নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে পরিস্থিতি থেকে.....
মানুষ মানুষের জন্য। সহমর্মিতা মানুষের একটা মহৎ গুণ। প্রাকৃতিক নিয়ম ও ছেলেবেলায় বড়দের কাছ থেকে এ গুণটা অর্জন করা হয়। ধর্মীয় বিষয়াদি বইপুস্তক ও মহৎ ব্যক্তিদের জীবনদর্শন থেকেও মানুষের এই মহৎ গুণের সন্ধান পাওয়া যায়। ছেলেবেলায় পিতা-মাতা সন্তানদের এরূপ বিষয়ে উৎসাহ ও শিক্ষাদান করলে পরবর্তী জীবনে এরা অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সহমর্মিতা শেখে। মানুষকে ঘৃণা অবজ্ঞা না করে সম্মানের চোখে দেখে। কোনো মানুষ নিজের বিপদ-আপদে অন্যের সহানুভূতি পেতে চাইলে অন্যের বিপদেও নিজকে নিয়োজিত করার মানসিকতা থাকতে হবে। এভাবেই সমাজে সুন্দর পরিবেশ গড়ে উঠতে পারে।
মমত্ববোধ বা সহানুভূতি দেখাতে অর্থ খরচের দরকার পড়ে না। একজনের সুন্দর ভাষা ও ব্যবহারের মাধ্যমেই এটি প্রকাশ পায়। সাম্প্রতিক সময় একটি ক্লাবে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে আমার এক বন্ধু পুত্র ধরা খেয়ে হাজত বাস এবং জেলবাস করে ফিরেছে। ধনীর দুলাল সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে জীবন যাপন করে নাকি এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে! বছর খানিক আগে বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান তনয় আরিয়ান খান এক মাদক কেলেংকারীতে কিছুদিন জেল বন্দী ছিলেন। তিনি কি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তা অভিতব্যই জানেন।
এরা কি কখনও এমন পরিণতির কথা আগে চিন্তা করেছে? এদের জীবন যাপনের ধরন দেখে মনে হতো মৃত্যুর পরও এরা বিশেষ ব্যবস্থার মধ্যে পরপারে যাবে। নিষ্ঠুর পরিণতি এদেরকে রেহাই দেয়নি। অভিভাবক বা অগ্রজরা ঐশ্বর্যপূর্ণ বিলাসী জীবন ধারণে অনুজদেরকে উৎসাহী করে তুললে নিষ্ঠুর পরিণতি অবশ্যম্ভাবী। বিলাসপূর্ণ জীবনযাপনে অভ্যস্তরা ছোটদেরকে প্রাকৃতিক জীবন সম্বন্ধে কিইবা শিক্ষা দিতে পারে। সহজ সরল সাধারণ জীবনকে ঘৃণা করার মানসিকতা একটা রোগ বলে মনে হয়। এরূপ ব্যক্তিরা তাদের পরিবার ও অনুজদেরকে কী শিক্ষা দেবে? তাই স্বাভাবিকভাবে এখনকার অনুজরাই আগামীতে বড়দের জন্য কষ্টদায়ক হবে। অর্থাৎ অনুজদের কাছ থেকে তখন ভালো দক্ষিণা আশা করা ঠিক হবে না। তাই করুণ পরিণতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিজ-নিজ অবস্থান থেকে সামাজিক-মানবিক মূল্যবোধে অনুজদেরকে সম্পৃক্ত করতে পারলে সামাজিক অবক্ষয় এড়ানো সম্ভব হবে। ধর্মীয় দিকনির্দেশনা থেকেও আমরা ছোটদেরকে এই মহৎ গুণ সম্পর্কে বোঝাতে পারি। মহৎ গুণাবলিসম্পন্ন ব্যক্তিদের জীবন দর্শন সম্পর্কে আলোচনা করতে পারি, যাতে এসব স্মরণীয় ব্যক্তিত্বের মহান দিক কচি মনে রেখাপাত করে।
অনেক প্রতিষ্ঠিত সম্পদশালী ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে নিজ আত্মা ও চরিত্রকে পরিশুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে ধর্মের বিশেষ স্থান দেখে চলেছেন। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে কী পেয়েছি? অনুকরণযোগ্য কোনো মহৎ কাজ কি তারা সমাজের জন্য রেখে যেতে পারেন না? বরং দেখতে পাই জেদ্দা/ রিয়াদ থেকে কারি কারি টাকা খরচ করে স্বর্ণালংকার সুটকেস ভর্তি করে ফিরে এসেছে! এটা কি আসলেই ধর্ম কর্ম নাকি শপিং, নাকি ব্যাবসা!
চারিদিকে চোখ রাখুন। সত্য শোনার জন্য কান খোলা রাখুন। ন্যায় অন্যায় বোঝার জন্য অন্তর উন্মুক্ত রাখুন। তাই সার্বিক মঙ্গলের উদ্দেশ্যে অগ্রজ-অনুজ শিক্ষক-অভিভাবক সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং এর মাধ্যমেই আগামী সোনালি দিনের আবির্ভাব হবে বলে মনে করি।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার একটা মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই- টাকার কোনো বিকল্প নাই। কিন্তু টাকার লোভ থেকে বের করে আনতে হলে একটা সামাজিক জাগরণ দরকার। অবৈধ টাকা উপার্জনের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা জোরদারকরণ, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক-প্রশাসনিক ব্যক্তিদের নিয়মিত আয়-ব্যয়ের হিসাব নেওয়া, বিলাসবহুল জীবনযাপনকারী ব্যক্তিদের অর্থ উপার্জনের উৎস খুঁজে বের করা এবং সব নাগরিককে জবাবদিহির আওতায় আনা ইত্যাদি জরুরি কাজ। তবে সবচেয়ে বেশি যেটা জরুরি তা হলো, সবাইকে সহজ-সরল জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করা। ভোগবিলাসী জীবনযাপনে নিরুৎসাহিত করা। সেই বাল্যপাঠে শেখা আদর্শগুলোকে সমাজে ফিরিয়ে আনা। আমাদের জীবনযাত্রা, আকাঙ্ক্ষা, জীবনাচরণকে আমূল পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা করতে হবে। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু আয় করা এবং সেটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকার আদর্শ সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তা না হলে টাকা উপার্জনের রোগ থেকে সমাজকে, সমাজের মানুষকে বের করে আনা সম্ভব হবে না। সমাজে ভোগের নয়, ত্যাগের আদর্শ ফিরিয়ে আনতে হবে। যেখান থেকে একটু একটু করে আমরা অনেক দূরে চলে গেছি!
একটু নজর করলেই দেখা যাবে এখন আর কারুর সময় নেই। খুবই তাড়া, সবাই ছুটছে.....। কোথায় ছুটছে, কেন ছুটছে, কেউ জানে না। যে ছুটছে সেও জানে না এর উত্তর। কিন্তু সবাই ছুটছে আগে যাওয়ার জন্য। আগে যাওয়া, মানে ফার্স্ট হওয়ার জন্য এই ছুটে চলা। তা সে লেখাপড়ায় হোক, খেলাধুলায় হোক বা সামান্য পথে চলাই হোক। সব সময় মনে হবে ব্যস্ততার মধ্যে চলেছে এই প্রজন্ম। চারপাশে আর কিচ্ছুটি নেই। শুধু আমি। আমায় পৌঁছাতে হবে সবার আগে। আশপাশে কে ধাক্কা খেয়ে পড়ল, কার লাগল বা কেউ আমার জন্য আহত হলো বা বঞ্চিত হলো– এসব দেখার সময় নেই কারও। শুধু জানা আছে আমার চাই ব্যস।
এই যে মনোভাব, এ তো কোনো দৈব আদেশ বা অভিশাপের ফল নয়। এর শেকড় সন্ধান করলে আমরা আমাদের মুখই দেখতে পাব। আমরাই তো তাদের স্বার্থপর, আত্মকেন্দ্রিক, সংকীর্ণ বানিয়েছি। তাদের নামিয়েছি প্রতিযোগিতার ঘোড়দৌড়ের মাঠে। প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রকৃত বন্ধু, আত্মীয়, পরিজন বা প্রতিবেশীকে এড়িয়ে চলতে শিখিয়েছি। আমরা অভিভাবকরা প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দিয়েছি না, কোনো বন্ধুকে সাহায্য করতে যাবে না। তাহলেই ও বেশি নম্বর পেয়ে যাবে। আর তুমি পড়বে পিছিয়ে। তোমার প্রশ্নের উত্তর আমি লিখে দিলাম, এটা কাউকে দেখাবে না। এর মধ্যে এমন সব পয়েন্ট দিয়েছি যা আর কেউ লিখবে না জেনো। তোমাকে ফার্স্ট হতেই হবে... এই তোমার টার্গেট।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২২
কামাল৮০ বলেছেন: যে যেমন কর্ম করবে সে তেমন ফল পাবে।এটাই প্রকৃতির নিয়ম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: কিন্তু এখন ভালো কাজের জন্য ভালো প্রাপ্তি নাই বরং মন্দ কাজের জন্য আছে প্রশাসনিক সহায়তা এবং পুরস্কার!
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,
শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে পরিস্থিতি থেকে.....
তা; এখন বর্তমানে যে পরিস্থিতি তা থেকে যদি শিক্ষা গ্রহন করতেই হয় তবে পৃথিবীটা নরক হতে বেশী সময় লাগবেনা!
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাইজান, এটাই সারকথা। এই অসহনীয় পরিস্থিতি বুঝে যদি আমরা শিক্ষা না নেই তাহলে ধ্বংস অনিবার্য।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: নির্মোহ বিশ্লেষন করেছেন ভাইজান। বর্তমান সময়ে সমাজে নানান পঙ্কিলতা আমাদেরকে অক্টোপাসের মতো ঘিরে রেখেছে। অত্যন্ত সন্তর্পনে চোখ কান খোলা রেখে আমাদেরকে চলতে হবে না হলে পা পিছলে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকেই যায়।।
ভালো থাকবেন সবসময়।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: বলা যায় সেই প্রাচীনকালেই সক্রেটিস বলেছেন, “নো দ্যাইসেলফ”- এই কথাটি জীবন চলার চাবিকাঠি। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে কী বলতে চেয়েছিলেন সক্রেটিস তার এই কথাটিতে! আমিও মনে করি, একজন ভালো মানুষ হতে হলে প্রথমেই নিজেকে জানতে হবে। আর নিজেকে জানার চেষ্টা করলেই সত্য আমাদের ডাকে সাড়া দিবে।
যেমন আমরা ইনভেন্টরি করি আমাদের বিষয় সম্পদের ঠিক তেমনি করে আমাদের চরিত্রের ওপর ইনভেন্টরি করতে পারি। আমরা কেমন, কী পছন্দ করি বা কী পছন্দ করি না ইত্যাদি। দেখবেন কিছুক্ষণ বর্ণনা করার পর হাত কাঁপতে থাকবে যদি সত্য কথা মন থেকে লিখা সম্ভব না হয়। একবার নিজে নিজেই চেষ্টা করে দেখুন প্লিজ...
ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাই। মনের কথা গুলোই বলেছেন।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিলাসিতায় নিমজ্জিত থাকার কারণে কোনটা বিলাসিতা সেটা অনেকে বুঝতেই পারে না। তারা যে বিলাসিতার মধ্যে আছে সেটাই তারা বুঝতে পারে না। মনে করে এটাই স্বাভাবিক। এমন কি খাওয়া দাওয়া নিয়েও আমরা বিলাসিতা করি এবং মানুষকে দেখাই। ফেইসবুকে খাওয়া দাওয়া নিয়েও শো অফ করা হয়। আবার অনেকে মনে করে কোন একটা কাজ অন্যের ক্ষেত্রে বিলাসিতা কিন্তু নিজের ক্ষেত্রে এটাকে বিলাসিতা মনে করে না। এক ধরণের ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড।
অনেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের জন্য ১ লাখ টাকার মোবাইল কিনে দিচ্ছে। সামর্থ্য থাকলেই কি দিতে হবে। এটা থেকে ঐ বাচ্চা কি শিখবে। পরবর্তী প্রজন্মকে অনেক ক্ষেত্রে আমরাই নষ্ট করছি।
বছর বছর ওমরা করা এখন একটা শো অফের পর্যায়ে চলে গেছে অনেকের ক্ষেত্রে (অবশ্যই ব্যতিক্রম আছে)। ওমরা করতে যাবে আসার সময় লক্ষ লক্ষ টাকার শপিং করবে। টাকা দিয়েই তো এরা সব গুনাহ মাফ করে নেবে মনে হচ্ছে। ইসলাম কি শুধু নামাজ, রোজা, হজ আর জাকাতে সীমাবদ্ধ। জীবনের অন্য ক্ষেত্রে ইসলামের ছোঁয়া কেন দেখা যাচ্ছে না।