![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটি জিনিসের শেষ আছে, একমাত্র আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি চিরস্থায়ী।
ছোট বেলা থেকেই একটি শিশু অনুকরণ-অনুসরণ করতে শিখে। যা বলতে শুনে তাই বলে, যা করতে দেখে তাই করে। অর্থাৎ ছোট বেলায় তাকে যা শেখানো হয় সে তাই শেখে। তাকে যে বিশ্বাসে বিশ্বাসী করে তোলা হয় সে বিশ্বাসেই সে বড় হয়ে উঠে।
হযরত শায়খ সাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে ছোট বেলা থেকেই ওলী আল্লাহগণ উনাদের দরবার শরীফ-এ নিয়ে আসা যাওয়া কর। এতে সে যদি বড় ওলীআল্লাহ নাও হয় তথাপি সে গুমরাহ হবে না, তার আক্বীদা বিশুদ্ধ থাকবে।
উল্লেখ্য, ইহুদী-মুশরিক-নাছারারা মুসলমানদের প্রতিটি বিষয় খুব গভীরভাবে ফিকির করে এবং মুসলমানদের কৌশলগুলো রপ্ত করে সে কৌশলগুলোই সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মুসলমানদের ঈমান-আমল বিধ্বংস করতে প্রয়োগ করে।
ইদানিং দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকায় আর্ট স্কুলের ছড়াছড়ি; এমনকি শিশু স্কুলগুলোতেও চিত্রাঙ্কন নামে একটি বিষয় রাখা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে ও স্কুলগুলোতে ঐ কোমলমতি শিশুদেরকে বিভিন্ন ছবির পাশাপাশি প্রাণীর ছবি অঙ্কনও শিখানো হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয় যেখানে শিশুরা প্রাণীর ছবি আঁকে।
অথচ হাদীছ শরীফ-এর শিক্ষা- ‘ছবি তোলা, আঁকা হারাম’; ‘কিয়ামতের ময়দানে ঐ ব্যক্তির সবচাইতে বেশি শাস্তি হবে যে ছবি তোলে, আঁকে’ ইত্যাদি ইসলামী শিক্ষা কিন্তু তাদেরকে দেয়া হয় না।
এবং এসব শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে প্রাণীর ছবি আঁকার মত কঠিন গুনাহ সম্পর্কেও সতর্ক করা হয় না, বিরত রাখার ব্যবস্থা করা হয় না।
বলাবাহুল্য, এই কোমলমতি নিষ্পাপ শিশুরা তাদের অজান্তেই অভ্যস্ত হয়ে পরে হারাম আমলে এবং তাদের মনে-মগজে তাদের অজান্তেই ছবির প্রতি মুহব্বত সৃষ্টি হয়ে যায়।
ফলশ্রুতিতে ঐ শিশু তার জীবনের প্রথম ধাপেই হারামে মশগুল হয়ে হাদীছ শরীফ বিরোধী আক্বীদা-আমলে অভ্যস্ত হয়, যা মূলতঃ তার মুসলমানিত্বের উপরই চরম আঘাত।
কিন্তু আফসুসের বিষয়! ঐ শিশুদের অভিভাবকরা এ ব্যাপারে চরম গাফিল। তাদের অন্তরে এ ব্যাপারে কোন বোধদয়ই নেই যে, তার নিষ্পাপ সন্তান তাদের গাফলতির কারণে আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তথা ইসলাম বিরোধী কাজে মশগুল হয়ে বেড়ে উঠছে।
কাজেই, প্রত্যেক অভিভাবককেই এ ব্যাপারে এখনই সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে, তাদের সন্তানদেরকে হারাম কাজ থেকে বাঁচাতে এখনই উদ্যোগ নিতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ হারাম কাজের শিক্ষাদান বন্ধ করার জোরালো প্রতিবাদ জানাতে হবে।
আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আমাদের সকলকে ছবির ফিৎনা থেকে হিফাযত করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
কলাবাগান১ বলেছেন: বাংলা তো এখন ও আফগান হয় না... সেই পর্যন্ত্য ওয়েট করুন