নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুসলমান, আমি শ্রেষ্ঠ

জীবন কখনোই সংগ্রাম বিহীন হতে পারে না

বিদ্রোহী বীর

প্রতিটি জিনিসের শেষ আছে, একমাত্র আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুহব্বত ও সন্তুষ্টি চিরস্থায়ী।

বিদ্রোহী বীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবী থেকে প্রতি মাসে প্রথম চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার স্থানটি কখনোই নির্দিষ্ট নয়। যারা বলে, ‘মধ্যপ্রাচ্যেই চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হবে এবং হয়’- প্রকৃতপক্ষে তাদের মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও নেই

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:১৪

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘সাবধান! মিথ্যাবাদীদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত।’

নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই মিথ্যা হচ্ছে সমস্ত গুনাহর মূল।’

পৃথিবী থেকে প্রতি মাসে প্রথম চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার স্থানটি কখনোই নির্দিষ্ট নয়।

যারা বলে, ‘মধ্যপ্রাচ্যেই চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হবে এবং হয়’- প্রকৃতপক্ষে তাদের মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও নেই।

আসন্ন পবিত্র রবিউছ ছানী মাস উনার চাঁদ প্রথম দৃশমান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে- আগামী ১৪ তাসি’ ১৩৮০ শামসী সন, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী সন, ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ; পৃথিবীর উত্তর-পূর্ব অংশে। এর পূর্বে কোনো চাঁদ দেখার ঘোষণা হবে নিছক মিথ্যা দাবি।

পৃথিবী থেকে প্রতি মাসে প্রথম চাঁদ দৃশ্যমান হওয়ার স্থানটি কখনোই নির্দিষ্ট নয়। যারা বলে, ‘মধ্যপ্রাচ্যেই চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হবে এবং হয়’- প্রকৃতপক্ষে তাদের মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণাও নেই।



পৃথিবীর কোনো স্থান থেকে চাঁদ প্রথম দৃশ্যমান হওয়ার বিষয়টি অনেকগুলো বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। যেমন সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স, চাঁদের উচ্চতা, কৌণিক দূরত্ব, সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য, আকাশে ধূলাবালির পরিমাণ ইত্যাদি। আবার চাঁদের ঘূর্ণন এবং অসমগতি, পৃথিবীর ঘৃর্ণন এবং সমগতি এ বিষয়গুলোও জড়িত।



চাঁদ কোনো মাসে পৃথিবীর পূর্ব প্রান্তে দেখা গেলে পরের মাসে আবার তা পৃথিবীর সর্ব পশ্চিম প্রান্তেও দেখা যেতে পারে। দেখা যাওয়ার স্থান প্রতি মাসেই পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণে সরে যায়।



যদি পৃথিবী এবং চাঁদের গতি অসম না হয়ে নির্দিষ্ট হতো, যদি চাঁদ এবং পৃথিবীর ঘূর্ণন পথ উপবৃত্তাকার না হয়ে বৃত্তাকার হতো, তবে প্রতি মাসে একটি স্থানে চাঁদ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতো। কিন্তু বাস্তবে যেহেতু তা নেই, তাই নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ মধ্যপ্রাচ্যে সবসময় চাঁদ দেখার দাবির বিষয়টি সঠিক নয়।



আর যদি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ বা বিশেষভাবে সউদী আরব প্রতি মাসেই প্রথম চাঁদ দেখার দাবি করে, তবে অবশ্যই সে দাবি মিথ্যা এবং এ ব্যাপারে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মিথ্যাচারের কারণে ক্ষমা চাওয়া ফরয-ওয়াজিবের অন্তর্ভুক্ত।



বাংলাদেশ পবিত্র রবিউছ ছানী মাস উনার চাঁদ তালাশ করবে আগামী ১৪ তাসি’ ১৩৮০ শামসী সন, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ঈসায়ী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি বা সোমবার শরীফ। সেদিন চাঁদের বয়স হবে ২৭ ঘণ্টা ১৯ মিনিট। দিগন্ত রেখার উপর চাঁদের উচ্চতা হবে ১৪ ডিগ্রি। কৌণিক দূরত্ব হবে ১৫ ডিগ্রি ২১ মিনিট। চন্দ্রাস্ত ও সূর্যাস্তের সময়ের পার্থক্য হবে ১ ঘন্টা ৯ মিনিট। আকাশ পরিষ্কার থাকলে সেদিন চাঁদ দেখা যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। সূর্যের আযিমাত হবে ২৫৫ ডিগ্রি এবং চাঁদের আযিমাত হবে ২৫৮ ডিগ্রী। অর্থাৎ চাঁদের অবস্থান হবে সূর্য অস্ত যাওয়ার সামান্য ডানে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.