![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সভাপতি, ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি
১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ সকালে ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, সেন্টহুড পাওয়ার ব্যাপারে মাদার টেরিজা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করেছেন। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁকে সেন্টহুড বলে ঘোষণা করা হবে। ফলে বেশ কয়েক বছর পর ফের নতুন করে টেরিজাকে নিয়ে শুরু হয়েছে হইচই।
বিষয়টি নিয়ে বিবিসি রেডিওতে বাংলা এবং ইংরেজি নিউজে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি প্রবীর ঘোষের ইন্টারভিউ প্রচারিত হয়েছে ভারতীয় সময় সন্ধ্যে ৭টায়। তাতে প্রবীর ঘোষ জানিয়েছেন, “মাদার টেরেজা নিজে কোনও দিনই ‘মিরাকেল’-এ বিশ্বাস করতেন না। অসুখ হলে আধুনিক চিকিৎসার সাহায্য নিতেন”।
এর আগেও ২০০২-এ মাদার টেরেজার ‘অলৌকিক ক্ষমতা’র প্রমাণ হিসেবে হাজির করা হয়েছিল মালদার নাকোড়ের আদিবাসী রমণী মণিকা বেসরাকে। সেই সময় পৃথিবীর সমস্ত মিডিয়া মণিকা বেসরাকে খুঁজে বেরাচ্ছে। কিন্তু তাকে ধরা যায় নি। ধরলেন প্রবীর ঘোষ। মালদায় গিয়ে মণিকা বেসরার বর সেলকুর সঙ্গে দেখা করলেন। সেলকু যা যা বলে যাচ্ছেন গোপনে তা সবই ক্যামেরায় তুলে রাখা হচ্ছিল। সেলকু খবর দিলেন, ওদের ক্রিশ্চান হওয়ার জন্য মিশনারিজ অফ চ্যারিটি টাকা দিয়েছে, বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য টাকা দিয়েছে, খেত কিনতে টাকা দিয়েছে এমনকি প্রতি সপ্তাহে গাড়ি করে এসে আনাজপাতি কিনে দিয়ে যায়।
১৯৯৮-এ মণিকা বেসরা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল চিকিৎসার জন্য। অসুখটা টিবি। পেটে একটা মাংসপিণ্ড ধরা পড়েছিল আলট্রাসোনোগ্রাফিতে। টিবির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে এই মাংসের দলা বা মাংসপিণ্ডের উৎপত্তি। চিকিৎসা করেছিলেন প্রাথমিক পর্যায়ে ডাঃ আশিস বিশ্বাস। তিনি ডাঃ রঞ্জন মুস্তাফির কাছে মণিকাকে পাঠান। রঞ্জন মুস্তাফি চিকিৎসা করেন। পরবর্তী সময় মণিকা শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানেও একই কথা বলা হয়- রোগটা টিবি। মণিকার স্বামী সেলকু মুর্মুর কথা অনুসারে, হাসপাতাল থেকে ৯ মাস খাওয়ার জন্য অনেক রকম ওষুধ দিয়েছিল। মণিকা ওষুধ খেত। মণিকা ওষুধেই সেরেছে। এক দিনে টিউমার সেরেছে, এমন কিছু দেখিনি।
বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার ১১ মাস পরে মণিকা আবার বালুরঘাট হাসপাতালে যান। সেখানে দ্বিতীয়বার মণিকার আলট্রাসোনোগ্রাফি হয়। টিউমারের অস্তিত্ব ধরা পড়েনি। মণিকার ডাক্তারদের মত, টিবি আজকাল অতি সাধারণ রোগ। ওষুধ খেয়েছেন, সেরেছেন। টিবির উপসর্গ টিউমারও সেরে গেছে। এর মধ্যে অলৌকিক কিছু নেই।
ভ্যাটিকান সিটি এই টিউমারকে প্রথমে ক্যানসার হিসেবে প্রচার করে। পরবর্তীকালে পিছু হটতে বাধ্য হয়।
সারা বিশ্বে প্রচার হতেই শোরগোল পরে গেছিল। সেই সময় বিবিসির ভারতের প্রতিনিধি সুবীর ভৌমিক এটা নিয়ে এমন তোলপাড় করলেন যে ক্যাথলিকদের মধ্যেই এ নিয়ে বিভাজন হয়ে গেল পোপ পিছু হটতে বাধ্য হন।
এখন আবার ব্রাজিলের একজনকে হাজির করেছে ভ্যাটিকান সিটি। মাদারের কৃপায় তার নাকি মাথার একাধিক টিউমার সেরে গেছে। তার নাম, ঠিকানা অত্যন্ত গোপন রেখেছে। বিবিসি রেডিও থেকে প্রবীর ঘোষের ইণ্টারভিউ নেওয়ার প্রেক্ষিতে প্রবীর ঘোষ জানান, “আমি চ্যালেঞ্জ করলাম ভ্যাটিকান সিটিকে। আমার বা কাঁধের হাড় পাঁচ টুকরো হয়ে গেছে একটা অ্যাক্সিডেন্ট-এ। এটা ১ বছর আগের ঘটনা। মাদারের মিরাকেল ঘটিয়ে আমার কাঁধটা সুস্থ করে তুললে আমি স্বীকার করে নেব মাদারের অলৌকিক ক্ষমতা আছে। পোপ কি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন?”
কিছু খবরের লিংকঃ-
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির ওয়েবসাইটের নিউজ লিঙ্কঃ-
http://www.srai.org/মাদার-à¦à§à¦°à§à¦à¦¾à¦à§-পà§à¦¨à¦°à¦¾à§-সà§/
২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
লিও কোড়াইয়া বলেছেন: মিথ্যে আর ভন্ডামী দিয়ে পৃথিবী ভরা।
৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২২
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধর্ম চলে গাজোয়ারী করে ।
৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
ইমরান আশফাক বলেছেন: ভাটিকানের কথা কি আর বলবো, যীশুর একেশ্বরবাদী প্রচারকে ত্রিতত্ববাদে পরিনত করেছে গোজামিল দিয়ে।।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে তারা রয়েছে কুয়োর সর্ব নিম্ন স্তরে, তারা কখনোই কুয়া থেকে বের হতে চায় না, তাদের চোখ আছে কিন্তু তারা দেখে না। তাদের কান আছে কিন্তু তারা শুনে না, তাদের শিক্ষা আছে কিন্তু তারা শিক্ষিত না। তাদের মন আছে কিন্তু তারা ভাবে না। এরাই তো কুয়ার গহীন অন্ধকারে বসবাসকারী ধর্মীয় জীব। আর এরা কখনো পথও খুঁজে পাবে না কারণ তারা অন্ধ এবং তারা অন্ধই থাকত চায়। এদের জন্য রয়েছে গহীন অন্ধকার কুয়া আর তারা সেখানেই বসবাস করবে সারাজীবন।
আল-সমন্বয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
নতুন বলেছেন: প্রবীর ঘোষ জানান, “আমি চ্যালেঞ্জ করলাম ভ্যাটিকান সিটিকে। আমার বা কাঁধের হাড় পাঁচ টুকরো হয়ে গেছে একটা অ্যাক্সিডেন্ট-এ। এটা ১ বছর আগের ঘটনা। মাদারের মিরাকেল ঘটিয়ে আমার কাঁধটা সুস্থ করে তুললে আমি স্বীকার করে নেব মাদারের অলৌকিক ক্ষমতা আছে। পোপ কি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন?”
যেই পোপ নিজেই অসুস্হ হলে ডাক্তারের পরামশে` ওষুধ খান তিনি কিভাবে চ্যালেন্জ নেবেন??
যদি মাদারের অলৌকিক ক্ষমতায় এই সব রোগ ভালো হতে পারে... তবে আরো যদ সেন্ট আছে তাদের কৃপায় তো পোপের কখনো অসুস্হ হবার কথা না...
অলৌকিকতা পুরাই ভন্ডামী