নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কৃতজ্ঞ, অকৃতজ্ঞ ও কৃতঘ্নঃ
‘কৃতজ্ঞ’ হচ্ছে- যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করেন। ‘অকৃতজ্ঞ’ হচ্ছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করেন না। ‘কৃতঘ্ন’ হচ্ছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকারতো করেনই না, বরং উপকারকারীর ক্ষতি করেন।
মানবজীবনে উপকারকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকাটাই বাঞ্চনীয়। দুঃখ কষ্ট বিপদের সময় যারা উপকার করেন উনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন জীবনের অনেক মৌলিক গুণের একটি। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, কিছু মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধের বড়ই অভাব। বরং অকৃতজ্ঞতাই দেখা যায়। অকৃতজ্ঞতা মোটামুটি মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু কৃতঘ্নতা মেনে নিতে নির্দোষ অন্তরে অনেক কষ্ট হয়। উপকারভোগী দ্বারা উপকারকারীর ক্ষতির বিষয়টি মহাদুর্ভাগ্যের বিষয়।
বিপদগ্রস্ত মানুষটাকে উপকার করার সময় উপকারকারীর একমাত্র চিন্তা- বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করা। উপকারভোগী ব্যক্তি পরবর্তীতে কৃতজ্ঞতা, অকৃতজ্ঞতা ও কৃতঘ্নতা- কোন্ বিষয়টি দেখাবে সেটি উপকারকারীর মাথায় থাকে না এবং না থাকাটাই স্বাভাবিক। সেজন্য কারো উপকার করলে প্রতিদানের আশা না করে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করাই শ্রেয়। প্রতিদানের আশায় করা হলে কালের বিবর্তনে উপকারভোগী ব্যক্তি যদি অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা দেখান তাহলে স্বাভাবিকভাবে মনে কষ্ট পাবেন। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কারো উপকার করা হলে তেমন পরিস্থিতিতে কোন কষ্ট পাবেন না। বরং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য কারো উপকার করলে নির্মম প্রতিদানের শিকার হলেও সৃষ্ট কষ্ট সৃষ্টিকর্তাই দূর করে দেন।
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যদি কৃতঘ্ন, অকৃতজ্ঞ হতেন তাহলে পুরা পৃথিবীটাই নরকে পরিণত হতো। স্রষ্টাকে অপরিসীম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তিনি অন্তত এই কাজটা এখনো পর্যন্ত করেননি। অকৃতজ্ঞতাও এক ধরনের ভালো, কিন্তু অকৃতজ্ঞতার সাথে কৃতঘ্নতা যোগ হলে মানুষের প্রতি মানুষের আর ভরসা করার সুযোগ থাকে না। তেমন অবস্থা যেনো মানব জীবনে কাউকে দেখতে না হয়।।
(একটা বিশেষ অবস্থায় এই লেখাটা লিখেছি কিন্তু বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারছিনা)
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাই, বাস্তবতা হচ্ছে - উপকারীর অপকার এমন ভাবেই করে, যেন আর কখনও উঠে দাঁড়াতে না পারে।
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:২০
জটিল ভাই বলেছেন:
উপকার যে করে তার চরম বিপদেও যদি কেউ হাত না বাড়ায় তখন তার মন কি দিয়ে সৃষ্টিকর্তার প্রতি অটল থাকবে বলতে পারেন?
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা ভুল মানুষ চেনার ব্যর্থতার জন্য সৃষ্টিকর্তার উপর আস্থা হারেতে পারিনা।
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন ,
বলেছেন, বিশেষ অবস্থায় লেখাটি লিখেছেন!
কষ্ট পাবেন না। এমনটাই পৃথিবীর দস্তুর।
আশা / প্রত্যাশাকে সীমিত বা একদম নাই করে রাখতে হবে তাহলেই দুঃখ-কষ্ট পাওয়ার মতো ব্যাপারগুলো ঘটবেনা।
ভালো থাকুন, নিঃসঙ্কোচ থাকুন।
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার জন্য দোয়া করবেন ভাই।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো লেখা।
২১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: মনের অবস্থার প্রতিফলন!
৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৭
শেরজা তপন বলেছেন: মনের অবস্থার প্রতিফলন!~ মানসিকভাবে ব্যাপক বিপর্যস্ত আছেন বোঝা যাচ্ছে!
আশা করছি আপনার এই দুঃসময় কেটে যাবে অতিস্বত্তর
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: দোয়া করবেন ভাইজান।
৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমাত্র বাংলা ভাষাতেই মনে হয় কৃতঘ্ন শব্দটা আছে।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: কৃতঘ্ন শব্দের চমতকার ইংরেজী শব্দ আনগ্রেটফুল।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকেই বলে থাকেন, কখনো যদি তারা কারো দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন হন, তখন তারা ভাবতে শুরু করে দেন, কবে তারা ঐ লোকটির কোন উপকার করেছিলেন। ধরেই নেয়া হয়, আজ আমি যার উপকার করছি, আগামী কোন দিনে তিনি আমার ক্ষতি করে তার প্রতিদান দেবেন। কথাটা দুঃখজনক হলেও অনেক সময় এর সত্যতার বাস্তব অভিজ্ঞতা আমাদের হয়ে থাকে।
বিদ্যালয়ে পাঠকালে এই তিনটি শব্দের (এক কথায় প্রকাশ) পার্থক্য খুব ভালো করে শিখে নিয়েছিলাম। তবুও, বাস্তব জীবনে মানুষ দেখে শব্দগুলোর সঠিক প্রায়োগিকতা অনুমান করতে অনেক সময় ব্যর্থ হয়েছি।