![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সিলেট থেকে দিরাইর একটি বহমান নদী, আব্দুল করিমের কালনী।
চলচ্চিত্র ও গল্প এ দুটোর সাথে আমাদের সবার পরিচয় আছে। কারো ছবি দেখতে ভালো লাগে কারো উপন্যাস পড়তে। এমনো অনেক আছে যারা দুটোই পছন্দ করেন। তবে এটা ঠিক যে, উপন্যাস বা বইয়ের আবেদন কখনও চিত্রনাট্যের মাধ্যমে পরিপূর্নভাবে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তারপরেও অনেক মুভি আছে যেগুলো দেখার পর বাস্তবতা ও কল্পনার বিভেদ বুঝতে আমাদের বেগ পেতে হয়। মারিও পুজোর গডফাদার, যদিও যারা ছবি ও বই পড়েন তাদেরকে আমার এ সম্পর্কে আর বিস্তারিত বলতে হবে না। একজন লেখকের কাছ থেকে আমরা তাই পাই যে পারিপার্শ্বিক অবস্থানে তার জীবনটা বেড়ে ওঠে। যদিও এ আলোচনাটা গডফাদার রিলেটেড না তারপরেও মারিও পুজোর ফিকশনাল ক্রাইম রিলেটেড এই গল্পটা পড়লে বোঝা যায়, ক্রাইম জগতের সাথে লেখকের কথটা সম্পৃক্ততা ছিলো। এমনকি এই ছবির পরিচালক Francis Ford Coppola স্বয়ং মারিও পুজোকে নিয়েই বেশিরভাগ সিকুয়েন্স ক্যাপচার করেছিলেন। আজকের আমার লিখার উদ্দেশ্য রকি ভালবোয়াকে নিয়ে। মাত্র ছবিটার প্রথম পার্ট দেখেই লিখতে বসা, উদ্দেশ্য আবেগটা থাকতে থাকতেই লিখে রাখা।
বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে তথ্য প্রায় আমাদের হাতের মুটোয় প্রয়োজন শুধু ইন্টারনেট কানেকশানের। যে কোন ছবি দেখার আগেই আইএমডিবিতে ডু মেরে স্কোর পয়েন্ট ও রিভিউ দেখে তার প্রেক্ষাপট আন্দাজ করাটা খোভ একটা কষ্ঠের ব্যাপার না। আমি যেদিন থেকে আএমডিবি চিনছি সেদিন থেকেই দেখছি শোসাঙ্ক রেডেমসন এক নাম্বারেই অবস্থান করছে, তারপর বলতে গেলে গড ফাদারের স্থান দেওয়া যায় কিন্তু যদিও রকি ভালবোয়ার স্কোর ৮.০ এর উপরে তারপরেও আমাদের অনেকের কাছে ছবিটা অজানা। বাঙ্গালিদের চারিত্রিক স্বভাবই বলা যায় তারা ছবির ক্ষেত্রে বিশেষত মারামারি ও উত্তেজনাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। অন্যদিকে বিখ্যাত চলচিত্রকাররা কল্পনা ও বাস্তবতাকে একটি সামন্জস্যপূর্ন অবস্থানে নিয়ে যেতে সর্বাত্নক চেষ্টা করছেন। আর তারই ফলপ্রসু হচ্ছে রকি ভালবোয়া দা লিজেন্ড।
১৯৭৬ সালে ছবিটার প্রথম সিকুয়েন্স বের হয় এরপর যথাক্রমে ১৯৭৯ সালে রকি২, ১৯৮২ সালে রকি৩, ১৯৮৫ সালে রকি৪, ১৯৯০ সালে রকি৫ ও সর্বশেষ ২০০৬ সালে রকি ভালবোয়া বের হয়। মুল চরিত্রে আছেন বিখ্যাত রেম্বো চরিত্রের সিলবার স্টেলন, আসলে রেম্বো থেকে তিনি রকি ভালবোয়া দিয়েই বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছেন। একটি চরিত্রের প্রতি ভালোবাসা, ভক্তির পরিমান কতটুকো হলে সেই চরিত্রে নিজেকে সম্পুর্ন তুলে দরা যায় তা তার অভিনয়েই প্রকাশ পায়। রকি ভালবোয়া একজন মধ্যবয়স্ক বক্সার। সে একাকি একটি ঘরে বেচেলর জীবন যাপন করে। তার বাসার পাশেই ছবিটির কেন্দ্রিয় চরিত্রের নায়িকা তার বন্ধরই বোনের বাসা। তারা দুজনই দিন আনে দিন খায় টাইপের মানুষ যেখানে রকির টাকা উপার্জনের একমাত্র উপায় ছিলো বক্সিং আর নয়তো স্ট্রিট ট্রাবলিং। ছবিটার ঘটনা বলে আপনাদের দেখার মজাটা নষ্ট করতে চাই না তবে প্রথম পার্টের শুরুটা হয় একটা সাধারন বক্সিং ফাইট থেকে, রকির বাসার পাশেই একটা দোকানে সে প্রথম এড্রিয়ানকে দেখে, সে কিছু পশু নিয়ে খেলছিলো। রকিও পশুপাখি ভালোবাসে ও নিজের ঘড়ে কিছু অদ্ভুত প্রানিও পোষে। টারটলস। আসলে এই ছবিটাতে এমন কিছু নেই যা আপনাদের বিশেষ ভালো লাগা দিবে কিন্তু যা আছে তা যে অন্য কোন ছবিতে নেই তা সহজেই স্বিকার করবেন যদি ছবিটা দেখেন। এই ছবিতে আছে বাস্তবতা, ভালোবাসা, স্বপ্ন ও তা বাস্তবায়নের চেষ্টা আরো বিশেষভাবে বলতে গেলে মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে বুঝা। কিছু ছবি আছে যা আমাদের সত্যিই রুমান্টিক করে, এই ছবি দেখার পর আপনি হয়তো প্রিয় স্ত্রির কাছে আরো বেশি অন্যতম হবেন। এই শিক্ষাটা রকি আমাদের প্রথম পর্বে ভালোভাবেই দিতে পারছেন। ছবির শেষের দিকে রকি যখন হেবিওয়েট চেস্পিয়ন হয় তখন দারাভাষ্যকার ও সাংবাদিক থাকে ঘিরে দরেন এবং একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে। এন্ড্রিয়ান দর্শনার্থিদের সাথে বসে বক্সিং না দেখলেও পাশের রুমে অপেক্ষা করছিল শেষ হবার। শেষ হবার পর রকির ভাবনায় শুধু ছিলো এন্ড্রিয়ান! সে বারবার তার নাম দরে ডাকছিলো। গরীবের মাঝেই যে ভালোবাসর রুমান্টিকতা রয়েছে যা উচ্ছবৃত্তের কাছে কখনও কল্পনাই করা যায় না এই ব্যাপারটাই হয়তো রকিকে করেছে অমর তার চিম্পিয়নসিপ নয়। তাইতো রকি বলে আই গট নাথিং বাট হার্ট।
ব্যাক গ্রাইন্ড মিউজিক টেক মি ব্যাক রকির থিম সং গোনা ফ্লাই ছিলো অসাধারন। প্রত্যেকের অভিনয় ছিলো চমৎকার ও বাস্তবসম্মত। আমারতো এমন মনে হচ্ছে বাকি পর্বগুলা দেখার পর হয়তেো গডফাদারকেও আমার কাছে পিছিয়ে দেবে বাস্তবের এই বক্সার রকি। ছবিটা মাস্ট ওয়াচ সবার জন্য। ছোট বড় এমনকি পরিবারের সবাইকে নিয়ে ছবিটা দেখতে পারেন। বিশেষত আপনি যদি নিম্ন বা মধ্যবিত্ত পরিবারের হন আর ভালোবাসার সত্যিকারের স্থানটি নির্নয় করতে চান তাহলে রকিই আপনার ছবি দেখার চাহিদা। দুঃখ থেকে দুর্দশা থেকে কিভাবে দুটি অভাবি হৃদয়ের ভালোবাসা বাদবাকি সবকিছুকে চাপিয়ে সাফল্যের শীর্ষে অবস্থান করে, রকি ও এন্ড্রিয়েন তারই প্রমান। তাই গরীবদের জন্য সুসংবাদ যে ভালোবাসা আমাদের কপিরাইট
২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫১
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
কেবল রকি দেখেছি।
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
কালনী নদী বলেছেন: বাকিগুলাও দেখে ফেলেন খারাপ লাগবে না আশা করি।
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৩৬
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
++++
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১
কালীদাস বলেছেন: খুব আহামরি ভাল লাগেনি পয়লা মুভিটা। আরও যে ছিল জানতাম না।
স্ট্যালোনকে একমাত্র রেম্বোতেই ভাল লেগেছিল। এক্সপান্ডেবলগুলোও খুব আহামরি লাগেনি, মুটামুটি কাহিনী ছাড়া কাহিনী মনে হয়েছে।