নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
Who is the owner of INTERNET...
প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ইন্টারনেট ছাড়া বর্তমান যুগে এককদম চলা অসম্ভব। বর্তমানে এমন কোনো কাজ নেই যেটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা সম্ভব নয়। বিশেষত লক ডাউনে থাকাকালীন আমরা ইন্টারনেটের গুরুত্ব সম্পর্কে আরো বেশি করে অবগত হয়েছি। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা, বাজার সওদা সবই ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুব সহজে করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ভেবে দেখেছেন যে এই "ইন্টারনেটে"র মালিক কে?
ইন্টারনেটের মালিক কে জানার আগে ইন্টারনেট কি সেটা সংক্ষেপে জেনে রাখা দরকার। বিষয়টা খুবই জটিল যা আমার মতো বাংগালের পক্ষে বোঝা যেমন দূরহ, তেমনি ব্যাখ্যা দেওয়াও অসম্ভব। তবুও আমার মতো কম জানাদের জন্য যা সহজবোদ্ধ তাই বলছি-
ইন্টারনেট হলো একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে পৃথিবীর সমস্ত কম্পিউটার ও মোবাইল ডিভাইস মাকড়সার জালের আকারে একে-অপরের সাথে যুক্ত। ষাটের দশকে আমেরিকার ডিফেন্স অর্গানাইজেশন নেটওয়ার্ক সিস্টেম নানাবিধ কারণে পারস্পরিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যেত। তাই এই অসুবিধা দূরকরতে আমেরিকার ডিফেন্স অর্গানাইজেশন একটি নতুন টেকনোলজির উদ্ভাবন করে। আমেরিকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটার একে অপরের সাথে ভূগর্ভস্থ তারের মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে খুব সহজেই তথ্য আদানপ্রদান সম্ভব হয়। এরপর সত্তর-আশির দশকে 'Cold War' শেষ হওয়ার পর থেকেই এই টেকনোলজি সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়।
আমার মতো বেশির ভাগ লোকই মনে করে- গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ার টেল কিংবা টেলিটক কোম্পানিই ইন্টারনেটের মালিক! কিন্তু এরা কেউই ইন্টারনেটের মালিক নয়। বাস্তবে ইন্টারনেট আমাদের কাছে ২-৩ টি টায়ার পেরিয়ে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়। এদের ISP (Internet Service Provider) বলা হয়। ধরা যাক আপনি বাংলাদেশে বসে গুগলে কিছু সার্চ করলেন। তাহলে আপনার সেই কমান্ড সদূর আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকা গুগলের সার্ভার স্টোরেজে যাবে আবার সেখান থেকে ফিরে এসে সেই তথ্য আপনার ফোনে ভেসে উঠবে। ভাবতেই অবাক লাগে তাই না!
কিন্তু এটি সম্ভব হচ্ছে কি করে? আপনার মনে হতে পারে 'স্যাটেলাইট' এর মাধ্যমেই একমাত্র এটি সম্ভব। কিন্তু তা নয়। পৃথিবীর সমস্ত দেশ ও মহাদেশগুলি মাকড়সার জালের মতো সমুদ্রের নীচে থাকা 'অপটিক ফাইবার কেবল' -এর মাধ্যমে যুক্ত আছে। সমুদ্রের নিচে দিয়ে আসার জন্য এগুলিকে 'সাব-মেরিন কেবল' বলা হয়। তার/কেবল দিয়ে জোড়া না থাকলে ইন্টারনেট ব্যবহার কোনোদিনই সম্ভব না। এবার আপনার মনে হতে পারে, আপনার ফোনতো তার দিয়ে যুক্ত নাই। এর কারণ হলো আপনার ফোনটি আপনার বাড়ির কাছে থাকা টাওয়ারের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত। কিন্তু সেই টাওয়ারের একটা নির্দিষ্ট রেঞ্জ আছে যার মধ্যেই সেগুলি কার্যকরী। সেই টাওয়ার গুলি পরস্পর যুক্ত হয়ে তারের মাধ্যমে কোনো না কোনো সাবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত থাকে যে 'সাব-মেরিন' কেবলই আপনার ফোনকে ওই ক্যালিফোর্ণিয়ায় থাকা গুগলের স্টোরেজ সার্ভারের সাথে যুক্ত করে- যেটাকে বলে International Internet Getaway(IIG)। এভাবেই সাব-মেরিন কেবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট স্থাপন করে পৃথিবীর যেকোনো দেশে থাকা সার্ভারের থেকে তথ্য আদান-প্রদান করে।
এবার সে সব কোম্পানি ওই 'অপটিক ফাইবার কেবল' বা সাব-মেরিন কেবলের মাধ্যমে সমস্ত দেশ ও মহাদেশ গুলোকে জুড়ে রাখার কাজ করে তাদের বলা হয় Tier-1 কোম্পানি। বাংলাদেশের রাস্ট্রীয় মালিকানাধীন BTRC হলো Tier-1. যা কক্সবাজার থেকে বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবল যুক্ত আছে। যারা জাতীয় ক্ষেত্রে তাদের নেটওয়ার্ক, টাওয়ারের মাধ্যমে দেশজুড়ে বিছিয়ে রেখেছে তাদের বলা হয় Tier-2 কোম্পানি।
*** NTTN(Nationwide Telecommunication Network) licence হোল্ডার'রা Tier-1 কোম্পানি গুলির থেকে বাৎসরিক ইন্টারনেট 'Bandwidth' চুক্তি বা লীজ নিয়ে থাকে। Tier-2 কোম্পানি গুলি হলো গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক, এয়ার টেল কিংবা টেলিটক প্রভৃতি।Tier-2 কোম্পানি গুলোরও নিচে যারা কোনো নির্দিষ্ট এলাকা বা শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে সেই সীমার মধ্যে যারা ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে তাদের Tier-3 কোম্পানি বলে।
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, ইন্টারনেটের মালিকানা Tier-1 কোম্পানি গুলির কাছেই রয়েছে।কারন তারাই বিপুল অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন মহাদেশগুলিকে 'অপটিক ফাইবার কেবলে'র মাধ্যমে জুড়ে রেখেছে। তাই এককথায় তাদেরই 'ইন্টারনেটের মালিক' বলা যায়।
তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে, ইন্টারনেট আমাদের জন্য ফ্রি নয় কেন? এর কারন হলো সমুদ্রের নীচে দিয়ে যে প্রায় 8 লাখ কিলোমিটার ফাইবার অপটিক কেবল দিয়ে মহাদেশ গুলি জোড়া হয়েছে তাদের Inastlation mantianance জন্যও প্রচুর খরচ হয়ে থাকে। সেই কারনেই Tier-1 কোম্পানিগুলি সার্ভিস চার্জ হিসাবে ইন্টানেটের মূল্য নির্ধারণ করে থাকে। সর্বপরি, ইন্টারনেট সেক্টর যেকোনো দেশের রাজস্ব আয়ের অন্যতম নির্ভরশীল খাত। যে ইন্টারনেট প্ল্যানের মূল্য যত বেশি তার তার গুরুত্ব ISP গুলোর কাছে তত বেশি। তাই বেশি মূল্যের প্ল্যানের গ্রাহকরা কোনো কিছু গুগলে সার্চ করলে ISP গুলি সবচেয়ে কম দূরত্বের রুটের 'অপটিক ফাইবার কেবলে'র মাধ্যমে তার কমান্ডটি ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকা গুগলের সার্ভারে পাঠিয়ে দেয় আর কম মূল্যের প্ল্যানের গ্রাহকদের কমান্ডটি অন্য কোনো বেশি দূরত্বের রুট দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই জন্যই বিভিন্ন প্ল্যানের ইন্টানেটের গতির ফারাক দেখা যায়।
তবে এখানেই শেষ নয়। ইন্টারনেট প্রস্তুতকারকের কথা জানলেও তারাই যে ইন্টারনেটকে পরিচালনা করে এমন ভাবার কারন নেই। তাই এক দিক থেকে Tier-1 কোম্পানি গুলি যে ইন্টানেটের মালিক তা আংশিক সত্য। পুরোপুরি ভাবে তা বলা যায় না। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের মালিক হচ্ছে বিটিআরসি। বিটিআরসি লাইসেন্স দিয়েছে NTTN (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) পাঁচটি কোম্পানিকে। সেগুলোর মধ্যে তিনটি সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও তাদের নিজস্ব কোনো নেটওয়ার্ক নাই। অর্থাৎ বাকী দুটো কোম্পানিই বাংলাদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার ইন্টারনেট বিজনেস পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণ করে।
এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স অপারেটর হচ্ছেঃ- পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), বাংলাদেশ রেলওয়ে, ফাইবার @ হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড।
** বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিষয় কিছু বলতে গেলে যার নামটা সবার আগে বলতে হয় তাঁর সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছিনা এটা আমার দুর্ভাগ্য। শুধু বলবো, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সব চাইতে যোগ্য ব্যাক্তিত্ব ইন্টারনেট বিজনেসের সূদুর প্রসারি স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি কারিগরি যোগ্যতায় Tier-2 কোম্পানির পুরোধা এবং নিজ মেধা, শ্রম এবং দুই হাজার কোটি টাকা এই খাতে বিনিয়োগ করেছিলেন তিনি বা তাঁর কোম্পানিকে NTTN licence দেয়া হয়নি....উপরন্তু তাঁর কোম্পানির IIG, ISP সহ সবধরনের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হয়েছে অসার অজুহাতে। দেশব্যাপী ২১ হাজার কিলোমিটার নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: নিশ্চয়ই মনে আছে।
ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৪০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মাথা ঘুইরা পইড়া যাওয়ার মতো অবস্থা।
২০০১ সালে আফ্রিকার এক শহরে ভি-স্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ইউস করতে যেয়ে আমার বিস্ময়ের সীমা ছিল না। অবশ্য, বিস্ময় যে ক্রমাগত বেড়েই চলছে তাও সত্য। ক্যাবলগুলো সমুদ্রের নীচে কেন- যাতে ল্যান্ডের জায়গা নষ্ট না হয় সেজন্য? নাকি অধিক নিরাপত্তা বা অন্য কোনো অ্যাডভান্টেজ পাওয়ার জন্য?
অনেক তথ্যবহুল পোস্ট।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: সমুদ্রের তলদেশে অধিকতর নিরাপদ।
ধন্যবাদ সোনা ভাই।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:৫১
জিল্লুর রহমান রিফাত বলেছেন: কিন্তু আমাদের দেশে কলরেট ও মোবাইল ডেটার দাম খুবই বেশি।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বিটিআরসি'র সহযোগীতায় পাব্লিকের পকেট কেটে নিচ্ছে।
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:২২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাশের ডেস্কে মেইল পাঠাবো, সেটাও নাকি সমুদ্রের তলদেশের কেবল দিয়ে ডালাস হয়ে তারপর আসে।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: হা হা হা!
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট। তথ্য গুলো আমি জানি।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:৩১
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ভালো উপস্থাপন হেয়েছে।
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তথ্যমূলক একটি ভালো পোষ্ট
০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১২:৫৯
মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিষয় কিছু বলতে গেলে যার নামটা সবার আগে বলতে হয় তাঁর সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছিনা এটা আমার দুর্ভাগ্য।
জানতে পারি সেই অভাগা লোকটা কে ? কি তার পরিচয় ?
০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১০:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: তাঁর নাম আমজাদ এইচ খান----- একদা বাংলা ফোনের মালিক। আর কিছু না বলি।
৯| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০১
মেরুভাল্লুক বলেছেন: আমজাদ এইচ খান সম্পর্কে জানতে চাই
১৪ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপাতত বলা যাবেনা ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২১ সকাল ১১:০৪
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: ইন্টারনেটের কল্যানে আজ আমরা অনেক কাজ সহজেই করতে পারি। এর সঠিক ব্যাবহার আমাদের অনেক কিছু শেখায়। আপনার কি মনে আছে সেই দিনের কথা, নোকিয়া এক্সপিরিয়া, জাবা ও অপেরা মিনি।