নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
টিপু সুলতান ও তার রকেট ক্ষেপণাস্ত্র....
১৯৬৩ সালের ভারতীয় প্রখ্যাত রকেট বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলেন NASA’র ‘ওয়ালপস ফ্লাইট ফ্যাসিলিটিতে’। রিসেপশন লবিতে হাঁটার সময় তার চোখ আঁটকে গেল একটি চিত্রকর্মে। ছবিটি ছিল একটি যুদ্ধক্ষেত্রের, তাতে দেখা যাচ্ছে পেছন দিকে কয়েকটি রকেট ধেয়ে আসছে আর সামনে রকেট হামলায় বিধ্বস্ত একটি সৈন্যবাহিনীর ছবি।
আব্দুল কালাম অবাক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলেন যে, রকেট নিক্ষেপকারী সৈন্যরা ছিল মহীশুরের বীর টিপু সুলতানের বাহিনীর সাথে ব্রিটিশ সৈন্যদের যুদ্ধের ছবি। মহীশুরের সেনাবাহিনীর বিধ্বংসী সব রকেট ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় নাকাল ব্রিটিশ সৈন্যদের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল সেখানে। আবদুল কালাম একই সাথে বেদনা ও গর্বের অনুভূতি বোধ করলেন।
রকেট প্রযুক্তিতে টিপু সুলতানের সেই অবিস্মরণীয় অবদানের কথা আজ তার নিজ দেশ ভারতবর্ষ বিস্মৃত হয়ে গেছে। কিন্তু তার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাত ভোলেনি বিশ্বের অপর প্রান্তের প্রতিষ্ঠানটি। বস্তুত টিপু সুলতানকেই আধুনিক রকেটের স্থপতি বলা যায়। সেসময়ের পৃথিবীতে রকেট ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ছিলো দক্ষিণ ভারতের মহীশুরে।
গানপাউডার ব্যবহার করে রকেট ওড়ানোর প্রযুক্তি সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করে চাইনিজরা। বলা হয়ে থাকে অমরত্বের সন্ধানে “জীবনের পরশমণি” খুঁজতে গিয়েই তারা আবিষ্কার করেন গানপাউডার। তারা বিভিন্ন আনন্দ উৎসবে গানপাউডার ব্যবহার করতেন। একটি বাঁশের খোলসে গানপাউডার ভর্তি করে সেটি বিস্ফোরণের মাধ্যমে উৎসবের জৌলুশ বাড়ানো হতো।
ধারণা করা হয় এমনি কোনো উৎসবে দুর্ঘটনাবশত আবিষ্কৃত হয়ে যায় রকেট। কোনো গানপাউডার ভর্তি টিউব একেবারে বিস্ফোরিত না হয়ে বেরিয়ে আসে অগ্নিকুণ্ড থেকে। এরপর গানপাউডার থেকে উৎপন্ন গ্যাস এবং স্ফুলিঙ্গ দ্বারা চালিত হয়ে ছিটকে যায় আকাশে। এ ঘটনার পর চাইনিজরা এ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গানপাউডার চালিত রকেট আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মঙ্গোলীয়দের সাথে যুদ্ধে সর্বপ্রথম চাইনিজরা রকেট ব্যবহার করে। এর বিধ্বংসী ক্ষমতা তখন বেশী না হলেও এই নতুন প্রযুক্তি মঙ্গোলীয়দের মানসিকভাবে অনেক দুর্বল করে দেয়। এর পরে মঙ্গোলীয়রা নিজেদের রকেট প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে আর তাদের হাত ধরেই রকেট ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপে।
মহীশুরের হায়দার আলী এবং পরবর্তীতে তার পুত্র টিপু সুলতানের হাত ধরে রকেট প্রযুক্তি এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল। হায়দার আলীর সময় থেকেই মহীশুরের সেনাবাহিনীতে বারোশজন রকেট-সৈনিক ছিলো। ১৭৮০ সালের পল্লীলুরের যুদ্ধে হায়দার আলীর সেনাবাহিনীর কাছে ব্রিটিশদের শোচনীয় পরাজয়ের পেছনেও ছিল রকেটের অবদান। এ যুদ্ধে রকেট হামলার ফলে ইংরেজদের অস্ত্র গুদামে আগুন ধরে যায়। তাতেই তাদের পরাজয় ঘটে।
টিপু সুলতানের আমলে মহীশুরকে মুখোমুখি হতে হয় আরো শক্তিশালী ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে। প্রজ্ঞাবান টিপু বুঝতে পেরেছিলেন ইংরেজদের সাথে টিকে থাকতে নতুন কিছু উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। এ তাড়না থেকেই রকেট উন্নয়ন নিয়ে তাদের গবেষণায় জোর দেন তিনি। মহীশুরে রকেট প্রযুক্তিতে সবচেয়ে বড় যেই পরিবর্তনটি আনা হয় তা হলো রকেটের জ্বালানী কক্ষ হিসেবে লোহার তৈরি বাক্স ব্যবহার। আগে এর জন্য বাঁশ বা অন্যান্য দুর্বল পদার্থের কাঠামো ব্যবহার হতো।
এ বিষয়টিই মূলত মহীশুরীয়ান রকেটকে ইউরোপের রকেট থেকে আলাদা করে তোলে। ধাতব কাঠামোর জন্য রকেটের জ্বালানী অর্থাৎ ব্ল্যাক পাউডারের বিস্ফোরণ অধিকতর প্রকট হতো। এর ফলে সৃষ্টি হতো অধিক গতিবেগ, রকেট পাড়ি দিতে পারতো আরো বেশী পাল্লার দূরত্ব (সর্বোচ্চ দুই কিলোমিটার পর্যন্ত)। সে সময়ের ইউরোপের রকেটগুলোর দূরত্বের পাল্লা বা গতিবেগ এর কাছাকাছিও ছিল না।
এছাড়াও টিপু সুলতান রকেটের সাথে তরবারি সংযুক্ত করে একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের ধারণা দেন। রকেট এটি নির্দিষ্ট দূরত্ব উড়ে শত্রুর কাছাকাছি যাওয়ার পর যেন ঠিকভাবে ঘুরে গিয়ে তরবারির অগ্রভাগ দিয়েই আঘাত হানতে পারে। তবে মহীশুরের রকেটে আঘাতের জন্যে সাধারণত চার ফুট লম্বা বাঁশের ফলা ব্যবহার করা হতো। এটি খাঁজের মাধ্যমে সংযুক্ত থাকতো লোহার তৈরি জ্বালানি প্রকোষ্ঠ।
এ জ্বালানি কক্ষ হিসেবে সাধারণত আট ইঞ্চি লম্বা এবং দেড় থেকে তিন ইঞ্চি ব্যাসের লোহার টিউব ব্যবহার করা হতো। এ টিউবের ব্যাস ও লক্ষ্যবস্তুর দূরত্ব হিসেব করে একটি নির্দিষ্ট কৌণিক দিকে রকেট নিক্ষেপ করতে হতো। এজন্য রকেট সৈনিকরা বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতেন। এছাড়াও ছিল বিশেষভাবে নির্মিত রকেট লঞ্চার, যার থেকে একসাথে পাঁচ থেকে দশটি রকেট নিক্ষেপ করা যেত।
ব্রিটিশ-মহীশুর যুদ্ধে টিপু সুলতানের রকেট বাহিনী ব্রিটিশদের সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ হয়ে উঠেছিল। আকাশে নীলাভ আলোর ছটা দেখলেই ব্রিটিশরা বুঝতে পারত আসছে রকেটের ঝাঁক। আচমকা এগুলো আঘাত হানত ব্রিটিশদের ডেরায়, কখনো সামনে থেকে কখনো পেছন থেকে। রকেট এর সাথে সংযুক্ত বাঁশের ফলা ক্ষত বিক্ষত করে যেতো ব্রিটিশ সৈন্যদের। রকেটের আঘাতে মৃত্যুও ছিল খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
তৃতীয় অ্যাংলো-মহীশুর যুদ্ধে রকেট হামলার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনার একটি ছিল কর্নেল নক্স এর উপর হামলা। ১৭৯২ সালের ছয় ফেব্রুয়ারি কর্নেল নক্স তার দলবল নিয়ে কাবেরী নদীর দিকে এগোচ্ছিলেন। সেরিঙ্গাপটমের কাছে তিনি রকেট হামলার শিকার হন।
সেসময় টিপু সুলতানের রকেট-সৈনিকদের ১২০ জন এবং ১৩১ জন সদস্য সম্বলিত দুটি দল ছিল। কিন্তু এ যুদ্ধের সময়ই রকেট সৈনিকদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৫,০০০ জনে। সেসময় দুধরনের রকেট ছিল, কিছু রকেট শূন্যেই বিস্ফোরিত হতো। আর কিছু ছিল গ্রাউন্ড রকেট, যেগুলো একবার মাটিতে আঘাত করে আবার উপরে উঠে যেতো এভাবে সর্পিলাকার গতিতে এগোতে থাকত যতক্ষণ না এর শক্তি নিঃশেষ হয়।
এ যুদ্ধের পরবর্তীতে টিপু সুলতান তার অসামান্য রণকুশলতার সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্তটি স্থাপন করেছিলেন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের সাথে মিত্রতার হাত বাড়িয়ে। তার সমর্থনে ফ্রান্সের রিপাবলিকান অফিসাররা মিলে গঠন করেন জ্যাকোবিয়ান ক্লাব, মহীশুর। জ্যাকোবিয়ান ক্লাব যখন টিপু সুলতানের কাছে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলো সেসময় গান স্যালুটের অংশ হিসেবে ওড়ানো হয় পাঁচশ রকেট। এ থেকে বোঝা যায় উৎসব উপলক্ষে রকেট ওড়ানোর প্রচলন ছিল মহীশুরেও।
তবে চতুর্থ অ্যাংলো-মহীশুর যুদ্ধে এ সকল রকেট তার চূড়ান্ত বিধ্বংসী রূপ ধারণ করে। এসময়ে ব্রিটিশ কর্নেল ওয়েলসলীও একবার রকেট হামলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ওয়েলসলী পরবর্তীতে ওয়াটারলু যুদ্ধের নায়ক ও লর্ড অফ ওয়েলিংটন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। সেসময় সুলতানাপুত গ্রামের কাছে একটি উঁচু টিলা ছিল যার আড়াল নিয়ে রকেট-সৈনিকরা তাদের হামলা চালাত। তাদের শায়েস্তা করার জন্য কর্নেল ওয়েলসলীকে নিযুক্ত করা হয়।
১৭৯৯ সালের ৫ই এপ্রিল রাতের অন্ধকারে সেনাবাহিনী নিয়ে টিলার দিকে এগোতে শুরু করেন কর্নেল ওয়েলসলী। আচমকা রাতের আঁধারের বুক চিরে আকাশে দেখা দেয় নীলাভ আলো, চারদিক থেকে গর্জে উঠে মহীশুর বাহিনীর রকেট লঞ্চার ও বন্দুক। শক্ত প্রতিরোধের সামনে টিকতে পারেনি ব্রিটিশ সৈন্যদল। বিক্ষিপ্ত হয়ে যায় তারা, অনেকে সৈন্য হতাহত হয় এবং গ্রেফতারও হয় অনেকে। কর্নেল ওয়েলসলী বাধ্য হন পিছু হটতে। এ ঘটনা ওয়েলসলীর উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করেছিল। পরবর্তী জীবনেও তিনি সেরিঙ্গাপটমের এ ঘটনার উল্লেখ করতেন বারবার।
অ্যাংলো-মহীশুর গোটা যুদ্ধেই টিপুর রকেট বাহিনী জন্ম দিয়েছে এমন আরো অনেক বীরত্বগাঁথার। কিন্তু ভাগ্য সাথে না থাকায় এবং প্রতিবেশী রাজ্যের অসহযোগিতায় হারতে হয় সুলতানকে। ১৭৯৯ সালে তুরুখানাল্লির যুদ্ধে নিহত হন টিপু সুলতান। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তিনি লড়ে গেছেন সত্যিকারের বীরের মতো। আত্মসমর্পণ না করে তিনি বেছে নিয়েছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে শহীদি মৃত্যুকেই। সার্থক করেছেন তার সেই বিখ্যাত উক্তিকে
“শিয়ালের মতো শত বছর বেঁচে থাকার চেয়ে সিংহের ন্যায় একদিনের জীবন উত্তম”।
এ যুদ্ধে মহীশুরের হারের পর ব্রিটিশরা হাতে পেয়ে যায় প্রায় ৭০০ রকেট এবং ৯০০ রকেটের যন্ত্রাংশ। টিপুর এ রকেট নিয়ে ইংরেজদের কৌতূহলের অন্ত ছিল না। এ রকেটগুলোকে উইলিয়াম কনগ্রেভ ইংল্যান্ডে নিয়ে যান। রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিঙের মাধ্যমে এর কৌশল আয়ত্ত করে তারা। যার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়েছে আজকের আধুনিকতম রকেট এবং কৃত্রিম উপগ্রহ নিক্ষেপণ ব্যবস্থা।
আর ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস! টিপু সুলতানের কৌশল আয়ত্ত করে তৈরি করা এসব রকেট সর্বপ্রথম ব্যবহার করেছিল তার ফরাসি মিত্র নেপোলিয়নের বিরুদ্ধেই। তবে সবচেয়ে আক্ষেপের বিষয় যে, ভারতবর্ষের উন্নত রকেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইউরোপ সমৃদ্ধ করেছে নিজেদের, অথচ খোদ ভারতেই এর অন্তত দেড়শ বছর পর পর্যন্ত রকেট-বিদ্যা আর আলোর মুখ দেখেনি।
(তথ্যসূত্রঃ রোয়ার মিডিয়া)
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ভারতবর্ষের ইতিহাস ঘাটলে দেখবেন- ভারতের ইতিহাসে মারাঠাদের কোনো যুদ্ধ জয়ের ইতিহাস নাই। ওদের নাকের নিচে শুধু গোঁঁপ জোড়াই আছে। আরও খেয়াল করবেন- ইন্ডিয়ান ফ্লম ইন্ডাস্ট্রিতে সুন্দর চেহারার কোনো নায়িকা অভিনেত্রীও নাই।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৪২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয়টি জানা ছিল না। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
জুল ভার্ন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: প্রাণীজগতে শিয়ালকে বলা হয় পণ্ডিত বা মাস্টার। সিংহের পরিনতি হল- হয় রাজত্ব করবে নয়ত দাস হবে বা ধ্বংস হবে।
১৫২৬ সালে সম্রাট জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর ইব্রাহীম লোদির বিরুদ্ধে পানিপথের যুদ্ধের প্রান্তরে প্রথম গান-পাউডার গোলা সমৃদ্ধ কামান ব্যবহার করেন। গান-পাউডার বা বারুদ ব্যবহার করার ধারণা দেন বাবুরের শৈশবের বন্ধু (যিনি এতই দরিদ্র ছিলেন যে রাস্তায় রাস্তায় ভিক্ষা করতেন)। সেই বন্ধু বারুদের ব্যবহার শিখেছিলেন যৌবনে তার্কিশ সেনাবাহিনীতে কাজ করতে গিয়ে। ফিরে এসে পানিপথের যুদ্ধের ময়দানে বাবুরকে বারুদ সমৃদ্ধ আগুনে গোলা ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের ম্যাকমিলান প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত "Empire Of The Moghul: Raiders From The North" বইয়ে ব্রিটিশ লেখক Alex Rutheford এই গান-পাউডার বা বারুদের পরিচয় দিতে গিয়ে যে ইংরেজি প্রত্যয় ব্যবহার করেন তাহল "Heaven Shaking Thunder" স্বর্গে কাঁপন ধরিয়ে দেওয়া বজ্রপাত।
ভারতবর্ষে ব্রিটিশরা ২০০ বছর শুধু শাসনই করেনি- শিক্ষা-গবেষণা করে নিজেদের ইংরেজি ভাষার জ্ঞানকে সুসমৃদ্ধ করেছে। অর্ধেক দুনিয়া শাসন-শোষণ করার পেছনে শুধু তাদের সমরবিদ্যা নয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে কাজ করেছে।
ব্রিটিশ ইঞ্জিনিয়াররা কি পরিমান দক্ষ ও সুনিপুণ তা বুঝতে পারবেন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেল ব্রিজ হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণশৈলী সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করলে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব সুন্দর মন্তব্য।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৩:২৬
বিটপি বলেছেন: আলবার্ট আইন্সটাইন, আপনার কথাগুলা চাঁদগাজী সাহেবকে একটু ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েন। ঊনার ধারণা উপমহাদেশের মানুষের মাথায় জ্ঞানবুদ্ধি বলে কিছু নেই।
লেখক, মারাঠিদের যুদ্ধজয়ের ইতিহাস নেই কথাটা ঠিক নয়। সারা ভারতে রাজত্ব চালানো মুঘল রাজবংশ যে সম্রাট আওরঙ্গজেবের পর আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি, এর কৃতিত্ব কিন্তু মারাঠিদেরই। বাজিরাও পেশওয়া শতাধিক যুদ্ধে মারাঠিদেরকে জয় এনে দেন। তার বীরত্বেই দিল্লীর লাল দূর্গে প্রথমবারের মত গেরুয়া পতাকা ওড়ে।
তবে এটা ঠিক মারাঠি বললে আমাদের চোখের সামনে কোন বীরের প্রতিকৃতি নয়, বরং জোড়া গোঁফওয়ালা বর্গী ডাকাতদের চেহারা ভেসে ওঠে - যাদের কাজ শান্তিপ্রিয় জনগোষ্ঠীর শান্তি নষ্ট করা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:০৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মোঘল আমলেই মারাঠা -রাজপুতদের দল বেধে আত্মহত্যার একাধিক ইতিহাস আছে। "ব্যাতিক্রম উদাহরণ হতে পারে না"।
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বিটপি বলেছেন: আলবার্ট আইন্সটাইন, আপনার কথাগুলা চাঁদগাজী সাহেবকে একটু ভালো করে বুঝিয়ে দিয়েন। ঊনার ধারণা উপমহাদেশের মানুষের মাথায় জ্ঞানবুদ্ধি বলে কিছু নেই।
-উপমহাদেশের মানুষের জ্ঞানবুদ্ধি তাদেরকে আজকের অবস্হানে এনেছে: পাকীরা আফগানিস্তানে তালেবান বানায়েছে, মোদীর লোকেরা গোমু্ত্র খাচ্ছে, বাংলাদেশে এক মোল্লা ভেকসিন'এর ফর্মুলা দিয়েছে; আপনি ৩ মাস ব্লগিং করে ১টি পোষ্ট লিখতে পারেননি।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
ঢাকা শহরে ২/৩ টা কামান আছে। যেমন লোকে বলে গুলিস্তানের কামান। এই কামান নিয়ে একটা পোষ্ট দিবেন প্লীজ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: 'গুলিস্তানের কামান' আসলে 'মীর জুমলার কামান'- যা নিয়ে আমি বছর দশ আগেই লিখেছিলাম এই ব্লগে
ধন্যবাদ।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:০৮
জ্যাকেল বলেছেন: গাজি ভাইসাহেব আবোলতাবোল মুখে যা আসে তাই বলে ফেলেন। উনার নেগাটিভ কম্নেন্ট আমি এড়িয়ে চলি। রকেট নিয়ে আমাদের উপমহাদেশের এত সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে সেটা আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নেই কেন?
০৮ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৭:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: পাঠ্যপুস্তকে এখন একটাই ইতিহাস.....
৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৩৮
বিটপি বলেছেন: চাঁদগাজী, আমি পোস্ট লিখিনা, কারণ আমার পোস্ট কেউ পড়তে পারবেনা। যদি আমার পোস্ট ব্লগে প্রকাশের সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে আমি অবশ্যই লিখব। আপনি এই ব্যাপারে মডারেটরদেরকে বলুন।
আপনার মহাদেশের মানুষের জ্ঞানবুদ্ধি নিয়ে আমাদের কিছু জ্ঞান দিন।
- সিনিয়র বুশ কেন ইরাককে কুয়েত হামলার প্ররোচনা দিয়ে নিজেই ইরাকে হামলা করে বসল?
- জুনিয়র বুশ কিভাবে শিওর হল যে টুইন টাওয়ার এবং পেন্টাগনে আল কায়েদাই হামলা চালিয়েছে?
- মাইক্রোসফট এবং গুগলে এত প্রতিভাবান সাদা চামড়া থাকতেও উপমহাদেশের লোকের উপর নির্বাহী দায়িত্ব দিতে হল কেন?
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫
বিটপি বলেছেন: টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে মারাঠা ও হায়দারাবাদের নিজাম হাত মিলিয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে। কিন্তু বিধি বাম। টিপু সুলতানের পতনের পরেই ইংরেজদের দৃষ্টি পড়ে মারাঠীদের দিকে। পরপর চারটি যুদ্ধে তারা মারাঠীদেরকে ম্যাসাকার করে দেয়। মারাঠিদের হীনবল হবার পেছনে অবশ্য পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধেরও একটা ভূমিকা ছিল।