নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জগতের সব কাজই আমি পারি না। অনেক কাজে অলস হলেও লিখতে কখনও ক্লান্তি বোধ করি না। এতে করে আমার সময়গুলো ভালো কাটে।
সুমির মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা যে কী বা কেমন তা কোনো সংজ্ঞায় ফেলতে পারিনি আমি। কেউ কেউ অবশ্য বলতে চেষ্টা করেছে সম্পর্কটা তো দেবর ভাবি তা গাঁয়ের সবাই জানে। তা অবশ্য জানে সবাই যে আমরা দেবর ভাবি। বাস্তবেও তাই। আমার বয়সে সাত-আট বৎসর বয়সের বড় চাচাতো ভাই গরিবুল্লার স্ত্রী সে। কিন্তু দেবর-ভাবির যে মধুর একটি সম্পর্ক সাধারণত থাকে বা কোনো পরিবারে থাকে সাপে-নেউলে আমাদের সম্পর্কটা তেমন কিছু ছিল না। কেমন একটি অদ্ভুত সম্পর্ক যা কোনো সম্পর্কিত সংজ্ঞায় ফেলা যায় না। প্রথম দিকে তার সঙ্গে হাই-হ্যালো টাইপ আলাপ ছিলো মাত্র। কিন্তু কখন যে তা এমন একটি অদ্ভুত পর্যায়ে এসে ঠেকেছিল তা সঠিক মনে করা আমার পক্ষে কঠিন।
লোকচক্ষুর আড়ালে কোনো বিষয় নিয়ে আমাদের কথা বলবার প্রয়োজন হয়নি কখনো। তার মেয়েরা বা স্বামীও এমন দোষের কিছু খুঁজে পায়নি। একবার নিজের সহোদরের স্ত্রীর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে বেশ হাসাহাসি করছিলাম, তা দেখে মা বিরক্ত হয়ে বা রাগ করে বলে উঠেছিলেন, জঙ্গলে যা শয়তানেরা! আরেকবার আরেক ভাবির পাশে শুয়েছিলাম বলে তাও ভালো দৃষ্টিতে দেখেন নি। বেশ কিছু কথা শুনিয়েছিলেন যা অপমান জনক। আমার সেই একই মা সুমির মায়ের সঙ্গে রাতভর উঠোনে বসে কথা বললেও কিছুই বলেন নি বলে অবাকও হয়েছিলাম বেশ।
মাঝে মাঝে আমি অবসর থাকলে সুমির মা’কে নিয়ে ডাক্তারের কাছে কখনো বা তার বাপের বাড়ি এমন কি আত্মীয়-স্বজনের বাড়িও যেতে হয়েছে। অবশ্য শুরুটা তার শাশুড়ি অর্থাৎ গরিবুল্লা ভাইয়ের মা-ই করেছিলেন। সেবার কী একটা অসুখ নিয়ে ভুগছিল সে। এলোপ্যাথি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করেও কোনো ফল না পাওয়াতে অনেক দূর কোনো এক কবিরাজের বাড়ি নিয়ে যেতে খুব করে ধরেছিলেন। বলেছিলাম, গরিবুল্লা ভাইয়েরে পাঠান না। ভালো হইবো!
-আর গরিবুল্লা। বলেছিলেন চাচি, হ্যায় তো আল্লা-রসুলই মানে না আবার ঝাড়-ফুঁকের কবিরাজ! হ্যায় কইছে যাইবো না। বউডার কষ্ট দেখলে আমার সহ্য হয় না বাপ! যা তুই!
সেই থেকেই শুরু। ধীরে ধীরে নানা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আমাকেই তার সঙ্গী হতে হয়েছে। শেষটায় কোনো কোনো ভাবি আর বোন সম্পর্কের কেউ এ নিয়ে নানা ইয়ার্কি আর টিপ্পনী কাটতে আরম্ভ করলে চাচিকে বলেছিলাম। তার স্বামীকেও বলেছিলাম। কিন্তু তাদের একই জবাব ছিল, আমরা জানি না তুই কিরাম?
তারপর থেকে আর অজুহাত চলে না আমার। সুমির মায়ের একটা ভালো নাম আছে রুবী বলে। কিন্তু সবাই তাকে সুমির মা বলেই ডাকে। এমন কি আমিও তাকে ভাবি বা রুবী বলে ডাকতে পারি নি কখনো। কিন্তু তবু এ নিয়েই একদিন আমাকে তুমুল সংকটে পড়তে হবে কখনো ভাবনায় আসেনি। সংকটটা অবশ্য তৈরি হয়েছিল আমার ঘর থেকেই। যা অন্যান্যদের কাছে নির্দোষ তা-ই আমার ঘরে বিশাল এক সংকটের জন্ম দিয়ে গেল যা থেকে আমার বা আমাদের উত্তরণের কোনো উপায় জানা নেই।
বিশেষ করে ঘরের বউ যখন তার স্বামীর গতিবিধি আর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে সেখানে আর কারো যুক্তি-তর্কের বা সাক্ষী-প্রমাণের কানাকড়ি মূল্য নেই। প্রশ্নটা স্বামী-স্ত্রীর মাঝখানে ঘুরে ফিরে আসবেই। এমন কি কখনো কখনো একটি অদৃশ্য দেয়াল তুলে দেবে দুজনের মাঝে। আমার উত্তর সন্তোষ জনক মনে না হলে আমার স্ত্রীকে আর কিছু বলার আগ্রহ খুঁজে পাই না। তবু তার জিজ্ঞাসা থামে না, কে বেশি ইম্পরট্যান্ট তোমার কাছে, আমি নাকি সুমির মা?
সুমির মায়ের বুকের ভেতর কোন কষ্টের কাঁটা দিনদিন বেড়ে উঠতে থাকে আমার কাছে তা স্পষ্ট হতে থাকে ধীরে ধীরে। কিন্তু আমার স্ত্রীর বুকের খাঁজে কোন ধরনের কষ্ট শিকড় মেলে তা থেকে যায় আমার অজ্ঞাত। যে কারণে আমার স্ত্রীর জিজ্ঞাসার সন্তোষ জনক জবাব আসলে কী হবে আমি ভেবে পাই না। আমার কাছে দুজনের ইম্পর্টেন্স দু রকমের। দুজনের প্রতি আমার বোধও ভিন্ন রকমের। তবু তার প্রশ্ন থামে না। আমি দিনরাত খুঁজে বেড়াই বেড়াই মনের নানা অলিন্দে সেই জিজ্ঞাসার উত্তর। কাপড়ের ওপর দিয়ে বোঝা যায় না কাপড়ের নিচে কোনো দাগ কিংবা ক্ষত আছে কি না। তেমনই সবার দৃষ্টিতে ঢাকা পড়ে থাকে আমার যাবতীয় ব্যক্তিগত সংকট।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর। ভালো থাকুন।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা হঠাৎ করে থেমে গেলো কোনো পরিণতি ছাড়াই (যদিও শেষ প্যারাটাতেই তা খোলসা করার চেষ্টা আছে)। এতে ঘটনার কেবল অবতারণা দেখলাম, কোনো বিস্তৃতি নেই।
আপনার লেখার ব্যাপারে কিছু বলার নেই- আপনার তুলনা আপনি নিজেই।
শুভ কামনা জুলিয়ান ভাই।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সোনাভাই, ঘটনা এখানেই। ব্লগরব্লগর হিসেবে ট্যাগ করছি।
মা সংক্রান্ত পোস্ট বাড়ানোর উদ্দেশ্যে লেখা, সার্চ দিলে যেন গুগল মিয়ার চোখে পড়ে সেই উদ্দেশ্যে লেখা।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকেন সব সময়।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৮
মামুন রশিদ বলেছেন: কিছু কিছু সম্পর্ক আসলেই জটিল এবং ব্যাখ্যাতীত ।
লেখাটা মনে হয় আরো কিছুদুর যেতে পারতো ।
জুলিয়ান ভাইকে খুব একটা দেখিনা আজকাল ।
ভাল থাকবেন ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন রশিদ।
সামুতে কম আসি আমার দোষ আছে কিছুটা যার নাম ব্যস্ততা আর কিছুটা আছে সামু মিয়ার। আমার যখন ব্লগিঙের সুযোগ হয় তখন তিনি মুখ ফিরিয়ে থাকেন।
সব মিলিয়েই আমাদের সাক্ষাৎ কম হচ্ছে ইদানীং। আশা করি আবার সময় দিতে পারবো।
ভালো থাকুন ততদিন।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। দেবর ভাবির জটিল সম্পর্ক সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মা নিয়ে আরও লেখা চাই জুলিয়ান ভাই। বাবা নিয়ে লিখে ফেলেছি একটা অং বং টাইপ গল্প।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দেবর-ভাবির এই সম্পর্কটা সত্যিই জটিল।
আপনাকে ধন্যবাদ। আর বাবা নিয়ে আপনার লেখাটা অবশ্যই পড়বো।
ভালো থাকুন সব সময়।
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ দুঃস্বপ্ন০০৭। ভালো থাকুন সব সময়।
৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর। দেবর ভাবির জটিল সম্পর্ক সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন.........সহমত ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।
৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
সম্পর্কের জটিলতায় অনেক জটিল হয়ে গেছি আমরা
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব। আমরা মানুষরা আসলেই জটিল।
৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সম্পর্কটা একটা বিভ্রান্ত বিন্দুতে এসে থেমে যায়, না পারছে এপাশে গড়াতে, না পারছে ওপাশে ফেরত যেতে। সংকট সবার আড়ালে থেকে আরও বিস্তৃত হতে থাকে।
জটিলতা তুলে এনেছেন পরিষ্কারভাবে। ভালো লাগল প্রিয় জুলিয়ান।
শুভেচ্ছা।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শঙ্কু। অনেক সময় এমন জটিলতা আমাদের অনেককেই আক্রান্ত করে।
ভালো থাকুন।
১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৩
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ভাল গল্প। আরএকটু বড় হলে ভাল লাগত।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৪৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু আমি তো ভাবছি আর একটু বড় হলে আপনার এ আক্ষেপটা থাকতো না।
ভালো থাকুন সব সময়।
১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
গল্পের শেষটা এভাবে করলেন কেন জুলিয়ানদা? গল্পটা অনেক দিকেই তো টেনে নেয়ার স্কোপ ছিল।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৫৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম।
স্কোপ তো এখনো আছে। কিন্তু আমি এভাবেই শেষ করতে চেয়েছি। পাছে লেখাটি গল্প হয়ে উঠতে ব্যর্থ হয় বলে ট্যাগও করিনি গল্প হিসেবে। আর উপরে সোনাভাইয়ের কমেন্টে বলেছি এটা উদ্দেশ্যমূলক লেখা।
ভালো থাকুন সব সময়।
১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:০৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভালোইতো পড়ছিলাম, কিন্তু হঠাৎ যেন শেষ হয়ে গেল।
আপনার লেখা আগে পড়িনি, কেন পড়া হয় নি বুঝতে পারছি না! চমৎকার লেখেন তো আপনি! সংলাপগুলো এত্ত ন্যাচারাল লাগছিল! বেশ মসৃণ গতির গল্প। শুভেচ্ছা রইল।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ভালোইতো পড়ছিলাম, কিন্তু হঠাৎ যেন শেষ হয়ে গেল।
-আকস্মিক সমাপ্তি নাকি সাডেন এন্ডিং বলে পুরোনো একটি রীতি, কেউ কেউ তাদের গল্পে ব্যবহার করেছেন। তা ছাড়া এটা নিয়ে বেশি লেখার ইচ্ছেও ছিল না।
কেন আপনি পড়েন নি? প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা যা বলেন তা করাটা আমার পক্ষে অনুচিত কর্ম বলেই বিবেচিত হবে। এখন তো পড়ে ফেললেন। সঙ্গেই থাকুন।
অফুরান শুভ কামনা থাকলো আপনার জন্যেও।
১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১৫
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: শেষ প্যারাটা বেশ ভালো লাগলো।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ ইসহাক খান।
গল্পের শেষ প্যারাটাই অনেক সময় একটি গল্পের প্রাণ হয়ে উঠতে পারে।
ভালো থাকবেন সব সময়।
১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: গল্পটার মজাটাই মনে হয় শেষ প্যারাতে।
যতই ব্যস্ততা থাকুক, জুলিয়ান দা নিয়মিত থাকুক ব্লগে এটাই চাই।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ কা_ভা।
আমি তো আছিই অনিয়মিত হলেও।
ভাল থাকুন সব সময়।
১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
নষ্টছেলে তানিম বলেছেন: আর একটু পরিস্কার হওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে আমার মনে হচ্ছে
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৩
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন সব সময়।
১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৭
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: স্বামী স্ত্রী আর প্রেমিক প্রেমিকার সম্পর্কে একটাই সমস্যা যে একচ্ছত্র আধিপাত্যেই সম্মানবোধ আর তা নিয়েই সংকট। মানবিকতা কিংবা মানুষের সহজাত গড়ে উঠা কোন সম্পর্কই এখানে ৃহীত হয় না। এক্ষেত্রে নর কিংবা নারী মানুষ নয় কেবলই স্বামী কিংবা প্রেমিক এবং স্ত্রী কিংবা প্রেমিকা। হা হা
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৩৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে বাঁধন অনেক সময় খুব বেশি টাইট হয়ে যায়, ফলে যাকে টাইট দেওয়া হলো তার শ্বাস-প্রশ্বাস চলছে কি না তাও দেখার প্রয়োজন মনে করে না অনেকে।
ভাল থাকুন বইঞ্জান।
১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
মাহবুব আলী বলেছেন: জুলিয়ান সিদ্দিকীর কাছে থেকে যে ধরনের লেখা পাই, এটা তেমন নয়; তাই প্রত্যাশা পূরণ হলো না। তবু ধন্যবাদ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৫৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি নাই সে আমার ব্যর্থতা ভাইজান।
তবে এটাকে গল্প হিসেবে ট্যাগ করি নাই। কিন্তু কেমন হয় পাঠক কী বলেন, সে কৌতূহল থেকেই মাঝে মাঝে এমন লেখা লিখি। বিশেষ করে মা সংক্রান্ত লিঙ্ক বাড়ানোর জন্যেই এ লেখা।
ভালো থাকবেন সব সময়।
১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
ঢাকাবাসী বলেছেন: জটিল! ভাল ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। ভালো থকবেন সব সময়।
১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১০
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: কিছু সম্পর্ক আছে যা প্রচলিত সম্বোধন দিয়ে ডাকা যায় না, কিছু আছে যার কোন নামই হয় না। অন্যদিকে কিছু সন্দেহ আছে যার কোন উত্তর হয় না, একটি সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
এমন একটি জটিল বিষয় কারও পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব হবে না, এখন হবে! এরকমভাবে ব্যাখ্যা করা থাকলে সম্ভব। গল্পকারের কৃতীত্ব
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আসলে সম্পর্কের মাঝে সন্দেহ যদি আসে তাহলে সন্দেহবাদীরা সম্পর্কটা ভেঙে দিলেই হয়তো তা সবার জন্যে মঙ্গলময় হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু তারা তা করবে না। পুরোপুরি আঁকড়েও থাকবে না আবার একেবারে ছেড়েও যাবে না। তাহলে তেমন সম্পর্কের বোঝা কি দিন দিন ভারী হয়ে উঠবে না?
ভাল থাকবেন ডাক্তার।
২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:২২
এহসান সাবির বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব বলেছেন:
সম্পর্কের জটিলতায় অনেক জটিল হয়ে গেছি আমরা
ঈদের আগাম শুভেচ্ছা....!!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৮
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সাবির। ভালো থাকুন। ঈদের শুভেচ্ছা থাকলো আপনার জন্যেও।
২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১২
শ্যামল জাহির বলেছেন: যদিও অদ্ভুত, সাপে-নেউলে সম্পর্ক- এমন না। আবডালে ফিসফিস করার দরকার হয়নি কখনো।
পাড়ার লোকের ঈর্ষা; সন্দেহ বা ঠাট্টা মূলক কথাকে পাত্তা দেননি চাচী বা গরিব ভাই। কারণ- তারা জানেন আমি কেমন মানুষ। আমার মা কিংবা সুমী’রা দোষ পায়নি কখনো।
আমাকে অন্য ভাবিদের সাথে মিশায় অপছন্দ ছিল মায়ের। হয়তো শয়তান ভর করতে পারে বা অশালীন কিছু ঘটার ভয়েই! কিন্তু সে মা’ই সুমী’র মায়ের সঙ্গে উঠোনে বসে রাতভর কথা বললেও কিছু বলেননি।
মা’রা জানেন প্রত্যেক সন্তানের চরিত্র। পাশাপাশি জানেন/খেয়াল করেন কোন ঘরের বউ কেমন!
কোন কোন সুমির মায়েদের বা রুবিদের স্বামির প্রকৃত দায়িত্ব অবহেলার কারণে রুবির শাশুড়িরা বাধ্য হয়েই অসুস্থ অসহায় রুবির জন্য কাছের কারোর (বিশ্বস্ত+বুদ্ধিমান+দায়িত্বশীল ভেবে) শরণাপন্ন হোন।
সে থেকেই সুমির মায়ের প্রতি কিছুটা দায়িত্ব এসে যায় আমার উপর।
সমস্যাঃ স্ত্রী’র সন্দেহ। স্বামীর গতিবিধি আর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা।
স্ত্রী’র জিজ্ঞাসাঃ কে বেশি ইম্পরট্যান্ট তোমার কাছে, আমি নাকি সুমির মা?
আমার বক্তব্যঃ আমার কাছে দুজনের ইম্পর্টেন্স দু রকমের। বোধও ভিন্ন রকমের দুজনের প্রতি।
স্ত্রীর জিজ্ঞাসার সন্তোষ জনক জবাব আসলে কী হবে আমি ভেবে পাই না। আমি দিনরাত খুঁজে বেড়াই মনের নানা অলিন্দে সেই জিজ্ঞাসার উত্তর।
আলোচনাঃ প্রতিবেশী বা চাচাতো ভাইয়ের বউ হিসেবে মানবিক কারণে সাহায্য করা কর্তব্যের মধ্যে পরে। তবে, বাধ্যতামূলক না। আর আমার কাছ থেকে সুমির মা বা রুবিদের একটু সাহায্য পাওয়া- করুণা-ই বলা যায় বটে।
সুতরাং সুমির মায়ের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা করুণার।
স্ত্রী বৈধ সঙ্গী। তার প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য বাধ্যতামূলক। স্ত্রী স্বামির; স্বামি স্ত্রী’র বাঁধন সীমায় থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
দাম্পত্যজীবনে স্বামির উপর ভুতের আছর আসুক বা স্বামির ছায়া ভিন্ন কারো উপর অশ্বারূঢ় হোক তা কোন স্ত্রী’ই চায়না।
অন্য নারী’র সঙ্গে করুণার দায়ীত্বটাকেও ভিন্ন মাত্রায়(দোষের) দেখে স্ত্রী। কোনভাবেই অন্ন নারী’র উপস্থিতি সহ্য করতে পারেনা। অতএব, যতই সন্তোষমূলক জবাব দেই, গৃহ্য করবেনা বউ।
উত্তরণঃ সংযত হওয়া; কৌশলী হওয়া।
আল্লাহ্ই জানে আমার গিন্নী জানি কেমন হয়। বিয়াই করুম না আর! করুণার পাত্রী সুমির মাও যেন না আসে আমার জীবনে!
ঈদ মোবারক প্রিয় জুলিয়ান ভাই!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:১২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: সবার জীবনে গিন্নী নাও জুটতে পারে, তেমনই ভুল করে উঁকিও না দিতে পারে সুমির মায়েদের মতো কেউ।
বিয়েকে ভয় পাবার কিছু নাই। সেটা থেকে বাঁচবার পন্থা আবিষ্কার করতে পারলেও বিনা আয়াসে পাওয়া যাবে আরেক ধরনের কফিন।
ভালো থাকুন সব সময়।
২২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মিথোজীবিতা কিভাবে গড়ে ওঠে ? এটা বোধ হয় প্রকৃতিক নিয়মেই হয়। একই সম্পর্কের সবাই সমান মূল্যায়ন পায় না। কেউ বেশি মূল্যায়ন পায়। কিংবা কোন রক্ত সম্পর্ক ই নেই সেও দেখা যায় অনেক কাছের মানুষের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার। ভালো থাকবেন সব সময়।
২৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
শায়মা বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা ভাইয়া।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:৩০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা। অনেক ভালো থাকুন।
২৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
জুন বলেছেন: অত্যন্ত স্বাভাবিক এই পরিনতি আমাদের সমাজে । যে যাই বলুক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বামীরাও কিন্ত মেনে নেবে না বউ এর অমুক ভাই প্রীতি।
সুন্দর লিখেছেন সম্পর্কের টানাপোড়েন। তবে আরেকটু বড় হলে ভালো লাগতো।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০১
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আমরাই কিন্তু সম্পর্কগুলোর ভেতর জটিলতা সৃষ্টি করি। কেউ মনে মনে পুষি, কেউ বা প্রকাশ্যে অভিযোগ করি। অথচ ভেবে দেখলে ধরা পড়ে উন্মুক্ত ব্যাপারগুলোতে জটিলতা তৈরি হবার সুযোগ নেই।
তবু আমাদের টানাপোড়েন থেকেই যায় নানা ভাবে।
ধন্যবাদ আপু। ভালো থাকবেন সব সময়।
২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
আরজু পনি বলেছেন:
না হয় সব ব্যাখ্যা নাই হলো...তবুও অনেক কিছুই বলা হয়ে যায় এভাবেই ...গল্পটা এজন্যেই ভালো লাগলো বেশি ।
ইদ পরবর্তী শুভেচ্ছা রইল ।।
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৪:০৫
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ আরজুপনি। ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা থাকলো আপনার জন্যেও।
২৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৮
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: লেখাটা ভালো লাগলো ভাইয়া। সহজ কিন্তু অনেক ভাবনার !!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: দেরি হয়ে গেল উত্তর দিতে।
ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়। ভালো থাকুন সব সময়।
২৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: শুভ কামনা রইল লেখালেখিতে।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: আপনাকে স্বাগতম সামুতে।
২৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: কিছু কিছু সম্পর্ক এমনই হয়, অসংজ্ঞায়িত, নিঃস্বার্থ। কিন্তু তারপরেও প্রশ্নের জন্ম দেয়।
ভাল লেগেছে গল্পটা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ সমুদ্র কন্যা। আসলে সবার জীবনেই দেখা যায় দু একটা নিঃস্বার্থ সম্পর্ক থেকে যায়। যেখানে কোনো এক পক্ষের কোনো রকম প্রত্যাশা থাকে না। তবু আমরাই আবার সে সব সম্পর্কগুলোকে জটিল করে ফেলি।
ভালো থাকুন সব সময়।
২৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
মশিকুর বলেছেন:
গল্পে পাঠকের জন্য অনেক স্পেস রয়েছে। গভীরতার বিবেচনায় গল্পটি ভালো লাগলো।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ মশিকুর। পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গির ওপরও অনেকটা নির্ভর করে গল্পের আকৃতি আর প্রকৃতি। চিন্তাশীল মানুষের কাছে যা পড়তে ভাল লাগবে টাইম-নাই প্রকৃতির মানুষের কিন্তু সে সব দেখেও জ্বর চলে আসতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।