|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
এই অবক্ষয়ের শেষ কোথায়.... 
মানুষের মানসিক, মানবিক প্রবৃত্তি ক্রমশ চরিত্র বদল করছে। বছর কয়েক আগেও মানুষের মনোজগতে এত হিংস্র, এতো কুৎসিত ছিল না। অন্তরে আলো ছিল, বিশ্বাসের একটা পরিধি ছিল। পরিসীমা ছিল। সেই সীমানা সচরাচর কেউ টপকাতো না। কেউ টপকালে তার ওপরে আছড়ে পড়তো মানুষের নিন্দার চাবুক। মানুষ তখন নিন্দাকে ভয় পেতো। শুভ পথে হেঁটে যাওয়ার ঝোঁক ছিল মানুষের। যৌনতা না পরে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সম্মানই ছিল দুটো মানুষের কাছে যাওয়ার সেতু বন্ধন।  
কোথায় হারিয়ে গেল সেই সব দিন!
আগে পারস্পরিক সম্পর্কের আয়ু ছিল কত লম্বা! এক জীবনে তা শেষ হত না। আজকাল সব সম্পর্কই বড়ো স্বল্পায়ু। দু'জন দু'জনকে জেনে বুঝে ওঠার আগেই সম্পর্ক শেষ। আগে ছিল মনের চর্চা। আর আজকাল প্রথমেই শরীরের চর্চা। এখন যৌনতা দিয়েই শুরু হয় সম্পর্ক। একসময় সেই যৌনতা এক থেকে একাধিক জনের দিকে গড়িয়ে যায়। আর মৃত চুলের মতো খসে পড়ে যায় পুরনো সম্পর্ক।
মানুষের প্রবৃত্তির এই যে চরিত্রবদল- এর মূলে রয়েছে আমাদেরই প্রশ্রয়। অন্যায়কে অন্যায় বলে চিহ্নিত করতে ভুলে গেছি আমরা। আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে- তাতেই আমরা সম্মতি জানাচ্ছি। ফলে অবাধে বেড়ে উঠছে মানুষের মনের আগাছা। সাফ করার লোক নেই। অধিকাংশই তো অপপ্রবৃত্তিতে আক্রান্ত। কে কার নোংরা পরিষ্কার করব?
আমরা কি আমাদের সেই স্বর্ণময় দিনকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারি না? সেই রোমান্টিক অনুভূতি! সেই চোখে চোখে মুগ্ধতা! 
সেই সারল্য ... 
পবিত্রতা ...  
শিহরণ ...
 ৩৫ টি
    	৩৫ টি    	 +৭/-০
    	+৭/-০  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০৬
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। আমরা যে অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছি- সেখান থেকে ভালো অবস্থানেে যেতে কয়েকটা প্রজন্ম পার হতে হবে।
২|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৫০
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৫০
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: বাঙালির প্রচুর কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০০
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: কাউন্সেলিং নয়, দরকার পারিবারিক শিক্ষা ও মূল্যবোধ।
৩|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:১২
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:১২
মুক্তা নীল বলেছেন: 
আপনার ইচ্ছাগুলোকে শ্রদ্ধা জানাই । মানুষের প্রতি মানুষের মায়া-মমতা আন্তরিকতা ও বিশ্বস্ততা একেবারেই নেই যা আছে তা অতি নগণ্য ।
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০১
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা এখন মানবিক বিপর্যয় আর সংকটকাল অতিক্রম করছি।
৪|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:৩৬
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন: মানুষের চরিত্র পাল্টাতেই থাকবে। এভাবে নতুন একটা সমাজ তৈরি হবে- ফের শুরু হবে অবক্ষয়- ফের গড়ে উঠবে নতুন মুল্যবোধ, 
 যৌনতার চিন্তা ধারা, জাতিগত, ধর্মীয় অনুভুতি আর সমাজ। এই বিবর্তন আমাদের  না চাইলেও মেনে নিতে হবে।
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০৫
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ২:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: একমত। অবশ্যই মানুষের চরিত্র পাল্টাতেই থাকবে। তবে সভ্যতা ধ্বংশ করে নয়। আমরা এখন সভ্যতা ধ্বংশন্মুখ জাতিতে পরিবর্তিত হয়েছি। সকক ভালোকে বর্জন করে অপসংস্কৃতিকে দ্রুত ধারণ করছি। আমরা যে অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছি- সেখান থেকে ভালো অবস্থানে যেতে কয়েকটা প্রজন্ম পার হতে হবে। এই অবক্ষয় থেকে বের হতে ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে।
৫|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:২৬
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:২৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মানুষ যেন ক্রমেই সূক্ষ্ণ চেতনা গুলো হারাতে বসেছে, একদা প্রেম-ভালোবাসা ছিল, এখন তার স্থান দখল করেছে সে*ক*স। বার্ট্রান্ড রাসেল যেমনটা বলেছিলেন লাভ-টাভ কিছুনা ওর মুলে রয়েছে সে*ক*স। 
আপনার মতো আমিও ইদানিং খুব হতাশার সঙ্গে লক্ষ করছি আমাদের সমাজের মানুষ গুলো আগে কত অনুভূতিপ্রবণ ছিল, আগে গ্রামে দেখেছি মানুষগুলো তাদের আনন্দ-বেদনা গুলো পরস্পরের সাথে শেয়ার করে নিত, ফলে আনন্দগুলো বেড়ে যেত আর দুঃখ গুলো যেত কমে। আমি নিজেও তাদের সাথে তাল মিলিয়ে কেমন করে যেন বদলে গেলাম, সবকিছু কর্পূরের মতো উবে গেলো কিভাবে? আমাদের মনে হয় আর ফিরিবার পথ নাই !
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৩৫
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: কোথায় মানুষ, মনুষ্যত্ব আর মানবতা! 
মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, ভ্রাতৃত্ববোধ নেই বললেই চলে। 
মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য- এই অপাত্য বাণীটি আমাদের সবার জানা থাকলেও মর্মকথাটি আমাদের সমাজে যেন হয়ে পড়েছে অর্থহীন। বাঙালি জাতি তো এত বর্বর কোনোকালেই ছিল না। তবে কি সভ্যতার ক্রমবিকাশ আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে? আইনের শাসনের অনুপস্থিতি আর বিচারিক দীর্ঘসূত্রতা কি তবে সমাজে বাড়াচ্ছে সামাজিক অপরাধ? 
আমি মনে করি- নৈতিক শিক্ষা ও ধর্মীয় অনুশাসনের পাঠ পাচ্ছে না বলেই আমাদের সন্তানরা হারিয়ে ফেলছে মূল্যবোধ। আর ঠিক এ কারণেই সামাজিক এমনকি পারিবারিক বন্ধনগুলোও আজ নড়বড়ে। নিকট অতীতেও আমরা দেখেছিলাম এদেশে ছিল যৌথ পরিবার/ একান্নবর্তী পরিবার। যৌথ পরিবারগুলো ছিল সামাজিক অনুশাসন আর আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ। এই পরিবারগুলোয় বসবাসকারীরা অর্জন করত মানবিক মূল্যবোধ ও একে অন্যের প্রতি দায়িত্বশীল মনোভাব। বর্তমান বাংলাদেশে যৌথ পরিবারের সংস্কৃতি বিলীন হয়ে গিয়েছে। মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফলে মানুষ হয়ে পড়ছে আত্মকেন্দ্রিক আর স্বার্থবাদী। সমাজ হয়ে পড়ছে বিকারগ্রস্ত। দুর্নীতি, অনিয়ম আর গণতন্ত্রহীনতার বাংলাদেশে অনিয়মই এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেই আইনের শাসন আর বেঁচে থাকার অধিকার। মানবাধিকার পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে, আমাদের কারোই স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পর্যন্ত নেই। অবস্থাদৃষ্টে প্রতীয়মান হয়, কালক্রমে দেশে সব পণ্যের দাম বাড়লেও যেন কমেছে শুধু মানুষের জীবনের দাম।
৬|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৪৪
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৩:৪৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: 
আজকাল সব সম্পর্কই বড়ো স্বল্পায়ু। দু'জন দু'জনকে জেনে বুঝে ওঠার আগেই সম্পর্ক শেষ। 
এটা মনে হয় নতুন কালচার তৈরি হয়েছে!!
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:০০
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: ইহাই নাকি স্মার্টনেস!
৭|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:০৭
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুক, টিকটক নষ্ট করে দিচ্ছে যুবসমাজকে।
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:১৭
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম!
৮|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:৫৭
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: এই জাতি আরা ঠিক হবে না। এরা দিন দিন অধপতনে যাবে।
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:২৯
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: সন্দেহের কোনো অবকাশ নাই এবং এই ধ্বংসের, এই অবক্ষয়ের মূল হোতা বর্তমান সরকার।
৯|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৭:৫৩
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৭:৫৩
সামছুল আলম কচি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সুন্দর লেখাটির জন্য!! কুশিক্ষা'র ফল আর সুশিক্ষা'র অভাব।
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৯:৫১
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: যথাযথ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১০|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৮:৪৪
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৮:৪৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ধর্মে ফেরত যাওয়া ছাড়া এসব নোংরামি বন্ধ হবে না...
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:০৭
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: শুধু ধর্ম নয়, পারিবারিক শিক্ষায় মানবিক মূল্যবোধের ব্যাপ্তি ঘটায়।
১১|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৮:৫১
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৮:৫১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: মানুষ সামান্য স্বার্থের জন্য নিজেকে খুব সস্তা করে ফেলেছে। মনুষ্যত্ব বলে তাই এখন আর কিছু নাই যা আছে তা শুধুই কায়া।
  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৯:৫৪
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ৯:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আর মূল্যবোধহূন মানুষগুলো ক্ষমতাসীন।
১২|  ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ১১:৫৪
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ১১:৫৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা এই পরিবর্তন কী রাজনৈতিক কারণে হচ্ছে না
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:১৩
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: অন্যতম প্রধার কারণ- রাজনৈতিক দূর্বিত্তায়ন, রাজনৈতিক নেতাদের জনগনের কাছে জবাবদিহীতার সংস্কৃতি ফুরিয়ে যাওয়া।
১৩|  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ১২:২৯
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  রাত ১২:২৯
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: 
আপনার পোস্টটি দু'বার পরলাম। এখানে কেবলই অতীতের সোনালী দিনের আফসোস নয়। এখানে ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর আক্ষেপ ফুটে উঠেছে! আমার মনে হয় না আমরা ব্লগারদের সবাই এমন সুদিন ফিরিয়ে আনার বা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সুন্দর সেই সোনালী জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরা ইতিহাস পাঠ করি কেবলই ভবিষ্যতের জন্য। এমনই ভাবে যদি আমরা আজকের দিনটিকে আগামী দিনের জন্য ব্যবহার করতে পারি তবেই আমাদের মনে কিছুটা হলেও শান্তি পাই! 
আমরা দিনকে দিন বস্তুবাদী চেতনায় এমনভাবে বাঁধা পরছি যে, মনোজগঠকে আমরা হারিয়ে ফেলছি। বস্তুবাদ খারাপ কিছু নয়, তবে সেটা দিয়ে যখন আমরা আমাদের সার্বিক জীবন সাজাতে চাই তখনই বোকামিটা করি! দেহের সাথে মনোজগতের অমিল বলুন আর যাই বলুন, আমরা সম্প্রতি এমনভাবে নিজেদেরকে ফালতু কাজে ব্যস্ত রাখছি, আমাদের অনুধাবনের পূর্বেই আমরা নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি নিজেদের।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:২৬
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ইসলাম ভাই, আপনি অসাধারন সুন্দর একটা মন্তব্য করে আমার লেখার বিষয়বস্তুকেই সমর্থন করার জন্য ধন্যবাদ। আসলে- যে সংস্কৃতির সাথে নৈতিকতার বিচ্ছেদ হয়েছে সে সংস্কৃতি দূর্বার তরুণদের উন্মত্ত চলার পথে কেবল বাঁক তৈরি করবে আর "এপার ভেঙে ওপার গড়ার" প্রফিটলেস প্রক্রিয়ায় সান্ত্বনা খুঁজবে। কিন্তু নৈতিকতার কষ্টি পাথরে যাচাই করা যে সংস্কৃতি, তার মূল্যবোধের বাঁধে প্রমত্ত তারুণ্যের স্রোত তৈরি করবে উজ্জীবিত নতুন শক্তি। যার আলোয় আলোকিত হবে পথহারা এ জাতির নতুন চলার পথ। 
নবম শ্রেনীতে পড়ার সময় আমাদের এক সহপাঠী কাজী নজরুল ইসলামের "যৌবনের গান" প্রবন্ধের ক্লাস টেস্টে যৌবন কাকে বলে এর উত্তরে লিখেছিল- "যৌবন আমার লাল টমেটো"(ক্যাডেট কলেজের স্টুডেন্টরা সুযোগ পেলেই দুষ্টুমীর মাত্রা অতিক্রম করে যায়- তার প্রমাণ এই "-" কোটেশন)। ব্যাপারটা ফানি হলেও আমার মনে "যৌবন জিনিসটা আসলে কি" প্রশ্নটা নতুনভাবে কচলাকচলি শুরু করে। নতুনভাবে বললাম কারণ স্যারের ক্লাসে "যৌবনের গান" প্রবন্ধের কোন টপিক নিয়ে প্রশ্ন করলেই শাস্তির শিকার হতে হতো।
তবে বড়বেলায় এসে এই প্রশ্নটা নতুনতর হয়ে হাজির হলো যখন আমি "River's Life Cycle" পড়ছিলাম। সেখানে দেখলাম নদীর জীবনচক্রের যে স্টেইজটা সবচেয়ে গতিশীল আর প্রমত্ত সেটা হলো তার Youth Stage। এ সময় সে কোন বাঁধা মানতে চায় না, চিড়েফুঁড়ে এগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। আর এই কারণেই নদীর এই সময়কার স্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
যাহোক, ন্যাচারাল অর্ডারে কেন যৌবনের এত গুরুত্ব সেটা জানতে গিয়ে আমি মনুষ্য প্রজাতির জীবনচক্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের জাগতিক এবং পারলৌকিক তাৎপর্য কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি- যা এখানে ব্যাখ্যা করলে "ধান ভানতে শীবের গীত" হয়ে যাবে। 
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৪|  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  ভোর ৫:৫৮
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  ভোর ৫:৫৮
সোহানী বলেছেন: না পারবো না কারন আমরা দিন দিন ভোগী হচ্ছি ত্যাগী নয়।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৩০
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপু, আপনার এই একটা বাক্যেই অনেক কথা বলা হয়েছে। বর্জনের বদলে আমরা আদিম পাশবিকতা দিন দিন বেশি আত্মস্থ করে আত্মঘাতী, মনুষ্যঘাতী হচ্ছি। আপসোস, আমরা শিশুর সরলতায় হাসাতে পারবো না।
শয়তানীর হাসিতে হাসতে হাসতে আমরা উড়ে বেড়াব- আকাশ থেকে আকাশে আকাশে ভাসবো শুধু ভালোবাসার বাতাসে, আর অনিষ্ট করবো বর্তমান ভবিষ্যত প্রজন্মকে।
১৫|  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৭:৪৭
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৭:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগের তুলনায় অভাব কমে যাওয়ায় মানুষ ভোগবাদী হয়ে যাচ্ছে। মানুষের একের প্রতি অন্যের নির্ভরশীলতাও কমে যাচ্ছে। ফলে মানুষ বন্ধন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৩৪
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ভোগবাদ তত্ত্বের প্রবর্তক গ্রিক দার্শনিক এপিকিউরাস। তার সেই তত্ত্ব কালের আবর্তে বস্তুবাদের সঙ্গে মিশে একাকার হয়েছে। বর্তমানে বস্তুগত ভোগ-বিলাসের মাধ্যমে সুখ সাধনাই মানবজাতির চূড়ান্ত লক্ষ্য। এর সঙ্গে যুক্ত ‘রোমান্টিকতা’তত্ত্ব, যা মানব সম্প্রদায়কে শেখায় ‘মন যা চায় তাই করতে হবে’।
ভোগবাদ আমাদের শেখায়, সুখ মানেই বিলাসী সামগ্রী, ব্যয়বহুল ফ্ল্যাট, দামি ফোন, বিলাসী রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া, বিদেশি প্রসাধনী-জামাকাপড় অথবা ছুটিতে বালি-সিঙ্গাপুর বেড়াতে যাওয়া। জীবনের সফলতা-ব্যর্থতার মাপকাঠি এখন বিলাসিতা। তাই বস্তুগত বিলাসিতা ছাড়া অন্য কিছুতে আমরা আনন্দ খুঁজে পাই না, কল্যাণকর কাজে উৎসাহ বোধ করি না। ভোগবাদ আমাদের কাছে একটি সামাজিক মিথে পরিণত হয়েছে। এ কারণেই একটি স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও, বাজারের সর্বশেষ মডেলের ফোনটি না কেনা পর্যন্ত আমারা সুখী হতে পারি না।
১৬|  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:২৩
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:২৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার মনে হয় এই পরিবর্তনকে এড়ানো যাবে না কারণ আমরা সবাই মিলে যেঁচে এই নিয়ম বানিয়েছি । আমরা সবাই ভালোবাসা ভালোবাসা করছি কিন্তু আমরা এখনও ঠিক করতে পারছি না ভালোবাসা বিষয়টা কী ! আমরা সবাই প্রয়োজনে বিশ্বাসী আর তাই প্রয়োজন গড়ে তোলে প্রিয়জন , তো এখানে ভালোবাসাটা একটা পোশাক , অনাবৃত হলে প্রয়োজনটাই আসল !!
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৩৭
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সকাল ১০:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এই প্রজন্মের বেশীরভাগ তরুণ তরুণদের কাছে- ভালোবাসা মানেই সেক্স করা! সেই সাথে যোগ হয়েছে- যেনোতেনো উপায়ে অগাধ উপার্জনের নেষা। মানব সম্প্রদায় তার জীবনকে আরামদায়ক করতে গিয়ে বেছে নিয়েছে ঢাউস সাইজের টিভি, স্মার্টফোন, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, দামি খাদ্যাভ্যাস, ক্রেডিট কার্ড, দেশ-বিদেশে পর্যটনসহ হাজারটা উপকরণ।
১৭|  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:৫৯
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:৫৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @জুলভার্ন  
 আরামদায়ক জীবন বলতে তো এটাই বোঝায় তাই না , এসব ছাড়া আরামদায়ক জীবন কী সম্ভব ? সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অর্থনৈতিক । আমরা এখন বুঝে যাচ্ছি টাকাই হলো জীবনের সব !!
এতেই হয়তো হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের অতীতের যত সংস্কৃতি !!
  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:১০
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার মনে হয় - অর্থনৈতিক কারণের চাইতেও পারিবারিক মূল্যবোধ এবং নৈতিক স্খলন বেশী দায়ী। প্রমাণ হিসেবে একটা নিউজের ক্লিপ এড করে দিলাম।
১৮|  ০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:১১
০৩ রা নভেম্বর, ২০২২  সন্ধ্যা  ৬:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: 
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৪৮
০২ রা নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১২:৪৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: মনে হয় না আর ফিরবে কারণ খালি পরিবর্তনশীল হচ্ছে