নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
অনেক দিন পর চমৎকার একটা মুভি দেখলাম। Movie: Green Book
Genre: Biography, Drama, Comedy.
ভুমিকাঃ মার্টিন লুথার কিং কাগজে কলমে বর্ণবাদের পরিসমাপ্তি ঘটালেও শ্বেতাঙ্গদের মগজ থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি ঘৃনা দূর করাতে পারেনি। কালোদের দাস বানানো না গেলেও তাদের নিয়ে ব্যঙ্গ করতে তো অার অাপত্তি নেই! শ্বেতাঙ্গ অভিনয়শিল্পীরা সে সময় জন্ম দিলেন এক কল্পিত চরিত্রের, তার নাম দিলেন "জিম ক্রো"। মুখে কালি মেখে সঙ্ এর মতো সাজতেন তারা অার বিভিন্ন ব্যঙ্গার্থক অভিনয় করতেন কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে।
১৯৬৫ এর অাগ পর্যন্ত অামেরিকাতে প্রচলিত ছিলো এক বিশেষ অাইন যার নাম দেয়া হয় "Jim Crow Law"। বিশেষ করে অামেরিকার দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে এ অাইনের প্রয়োগ ছিলো খুব বেশি। নাম শুনেই অান্দাজ করা যাচ্ছে যে এই অাইন নিশ্চয়ই কৃষ্ণাঙ্গদের পরিপন্থী অাইন।
এই অাইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিলো মূলত কৃষ্ণাঙ্গ তথা অাফ্রিকান-অামেরিকানদের অধিকারকে খর্ব করা।যেসব রেস্তোরায় শ্বেতাঙ্গরা খায় সেখানে একসাথে বসে কৃষ্ণাঙ্গরা খেতে না পারা, শ্বেতাঙ্গদের টয়লেট ব্যবহার করতে না পারা এমনকি এমন ও অনেক স্থানে "সানডাউন" বা সূর্যাস্তের পরে কৃষ্ণাঙ্গদের বাইরে থাকাও নিষেধ ছিলো।
এসব বিষয় নিয়ে একজন অাফ্রিকান-অামেরিকান ১৯৩৬ সালের দিকে একটি বই লিখেন যা অাফ্রিকান-অামেরিকান পর্যটক এবং মোটরগাড়ি চালকদের গাইড হিসেবে সহায়তা করবে। সে ভদ্রলোকে নাম "ভিক্টর গ্রিন"। তিনি ছিলেন অামেরিকার ডাক বিভাগের একজন কর্মচারী। তার নামের সাথে মিল রেখে বইটির নামকরণ হয়। বইটির পুরো নাম ছিলো "The Negro Motorist Green Book" যা সংক্ষেপে "গ্রিন বুক" নামেই প্রচলিত ছিলো।যেখানে কৃষ্ণাঙ্গদের থাকার হোটেল, খাওয়ার জায়গা ইত্যাদির বর্ণনা ছিলো। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত এ বই বাজারে ছিলো এবং এ বই দক্ষিণে ভ্রমণরত কৃষ্ণাঙ্গদের বেশ সহায়তা করতো বলা চলে। ১৯৬৫ এর দিকে নতুন অ্যাক্ট চালুর পর এ বই বাজার থেকে বিলুপ্ত করা হয়।ভিক্টর গ্রিন অাসলে নিজেই তার অাগে লিখেছিলেন, "যখন সবার অধিকার সমান হবে তখন অার এ বইয়ের প্রয়োজনীয়তা থাকবে না।"
মুভির প্লটঃ
বিখ্যাত পিয়ানোবাদক ড: ডন শার্লি প্রায় দু'মাসের একটা ট্যুরে যাবেন। মূলত তিনি দক্ষিণ অামেরিকার বিভিন্ন প্রদেশগুলোতে তার "Trio" কে সাথে করে বাজাবেন। এজন্য তার একজন ড্রাইভার দরকার।ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় "টনি লিপ" কে। এই দীর্ঘ যাত্রাপথে টনি কৃষ্ণাঙ্গদের সাথে শ্বেতাঙ্গদের করা অমানবীয় অাচরণগুলো স্পষ্টভাবে দেখতে পান এবং এর বিরুদ্ধে ড: শার্লি'র নীরব সংগ্রাম ও তার চোখে পরে যা এক সময় গিয়ে তাকে মুগ্ধ করে। নিগ্রোদের প্রতি তার নিজের যে হীনমন্যতা ছিলো, তাও কাটিয়ে উঠেন একটা সময়ে। ধীরে ধীরে মালিক কর্মচারীর বাইরে গিয়ে তাদের মধ্যে গড়ে উঠে চমৎকার এক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক; যা তাদের মধ্যে অটুট থাকে মৃত্যুর অাগ পর্যন্ত।
যারা এখনো এই মুভিটা দেখেননি তাদের জন্যঃ সব মিলিয়ে একটা দারুণ সময় কাটবে এ ছবি দেখার মধ্য দিয়ে। প্রকৃতির স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্যতা, পিয়ানোর সুর, মানবীয় চমৎকার কিছু সম্পর্ক; সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত মুগ্ধতা নিয়ে শেষ হয়েছে মুভিটি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: নিশ্চয়ই দেখএ হতাশ হবেননা।
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: গত দুই মাস আমি কোনো মুভি দেখি নি। অথচ এই আমি প্রতিদিন ২/৩ টা করে মুভি দেখতাম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি সুযোগ পেলেই রেটিং দেখে ভালো মুভি দেখি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: আপনি যখন রিকমেন্ড করেছেন তবে ভাল কিছু হবে নিশ্চিত
দেখার আশা রইল