![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি আঁকতে ভাল লাগে। সত্য ও সুন্দরের পক্ষে সবসময়।ব্লগ কন্টেন্ট কপি করা নিষেধফেসবুক:https://www.facebook.com/jafarsadikchy/
What is the meaning of life?
"জীবনের অর্থ কি?" এই প্রশ্নটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি করা দশটি প্রশ্নের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে। মানুষ জন্মগতভাবে কোন না কোন সময় জীবনের অর্থ নিয়ে সংশয়ী হয়।
জীবনের সংজ্ঞা খোঁজার জন্য বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন দার্শনিক তত্ত্ব ও মতবাদের সৃষ্টি হয়েছে। আবার অনেক সময় সংশ্লিষ্ট অন্য তত্ত্ব ও মতবাদ থেকেও জীবনের অর্থ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে।
Existential nihilism একটি দার্শনিক তত্ত্ব। জীবনের সংজ্ঞা সংশ্লিষ্ট মানব আচরণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যে সব দার্শনিক তত্ত্বের প্রাসঙ্গিকতা আসে তার মধ্যে যুক্তিবাদীদের কাছে এটি একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব। Existential nihilism মতে, মানুষের জীবনের কোন অর্থ বা মূল্য নেই। প্রতিটি মানুষ এমনকি সমগ্র মানবজাতি অপ্রয়োজনীয়, উদ্দেশ্যবিহীন। মানুষকে পৃথিবীতে ছুড়ে ফেলা হয়েছে প্রকৃতিগতভাবে। আর মানুষ নিজেই জানে না, সেটা কেন। আলবেয়ার কামু এই তত্ত্বের ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি বুঝিয়েছিলেন যে, মানুষকে অবশ্যই অস্তিত্বের অযৌক্তিকতা (Absurdity) এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়। আর ধর্ম এবং অধিবিদ্যা (Metaphysics) দু'টোই মৃত্যু ভয়ের ফলাফল ছাড়া আর কিছু নয়। তার মানে এটা নয় যে মানুষের জীবনের কোন অর্থ নেই।
প্রকৃতিগতভাবে জীবনের অর্থহীনতাকে আবিষ্কার করতে গিয়ে প্রসঙ্গ টানা হয় Existentialism বা অস্তিত্ববাদ তত্ত্বের। গত শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় তত্ত্ব ছিল এটি, যা মানুষকে তার ব্যক্তিসত্তা সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। এ তত্ত্বের ধারণাটি প্রথম দেন সোরন কিয়ের্কেগার্দ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জ্যঁ পল সার্ত্রে এবং আলবেয়ার কামুর হাত ধরে তা ফ্রান্স-কেন্দ্রিক বিকশিত হয়। অস্তিত্ববাদ মতে, মানুষ নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য দিয়ে জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য খুঁজে নেয় এবং তার যে কোন কার্যকলাপের জন্য সে নিজেই দায়ী থাকে। সেক্ষেত্রে বলা যায়, "What is the meaning of life? প্রশ্নের উত্তর হতে পারে, "Whatever you want it to be."
অস্তিত্ববাদ মতে, ব্যাক্তিসত্তা সার্বিক সত্তার পূর্বগামী এবং নৈতিকতা বা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে অস্তিত্ববাদীরা অতিমাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক। সুতরাং জীবনের অর্থ হল শুধুমাত্র একক ব্যক্তির জন্য। সেটা হতে পারে নিরীশ্বরবাদী হয়ে কিংবা পরকাল এবং নিজের কর্মফলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে। ধর্মও এটাকে পুঁজি করে নিজস্ব ধারণা তৈরী করে নিয়েছে। পশ্চিমে Christian Existentialism একটা জনপ্রিয় ধারণা।
আলবেয়ার কামুর Absurdism তত্ত্বের ধারণাটি সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মনে হতে পারে। তিনি মানুষের জীবনের অর্থ জানার আগ্রহ এবং অক্ষমতা দুইটার মধ্যে যে দ্বন্দ সেটাকে Absurd বলে অভিহিত করেছেন। Absurdity বলতে এখানে 'লজিক্যালি ইম্পসিবল' বুঝানো হচ্ছে না, বরং 'হিউম্যানলি ইম্পসিবল' বুঝানো হয়েছে। তার মানে মানব জীবনের সার্বজনীন অর্থ যে নেই তা কিন্তু নয়। অর্থ হয়ত থাকতে পারে, কিন্তু সেটা মানুষ এবং মহাজগত দু'টোরই অস্তিত্বগত বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণের কারণে হয়ত বুঝা সম্ভব হচ্ছে না। তাই মানুষ Absurdity এর মুখোমুখি হয়েও জীবনের কোন অর্থ বের করতে পারে না।
কিয়ের্কেগার্দ এবং কামু এই Absurdity কাটিয়ে ওঠার ৩টি সমাধানও দিয়েছেন।
(১) আত্মহত্যা করা, নিজেকে শেষ করে দেয়া। জীবনের অর্থ থাকা না থাকার দ্বন্দে আত্মহত্যা করা বা না করার মধ্যে কোন বিবেচ্য পার্থক্য থাকে না।
(২) ধর্মে বা অলৌকিকতায় বিশ্বাস করা। ধর্মের শাস্ত্র বা নীতি দিয়ে জীবনের অর্থ রচনা করা তথা পরকাল ও কর্মফলে বিশ্বাস করা এবং সে মতে জীবন যাপন করা।
(৩) Absurdity এর মধ্যেই জীবন কাটিয়ে দেয়া। যুক্তিবাদীদের কাছে এটাই সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত। কামুর মত অনেক Absurdists মনে করেন, মানুষের জীবনের Absurdity কে মেনে নিয়েই পাশাপাশি জীবনের অর্থ খোঁজার কাজটা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
জীবনের অর্থ নিয়ে সবচেয়ে ভাল উক্তিটি হয়ত Colorado State University এর দর্শনের প্রখ্যাত প্রফেসর Donald A. Corsby এর দেয়া এই উক্তিটি,
"There is no justification for life, but also no reason not to live. Those who claim to find meaning in their lives are either dishonest or deluded. In either case, they fail to face up to the harsh reality of the human situation".
"জীবনের কোন অর্থ বা যৌক্তিকতা নেই। তাই বলে জীবন উপভোগ না করারও কোন কারণ নেই। যারা জীবনের অর্থ খুঁজে পেয়েছে বলে দাবী করে তারা হয় মিথ্যা বলছে অথবা কোন মিথ্যা বিষয়ে বিশ্বাস করছে। দু'টো ক্ষেত্রেই তারা মানব জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবেলা করতে বিফল হয়।"
তথ্যসূত্রঃ
১. The 10 Most Asked Questions in the World, URL: http://shadesbreath.hubpages.com/hub/The-Top-10-Questions-of-Life-Answers-from-Science-and-Other-Disciplines
২. http://en.wikipedia.org/wiki/Existential_nihilism
৩. Introduction to Modern Literary Theory, Kristi Siegel, URL: http://www.kristisiegel.com/theory.htm#exist
৪. http://en.wikipedia.org/wiki/Meaning_(existential)
৫. http://bn.wikipedia.org/wiki/Absurdism
৬. Donald A. Crosby. "The Specter of the Absurd: Sources and Criticisms of Modern Nihilism". State University of New York Press.
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:১৮
লাভলু জাফর সাদিক চৌধুরী বলেছেন: আইনস্টাইন তার এক বন্ধুর মৃত্যুতে বলেছিলেন,
“Now Besso has departed from this strange world a little ahead of me. That means nothing. People like us … know that the distinction between past, present and future is only a stubbornly persistent illusion.”
আইনস্টাইন ঠিকই বলেছিলেন। বর্তমানে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, আসলেই মৃত্যুই শেষ নয়, বরং এটি একটি ইল্যুশন মাত্র। আমরা ছোটবেলা থেকে মৃত্যুকে শেষ মনে করে বড় হয়েছি তাই আমাদের মনে হয় যে মৃত্যুই বুঝি সবকিছুর ইতি। কিন্তু না, মানুষের জন্ম যেভাবে এই ইউনিভার্সের অংশ, এই ইউনিভার্সের উপাদানে মানব শরীর তৈরী, ঠিক তেমনই মৃত্যুর পরও সে এই ইউনিভার্সের অংশ হবে। মাঝখানে শুধু কিছু সময়কে আমরা বাস্তবতা বলে ভুল করি, নিজেদের মত করে চিন্তা করতে শিখি। হয়ত এটাই বাস্তবতা নয়।
নেইল টাইসন এর একটা প্রখ্যাত উক্তি,
"We are all connected;
To each other, biologically
To the earth, chemically
To the rest of the universe atomically..."
এটা নিয়ে Biocentrism আইডিয়ার জনক রবার্ট ল্যাঞ্জা এর একটা চমৎকার লেখা আছে এখানে পড়তে পারেন।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: জীবনের অর্থ হচ্ছে জীবনের অর্থ খুজে বেড়ানো।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৯
বীরেনদ্র বলেছেন: বাঙ্গালীর জীবন হল- আহার, নিদ্রা এবং মৈথুন- কোন এক বাঙ্গালী মনীষি (নাম ভুলে গেছি) বাঙ্গালীর জীবনের উপর এমনই মন্তব্য করেছিলেন।
নিকোলাই অস্ত্রভস্কীর " ইস্পাত" উপন্যাসে পড়েছিলাম "জীবন একটাই, তাই সে জীবন এমন ভাবেই বাচা উচিত যাতে তা মানুষের জন্য ভাল কিছু করে"
"জন্মিলে মরিতে হবে/ অমর কে কোথা কবে?" সুতরাং মরার পর বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হল মানব কল্যানে কীর্তি।
আমার বিশ্বাস হল - জীবনের মানে কর্ম, তুমি যা করে যাবে সেটাই হল তোমার জীবন।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৬
নিমচাঁদ বলেছেন: ম্যাকবেথ র কথা ভুলে গেলেন ?
She should have died hereafter;
There would have been a time for such a word.
Tomorrow, and tomorrow, and tomorrow,
Creeps in this petty pace from day to day,
To the last syllable of recorded time;
And all our yesterdays have lighted fools
The way to dusty death. Out, out, brief candle!
Life's but a walking shadow, a poor player
That struts and frets his hour upon the stage
And then is heard no more. It is a tale
Told by an idiot, full of sound and fury
Signifying nothing. — Macbeth (Act 5, Scene 5, lines 17-28)
উক্তিটি শুনতে ভালো লাগে কিন্তু বিশ্বাস করি না ।আমার কাছে জীবন হলো একটা ক্ষণস্থায়ী স্থান যেখানে আপনি আহার , নিদ্রা, মৈথুনের চেয়ে কর্ম টা যতোটা গুরুত্বপুর্ণ , ততোধিক গুরুত্বপুর্ণ নেক্সট এপিসোডের জন্য উপর ওয়ালা র বিধি বিধান গুলো খুব করে মেনে চলা । উপর ওয়ালা যতো কিছু করতে বলেছেন , কর্ম তার একটা অংশ ।তাই যত যোগ বিয়োগ কষে বলেন না কেনো , আমি নাস্তিক , এই পৃথিবীতে আমার অবস্থান এখন ই শেষ, মৃতুর পরে আর কোন 'দুনিয়া নাই , এই 'আপনি' কিনবা 'আমরা' কিন্তু শেষ কথা নয় ।ভালো ভালো কর্মের মাধ্যমে , ধর্ম পালনের মাধ্যমে আপনাকে , সেই কারিগরের উপাসনা করতে হবে , যিনি আপনাকে একটা খেলা ঘরের মধ্যে বসিয়ে প্রাক্টিস করাচ্ছেন ।আমি আজকের জন্য বাঁচতে চাই না , আমি প্রতিদিনের জন্য বাঁচতে চাই, আমি এমিবা থেকে জন্ম নেই নাই ,মানুষের ভ্রুণে আমার জন্ম , তাই যতোদিন এই খেলা ঘরে আছি , সকল মঙ্গলময় কাজ গুলু করে যেতে চাই, যা করতে উপর ওয়ালা বলেছেন ।
বাই দ্যা ওয়ে , বীরেন বাবুর মুখে এটা কি শুনলাম >"সুতরাং মরার পর বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হল মানব কল্যানে কীর্তি।<
দাদা , আপনি আস্তিক হলেন কবে ?? আপনি আর আপ্নারা আস্তিক হলেতো , Mephistopheles রেষ্ট পেয়ে যাবে ?? উনারে এতো রেষ্ট দেওয়া তো ঠিক না , ঠিক না
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ১:৪১
বীরেনদ্র বলেছেন: @ নিমচাঁদ সাহেব,
মরার পর বেঁচে থাকার মধ্যে আস্তিকতার কি খুজে পেলেন বুঝলাম না। নাস্তিকতা মানে কর্মহীনতা এটাই কি আপনার ধারনা?
আপনার মত ধার্মিকের সমস্যা এখানেই। ধর্ম ছাড়া মানব কল্যান সম্ভব না এটাই আপনার ভুল ধারনা। আমার ধারনা হল যারা ধার্মিক তারাই ধর্মকে বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে নিজের অপকর্মকে ঢাকা দিতে।
যেটা নাস্তিকের দরকার পড়ে না। মানূষ নিজস্ব কারনেই নৈতিক ধর্মের কারনে নয়।
আপনারা যখন আছেন Mephistopheles বা Satan রেস্ট পাবে না নিশ্চিত থাকুন।
জীবন সম্পর্কে অনেক মনীষির অনেক বক্তব্যই পাবেন
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ২:১৭
নিমচাঁদ বলেছেন: লেখক অফটপিক কথার জন্য আগেই ক্ষমা চাচ্ছি ঃ
বীরেন বাবু ,
০১) আসল কথাটি এড়িয়ে অনেক ঘোর প্যাচের মধ্যে গেলেন।কর্মযোগ ত ধর্মের অংশ , নাকি কোন ধর্মে কর্ম করতে বাধা আছে ?নাকি ধর্ম কর্মের পথে অন্তরায় ?আপনার কথাটি কোট করেছি ।কেন? কারণ নাস্তিক তো পরকালের তত্ত্ব কপচায় না ,সেতো মরণের সাথেই লীন । তাই আপনার কলমে মরণের পরের বেঁচে থাকার কথা শুনে ভাবিলাম, বাবু র বোধ হয় বোধ ফিরিয়াছে ।
০২) হীরক রাজার কথাই বলি , "যতো বেশী জানে , ততো কম মানে "। এই জন্য দাদা আমরা ধর্মকে বেশী মানি, পাপী তাপী বান্দা আমরা ।ধর্ম ছাড়া গতি কোথায় ! galapogos tortoise বাঁচে ২০০ বছর , আর দাদা এত জেনে আপনি কি ২০০ বছর বাঁচবেন ?যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ করে যতই প্রমাণ করেন না কেন , ঈশ্বরবিহীন অস্তিত্ব, জীবনে কোন না কোন সময় উচ্চারণ করেছেন 'নিয়তি'। এইখানে সমস্ত লজিক ফেল ।ক্ষমতা নিজের হাতে থাকলে তো ,এতো ভালো ডাক্তার হয়ে , নিজেকে অমর করতে পারতেন , কিন্তু ঈশ্বরের হাতে ওইখানে ধুতির কিছু অংশ সাত পাকে বাঁধা।
হৃদয়ের ওই যায়গাটায় ঈশ্বরের বসবাস, দাদা।
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ রাত ৩:২৪
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: ক্ষমতা নিজের হাতে থাকলে তো ,এতো ভালো ডাক্তার হয়ে , নিজেকে অমর করতে পারতেন
কথাটা পছন্দ হইছে নিমচাঁদ ভাইকে প্লাস!!!
আজকে যে বেপরোয়া বিচ্ছু
শান্ত সুবোধ হবে কাল সে,
চোখের সঙ্গী হবে চশমা
চল্লিশ পেরুলেই চালশে।
৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:০৫
বীরেনদ্র বলেছেন: জনাব নিমচাঁদ কর্মযোগ শুধুমাত্র ধর্মের অংশ কেন হবে তার ব্যাখ্যা দিন। ধর্ম ছাড়া কি কর্ম হয় না? আইনস্টাইন নাস্তিক ছিলেন কিন্তু তার কর্ম আপনার যে কোন ধার্মিকের চেয়ে অনেক বেশী। এখানেই আপনার ভুল।
অনিশ্চয়তার দোহাই দিয়ে আর কত ধর্মবানী শোনাবেন? আমি যেমন ২০০ বছর বাচার নিশ্চয়তা দিতে পারি না তেমনি আপনি ও পারেন না, এবং আপনার আল্লাহ ও পারেন না। অর্থাৎ আপনার সমস্ত বক্তব্য হচ্ছে অনিশ্চয়তাকে ভিত্তি করে।
আর ডাক্তারের নিশ্চয়তার কথা বলি। আমি যখন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হই তখন বাংলাদেশীদের গড় আয়ু ছিল ২৭ বছর, আজ ৬৫ বছর এটা নিশ্চয়ই আপনার আল্লাহ করেন নি? আপনার আল্লাহ তখনো ছিলেন এখনো আছেন।
এবার নিশ্চয়তার কথা বলুন। আগুনে হাত দিলে হাত পুড়বে। আপনি করে দেখান যে পূড়বে না , বা আপনার আল্লাহ না পোড়ার নিশ্চয়তা দেবেন?
হৃদয়ের ঐ যায়গায় ঈশ্বরের বসবাস? ঈষ্বর তো নিশ্চিত যায়গায় বসবাস করেন না, কারন আমরা নিশিতকে জানি। অনিশ্চয়তাকে নিয়ে ঈশ্বর বলুন , আল্লাহ বলুন তা আপনি যেমন প্রমান করতে পারবেন না তেমনি আমি ও প্রমান করতে পারব না। অনিশ্চয়তা কিছুই প্রমান করে না।
১৫ ই আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:২০
লাভলু জাফর সাদিক চৌধুরী বলেছেন: বীরেনদ্র দা, চমৎকার বলেছেন।
৯| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১২ ভোর ৫:১৬
বীরেনদ্র বলেছেন: জনাব নিমচাঁদ আমি কিন্তু পরকালের বানী কপচাই না। কর্মের মধ্যে মানুষ বেচে থাকে বলেছি। আমি নাস্তিক এবং আপনি ধার্মিক বা আস্তিক। আমরা দুজনেই মারা যাব টিকে থাকবে আপনি যা করেছেন বা আমি যা বেচে থাকা কালীন করেছি। আমি চিকিৎসা করে যে রোগীটাকে ভাল করেছি তার কাছেই আমি বেচে থাকব , তাতে অবশ্য আমার কিছু যায় আসে না কারন আমি তখন থাকব না, থাকবে আমার কীর্তি।
আইনস্টাইন বেচে আছেন তিনি যা করেছিলেন তার জন্য এটা কিন্তু পরকালের বানী নয়। এটা পৃথিবীর ইহকালের বানী।
১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
রসিক বাঙ্গাল বলেছেন: ভাল লাগলো। কামুরে খুব ভালা পাই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভালো লাগলো। বেঁচে থাকার আসলে কোনো মানে আছে কিনা আমি জানি না। তবে আমরা সকলেই যেহেতু প্রকৃতির ইচ্ছায় চলছি। তাই প্রকৃতির একটা ইচ্ছা পূরণের অংশ হিসেবে আমাদের বেঁচে থাকতে হয়। জীবনের মানে হলো কিছু না। আর এই কিছু না কে বড় করে না দেখে কিছু একটা করার সমস্ত চেষ্টায় লিপ্ত থাকার নামই জীবন। যদিও এই কাজটাই হয়ে উঠে মাত্র গুটি কয়েক লোকের।
আমরা কেন বেঁচে আছি এর চেয়ে বড় আমরা কেন বেঁচে থাকতে চাই? সময়কে উতরে যেতে চাই। নিজেকে বাচিয়ে রাখতে চাই মহাকালের মাঝে। যেহেতু মৃত্যুর চেয়ে সত্য আর কিছু নেই। তাই এই সত্যকে আমরা মিথ্যা প্রমানিত করতে চাই। এই সত্যকে মিথ্যা প্রমানিত করতে চাওয়াই হলো জীবনের মানে, অথবা জীবনের দর্শন। নয়তো এখনকার জীবন এতো সুন্দর হতো না। এতো এতো আবিষ্কার হতো না। জীবন এতো মধুর হতো না বা জীবন এতো কষ্টের সর্পিল বাঁকে এসে থমকে দাড়াতো না। সুন্দর, আশঙ্কা অথবা হতাশায়।
হ্যাপি ব্লগিং। (আমি যা লিখলাম তা একটা ঘোরের মধ্যে। দ্বিতীয়বার পড়ে সঠিক করার ইচ্ছে করছে না। ভুল হলে পড়ে শুধরে নেয়া যাবে।)