|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
কৃতজ্ঞ, অকৃতজ্ঞ ও কৃতঘ্নঃ
‘কৃতজ্ঞ’ হচ্ছে- যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করেন। ‘অকৃতজ্ঞ’ হচ্ছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকার করেন না। ‘কৃতঘ্ন’ হচ্ছে যারা উপকারীর উপকার স্বীকারতো করেনই না, বরং উপকারকারীর ক্ষতি করেন। 
মানবজীবনে উপকারকারীর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ থাকাটাই বাঞ্চনীয়। দুঃখ কষ্ট বিপদের সময় যারা উপকার করেন উনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন জীবনের অনেক মৌলিক গুণের একটি। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, কিছু মানুষের মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধের বড়ই অভাব। বরং অকৃতজ্ঞতাই দেখা যায়। অকৃতজ্ঞতা মোটামুটি মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু কৃতঘ্নতা মেনে নিতে নির্দোষ অন্তরে অনেক কষ্ট হয়।  উপকারভোগী দ্বারা উপকারকারীর ক্ষতির বিষয়টি মহাদুর্ভাগ্যের বিষয়। 
বিপদগ্রস্ত মানুষটাকে উপকার করার সময় উপকারকারীর একমাত্র চিন্তা- বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করা। উপকারভোগী ব্যক্তি পরবর্তীতে কৃতজ্ঞতা, অকৃতজ্ঞতা ও কৃতঘ্নতা- কোন্ বিষয়টি দেখাবে সেটি উপকারকারীর মাথায় থাকে না এবং না থাকাটাই স্বাভাবিক। সেজন্য কারো উপকার করলে প্রতিদানের আশা না করে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করাই শ্রেয়। প্রতিদানের আশায় করা হলে কালের বিবর্তনে উপকারভোগী ব্যক্তি যদি অকৃতজ্ঞতা বা কৃতঘ্নতা দেখান তাহলে স্বাভাবিকভাবে মনে কষ্ট পাবেন। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কারো উপকার করা হলে তেমন পরিস্থিতিতে কোন কষ্ট পাবেন না। বরং সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টির জন্য কারো উপকার করলে নির্মম প্রতিদানের শিকার হলেও সৃষ্ট কষ্ট সৃষ্টিকর্তাই দূর করে দেন।  
পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যদি কৃতঘ্ন, অকৃতজ্ঞ হতেন তাহলে পুরা পৃথিবীটাই নরকে পরিণত হতো। স্রষ্টাকে অপরিসীম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা তিনি অন্তত এই কাজটা এখনো পর্যন্ত করেননি। অকৃতজ্ঞতাও এক ধরনের ভালো, কিন্তু অকৃতজ্ঞতার সাথে কৃতঘ্নতা যোগ হলে মানুষের প্রতি মানুষের আর ভরসা করার সুযোগ থাকে না। তেমন অবস্থা যেনো মানব জীবনে কাউকে দেখতে না হয়।।
(একটা বিশেষ অবস্থায় এই লেখাটা লিখেছি কিন্তু বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারছিনা)
 ১৮ টি
    	১৮ টি    	 +৬/-০
    	+৬/-০  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:২৮
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি পদে পদে অকৃতজ্ঞ এবং কৃতঘ্নতার মুখোমুখি.....
মন্তব্য এবং প্লাস এর জন্য ধন্যবাদ।
২|  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:১৯
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:১৯
কামাল৮০ বলেছেন: খারাপ মানুষের এটাও একটা গুন,তারা উপকারীর উপকার স্বীকার করেনা তাই না,পারলে তার অপকার করে।আমার এক পরিচিত লোক এটাকে সমর্থন করতো।তার বক্তব্য,আল্লাহ যার উপকার করে না আমি আল্লার উপর মাতুব্বরী করে তার উপকার করতে গেলাম কেনো।সে তো আমার অপকার করবেই।
  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩০
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: কবিগুরু বলেছেন, "আমি যার উপকার করিনি- সে কেনো আমার ক্ষতি করবে"! অর্থাৎ উপকারের প্রতিদান অপকার করে.....
৩|  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৪০
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকের অহংকারের কারণে কৃতজ্ঞতা বোধ চলে যায়। আমার মা যখন জীবিত ছিলেন আমার এক চাচাতো ভাগ্নিকে একটা প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তির ক্ষেত্রে কিছু সহযোগিতা করেছিলেন। সহযোগিতা বলতে গ্রামের একটা মেয়েকে নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে পরিচয় করিয়ে দেয়া, দুই একজন পরিচিতকে বলে আসা ইত্যাদি। আমার মা ডাক্তার ছিলেন। মেয়েটাকে নিয়ে আমার বাবা আর মা কয়েকদিন দৌড়াদৌড়ি করেছেন। মেয়েটা কোথায় থাকবে সেই ব্যাপারে সাহায্য করেছিলেন। আমাদের বাসাতেও মেয়েটা কয়েকদিন ছিল। পরে আমাদের বাসার কাছেই মেডিকেলের হোস্টেলে সে জায়গা পায়। সেখানেই পুরো সময় পার করে। 
কিন্তু আমার মা মাঝে মাঝে দুঃখ করে বলতেন যে ওকে আমি এত সহযোগিতা করলাম কিন্তু মেডিকেলে ভর্তির পর একটা দিনও আমার সাথে দেখা করলো না। মেয়েটা এখন ভালো চাকরী করে একটা বিদেশী এনজিওতে।
  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৭
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের গ্রামের বাড়িতে বংশপরম্পরায় কেয়ার টেকার ছিলেন.... তাদের সন্তানেরা আমাদের আর্থিক সহায়তায় আজ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে আমাদের গ্রামের অর্ধশত কোটি টাকার যায়গা জমি সব দখল করেছে..
এই কেয়ার টেকার এর এক ছেলে আমার ড্রাইভার ছিলো... আমার সুযোগ ছিলো তাকে সরকারি অফিসের ড্রাইভার হিসেবে চাকুরি দেওয়ার। তাই করে দিয়েছিলাম। তার এক মেয়ে বিসিএস ফরেন সার্ভিস আর এক ছেলে বিসিএস পুলিশ ক্যাডার কর্মকর্তা.... ওরাও ওদের বাপ চাচার অবৈধ দখলদারত্বের সহযোগী.....
৪|  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৫৮
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: সহমত। কিন্তু যেই বিশেষ অবস্থায় এটা লিখেছেন বলে জানালেন সেটা যে কি অবস্থা সেটা জানার জন্য মন আনচান করছে।
 যদিও গোপন কথা গোপন রাখাই ভালো
  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৯
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: দুঃখে কষ্টে লিখতে ইচ্ছে করে না, তারপরও উপরে সাচু'র মন্তব্যের জবাবে যৎসামান্য প্রকাশ করেছি।
৫|  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৫
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কৃতঘ্ন শব্দটা পৃথিবীর আর কোন ভাষায় আছে কি সন্দেহ।
  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৯
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: খুঁজতে হবে.....
৬|  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৩৭
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৩৭
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পড়া শুরু করেই মনে হয়েছি কিশেষ কোনো কারণ আছে এটি লেখার।
  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:১৫
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:১৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কিছু কষ্ট আছে যা প্রকাশ করলে আরও কষ্ট বাড়ে.....
৭|  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৪৬
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৪৬
অপ্সরা বলেছেন: কৃতজ্ঞ অকৃতজ্ঞ জানার চাইতেও কৃতঘ্ন এর ব্যপারে জানা বিশেষ জরুরী।
  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:১৬
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছো, কৃতঘ্ন হলো সর্বোচ্চ নির্মমতা!
৮|  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  রাত ৯:৫৭
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  রাত ৯:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বুঝতেই পারছি ভাইজান ভারাক্রান্ত হৃদয়ে লেখা। কারো পরিমিত বোধ বা উপকার স্বীকার করার অনীহা বহু ক্ষেত্রে আমাদেরকে ব্যথিত করে। জীবনে চলার পথে এমন অনেক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় বা অপ্রত্যাশিতভাবে এমনও অনেক সময় সামনে চলে আসে যেখানে নিজের সৌজন্য বোধ অন্যের অপরিমিত বোধে শতবিরক্তির সত্বেও হজম করতে হয়। মুখ ফুটে তেমন কিছুই বলা যায় না অথচ নিজেকে খুব হতাশ লাগে প্রতিপক্ষের মানুষটির কাছ থেকে অসৌজন্য আচরণ পাওয়ার জন্যে।
  ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  রাত ১০:২৬
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  রাত ১০:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাইয়া, আমি কাউকে উপকরার করলে কখনোই তার থেকে কৃতজ্ঞতা বা প্রতিদানের আশা করি না। সাধ্যমতো উপকার করা মানবিক  দায়িত্ব মনে করি। উপকারীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, তার প্রশংসা করা, তার উপকারের কথা অকপটে স্বীকার করা এবং তার জন্য দু‘আ করাও ভালো মানুষের স্বপ্রনোদিত হওয়াই মানবিক মূল্যবোধের পরিচয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হচ্ছে, কৃতজ্ঞতাবোধ দূরে থাক- অপকার করতেই পারংগম।
সুন্দর একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৯|  ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  রাত ১২:২৬
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  রাত ১২:২৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: কৃতঘ্ন শব্দের অর্থ জানতাম না, তবে এরকম মানুষ দেখেছি! 
যাইহোক,অন্যপ্রসঙ্গ  জুল ভার্ন নামের একজন বিখ্যাত ফরাসী কল্প-কাহিনী লেখক ছিলেন!   আপনার নিক কি সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিয়েছেন!
  ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৪৪
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: জুলভার্ন আইডি'র ছোট খাটো একটা ইতিহাস আছে.....আমার প্রথম আইডি তে বেশীরভাগ দেশবিদেশের ভ্রমণ পোস্ট লিখতাম....বন্ধুরা মজা করে আমাকে জুলভার্ন সম্বোধন করতেন..... দুই বছরের মাথায় সেই আইডি ব্যান করা হয়.... কয়েক মাস পর একজন সিনিয়র ব্লগার বন্ধু জুলভার্ন নামে এই আইডি রেজিস্ট্রেশন করে দেয়.....
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  সকাল ৯:৪০
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২  সকাল ৯:৪০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছোটবেলায় বাংলা ব্যাকরণ (এক কথায় প্রকাশ) পড়তে গিয়ে সেই যে এই শব্দ তিনটের অর্থ শিখেছিলাম, জীবনে আর ভুলিনি। যদিও অনেককে দেখেছি শব্দগুলোর ব্যবহারে একটু এদিক ওদিক করে ফেলতে। বাকি জীবনভর শব্দগুলোর সংজ্ঞার শুধু দৃষ্টান্ত দেখে গেছি।
আপনার দেয়া সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা ঠিক আছে। + +