![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুমায়ূন আহমেদের বইগুলোর ক্ষেত্রে এই জিনিসটা বেশি দেখা যায়। সেটা হলোঃ তাঁর কোনো বই একবার পড়া শুরু করলে না শেষ করা পর্যন্ত স্বস্তি পাওয়া যায়না। থ্রিলার ধাঁচের বইগুলোর মতই একটানা পড়ে যেতে হয়। আশ্চর্য জাদুবলে বইয়ের সাথে পাঠককে সেঁটে রাখার ক্ষমতা ছিলো তাঁর কলমের। বলা বাহুল্য, আজকে যে বইয়ের উপরে রিভিউ লিখছি, সেটাও এই ক্যাটাগরির।
দেখা না-দেখা কে ভ্রমনকাহিনী ক্যাটাগরিতে রাখা যায়। কিন্তু, এই বইতে যতটা না আছে কোনো স্থানের বর্ণনা তারচেয়ে বেশি আছে সেই স্থানে গিয়ে লেখক কী করলেন বা না করলেন তার বর্ণনা। বলা ভালো, লেখক স্মৃতিচারণা করেছেন বইটির মাধ্যমে।
অনেক ধরনের ভ্রমনকাহিনী এ পর্যন্ত পড়েছি। অন্নদাশঙ্কর রায়ের "ভ্রমন কাহিনী সমগ্র" পড়েছি, শঙ্করের লেখা "ভ্রমন কাহিনী" ও পড়েছি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "পায়ের তলায় সর্ষে" বইও পড়েছি। সেগুলোর সঙ্গে এই বইয়ের আশ্চর্য পার্থক্য রয়েছে। এরা সবাই লিখেছেন অনেকটা স্থানের বর্ণনা, কিছুটা নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা । হুমায়ূন আহমেদের "দেখা না-দেখা" বইতে অনেকটা লেখকের নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা, কিছুটা স্থানের বর্ণনা।
সুতরাং, বইটিকে অনায়াসেই আত্মজৈবনিক বইয়ের ক্যাটাগরিতেও ফেলে দেয়া যায়।
যাই হোক, মূলবিষয়ে ফিরে আসি। বইটিতে লেখকের চীন ভ্রমনের কাহিনী, ত্রিপুরা ভ্রমনের কাহিনী, সুইজারল্যান্ড ভ্রমনের কাহিনী, আমেরিকা ভ্রমনের কাহিনী, ব্যাংকক ভ্রমনের কাহিনী আছে। সেখানে গিয়ে কী করেছেন বা কী কী সমস্যায় পড়েছেন এবং সেই সমস্যা থেকে মুক্তি কীভাবে পেয়েছেন, কী কী দেখেছেন সেগুলো লেখকের লেখনীর মাধ্যমে উঠে এসেছে আশ্চর্য সাবলীলভাবে।
নিজের সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্যও দিয়েছেন বইটিতে। যেমনঃ এই বই পড়ার আগে আমি জানতাম না যে, লেখক বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের খেলা কখনো মিস করতেন না। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের একনিষ্ঠ সমর্থক। বাংলাদেশ যেদিন ম্যাচ জিততো, সেদিন তাঁর চোখেও আনন্দাশ্রু চিকচিক করতো।
সুইজারল্যান্ডে থাকাকালীন বাংলাদেশ ক্রিকেট টীমের খেলা দেখতে গিয়ে কী নাজেহাল পরিস্থিতিতে তাকে পড়তে হয়েছিলো, তারও উল্লেখ আছে বইটিতে।
এ কথা ঠিক যে বইটা পুরোপুরি ভ্রমনকাহিনী না। আধা ভ্রমনকাহিনী+ আধা আত্মজৈবনিক। লেখক নিজেও বইয়ের এক অংশে এই বিষয়টা স্বীকার করেছেন। তবে, বইটা যে দারুনভাবে উপভোগ্য, এ কথা অনস্বীকার্য।
যদি কারো বইটি পড়া হয়ে থাকে, তাহলে তো ভালোই। আর যদি না পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই পড়ে ফেলুন।
সময়টা ভালো কাটবে।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৬
শুভ-অশুভ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। রাইটার্স ব্লক কাটানোর কাহিনীটা আসলেই সুন্দর ছিলো।
ভালো থাকবেন।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০১
এনামুল রেজা বলেছেন: এখনও পড়া হয়নি, পড়ে ফেলবো শিঘ্রই...
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩০
শুভ-অশুভ বলেছেন: অবশ্যই পড়ে ফেলবেন। "দেখা না-দেখা" দারুন বই।
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০০
লুজার ম্যান বলেছেন: আচ্ছা "উঠান পেরিয়ে দুই পা" এইধরনের একটা বই পরছিলাম স্যার এর ।
এই বইটিতে চীন ভ্রমনের কাহিনী, ত্রিপুরা ভ্রমনের কাহিনী, সুইজারল্যান্ড ভ্রমনের কাহিনী, আমেরিকা ভ্রমনের কাহিনী, ব্যাংকক ভ্রমনের কাহিনী আছে
এই দুইটা বই কি এক ঈ?
আপনেরা কেও দুইটা বই ই পড়ছেন?
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৫
শুভ-অশুভ বলেছেন: "উঠোন পেরিয়ে দুই পা" কোনো উপন্যাসের নাম না। এটা একটা বইয়ের নাম যেখানে হোটেল গ্রেভার ইন, মে ফ্লাওয়ার, দেখা না-দেখা এই তিনটা উপন্যাস একত্রে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আপনি সেই বই থেকেই "দেখা না-দেখা" উপন্যাসটা পড়েছেন। এজন্যই, আপনার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে লেখাটা।
বইটা আবার একটু খুলুন। সূচীপত্রেই দেখবেন, উপন্যাসের নামগুলো লেখা আছে।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:১৪
লুজার ম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ! অনেক আগেই তাহলে দেখা না-দেখা এই বইটা পড়া হয়ে গেছে
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
শুভ-অশুভ বলেছেন: আপনি তাহলে আগেই পড়ে ফেলেছেন।
৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫০
অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:
অনেক ভালো লাগিল ভ্রাতা।
আরো পড়িবারআশা রইল।
তবে ভ্রাতা বই রিভিউ শব্দটা বাংলিশ হইয়া যায়
তাই শব্দটা বুক রিভিউ নয়তো বই আলোচনা হইল সুন্দরম হয়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
শুভ-অশুভ বলেছেন: রিভিউ'র বাংলা কী আলোচনা? আমি সঠিক জানিনা।বাংলিশ লিখতে এমনিতেও ভালো লাগেনা। আপনি যদি অভিধান ঘেঁটে "রিভিউ"র সুন্দর একটা অর্থ বের করে দিতে পারেন, তাহলে কৃতজ্ঞ থাকবো।
ভালো থাকবেন।
৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৩
পড়শী বলেছেন: 'রিভিউ' অর্থ 'পর্যালোচনা' হইতে পারে।
৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৫
শুভ-অশুভ বলেছেন: সেক্ষেত্রে "বই পর্যালোচনা" কথাটা কী মানানসই হবে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৬
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: আমি বইটি পড়েছি। আপনার রিভিউ লেখা ভাল লাগল। স্যার এর রাইটার্স-ব্লকে ধরেছিল- ঐ অংশটাও অনেক ইন্টারেস্টিং। তাছাড়া যে জিনিষটা কখনে াকাউকে বলতে শুনিনা, তিনি সেটা বলে দিয়েছেন। চীনের প্রাচীরকে অভিহিত করেছেন পৃথবীর দীর্ঘতম কবরখানা" হিসেবে; যেটা খুবই সত্য কথা যা কেউ মুখে আনতে চায়না।
যা হোক, ধন্যবাদ আবারও। শুভেচ্ছা রইল।