সোনার বাংলার সাথেই আছি।

২৯ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

আমরা সবাই বাংলাদেশী।আমাদের পরিচয় এই যে আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের দেশপ্রেম আর ভাষাপ্রীতি এখন শুধুমাত্র বইয়ের পাতায়,সভা-সেমিনারে বক্তাদের ভাষণে,পত্রিকার পাতায় আর কবিতার খাতায়!যেন এই গুটিকয়েক মানুষ বাংলাদেশকে নিয়ে বলার, লেখার ও ভাববার সর্বসাকুল্যে বাংলাদেশের দায়িত্ব গ্রহন করে বসে আছেন!
৮০/৯০-এর দশকের একটি বিখ্যাত গানের কথা "প্রতিদিন কত খবর আসে যে খবরের পাতা ভরে,জীবন পাতার কতনা খবর রয়ে যায় অগোচরে!" এই কথার সাথে মিল রেখেই বলছি, প্রত্যেকটা দিন খবরের কাগজ খুললেই দেখতে পাচ্ছেন কতই না খবর! কত মৃত্যু, কত নির্যাতন,কত হাহাকার,কত দূর্ঘটনা,কত রক্তপাত, কত হয়রানি আরও কত কি -ই না ঘটে যাচ্ছে এই দেশে, সেই খবরগুলো নিয়ে কি কখনও চিন্তা করেছেন?কখনও কি ভুক্তভোগীর জায়গায় নিজেকে বসিয়ে দেখেছেন ঐ জায়গায় আপনি থাকলে কি করতেন,কি হত আপনার পরিবারের অবস্থা যদি হঠাৎ কোন একটা দূর্ঘটনায় নিভে যেত আপনার জীবনপ্রদীপ!!!মনে হয়না!এসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করার মতো সময় আপনার কাছে নেই আর হবেও না! আমরা এমন একটা জাতি, যারা গলায় কাটা লাগার আগে সাবধানে খাইনা কারন আমরা বড্ড বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকি যে আমাদের গলায় কাটা লাগতেই পারেনা! কিন্তু যখন সত্যিই গলায় কাটা লেগে যায় তখন চিৎকার, চেঁচামেচি শুরু করে দেই কিভাবে তা বের করা যায়। গলায় কাটা লাগার পড়ে এত মাতামাতি করার কারণে নিজের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হয় আর এই মাতামাতিটাই যদি কাটা লাগার আগে আমরা করতাম অর্থাৎ সাবধানতা অবলম্বন করতাম, তাহলে আমাদের এই পরিস্থিতির মুখমূখী হতে হতোনা!
ঠিক তেমনিভাবে কেউ একজন পত্রিকায় পড়েছেন যে,ঈদের সময় তাড়াহুড়ো করে বাড়ীতে যাওয়ার জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ-এর ট্রেনের ছাদে বসেই অনেক যাত্রী রওয়ানা হয়েছেন প্রিয়জনের সাথে ঈদ উৎযাপন করতে যাচ্ছেন অনেক মানুষ! কিন্তু পথিমধ্যেই ট্রেনের আচমকা ঝাকুনি খেয়ে ছাদের মানুষগুলোর মধ্যে ৪-৫ জন নিচে পড়ে গিয়ে ট্রেনের চাকায় পিস্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান! যার ফলে তাদের পরিবারের কাছে যে ঈদ ছিল আনন্দঘন, তা বেদনাময় রূপ ধারন করে!
খবরটি পড়ে ঐ ব্যক্তি বরাবরের মতই অবহেলা করলেন এবং তার নিজের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন! হঠাৎ এক ঈদে তার ও ময়মনসিংহ(তার গ্রামের বাড়ী) যাওয়ার প্রয়োজন পড়লো, না গেলে চলবেই না এরকম অবস্থা।সে আজ টিকেট করবো, কাল,না পরশু এমন করতে করতে শেষমেষ ঠিক ঈদের আগেরদিন টিকেট করতে গেলো।অনেক কষ্টের বিনিময়ে টিকেট পেলো, তবে বসতে হবে ছাদে! সেতো টিকেট পেয়ে মহাখুশি! একলাফে ট্রেনের ছাদে উঠে গেলো।এতদিনে সে ভুলেই গেছে সেই ট্রেন দূর্ঘটনার কথা!এইসব ঘটনা কে-ই বা মনে রাখে বলুন?কিন্ত কাকতালীয়ভাবে তার এবং তার পরিবার-পরিজনের ভাগ্যেও!কিন্তু একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে ভাগ্য বদলাবে সেটা বলছিনা, তবে হয়ত জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো!
আমি চাইনা সবাই দেশের জন্য জীবন দিয়ে দিক।কারণ,সেই ভাগ্য বা পরিস্থিতি এখনও আমাদের কাছে আসেনি! তবে "আমরা একটু সাবধানতা/সতর্কতার সাথে চলাফেরা করলে হয়তো সোনার বাংলার শরীরে দূর্ঘটনা নামক কাদার ছিটা একটু হলেও কম পড়তে পারে। আর আমরা প্রাণখুলে বলতে পারি,সোনার বাংলার সাথে আছি"।
] আমার আরও লেখা পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
ধন্যবাদ সবাইকে,,,,[/si

০ টি +০/-০