নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
How the iconic FIFA World Cup Trophy is made....
১৯৭০ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জেতায় (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০) ফিফার তৎকালীন নিয়ম অনুযায়ী ব্রাজিল চিরতরে জিতে নিয়েছিল ‘জুলে রিমে কাপ’। নতুন বিশ্বকাপ ট্রফি (FIFA World Cup Trophy) বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী ওয়ার্ল্ডকাপ ট্রফির মডেল আহবান করে।
বিশ্বের সাতটি দেশ থেকে ৫৩ টি মডেল জমা পরেছিল ফিফার দফতরে। দীর্ঘ কয়েক মাস আলোচনা করে, ফিফা (FIFA )বেছে নিয়েছিল ইতালীয় শিল্পী সিলভিও গাজ্জানিগার অনবদ্য মডেলটিকে। যে মডেলে দেখা যায় মাথার ওপর পৃথিবীকে ধরে রাখা দুই খেলোয়াড়কে। শিল্পী সিলভিও সাংবাদিকদের বলেছিলেন, "মডেলের মাধ্যমে আমি বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়দের আনন্দ ও উদারতাকে প্রকাশ করতে চেয়েছি।"
FIFA World Cup Trophy
(তিন মাসের পরিশ্রমে কারখানার কর্মীরা বিশ্বকাপের ট্রফি তৈরী করে উচ্ছাশ প্রকাশ করছেন)
গাজ্জানিগার মডেল পাঠিয়ে দেওয়া হয় ইতালির স্ট্যাবিলিমেন্ট আর্টিস্টিকো বার্তোনি কোম্পানির কাছে। কাপ মেডেল ও শিল্ড তৈরির কোম্পানিটি স্থাপন করেছিলেন এমিলিও বার্তোনি। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ব্যবসাটি তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন শ্বশুর ইউজিনো লোসার কাছ থেকে। কোম্পানির মূল কারখানাটি ছিল মিলানে। পরে ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় বার্তোনি কারখানাটিকে নিয়ে আসেন মিলানের মফঃস্বল শহর পাদেরনো দুগনানো এলাকায়। ১৯৭১ সালে এই কারখানাতেই বানানো হয়েছিল নতুন বিশ্বকাপ ট্রফি ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ’ (FIFA World Cup Trophy)।
নতুন বিশ্বকাপের ছবি প্রকাশ্যে আসার পর, ট্রফিটির বর্ণনাতীত সৌন্দর্যে মোহিত হয় সারা বিশ্ব। ১৫ ইঞ্চি উচ্চতা ও ৬.১ কেজি ওজনের ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফিটি বানানো হয়েছিল ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে। ট্রফির নিচের অংশে ছিল চক্রাকারে থাকা দুটি পান্না সবুজ ফিতে। যেগুলি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছিল গ্রীন ম্যালাকাইট স্টোন। ট্রফিটি তৈরি করতে ১৯৭১ সালে ফিফার খরচ পড়েছিল ৫০,০০০ ডলার।
জয়ী দলকে দেওয়া হয় না আসল ট্রফিঃ
আসল ট্রফিটি রাখা থাকে সুইৎজারল্যান্ডের জুরিখে অবস্থিত ফিফা ওয়ার্ল্ড ফুটবল মিউজিয়ামে। বিশ্বকাপের দলগুলিকে বিভিন্ন গ্রুপে রাখার জন্য যেদিন লটারি করা হয়, সেদিন FIFA World Cup Trophy বাইরে আনা হয়। এরপর ট্রফিটিকে কঠোর নিরাপত্তার পাঠানো হয় ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি ট্যুরে। কিছু বাছাই করা দেশ যারা বিভিন্ন সময়ে ওয়ার্ল্ডকাপ জিতেছে সেইসব দেশেই অরিজিনাল ট্রফি নেওয়া হলেও বাকি দেশগুলিতে নেওয়া হয় নকল ট্রফি, অর্থাৎ রেপ্লিকা ট্রফি। বিশ্বকাপের প্রথম ও ফাইনাল ম্যাচে আসল ট্রফিটিকে মাঠে আনা হয়। ফাইনালের পর আসল ট্রফির গায়ে বিশ্বকাপ জয়ী দেশের নাম লিখে, সেটি তুলে দেওয়া হয় দেশটির অধিনায়কের হাতে।
অনুষ্ঠান শেষে জয়ী দলের কাছ থেকে আসল ট্রফিটি মাঠেই ফিরিয়ে নেয় ফিফা। তার বদলে জয়ী দেশের হাতে পাকাপাকিভাবে তুলে দেওয়া হয় আসল ট্রফির হুবহু নকল করা অন্য নকল ট্রফি বা রেপ্লিকা। আসল ট্রফিটি, সংস্কারের জন্য পাঠানো হয় ইতালির সেই বার্তোনি কোম্পানির কাছে। কারণ বিজয় উদযাপনের সময় ট্রফিতে আঘাত বা আঁচড় লাগার সম্ভাবনা থাকে।
বার্তোনি (G.D.E. Bertoni) আসল ট্রফিটিকে সংস্কার করে পাঠিয়ে দেয় ফিফার মিউজিয়ামে। যেখানে চার বছর কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয় বিশ্বের সবচেয়ে দামি ট্রফিটি- বর্তমানে ট্রফির দাম ২০ মিলিয়ন ডলার (১৬৩ কোটি টাকা)।
চলুন ঘুরে আসি বার্তোনির ছোট্ট কারখানায়। দেখে আসি কীভাবে বার্তোনি বানায় আসল ট্রফির রেপ্লিকা।
FIFA World Cup Trophy replica
(একেবারে আসল ট্রফির মত দেখতে বিশ্বকাপের রেপ্লিকা)
বার্তোনি মিলানো ইতালির মিলানের বিবর্ণ মফঃস্বল শহর পাদেরনো দুগনানোতে আছে অজস্র ছোট বড় কারখানা। সেগুলির ভিড়ে লুকিয়ে আছে, গোলাপি পাঁচিল ঘেরা ছোট্ট কারখানা ‘বার্তোনি'। যে কারখানাটিকে বিশ্ব চেনে ‘বার্তোনি মিলানো’ নামে। এই ছোট্ট কারখানা থেকেই ১৯৭১ সালে জন্ম নিয়েছিল, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সবচেয়ে দামী ট্রফি ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ’। যে ট্রফিটি ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেন বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিটি ফুটবলার। আসল ট্রফি বানানোর পদ্ধতিটি মেনে আজও বিশ্বকাপের রেপ্লিকা বানানো হয় বার্তোনির কারখানায়। যে রেপ্লিকাটি নিয়ে দেশে ফেরে প্রতিটি বিশ্বকাপ জয়ী দল। যেটি হাতে নিয়ে বোঝা সম্ভব নয়, ট্রফিটি আসল না নকল।
fifa world cup trophy replica
(কারখানার এই ছোট্ট শেডের নিচে বানানো হয় পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ট্রফি)
রেপ্লিকা তৈরির প্রথম ধাপঃ
প্রথমে কারখানার ফার্নেসে গলানো হয় উন্নত মানের পিতল। তারপর সেটি ঢালা হয়, প্লাস্টারের ছাঁচে। যে ছাঁচটিকে তৈরি করা হয় ১৯৭১ সালে তৈরি আসল মডেলের সাহায্যে। এরপর প্লাস্টার কেটে বের করে নিয়ে আসা হয় পিতলের রেপ্লিকা ট্রফিটিকে। মেশিনের মাধ্যমে ট্রফি থেকে চেঁছে নেওয়া হয় অতিরিক্ত পিতল।
প্লাটার কেটে বের করে আনা হয়েছে ট্রফির অবয়ব
(ডাইস থেকে বের করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি)
দ্বিতীয় ধাপঃ
বিশ্বকাপের রেপ্লিকা তৈরির সবচেয়ে কঠিন ধাপ। এই ধাপে ট্রফির শরীরে সূক্ষ্ণ কারুকার্য ফুটিয়ে তোলা হয়। এবং পুরো কাজটাই করা হয় মেশিনের সাহায্য ছাড়া। অভিজ্ঞ কর্মীরা ছোট হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে কুঁদে ট্রফির গায়ে ফুটিয়ে তোলেন শিল্পী গাজ্জানিগার নক্সা। এই পর্বের শেষে ট্রফির গায়ে ফুটে ওঠে দুটি মানুষের নিখুঁত অবয়ব ও পৃথিবী। ট্রফি তৈরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ এই ধাপটি পরিচালনা করেন বার্তোনির সবচেয়ে প্রবীণ ও অভিজ্ঞতম কর্মী পিয়ের্তো ব্রাম্বিলা।
(নিজের স্টুডিওতে বিশ্বকাপের মডেল নিরিক্ষণ করছেন ভাস্কর সিলভিও গাজ্জানিগা)
fifa world cup trophy replica
ছেনি হাতুড়ি দিয়ে পিয়ের্তো ব্রাম্বিলা ট্রফির গায়ে ফুটিয়ে তুলছেন গাজ্জানিগার নকশা
তৃতীয় ধাপঃ
এই পর্যায়ে কাপটিকে মেশিনের সাহায্যে ঘষে নেওয়া হয়। সোনার মত চকচক করতে থাকে পিতল। কাপের গায়ে থাকা সূক্ষ্ণ কাজগুলি আরও সুন্দরভাবে ফুটে ওঠে। তবে এই কাজটি করতে হয় অত্যন্ত সন্তর্পণে ও অভিজ্ঞ হাতে। কারণ সামান্য এদিক ওদিক হলেই আবার নতুন ভাবে ঢালাই করতে হবে ট্রফিটিকে।
(
(মেশিনের সাহায্য চলছে ট্রফির গায়ের সুক্ষ্ণ কারুকার্যগুলিকে আরও সুক্ষ্ণ করার কাজ)
চতুর্থ ধাপঃ
উজ্জ্বল হয়ে ওঠা পিতলের ট্রফিটিকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় কারখানার গ্যালভানাইজেশন বিভাগে। সেখানে প্রথমে একটি বিশেষ তরলে ট্রফিটিকে ডুবিয়ে ট্রফিটিকে নিখুঁত ভাবে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। এরপর ট্রফির ওপর সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়(Electroplating)। প্রতি এক সপ্তাহ পর পর মোট তিন সপ্তাহে তিনবার দেওয়া হয় সোনার প্রথম প্রলেপ। এই ধাপটি পরিচালনা করেন মরক্কোর কর্মী আবদেল কাদের। প্রায় দুই দশক ধরে তিনি কাজ করছেন বার্তোনি কোম্পানিতে।
পঞ্চম ধাপঃ
ট্রফির গায়ে সোনার প্রলেপ দেওয়ার পর, একটি বিশেষ মিশ্রণের সাথে ডিস্টিলড ওয়াটার দিয়ে ট্রফিটিকে ধুয়ে নেওয়া হয় বহুবার। তারপর ট্রফিটিকে শুকিয়ে ট্রফির ওপর অতি সন্তর্পণে লাগানো হয় জাপন বার্নিসের একটি স্তর। যা আমাদের চোখে ধরা পড়ে না। এই স্তরটি ট্রফিটিকে আঁচড়ের হাত থেকে রক্ষা করে এবং ট্রফির ঔজ্জ্বল্য ও সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে।
(গোল্ড প্লেট কালার স্প্রে করা হচ্ছে- গ্লেজ বাড়ানর জন্য)
ষষ্ঠ ধাপঃ
বার্নিস শুকিয়ে যাওয়ার পর, ট্রফিটিকে আবার ধোয়া হয় ডিস্টিলড ওয়াটার দিয়ে। সব শেষে ট্রফির নিচের অংশে বিশেষ পদ্ধতিতে লাগিয়ে দেওয়া হয় সবুজ ম্যালাকাইট পাথরের দুটি চাকতি। যে চাকতি দুটিকে বাইরে থেকে সবুজ স্ফটিক দিয়ে তৈরি চক্রাকার ফিতের মত দেখতে লাগে।
(ট্রফির নিচে লাগানো হচ্ছে সবুজ ম্যালাকাইট মার্বেলের চাকতি)
এভাবেই বার্তোনির কর্মীরা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করেন ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফির রেপ্লিকা। তবে শুধু বিশ্বকাপ ট্রফিই নয়, বিশ্বকাপের সোনা রুপো ও ব্রোঞ্জ পদকগুলিও তৈরি করেন বার্তোনি কারখানার ১২ জন কর্মী। পুরোটাই তদারকি করেন কোম্পানির বর্তমান প্রোডাকশন ম্যানেজার সালভাতোর ইয়ানেত্তি।
(তৃপ্তির চুম্বনঃ তৈরী হয়ে গিয়েছে ওয়ার্ল্ডকাপ ট্রফি রেপ্লিকা)
মোট ১২ জন কর্মীর হাতে রেপ্লিকা ট্রফি তৈরি হয়ে গেলে, কড়া নিরাপত্তায় ট্রফিটিকে নিয়ে যাওয়া হয় ফিফার সদর দফতরে। তাঁরা তৈরি করেন কাতার আমির কাপ, আরবিয়ান গালফ কাপ, আফ্রিকান নেশন চাম্পিয়ন্স কাপ, আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস, উয়েফা ইউরোপিয়ান চাম্পিয়ন্স ট্রফি, উয়েফা ইউরোপা লিগ ট্রফি, উয়েফা সুপার কাপ, উয়েফা চাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফির মত বিশ্ববিখ্যাত ট্রফিগুলি। তৈরি করেন অলিম্পিক ও অনান্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ট্রফি, কাপ ও মেডেলও। কিন্তু কোনওটির সঙ্গেই তুলনা হয় না ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফির।
বার্তোনির কর্মীদের হাতে ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ রেপ্লিকা ইউজেনিও ও বাবা জর্জিওর পর, ২০১০ সাল থেকে জিডিই বার্তোনি কোম্পানিটি পরিচালনা করেন। বার্তোনি পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম ভ্যালেন্টিনা লোসো। যিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ফিফা বিশ্বকাপ ট্রফি আমাদের প্রত্যেকটি কর্মী ও কোম্পানির মুকুটের সবচেয়ে সেরা পালক। প্রায় তিন মাস ধরে, দিন রাত এক করে আমরা তৈরি করে দিই, ক্রীড়া জগতের ইতিহাসের সেরা ট্রফিটি। তৈরি করি ঠিক সেভাবেই, যেভাবে তৈরি করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে।”
(ট্রফির সামনে বার্তোনির বর্তমান কর্ণধার ভ্যালেন্টিনা লোসো)
বার্তোনি কর্মীরা গর্ব করে বলেন, “ফুটবলে পা না দিলেও, আমরা প্রত্যেকেই কিন্তু কোনও না কোনও ধাপে হাতে তুলে নিই ফিফা বিশ্বকাপের ট্রফি। ট্রফিটিকে চোখের সামনে সন্তানের মত জন্ম নিতে দেখি। তাই মিলান থেকে ট্রফি জুরিখে চলে গেলে ভীষণ মন খারাপ হয়ে যায় সবার।”
তথ্যসুত্রঃ How the iconic FIFA World Cup Trophy is made....গুগলে এই বিষয়ে অনেকগুলো লেখা পেয়েছি- যার মধ্য থেকে চুম্বক অংশগুলো ভাবানুবাদ করেছি। ছবিগুলোও নিয়েছি উল্লেখিত সূত্র থেকে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: স্যোশাল মিডিয়ায় ভালো/পরিশ্রমী লেখার কোনো মূল্য নাই- সেটা নিশ্চয়ই স্যোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ বছর বিচরণ করে বুঝেছো!
২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
অনেক শ্রম দিয়েছেন। আগ্রহ ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।
পড়লাম। দারুণ কিছু জানা হলো।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক তথ্যবহুল একটা আর্টিকেল এবং আপনাকে অনেক রিসার্চ করতে হয়েছে নিশ্চয়ই। অনেক আগে যায় যায় দিনে পড়েছিলাম এ ইতিহাস। ভাসা ভাসা মনে ছিল। আজ নতুন করে পড়ে খুব ভালো লাগলো।
শ্রমসাধ্য পোস্ট।
আমাদের জিঞ্জিরা, ধোলাই খাল এরকম কিছু করতে পারে না? সব কন্ট্র্যাক্ট বার্তোনি একা একা নিয়া যাইব, তা তো ঠিক না
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ সোনা ভাই।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের দেশের লোকেরাও যদি সুযোগ পায় তাহলে ওয়ার্ল্ডকপ ট্রফির মতো ট্রিফি মেডাল তৈরী করতে পারবে। তবে নিশ্চয়তা থাকতে হবে বিদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের দেওয়া সম্মাননা ক্রেস্টের সাথে জড়িতদের থেকে দূরে রাখতে হবে- তা নাহলে সেই ক্রেস্টের মতো ষোলো আনাই ভেজাল হতে বাধ্য।
৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কয়কেদিন আগে ইউটিউবে কিছুটা ইতিহাস দেখেছি এর।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৬
বিটপি বলেছেন: একটু ধরে দেখতে পারলে ভালো লাগত।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: শরৎ চন্দ্রে ভাষায় বলি- "যাহা আমার হবার নয়, তাহার জন্য আমার কোনো কৌতূহল, না পাওয়ার কোনো খেদ নাই"।
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার, তথ্যবহুল পোস্ট। এ বিষয়ে এর আগে আমার কিছুই জানা ছিল না।
বর্তমান বাজার মূল্যে ২০০ কোটি টাকার এ নান্দনিক সৃষ্টির শোভা ও সম্মান চিরঅম্লান থাকুক! + +
২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪১
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় স্বজন।
খেলাধূলার নান্দনিকতাও এখন দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতির খপ্পরে পরেছে সেই সংগে "মাঠে সকল ক্ষমতার উৎস রেফারী"র ভুল সিদ্ধান্ত স্বাভাবিক ক্রিড়াশৈলী ধ্বংশ করে দিচ্ছে।
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিশ্বকাপের মরসুমে হাতে গরম তথ্য বহুল পোস্ট++
অনেক শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা প্রিয় ভাই।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫২
কল্পদ্রুম বলেছেন: এরকম আইকোনিক নকশার জন্য গাজ্জানিকা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। বিজয়ী দলকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য রেপ্লিকা দেওয়া হয় জানতাম। দেখা যাচ্ছে রেপ্লিকা হলেও তার পেছনে সৃষ্টিযজ্ঞ সামান্য নয়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত।
রেপ্লিকা হলেও শ্রম সাধানা অর্থাৎ সৃষ্টিযজ্ঞ মোটেই কম না। ট্রফি তৈরীর পদ্ধতি ঠিক রেখে রেপ্লিকায় ১৮ ক্যারেট সোনার পরিবর্তে পিতল এবং সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৪৪
ইলি বলেছেন: চমৎকার, তথ্যবহুল পোস্ট।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: স্যোশাল মিডিয়ায় ভালো/পরিশ্রমী লেখার কোনো মূল্য নাই- সেটা নিশ্চয়ই স্যোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ বছর বিচরণ করে বুঝেছো!
দুনিয়াতে আমি সব কিছু ইচ্ছা করেই কম বুঝি। এতে ঝামেলা কম হয়। মেজাজ খারাপ জম হয়।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: যতো কম জানা ততোই ঝামেলা কম হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: খুবই সুন্দর একটা ইতিহাস আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন।