নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
অহেতুক অপমান.....
ভালমানুষি কারে কয়?
অন্যের অসুবিধার খেয়াল রাখে যে, এবং অন্যের অনিষ্ট করতে প্রবল অনীহা যার, সে-ই ভালমানুষ। এই ‘অন্য’টি যে-ই হোক- চেনা, অচেনা, কিংবা চেনা হয়েও শত্রুমনোভাবাপন্ন- তার প্রতি ব্যবহারে আমি নিজ সুনীতিচ্যুত হবো না; যা ভালমানুষের অঙ্গীকার। এগুলো সভ্যতারও মূল শর্ত। তাই সভ্যতা মূলত যা শিখায়, তা হলো আত্মসংবরণ। আকাঙ্ক্ষাকে বেলাগাম না হতে দিয়ে, আত্মসমীক্ষণ নিরন্তর জারি রাখার অভ্যাসই সভ্যতা।
"কাঁটার আঘাত দেও গো যারে তার
ফুলের আঘাত সয় না....."
মানুষ শারীরিক আঘাত যদিও বা ভুলে যায় অপমান আর বেইমানি ভোলে না। এই দুটো ব্যাপার অন্তরে খোদাই হয়ে যায় সারাজীবনের মতো। যে মানুষ অন্যের উপকার, ভালোবাসা, সম্মানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে সে মানুষ অন্যের কাছে এতটাই লঘু আর হীন হয়ে যায় যে হাজার চেষ্টা করেও সেই দাগ মোছে না। তেমনই হলো অপমান।
একটি সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধের ওপর নির্ভরশীল। অন্যের ত্রুটি-বিচ্যুতি যখন অপরের সাথে যুদ্ধ জেতার হাতিয়ার করে নেয় কেউ, তারচেয়ে নগ্নতা এবং জঘন্যতা আর কিছুতে নেই।
তিনি যা করেছিলেন, তা যদি ভালমানুষি হয়, তবে খারাপমানুষি বস্তুটি কী, ভেবে অনেকেই স্তম্ভিত! কারণ তিনি আগাগোড়া অভদ্রতা ও গালমন্দের উপর ভর করে চলছেন, তাঁর পূর্ণ লেখাটিই নোংরামো হিংসা দ্বেষভিত্তিক। অন্যকে অসম্মান করতে যেয়ে যেখানে নিজেই ভালমানুষ হওয়া দূরের কথা, নিজেকে নিশ্চিত অমানুষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। কবি গুরুর ভাষায়- "আসলে ভালমানুষ হওয়ার জন্য কাউকে অহেতুক অপমান অপদস্ত করা যে নিজের ভালো মানুষ হবার প্রবল প্রতিবন্ধকতা, তার প্রকৃত অর্থ যে ভীরু-ভীরু ভাব লইয়া সরিয়া-সরিয়া থাকা, কাড়িয়া লইতে না পারা, এবং পরিণতিতে বিশ্রী ভাবে পরাজিত হওয়া, ইহা লইয়া কাহারও কোনও সন্দেহ নাই।"
বাসে যে আমি অন্যের পা মাড়াইব না, তাহা মর্দিত পায়ের অধিকারীর নিকট হইতে আমাকে শিখতে হইবে কেন! আমি প্রথম হতেই সচেতন থাকব, যেন কারও কষ্টের কারণ না হই। কথা বলতে যেয়ে আমি নিজের প্রতি নজর রাখব, আসর জমাবার তাগিদে আমি যেন কাউকেও, কোনও দূর দেশের অপরিচিত গোষ্ঠীকেও, অহেতুক অপমান না করি। মুশকিল হল, এই সভ্য ভদ্র ভাল মানুষ চিরকালই সংখ্যাগরিষ্ঠ অশিষ্ট অমার্জিত কর্কশের নিকট হেরে বসে, অন্তত সাময়িক ভাবে।
এখন অশিষ্টতা উদ্যাপনের যুগ। অশ্লীল আত্মবিজ্ঞাপনকে এখন বলে মার্কেটিং, অন্যকে অনর্গল অপমান করার প্রবণতাকে বলে সপ্রতিভতা, হিংসা ও আঘাত করার অভ্যাসকে বলে আগ্রাসন। কেবল স্যোশাল মিডিয়ায়ই নয়, জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই, সকল নম্রতা নিয়ম রীতি নীতি ভুলে, আদিম দখল-মানসিকতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া এখন দস্তুর। ভালমানুষ মিনমিনে, তার যথেষ্ট দম নাই, তাই সে লড়তে পারতেছে না। আর অজুহাত হিসাবে বলতেছে, আমি লড়াই করতে চাহি না, এটাই চালু ধারণা। ভালমানুষও দেখতেছে, তার হাত হতে অ-ভালগণ কেড়ে নিচ্ছে চাকুরি সম্মান প্রেম যৌনতা লবেঞ্চুস। নিজেকে তার নিয়ত বিপন্ন মনে হতে থাকে। এক সময় আত্মসন্দেহ, এমনকী আত্মঘৃণার দিকেও সে ঢলে পড়ে। নীতি-বেতোয়াক্কা জয়ীগণের অট্টহাসি তার মরমে আছড়ায় ও বস্তুগত ব্যর্থতার দায় তার স্কন্ধে ভূতের ন্যায় চেপে বসে। তবে তার সাময়িক পরাজয় ঘটবে, যদি সে 'দেখিয়াশুনিয়া খেপিয়া বলিয়া বসে, আর ভালমানুষি নহে, এই বার দস্তানা খুলিয়া ফেলিবার পালা'।
একটা সময় মানুষের এতশত ডিগ্রি ছিলো না, ঘরে ঘরে এত শিক্ষিত লোক ও ছিলো, গুটিকয়েক শিক্ষিত লোক সমাজে কাঠি নাড়তো। তবে সে সময় মানুষের মাঝে ছিলো নৈতিকতা, মনুষ্যত্ব, জীবনবোধ। তখন মানুষ এতটা হিংস্র ছিলো না। একে অপরের কষ্টে কষ্ট পেত।
কিন্তু আজ এসব তলানিতে। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, নৈতিকতা, মনুষ্যত্ব এসব কি কিছু না।
অপরকে দোষীর কাঠগোড়ায় দাঁড়া করানোর আগে আমাদের আজকাল সত্য মিথ্যে যাচাই করার ও সময় হয় না কারণ আমরা প্রত্যেকেই বড্ড বেশি স্বেচ্ছাচারিতাই ব্যস্ত। এই যে ধরুন, আপনি যদি আপনার জুনিয়রকে প্রাপ্য সম্মান দেন তাহলে সে আপনাকে সর্বদা সম্মানের আসনেই রাখবে এটাই আমরা অনেকে করি না। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব সম্মান রয়েছে। কিন্তু এটা আমরা অনেকেই মানতে নারাজ। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ যে একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব ও মনুষ্যত্ব বহিঃপ্রকাশের অদ্ভুত সুন্দর একটা মাধ্যম তা আমরা ভুলে গিয়েছি। সত্যি বলতে, জীবনবোধ, মনুষ্যত্ব, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এসব সমাজে বিকলাঙ্গ হয়ে পড়েছে।
আমরা যখন কোনকিছুতে একটা মানুষকে দমিয়ে রাখতে না পারি তখন যে কোন প্রকার হীন কাজ করতে দ্বিধাবোধ করি না। অন্যকে ছোট বা হেয় করার মাঝে কোন কৃতিত্ব নেই। বরং নিজের ভিতরের সবচেয়ে নিকৃষ্ট রুপটাকে আপনি প্রকাশ্যে বের করায় আপনি অপরের কাছে ছোট হচ্ছেন। অবশ্য এসব নিয়ে এই প্রকৃতির লোকজনের তেমন মাথাব্যাথা নেই। "যে সহে সে রহে"- সত্যিকারের মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা কখনো দমিয়ে রাখা যায় না।
বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনি সার্টিফিকেটধারী হতে পারেন, রাষ্ট্রের খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রোফাইলের মানুষ তবে আপনার মাঝে নেই মনুষ্যত্ব, মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন করার গুণ। সহজ কথায়, আমি জীবনে কতটা এ্যাচিভ করেছি তা দেখিয়ে সেই অপমানের বদলা নেওয়া আমার স্বভাব নয়। জীবনের অনেক অপমান আমাকে স্তম্ভিত কিম্বা কিছুদিনের জন্য মানসিক কষ্ট দিলেও পরক্ষণে আমাকে অন্য এক পথ দেখিয়েছে। যা আমার নিজের পথ।
অতিরিক্ত ক্ষমতা অর্জন, অঢেল অর্থ উপার্জন করার জন্য মানুষের মাঝে যে ছোটাছুটি চলছে এসবের মাঝে জীবনবোধ, মনুষ্যত্ববোধ ও পারপাস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আজকাল পদপিষ্ট হয়ে পড়েছে। "সুবোধ" সত্যিই শহর ছেড়েই শুধু নয়, গোটা পৃথিবী থেকে পালিয়েছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা সেই শিশু বয়সেই বাল্যশিক্ষা, আদর্শলিপি পড়ে যেসব সুবচন শিখেছিলাম- সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ আমরা করছি কি না- সেসব পর্যবেক্ষণ করতেন আমাদের পরিবারের মুরব্বীগণ, আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগণ। ‘সুবচন নির্বাসনে’- আবদুল্লাহ আল মামুনের একটি বিখ্যাত নাটক। নাটকের পটভূমি দেশের একটি মধ্যবিত্ত পরিবার। স্কুল মাস্টার বাবা বাঙালি সমাজে প্রচলিত চিরন্তন কিছু সুবচনে বিশ্বাস করেন। আর তিনি চান-তার ছেলে-মেয়েরাও যেনো ওই সব আদর্শেই বড় হয়। বাবা বিশ্বাস করেন-‘সততাই মহৎ গুণ’, ‘লেখাপড়া করে যে- গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে’,...ইত্যাদি ইত্যাদি।
বড় ছেলে চেষ্টা করেছে বাবার আদর্শেই চলতে। কিন্তু সমাজে চলতে গিয়ে পদে-পদে সে হোঁচট খেয়েছে। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিক জীবন-সবক্ষেত্রেই সে দেখেছে বাবার শিখিয়ে দেয়া আদর্শের পরাজয়। স্বাধীনতার পর এভাবেই দেশ থেকে ধীরে ধীরে সুবচন নির্বাসনে গিয়েছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে আদর্শহীনতা, নীতিহীনতা, কপটতা, ভণ্ডামি ইত্যাদি। আমাদের বর্তমান সমাজ, সংসার, পরিবার, রাষ্ট্র-সব ক্ষেত্র থেকেই সুবচন আজ নির্বাসনে।
আমরা যারা স্যোশাল মিডিয়ায় লেখালেখি করি- তারা সমাজের বিচ্ছিন্ন কেউ নাহলেও আমাদের মধ্যে শিক্ষা, শান্তি, ঐক্যের প্রয়োগ তুলনা মূলক বেশীই বলা যায়- হোক সেটা লোক দেখানো মুখোশ। তারপরও একশ্রেনীর তথাকথিত শিক্ষিত কবি সাহিত্যিকদের আচরণ জানোয়ারের চাইতেই হিংস্র!
জানি- দু:খ করা অবান্তর। আমি আপনি সহ দু চারজন কোনভাবেই সমাজ পাল্টাতে পারবে না। শুধু শুধু নিজেরা কষ্ট পাওয়া! তবুও আপনি আমি আমরা অনেকেই নিজেদের সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারবো না- যে শিক্ষা আমরা পারিবারিক ভাবে ধারণ করছি, স্খান থেকে।
নিরন্তর শুভ কামনা।
২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
একটি সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধের ওপর নির্ভরশীল।
সহমত, এটাই মূলকথা ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সহমত এবং ধন্যবাদ প্রিয় মিরোরডল।
৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৪৮
ফারহানা শারমিন বলেছেন: 'সুবোধ,' আসলেই পুরো পৃথিবী ছেড়ে পালিয়েছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
জুল ভার্ন বলেছেন: তবুও আমরা অল্প সংখ্যক হলেও নষ্ট পঁঁচাগলাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আমাদের আদর্শ ধারণ করবো।
৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ৭ নং প্যারাটি মনে দাগ কেটে গেল । প্রিয়তে রেখে দিলাম পোস্টটা ।
আজকাল সমাজের কাছে সততা , নিষ্ঠা, নৈতিকতা , মানবাতার চাইতে তার সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থানটাই বড় । যার কারণে সমাজে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে মানুষ এখন আর সততার চর্চা করে না । এসবের চর্চা করলে বরঞ্চ সমাজের উঁচু স্তরে যে যাওয়া যায় না তা তো এখন দিনের আলোর মত পরিষ্কার ।
সোহানীর কথাটা হয়তো ঠিক । কিন্তু পুরো পৃথিবীটা তাদের দখলে যেতে দেখেই কী আমাদের মরতে হবে ?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: আজকাল সমাজের কাছে সততা , নিষ্ঠা, নৈতিকতা , মানবাতার চাইতে তার সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থানটাই বড় - বর্তমান ক্ষয়িষ্ণু সমাজে অচল। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ, নীতিবিদ্যা বা নীতিশাস্ত্র (Ethics), নৈতিকতা (Morality), মূল্যবোধ (Values) হলো মানুষের আচরণ পালনকারী নীতি ও মানদণ্ড। মূল্যবোধ হলো আপোষহীন নীতি যা দৈনন্দিন কাজের মধ্য দিয়ে প্রতিফলিত হয়। শৃঙ্খলাবোধ, সহমর্মিতা, সহনশীলতা, নাগরিক সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রভৃতি হলো মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদানসমূহ। মূল্যবোধের প্রাথমিক শিক্ষা কেন্দ্র হলো পরিবার এবং প্রাতিষ্ঠানিক উৎস হলো শিক্ষালয়। সচেতনতা ও কর্তব্যবোধ ছাড়া মূল্যবোধের প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। পৃথিবীটা তাদের দখলে যেতে দেখেই কী আমাদের মরতে হবে -যদি না আমরা আমাদের নিজ নিজ থেকে, পরিবার থেকে শুদ্ধি অভিযান না চালাই।
অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা সুপ্রিয় নিবর্হণ নির্ঘোষ।
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২০
কামাল১৮ বলেছেন: একজন মানুষ অপরের সাথে এমন ব্যবহার করবে যেমন ব্যবহার সে অপরের কাচথেকে আশা করে।এমন ব্যবহার আমরা কেনো করবো?করবো এই কারনে যে নয়তো সমাজে অশান্তি বেড়ে যাবে।আমরা যদি এই বিষয়টা মেনে চলি তবেই সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।এটা আমরা করবো আমাদের নিজেদের স্বার্থে।আমি খারাপ ব্যবহার করলে সেও আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
জুল ভার্ন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কামাল ভাই, আপনার বক্তব্যের সাথে আমি সম্পুর্ণ একমত পোষণ করছি। কিন্তু অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে- যার সাথে আপনার/আমার কখনোই কোনো দিন কোনো প্রকার দ্বিধাদ্বন্দ, দ্বিমত কিম্বা বাস্তবে অথবা স্যোশাল মিডিয়ায় কোনো ভাবেই যোগাযোগ হয়নি তিনিও যখন চরম অসভ্য মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটায় তা মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টের।
আমি খারাপ ব্যবহার করলে সেও আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করবে - এ নিয়ে আমার কোনো দ্বিমত নাই।
৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কেমন আছেন দাদা
সুন্দর লেখেছেন ভাল থাকবেন-----------
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: এখন বেঁচে থাকাটাই ভালো থাকা!
শুভ কামনা।
৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মানুষ এখন অন্যের সুবিধার দিকে থোরাই কেয়ার করে। সকলেই আত্মকেন্দ্রীক হয়ে গেছে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: এই আত্মকেন্দ্রীকতা। হিংসা বিদ্বেষ, হামবড়া ভাবই সুস্থ্য স্বাভাবিক পরিবার এবং সমাজব্যবস্থা ধ্বংশ করে দিচ্ছে।
৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অন্য মানুষ দূরের কথা। আপন মানুষরাই একটু স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলেই অপমান করে শেষ করে দেয়। স্বার্থে টান পড়লে চেনা যায় আপন মানুষদের। এই দুনিয়া মা বাপ ভাই বোন ছাড়া কেউ আপন হতে পারে না। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভাইবোনেরা স্বার্থপর হয়। বেশীর ভাগ মা বাবা নিঃস্বার্থভাবে সন্তানদের পাশে থাকে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপন মানুষরাই একটু স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলেই অপমান করে শেষ করে দেয়। স্বার্থে টান পড়লে চেনা যায় আপন মানুষদের।- এই বক্তব্যের সাথে দ্বিমত নাই। তবে অবাক হই, যখন দেখি যার সাথে আমার কখনও কোনো বিশয় নিয়ে দ্বন্দ হয়নি, একটা মন্তব্য করেও যার লেখালেখির সংস্পর্শেও কখনো ছিলাম না- তিনিও কিভাবে অসভ্যতা করতে পারে!
৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কথা হলো- আমাদের অল্প কিছুদিনের আয়ু। অল্প কিছুদিন আমরা দুনিয়াতে থাকি। এই অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের কত আয়োজন। লেখাপড়া, চাকরী, বিয়ে, সন্তান ইত্যাদি অনেক কিছু। তাই আমাদের উচিৎ মিলেমিশে থাকা। ভালো থাকা। শুধু একা একা ভালো থাকলে হবে না। আমাদের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে হবে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: সাধুবাদ জানাই। আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে এই চেতনা জাগ্রত হোক এবং আমরা সবাই অনুশীলন করি।
১০| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: গায়ক যদিও নানা কারনে তার গানে গেয়েছিলেন -
" আমি সইবো না, সইবো না সেই অপমান,
ধ্বংস যজ্ঞে পৃথিবীটা করবোটা ----------------- "
তবে, ভাই আমরা এখন সবাই নীতি- নৈতিকতা,মানবিকতা-মানবপ্রেম ,পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধা ভূলে গিয়েছি আর এসব ভূলে এখন আমরা প্রতিহিংসা তথা মানবতার জয়গান ভূলে তার অপমানেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।
আর তাইতো কবি বলেছেন, -
" ---- কোটি বাংগালীর হে মুগ্ধ জননী,
রেখেছে বাংগালী করে, মানুষ করনি"।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই, কারো উপকার কিম্বা ক্ষতি করলেই শত্রুতার প্রশ্ন আসে। কিন্তু যার সাথে কস্মিনকালেও কোনো প্রকার যোগাযোগই হয়নি, তেমন কেউ যখন অসভ্যতা করে তখন কি করার থাকে!
১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আসলে নৈতিকতা মানবিকতা বিনয় বড় শিক্ষা। এগুলো যত শিক্ষিতই হোক না কেন তা অপূর্ণ । মানবতার জয় হোক লয় হোক কুপ্রবিত্তি।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা ভালো মানুষ না হতে পারি, অন্তত অমানুষ তথা দ্বিপদী জানোয়ার যেনো না হই।
১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
অপু তানভীর বলেছেন: আমার মনভাব খুব সরল । যেকোন মানুষকে আমার অবশ্যই অপছন্দ হতে পারে । কিন্তু তার সাথে অবশ্য খারাপ ব্যবহার নয় । যাকে পছন্দ না কেবল তাকে এড়িয়ে চলি । এবং কখনই কারো সাথে আগে খারাপ ব্যবহা করি না। কিন্তু কেউ যদি আগে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে, আমার পিছে লাগে তাহলে সেটা আমি মনে রাখি । তবুও প্রথম দুই একবার কিছুই বলি না । কারণ আমি ঝামেলা পছন্দ করি না । তবে যখন সে সীমা অতিক্রম করে তখন তার খবর আছে । কিছু কিছু মানুষ আছে যারা নিজেকে বড় করতেই অন্যকে ছোট করতে পছন্দ করে আর যখন কেউ তাদের আচরণকে এড়িয়ে যায় কিংবা ক্ষমার চোখে দেখে সেটাকে তারা নিজেদের বিজয় হিসাবে দেখে । আমি আসলে তাদের এই সুযোগ দিতে নারাজ ।
আমার সাথে যে ভাল তার সাথে আমি তার থেকেও ভাল কিন্তু যে আমার সাথে খারাপ তার সাথে তার থেকেও খারাপ ।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার পোস্ট বিষয়ে সর্বত্তম মন্তব্য। ঠিক আমার মানসিকতার সাথে মিলে গিয়েছে। আমি কখনওই আগ বাড়িয়ে কারোর সাথেই ক্যাচালে জড়াই না। কেউ আগ বাড়িয়ে ক্যাচাল করতে এলেও প্রথমে এড়িয়ে যাই... উপর্যুপরি আগ্রাসী মনোভাব দেখালে আমি ছেড়ে দেইনা। হাতে মারার সুযোগ নাই তাই কীবোর্ড চাইলাই বুলডোজার এর মতো। যারা আমার সাথে ক্যাচাল করে তাদের পোস্টে আমি মুতিও না। আমার সাথে কেউ ভালো ব্যবহার করলে আমি মনপ্রাণ উজাড় করে তাকে সম্মান জানাই।
১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: অন্যকেে অহেতুক অপমান করা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা , হেয় করা এসব হচ্ছে আমাদের দেশে আভিজাত্যের লক্ষন। বাস্তব জীবনে আমি সবসময় এইসব অভিজাত মানুষদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: অমন অভিজাতদের আমিও এড়িয়ে চলি। অমন কু অভিজাত একটা গ্রুপ আছে ব্লগে....এদের নোংরামি থেকে সুবোধ ব্লগারদের প্রোটেকশন দেওয়া ব্লগ মডারেশনের দ্বায়িত্ব। তা না হলে সামহোয়্যারইন ব্লগের মতো একটা সৃজনশীল প্লাটফর্ম নষ্টদের দখলে চলে যাবে।
১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমত ভাইজান আপনার সঙ্গে।
শিক্ষাদীক্ষা যতো বাড়ছে ততোই মানুষের মধ্যে নম্রতা ভদ্রতা সৌজন্যতা শালীনতা এসব হারিয়ে যাচ্ছে। অদ্ভুত একটা ট্রেন্ড চালু হয়েছে।যে যতো অভদ্র আচরণ করবে সে ততই স্মার্ট।আপনি বলে ডাকা বর্তমান জেনারেল
শেখেনি। হয়তো আগামীতে আপনি শব্দটি বাংলা একাডেমি থেকে বাদ দিয়ে দিতে পারে।যে কারণে আপনার সাথে সুর মিলিয়ে বলতে চাই সুবোধ সত্যিই হারিয়ে গেছে পৃথিবী থেকে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৩
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রিয় ভাই আমার, আপনার মন্তব্যের জবাব দেবো আমার প্রিয় একটি কবিতা উদ্ধৃত করেঃ-
"সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে"- হুমায়ুন আজাদ
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানব মুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ পরিষদ;-চ’লে যাবে অত্যন্ত উল্লাসে
চ’লে যাবে এই সমাজ সভ্যতা-সমস্ত দলিল-
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চ’লে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ’লে যাবে শহর বন্দর গ্রাম ধানখেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ নির্জন প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ’লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আঁস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার রাত
নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ
শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।
রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবীশংকরের
সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙ্গুল
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল
কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।
চ’লে যাবে সেই সব উপকথা: সৌন্দর্য প্রতিভা-
মেধা;-এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
নির্বোধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে
অত্যন্ত উল্লাস ভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুই হাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ’লে যাবে
কিশোরীরা চ’লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক’রে চ’লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের ঠোঁট
গদ্যপদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্কস-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মতো আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্ত সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক-
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে।
১৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৮
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: কুরুচিপূর্ণ পোস্ট ছিলো। আহত হয়েছেন, কষ্ট পাচ্ছেন। ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দিন, জীবনে চলার পথে এরকম কতকিছুই ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছেন।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ভাই, এই সংঘবদ্ধ অসভ্যদের অসভ্যতা কাহাতক সহ্য করা যায়!
১৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পুঁজিবাদী দুনিয়ায় এমনই তো হবার কথা, তাই না?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: এই সমস্যাটা জন্মগত বিকলাংগতা।
১৭| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪০
অজ্ঞ বালক বলেছেন: মানুষ হিসাবে আমি সুবিধার না দেইখাই খুব সম্ভবত পোস্টের মূল কথার সাথে সহমত না। বন্ধুমহলে সবসময় কই, যেইদিন দেখসি সম্মানের বদলে কটকটিওয়ালা কটকটিও দেয় না, সেইদিন থেইকা ওইটা নিয়া মাথা ঘামানো বন্ধ কইরা দিসি। যাউক গা...
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১
জুল ভার্ন বলেছেন: যাদের আত্ম সম্মানবোধ নাই, তারা অন্যকে সম্মান দিবে কিভাবে! কাজেই সম্মান তাকেই করবেন- যে আপনার সম্মানের মর্যাদা দিবে।
১৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একটি সম্পর্ক পারস্পরিক সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধের ওপর নির্ভরশীল এই কথাটা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
পোষ্টে ++ ভাইয়া। প্রিয়তে রাখলাম।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৪
সোহানী বলেছেন: জুল ভার্ন ভাই, আগে ছোটদের হাতে খড়ি হতো আদর্শলিপি দিয়ে। শিশুদেরকে অক্ষর চেনার আগেই পাঠ দেয়া হতো এথিক্সের উপর। আর এখন এথিক্সের পাঠ বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করার পরও কেউ পায় কিনা সন্দেহ আছে। তাই দু:খ করা অবান্তর। আমি আপনি সহ দু চারজন কোনভাবেই সমাজ পাল্টাতে পারবে না। শুধু শুধু নিজেরা কষ্ট পাওয়া!!!