![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অসম পাহাড়ে সরলভাবে বেড়ে উঠা ছেলে।
কিছুদিন যাবৎ সবার মুখেই একি বাক্য, এবারের বইমেলায় লেখকদের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছেনা। কারন অনেকের অজানা হতে পারে আবার আজানা কারনেও হয়তো লেখকরা উপস্থিত থাকছেননা। যাই হোক লেখদের অনুপস্থিতির কারনে পাঠকরা তো অনুপস্থিত থাকতে পারেনা। তাই আমিও একজন পাঠক হিসেবে গিয়েছিলাম বইমেলায়। কিছু বই দেখতে আর আমার এক বন্ধুবরের সাথে গ্রামে একটা লাইব্রেরী গড়ার স্বপবুনা সেই লাইব্রেরীর জন্য কি বই নেওয়া যায় তা দেখতে।
টিএসসি রাজু ভাস্কর্য থেকে দোয়েল চত্বর এবং বইমেলার চত্বর সবখানেই ল্যাম্পপোস্টে খুব সুন্দর করে পোস্টার টাঙ্গানো "বইমেলা চত্বর সিসি ক্যামেরাই মোড়ানো"। কথাটার অর্থ বুঝতে পারলেও মর্মার্থ বুঝতে একটু কষ্ট হয়েছে। এটাই বুঝলাম না সেই লেখা সম্বলিত ব্যানার কাদের উদ্দেশ্যে টাঙানো হয়েছে(?)। সেটা কি মেলায় আগত পাঠকদের উদ্দেশ্যে না অন্য কোন গোষ্ঠীকে ইঙ্গিত করছে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি লেখক ডক্টর হুমায়ুন আজাদের উপর সন্ত্রাসীদের নিঃসংশ হামলা হয়েছিল এই সিসি ক্যামেরা মোড়ানো নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যেই। অমর একুশে বইমেলায় ঐ দিনটি এখন হুমায়ুন আজাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়। গতবছর ২৬ ফেব্রুয়ারি একই কায়দায় একই স্থানে আবারো সেই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে লেখক অভিজিৎ রায়কে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় যদি নিরাপত্তা থাকে তাহলে ভিডিও ফুটেজ থাকার পরেও এখনো পর্যন্ত কেন সেইসব ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের বিচার হয়নি ? কারো কাছে উত্তর পাওয়া যাবেনা জানি, কারন যে এর কথা তুলবে মৌলবাদীরা তার কপালে চাপাতি বরাদ্ধ করে দেন। আর সেই বরাদ্ধে আমাদের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও বাকবন্দী।
এখন সিসি ক্যামেরাই যদি নিরাপত্তার মাধ্যম হয়ে থাকে তাহলে কি সেটা ব্যানার টাঙিয়ে সবাইকে জানান দেওয়া উচিত ? যদি সন্ত্রাসীদের ধরার ইচ্ছে থাকে তাহলে সেটা কি গোপনে রাখা উচিত নয় কি ? ব্যানার টাঙিয়ে বরং সেইসব সন্ত্রাসীদের জানান দেওয়া হচ্ছে এই এলাকার ভিতর হামলা করলে ধরা খাবা আর বাইরে করলে পালাইতে পারবা। যেমনটা অভিজিৎ রায়ের বেলায় ঘটেছে। রাজু ভাস্কর্যের অদূরেই উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে নিরাপদ ভাবে পালিয়েছে। তাহলে এই লোক দেখানো নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা কোথাই ???
©somewhere in net ltd.