্টিওপেরোসিস, আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
১০।ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখা ও বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধে- ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে কাঁঠালে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এতে থাকা পানি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং মুখের ত্বকের নমনীয়তা বজায় রাখে। যার ফলে অকালে ত্বকে বলিরেখা পরে না।
১১। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি- কাঁঠালে ভিটামিন এ থাকার ফলে তা দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত ও শক্তিশালী করে। এছাড়া এটা চোখকে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির মতো ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং চোখের ছানি প্রতিরোধ করে।
১২।পাইলস ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলনের বিষাক্ততা পরিষ্কার করে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আর কাঁঠালে থাকা উচ্চ আঁশ কোষ্ঠ্যকাঠিন্য প্রতিরোধ করে পাইলসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
১৩। গর্ভবতী নারীদের প্রয়োজনে- কাঁঠালে থাকা পুষ্টি উপাদান গর্ভধারণ ও স্তন্যদানকালে বেশ উপকারি। এতে থাকা নায়াসিন গর্ভবতী নারীদের শক্তি বৃদ্ধি করে, হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১৪।অন্যান্য উপকারিতা- কাঁচা কাঁঠাল ও এর বিচিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার শ্বেতসার, আমিষ ও খনিজ পদার্থ। কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের তরকারি রান্না করে খাওয়া যায়।
সৌজন্যে- আইডিয়াল ফিজিওথেরাপি এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার
৯৭/১/এ, শুক্রাবাদ (মেট্রো শপিং মলের বিপরীতে), ঢাকা।
যোগাযোগ- ০১৭৯৬-৫৮৯০১০
email- [email protected]

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.