|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
বিশ্বস্রষ্টার জন্য সংগীত .....
সুরসম্রাট তানসেন সুরের মায়া ছড়িয়ে দিচ্ছেন রাজদরবারে। 
গাইছেন তাঁর প্রিয়তম রাগ মেঘমল্লার। পাত্র-মিত্র-উজির-আমীর আবেশের ধারাস্নানে স্নাত হচ্ছেন। একটু যেন মেঘও ঘনিয়ে এল আকাশে। গান হল শেষ। তখ্ত ছেড়ে এসে বুকে জড়িয়ে ধরলেন বাদশাহ আকবর। বিহ্বল স্বরে বললেন, "তানসেন, তুমি এ-বিশ্বের সর্বকালের সেরা গায়ক।"    
  
মৃদু হেসে প্রতিবাদ করলেন তানসেন, 'না জাঁহাপনা। আমার চেয়েও বড় গায়ক একজন আছেন। অন্তত একজন।'
সম্রাট আকবরঃ তোমার চেয়েও বড় গায়ক? অসম্ভব!
তানসেনঃ আপনি যদি দেখতে চান তাহলে একবার চলুন আমার সঙ্গে যমুনাতীরে। ধীরসমীরে। বৃক্ষছায়ে পর্ণকুটীরে আছেন এক সাধক। একটাই শর্ত, তাঁর সাধনার কোনো ব্যাঘাত যেন না ঘটে!
পরদিন সন্ধ্যা নামে নামে। সুবাতাস বয়ে নিয়ে আকবর বাদশাহ পৌঁছুলেন যমুনাতীরে। খানিক অন্তরালে। সূর্য গেল পাটে। ধীরপায়ে কুটীর থেকে বেরিয়ে নদীতীরে বসলেন সাধক। অস্তগামী সূর্যের শেষ রশ্মিটুকুর পানে চেয়ে শুরু করলেন সুরের সাধনা। সে সুরের মূর্ছনা নিবিড় থেকে নিবিড়তর হলো ধীরে ধীরে। যমুনার ছলাৎছল যেন একটু কমলো। পাখিদের কলকাকলি গেল থেমে। অস্তগামী সূর্যও শেষ ছটাটুকু মেলে ধরলো অনন্ত আকাশে। 
বিস্ময়বিহ্বল বাদশাহ! দুচোখে দরদরধারা। বহু... বহুক্ষণ নির্বাক থেকে অবশেষে ঘোরলাগা স্বরে শুধোলেন, ইনি কে তানসেন? 
তানসেনঃ জাঁহাপনা, ইনি আমার গুরু। 
সম্রাট আকবরঃ নিশ্চিত তানসেন, ইনি তোমায় তাঁর সুরের সমস্ত উত্তরাধিকার দেননি। সেরা কিছু লুকিয়ে রেখেছেন শুধু নিজের তরে। 
তানসেনঃ না জাঁহাপনা। সঙ্গীতশাস্ত্রের যত কিছু তান-লয়-রাগ-রাগিণী সব ইনি আমায় উজাড় করে দিয়েছেন। সঅঅঅব…
সম্রাটঃ তবে কেন, তবে কেন এত সাজুয্যের মাঝে এই গুণগত ফারাক? 
দ্বিধাবনাত স্বরে ফিসফিসিয়ে উঠলেন তানসেন, কারণ, জাঁহাপনা, আমি গাই বাদশাহর জন্য, তাঁর দরবারের জন্য। আর ইনি গান এই ছলাৎছল যমুনা যিনি সৃষ্টি করেছেন, সেই বিশ্বস্রষ্টার জন্য। 
 সৌজন্যঃ "Empire of the Moghul: The Tainted Throne"
Book by Alex Rutherford। আমার ভাবানুবাদ।
 ৬ টি
    	৬ টি    	 +৫/-০
    	+৫/-০  ১০ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৯
১০ ই নভেম্বর, ২০২২  সকাল ৮:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। একটা মন্তব্য পেলাম! ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা সাড়ে চুয়াত্তর ভাই।
আপনার মন্তব্য পড়ে সংগীত বিষয়ে আরও সমৃদ্ধ হলাম।
২|  ১০ ই নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:০৭
১০ ই নভেম্বর, ২০২২  দুপুর ১:০৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সেই গুরু হরি দাস স্বামী ? তাই না ? লেখাটা ভালো লেগেছে । শুধু আপনার পোস্টটি পড়ার জন্য লগ ইন করলাম ।
  ১০ ই নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:২৫
১০ ই নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার সৌভাগ্য, আমার জন্য সম্মানের- আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য করতে লগইন করেছেন! ❤️ 
জ্বি সেই গুরুর নাম- হারি দাস স্বামী।
৩|  ১০ ই নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:২৮
১০ ই নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৪:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুরের একটা মোহময়ী আবেদন আছে।
  ১০ ই নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৫:৪৮
১০ ই নভেম্বর, ২০২২  বিকাল ৫:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: অবশ্যই গানে সুরের ভুমিকা অন্যতম। । গানের লিরিক/কথা শ্রুতিমধুর হয় ভালো সুরের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২২  রাত ১১:৩৪
০৯ ই নভেম্বর, ২০২২  রাত ১১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত দাউদ (আঃ) অনেক সুন্দর গান গাইতে পারতেন। এক সময় রাজা বাদশাহরাই শিল্প, সঙ্গীত, সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। লোভ বা ভয় চলে আসলে প্রকৃত শিল্প, সঙ্গীত সাহিত্য সৃষ্টি হয় না। কিছুটা খাদ থেকে যায়।