নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
~~সম্পর্ক~~
ঘুন ধরা সমাজের উইপোকারা একটু একটু
করে ফোঁপরা করে ফেলেছে আমাদের জীবনের সাথে
জড়ানো ছোট বড়ো সম্পর্কগুলিকে। তার জন্যইতো আজ একাকিত্ব, বিষাদ আমাদের গ্রাস করে প্রতিনিয়ত, মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় নিয়তি সেজে। উঁই পোকার গ্রাসে আস্তে আস্তে মনের ভেতরটা ক্ষয় হতে হতে আজ ক্ষয়িষ্ণু পাথরে পরিণত হয়েছে জীবন।
সম্পর্ক ঘুনধরার পিছনে আমরা সবাই দায়ী। রাজনীতি, শিক্ষা, সমাজ ও আমাদের বাড়ির পরিবেশ। রাজনীতির মুখোশ পড়ে ভণ্ডামির নামাবলি গায়ে দিয়ে যারা শিক্ষাংঙ্গনকে কলুষিত করছে, সেই কুকাজকে শিক্ষকরা মদত দিয়ে যে অসুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলেছে তাতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্কের খারাপ হচ্ছে। আজকের এই মূল্যবোধ হীনতার যুগে, অবক্ষয়িত সমাজে ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে কোন আদর্শ না থাকায় তারা প্রয়োজনে শিক্ষক নিগ্ৰহের পথে পা বাড়াচ্ছে। এই অবক্ষয় সমাজের ঔদাসীন্যের শিকার হয়, অপসংস্কৃতি আর মূল্যবোধ হীনতায় আক্রান্ত হয়, তখন তাদের শুভা-শুভবোধ থাকে না।
তাছাড়া এখন আর একান্নবর্তী পরিবার নেই। অনেক গুলো ছেলে মেয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আর বড় হচ্ছে না। একা একা থেকে তারা স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে, হয়ে যাচ্ছে নি:সঙ্গ। ফলে আমাদের মধ্যে সম্পর্কের ভাঙন। তাই কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা যায়, "শিক্ষার জন্য এখন আমাদের বনের প্রয়োজন আছে এবং গুরুগৃহও চাই। বন আমাদের সজীব বাসস্থান এবং গুরু আমাদের সহৃদয় শিক্ষক। এই বনে, এই গুরুগৃহে আজও বালক দিগকে ব্রম্ভচর্য পালন করিয়া শিক্ষা সমাধান করিতে হইবে। কালে আমাদের অবস্থার যতই পরিবর্তন হইয়া থাকুক, এই শিক্ষা নিয়মের উপযোগিতার কিছু মাত্র হ্রাস হয় নাই; কারণ, এ নিয়ম মনের চরিত্রের নিত্য সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।"
সম্পর্ক আজ কেবল কতগুলি সামাজিক চরিত্র মাত্র। জীবন মৃত্যুর মতোই চিরন্তন সত্য হলেও
যেন প্রাণহীন, বড্ডো বোঝা। তারমধ্যেই হয়তো মনের শান্তি খোঁজা। অনুভব হীন, কৃতঘ্ন সম্পর্ক গুলো ....যতই করুক জীবন ওলোটপালোট, তবুও হাসিমুখে বয়ে নিয়ে চলো আমৃত্যু।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১১
শেরজা তপন বলেছেন: অনেক কষ্ট ও মানসিক যন্ত্রনা নিয়ে লেখাটা। ভাল লাগে কেমনে!!
২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার মানসিক যন্ত্রাণার প্রতিচ্ছবি গতকাল ফেসবুক পোস্টে লিখেছি - সময় পেলে দেখবেন।
৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:১৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আসল কারনটাই লিখলেন না।সিংহ ভাগ দায়ী ধর্মীয় কুসংস্কার।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সেটা কমন ব্যপার-তাই একই বিষয় বারবার লিখে বিরক্ত করতে চাইনি।
৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৫:২৯
জগতারন বলেছেন:
ঘুন ধরা সমাজের উইপোকারা একটু একটু
করে ফোঁপরা করে ফেলেছে আমাদের জীবনের সাথে
জড়ানো ছোট বড়ো সম্পর্কগুলিকে। তার জন্যইতো আজ একাকিত্ব, বিষাদ আমাদের গ্রাস করে প্রতিনিয়ত, মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায় নিয়তি সেজে। উঁই পোকার গ্রাসে আস্তে আস্তে মনের ভেতরটা ক্ষয় হতে হতে আজ ক্ষয়িষ্ণু পাথরে পরিণত হয়েছে জীবন।
সম্পর্ক ঘুনধরার পিছনে আমরা সবাই দায়ী। রাজনীতি, শিক্ষা, সমাজ ও আমাদের বাড়ির পরিবেশ। রাজনীতির মুখোশ পড়ে ভণ্ডামির নামাবলি গায়ে দিয়ে যারা শিক্ষাংঙ্গনকে কলুষিত করছে, সেই কুকাজকে শিক্ষকরা মদত দিয়ে যে অসুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলেছে তাতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের মধ্যে সম্পর্কের খারাপ হচ্ছে। আজকের এই মূল্যবোধ হীনতার যুগে, অবক্ষয়িত সমাজে ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে কোন আদর্শ না থাকায় তারা প্রয়োজনে শিক্ষক নিগ্ৰহের পথে পা বাড়াচ্ছে। এই অবক্ষয় সমাজের ঔদাসীন্যের শিকার হয়, অপসংস্কৃতি আর মূল্যবোধ হীনতায় আক্রান্ত হয়, তখন তাদের শুভা-শুভবোধ থাকে না।
সহমত !
চিন্তাশীল মনের বিদগ্ধ প্রকাশ !!
ব্লগার জুল ভার্ন-এর প্রতি অভিন্দন জানাই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান।
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষা নিয়ে রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ গুলো ফলো করলে দেশের জন্য ভালো হবে।
শিক্ষা নিয়ে উনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেছেন।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।
ধন্যবাদ।
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০১
অক্পটে বলেছেন: "অনেক গুলো ছেলে মেয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আর বড় হচ্ছে না। একা একা থেকে তারা স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে।"
চরম সত্য উপলব্ধি জুল ভার্ন।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:০৩
মিরোরডডল বলেছেন:
যে কোনও সম্পর্ক, হতে পারে পরিবারের ভিতরে অথবা বাইরে, সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক একটা ছোট চারাগাছের মতো । ওটাকে যত্ন করতে হয় , রেগুলার নারচার করতে হয় । এবং সেটা অবশ্যই উইথ রেস্পেক্ট এন্ড ফ্রেন্ডলি ওয়ে । তাহলে সম্পর্কের ভিত মজবুত হয়, সম্পর্ক আস্তে আস্তে স্প্রেড করে শাখা প্রশাখা ছড়ায় , ফুল ফল হয় ।
যত্ন না নিলে কোনকিছু টেকেনা, সম্পর্কও না ।
সুন্দর লেখা ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: বয়স যত বাড়ে আমরা তত নীরবতার প্রেমে পড়ি। হৈ-হট্টগোলের থেকে দূরে গিয়ে একটা গোপন জীবন যাপন করতে ভালোবাসতে শিখি। শতাধিক লোক দেখানো প্রাচুর্য ছেড়ে দু'চারটে আসল বন্ধুর সাথে সুখ দুঃখের গল্প করতে শিখি। দেখনদারি সম্পর্কের ঊর্ধ্বে গিয়ে খুব গোপনে কারোর কাঁধে মাথা রাখা সূর্যাস্ত দেখতে শিখি। কে সারাটা জীবন পাশে থাকবে, আর কে সামান্য ঝড়ে খড়কুটোর মত উড়ে যাবে বুঝতে শিখি। অপ্রত্যাশিত অপমানে, নিন্দায়, বিশ্বাসঘাতকতায় চুপ করতে শিখি। কার কথা ভেবে চোখের জল ফেলা উচিত আর কার কথা একফালি হাসি হেসে এড়িয়ে যাওয়া উচিত বুঝতে শিখি। জীবনের এই লম্বা সফরে আমরা প্রত্যেকে আসলে একটা যাত্রীবাহী ট্রেনের মতো। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমরা বুঝতে শিখি, কোন স্টেশনে নামতে হবে আর কোন স্টেশনে আসার আগে গতিবেগ বাড়িয়ে দিতে হবে।
৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৩১
মিরোরডডল বলেছেন:
প্রতিমন্তব্যের সাথে ১০০% সহমত । ভেরি ওয়েল সেইড ।
লাস্ট ইয়ার আমার এক লেখায় একটি মন্তব্যে লিখেছিলাম সেটা এখানে কপি করে দিলাম :
To me, life is a beautiful journey. Once we are on board, we have to be aware that it’s heading to the destination. In between we meet so many passengers as acquaintance that makes our journey pleasant. They are coming and going. We can meet them greet them but we shouldn’t expect anything knowing that very soon we have to say goodbye.
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: অসাধারণ উপলব্ধির বহিঃপ্রকাশ!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০১
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: চমৎকার লেখা।