নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

খঞ্জনা........

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৩

খঞ্জনা........

কদিন যাবত আমাদের বাড়ির কাছে একজোড়া খঞ্জন/খঞ্জনা (wagtail) পাখি উড়তে দেখি। খঞ্জন/খঞ্জনা পাখি চেনার সহজ উপায় হচ্ছে, এই পাখি সাধারণত সোজাসুজি না উড়ে ঢেউ এর মত উঁচুনিচু হয়ে উড়ে বেড়ায়। তাছাড়া কোথাও বসলে লেজ নাড়া এদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এই পাখির গলার স্বরও খুব মিষ্টি। এরা পরিযায়ী পাখি। কয়েকদিন ছবি তোলার এটেম নিয়েও ভালো কোনো ছবি তুলতে পারিনি।


আজ সকাল সোয়া ছয়টায় বারান্দায় তাকিয়েই দেখি একজন জানালার বাইরে অপেক্ষা করছেন.....মাত্র ছয় ফুট দূরত্বে বসে আছেন! কী সুন্দর কাজল কালো চোখ! আর একজন অভিমান করে কিছুটা দূরে একটা ডালের উপর বসে আছেন। কাছে এবং দূরে সাবজেক্ট আমার ক্যামেরা রেঞ্জে- ঝটপট কয়েকটা ছবি তোলার পরই ঢেউ খেলানো ছন্দে উড়ে গেলেন.....উনারা যেনো এসেই ছিলেন আমার ইচ্ছাপুরণের জন্য! খঞ্জনার কাছাকাছি একটা তারের উপর বসে প্রেম করছিলো একজোড়া শালিক-ওদের ছবিও ক্যামেরা বন্দী করেছি।


চমৎকার একটা নজরুল সংগীত আছে- যা অঞ্জনা নদীর তীরে খঞ্জনার চোখ আর নাচ দেখেই কবি লিখেছিলেনঃ-
নদীর নাম সই অঞ্জনা, নাচে তীরে খঞ্জনা সই
পাখি সে নয় নাচে কালো আখি।
আমি যাব না আর অঞ্জনাতে জল আনিতে সখি লো,
ঐ আঁখি কিছু রাখিবে না বাকি।।
সেদিন তুলতে গেলাম দুপুর বেলা
কলমিশাক ঢোলা ঢোলা,
হলো না আর সখি লো শাক তোলা,
আমার অমনি পড়িল মনে, ঢল ঢল তার ডাগর আঁখি
ব্যথায় ভরে উঠল বুকের তলা।
............
.............
আমার অমনি পড়িল মনে
ঢল ঢল তার ডাগর আঁখি লো,
ঝিলের জলে, চোখের জলে হলো মাখামাখি।।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খঞ্চনা নিয়ে ছবি, গান ভাল লাগলো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন, ছবি তুলেছেন। + +
গানটা আমি আগেও বহুবার শুনেছি। তবে এটা যে একটা নজরুল সঙ্গীত, তা আমার জানা ছিল না। আমি এটাকে একটা ভাওয়াইয়া গান বলে ভুলক্রমে জানতাম।
একটা ছোট্ট চঞ্চল লেজ নাড়ানো পাখির ডাগর আঁখি দেখে কবি কি সুন্দর কাব্য রচনা করেছেন!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার একটা মন্তব্য আমাকে লেখার প্রেরণা যোগায়।

আসলে এই গানটা আব্বাস উদ্দীনের দরদী কণ্ঠে বেশী জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে- তাই আমরা এই গানকে ভাওয়াইয়া গান হিসেবেই মেনে নিয়েছি। ঠিক এমন আরো একটি নজরুল সংগীতকে আমরা নজরুল সংগীত হিসেবে জানিনা- সেই গানটা হচ্ছে-

পদ্মার ঢেউ রে–
মোর শূণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে
এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙ্গা পা
আমি হারায়েছি তা’রে ॥

মোর পরান বঁধু নাই,
পদ্মে তাই মধু নাই–নাই রে–
বাতাস কাঁদে বাইরে–
সে সুগন্ধ নাই রে–
মোর রূপের সরসীতে আনন্দ-মৌমাছি
নাহি ঝঙ্কারে ॥

ও পদ্মা রে ঢেউয়ে তোর ঢেউ ওঠায় যেমন চাঁদের আলো
মোর বঁধুয়ার রূপ তেমনি ঝিল্‌মিল ঝিল্‌মিল করে কৃষ্ণ-কালো
সে প্রেমের ঘাটে ঘাটে বাঁশী বাজায়
যদি দেখিস্‌ তারে–দিস্‌ এই পদ্ম তার পায়
বলিস্‌ কেন বুকে আশার দেয়ালী জ্বালিয়ে
ফেলে গেল চির-অন্ধকারে ।।

পদ্মার ঢেউ রে
মোর শূণ্য হৃদয় পদ্ম নিয়ে যা যারে ॥
এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙ্গা পা
আমি হারায়েছি তারে ॥

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশে চড়ুই পাখির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর সবচেয়ে কম সংখ্যার পাখি হচ্ছে খঞ্জনা। তাও শুধু শীতের সময় দেখা যায়। চড়ুই পাখি সারা বছর দেখা যায়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। খঞ্জনা পরিযায়ী পাখি।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুইটা ছবিই ভালো তুলেছেন। দ্বিতীয়টা বেশী ভালো। আজকে দেখলাম যে একটা বেশ বড় আকৃতির কাঠবিড়ালি বিদ্যুতের সরু তারের উপর দিয়ে দ্রুত দৌড়ে এক পাশ থেকে অন্য পাশে চলে গেল। নীচে কেন পড়ে গেল না এটা আমার মাথায় আসছে না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: তখন হয়তো তারে বিদ্যুৎ পরিবাহিত ছিলো না।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৩

ইসিয়াক বলেছেন:



খঞ্জনা পাখির নাম আগে শুনেছি। দেখিনি কোনোদিন। তবে নজরুলগীতিটা আমার শোনা।


সুন্দর পোস্ট।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বিভিন্ন শিল্পীর কন্ঠে গানটি বহুবার শুনেছি।ছবিটাও সুন্দর

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। খঞ্জনা পাখিও চিনলাম

০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.