নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়...........

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২০

মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়...........


সময়ের সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে আমাদের জীবনযাপন। নানা জটিলতার বেড়াজালে বন্দী আমাদের স্বাভাবিক জীবন আর আগের মতো সহজ সরল স্বাভাবিক থাকছে না। প্রাত্যহিক জীবনে নিত্য তাড়া করে ফিরছে বিচিত্র সঙ্কট। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির। ঘটছে অপ্রত্যাশিত ঘটনা, খবরগুলো এখন নিত্যকার চালচিত্র। এ ধরনের খবরগুলো যে কোন বিবেকবান মানুষকে খুব সহজেই আলোড়িত করে, বিচলিতও করে। আমাদের সমাজে এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে এখনকার চিত্র ভিন্ন। আগে কালেভদ্রে এ জতীয় ঘটনা ঘটলেও এখন এগুলো নিত্যকার চালচিত্র।

আমাদের চারপাশে প্রতিদিন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দেখে মনে প্রশ্ন জাগছে, আমরা কোন পথে এগোচ্ছি! আমাদের মানবিক মূল্যবোধ কি লোপ পাচ্ছে, আমরা কি দিনে দিনে সভ্য সুশিক্ষিত আধুনিক মুক্ত চিন্তা-চেতনার দাবিদার হওয়ার বদলে অসভ্য, বর্বর মানবিক মূল্যবোধহীন হয়ে পড়ছি? শহরে নাগরিক জীবনযাপনে যান্ত্রিক সভ্যতার প্রতিক্রিয়ায় হয়ত পারিবারিক, সামাজিক বন্ধন ও সম্পর্কে নতুন সমীকরণ সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে আটপৌরে সাধারণ জীবনে যান্ত্রিকতা বাসা বাঁধছে। পুরনো প্রচলিত মানবিক মূল্যবোধ, ধর্মীয় সাংস্কৃতিক চেতনা, নৈতিক আদর্শিক ভাবধারা ক্রমেই মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। এখন হৃদয়বৃত্তিক আকর্ষণের বদলে সবাই বিত্তবৈভবে প্রভাব প্রতিপত্তি ইত্যাদি অর্জনে অতিমাত্রায় আগ্রহী হয়ে উঠেছি। যে কোন উপায়ে সহজ সংক্ষিপ্ত উপায়ে ধনী হওয়ার নেশায় পেয়ে বসেছে সবাইকে। এজন্য নৈতিক অধঃপতন ঘটছে অনেকের। নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য যে কোন উপায় অবলম্বন করতে বিব্রত হচ্ছে না তারা। দুর্নীতি, অসততা, অনিয়ম, প্রতরাণা, লোভ লালসার কাছে প্রতিনিয়ত আত্মসমর্পণ করতে দ্বিধা সঙ্কোচ করছে না- এক শ্রেণীর মানুষ। মনুষ্যত্বকে ভূলুণ্ঠিত করে পশুত্বকেই প্রশ্রয় দিচ্ছে তারা। এভাবেই সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেঁধেছে দুর্নীতি অবক্ষয়, অসততা, প্রতারণা, লাম্পট্য ব্যভিচার, অনিয়ম, লোভ আর নির্মমতা। যার ফলে প্রতিদিনই ঘটছে অসদাচরণের বিচিত্র সব ঘটনা। হতাশা, বঞ্চনা, ব্যর্থতার গ্লানি থেকে মুক্তি পেতে অনেকে ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে। মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে এভাবেই হাজার হাজার নারী-পুরুষ। মাদকাসক্তি আমাদের গোটা সমাজকে কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে।ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, মদ, হেরোইনের নেশায় বুঁদ হয়ে জগত সংসার, বাস্তবতা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কত মানুষ তার হিসাব জানা নেই কারও।

মাঝে মাঝে মনে হয়, এমন দিন আর বেশী দূরে নেই যখন মানুষের আত্মসম্মানবোধ, মানবিক মূল্যবোধ বলে কিছুই থাকবে না। যৌথ পরিবার ভেঙে এখন নিউক্লিয়ার পরিবার হচ্ছে। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিও ভাঙতে ভাঙতে লিভ-ইন্; সিঙ্গল পেরেন্টহুডের দোর গোড়ায়।

আরও কিছু দিন পর মানুষ নিজের সাথেও নিজে থাকতে পারবে না। সহ্য করতে পারবে না নিজেকে। সুইসাইডাল দিন কাল। বোহেমিয়ান হবারও কিছু ডিসিপ্লিন থাকে। নিজের জন্য নিজে যখন হাতে বিষ তুলে নেয় কেউ, জীবন তখন আরও দুরূহ। আশেপাশে দোষ দেবারও কেউ থাকে না।

আমার অফিসের কাছেই দেশ সেরা এবং ঐতিহ্যবাহী একটা স্কুল কাম কলেজের ২০/২৫ জন ছাত্রছাত্রীদের গ্রুপভিত্তিক গাঁজার আসর বসে সকাল থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। একদল চলে যায়, আর একদল আসে.... কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে গাঁজার ধোঁয়া আর উৎকট গন্ধ! এরা সবাই না হলেও বেশীরভাগই ধনাঢ্য এবং অভিজাত পরিবারের সন্তান। ওদের মা-বাবা, অবিভাবকেরা হয়তো জানেনা তাদের উচ্ছন্নে যাওয়া সন্তানদের কথা.......

আমার বাড়ির পাশেই একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। সকাল থেকে রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত সড়কে, ফুটপাতে, বারান্দায় ছাত্রছাত্রীদের বেলেল্লাপনা.... সন্ধ্যেবেলা কড়া ডোজের চোখ; কিছু টিনএজ ছেলে-মেয়েচোখে পড়ে....মায়া হয়, ওরা আমাদেরই সন্তান, ভাই-বোন.....কিভাবে উচ্ছন্নে যাচ্ছে! স্ট্রিট লাইটের নীলচে আলোয় ঝিমাচ্ছে। ওদের চোখের দিকে তাকানো যায়না। মোবাইল স্ক্রীনে চেয়ে থাকা অপলক রাত; চোখের নীচে ডার্ক সার্কল। ফাউন্ডেশন লাগিয়েও ঢাকা পড়েনা ক্লান্তি।

ইচ্ছে করে ওদের কোলে করে স্লিপিং ব্যাগে তুলে বাড়ি নিয়ে আসি। ঘুম পাড়াই...ঘুম ভাংগলে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলবো- 'তোমরা যা করছো তা প্রেম ভালোবাসা নয়। যৌনতারও একটা শৃঙ্খলা আছে, সৌন্দর্য আছে....তোমরা যা করছো তা প্রেমভালবাসা নয়, বিকৃত মানসিকতা। প্রেমকে কখনও জীবনের ওপরে রেখো না। সত্যিকারের প্রেম নিজেই একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ জীবন। কেনো, কিসের জন্য এভাবে নিজেদের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিচ্ছো....'!

মনে অজানা ভয়....
বাড়ি ফিরে সন্তানদের দেখে আস্বস্ত হই.... আমার বাসার দক্ষিণের বারান্দা দিয়ে হাস্নুহেনার গন্ধ ভেসে আসে। ধ্বংসন্মুখ এই প্রজন্মের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যাই। ফজরের নামাজ আদায় করে ভোরের আকাশে দেখি আধ খাওয়া চাঁদ আর শুকতারা পাশাপাশি শুয়ে আছে- এই দৃশ্যের চাইতে সুন্দর কি আছে?

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টাকা পয়সা না থাকলে এখন সমাজে মূল্য নেই। ধনী হওয়াটা এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা ধনী হয়ে যায় তারা তখন আদর্শবাদী কথা বলে। এগুলি কথার কথা। মানুষকে শোনানোর জন্য বলে। কাজে, কর্মে, আচরণে মিল নাই।

মাদক সমস্যা একটা বড় সমস্যা। সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রের কোন মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। সবাই নেশা আর ভোগে ডুবে গেলে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রকদের সুবিধা।

পরিবার প্রথা আমাদের দেশে টিকে আছে। কিন্তু পরিবার প্রথা হুমকির সম্মুখীন। বাইরের হাওয়া লাগছে। আমাদের দেশের হাইস্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছেলে মেয়েরাও বিপথে যাচ্ছে আগের চেয়ে বেশী হারে। পরিবারে সমস্যা থাকলে এটা বেশী হয়। পারিবারিক শিক্ষা ভালো হলে বিপথগামীতা কম হয়। কিন্তু আমাদের দেশে অনলাইনের সুবিধা বাড়ার সাথে সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অবিশ্বাস বাড়ছে এবং দাম্পত্য কলহ, ডিভোর্স বাড়ছে। সামনে সম্ভবত আরও বাড়বে।

অধিক আত্মকেন্দ্রিকতার কারণে মানুষ এক পর্যায়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে। অর্থ সম্পদে পরিপুষ্ট মানুষও আত্মহত্যা করছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: সাচু,
আপনার মন্তব্যই আমার পোস্টের সারমর্ম বললে ভুল বলা হবে না।
খেয়াল করে দেখবেন, শ্রমজীবী সাধারণ দরিদ্র মানুষ থেকে প্রাচুর্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা মানুষরাও মাদকাসক্ত হচ্ছে। দুটির কারণ ভিন্ন। মানবতার ভবিষ্যত রচিত হয় পরিবারকে কেন্দ্র করে। মূলত পরিবার হলো সমাজের মৌলিক কোষ বা সেল। এ কারণেই একটি সুন্দর সুস্থ সচ্ছল সুখী পরিবার একটি সমৃদ্ধ সমাজ গঠন করে। অন্যদিকে দুর্বল পরিবার সমাজে ঘুণ ধরায়। আগে আমাদের সমাজ যৌথ পরিবারের প্রাধান্য ছিল। যৌথ পরিবারের এক চুলার ধারণা ছিল। একই উঠোনে সবার হাসি-কান্না, আনন্দ বেদনা এক জোট হতো এই অন্নে। একে বলা হতো একান্নবর্তী। পরিবারের একজন থাকতেন ছায়ার মতো। সুখে-দুঃখে তিনিই সবাইকে আগলে রাখতেন। এক সময় সামাজিক অটুট বন্ধনে যৌথ পরিবার ছিল নিউক্লিয়াসের মতো। সামাজিক নানা প্রক্রিয়ায় আজকাল পরিবারগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে। ভাঙ্গন শুধু পরিবারে নয়, মূল্যবোধেও তা আঘাত হানছে। আমাদের চারপাশে দাম্পত্য কলহ সঙ্কট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। যে কারণে ডিভোর্স, সেপারেশনের ঘটনা নগরজীবনে অহরহ ঘটছে। লিভ টুগেদার আর পরকীয়া শব্দ দুটোর প্রকোপ বাড়ছে দিনে দিনে। স্বামী স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্কে শ্রদ্ধা, বিশ্বাস সহানুভূতি আস্থার সঙ্কট প্রকট হচ্ছে। অবিশ্বাস, সন্দেহ, রুচি বিকৃতি, নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে যৌন অপরাধ বাড়ছে। ধর্ষণ, যৌন নিপীড়নের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে। পারিবারিক সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ়তা হারিয়ে ফেলায় আজকাল বিবাহিত নারী-পুরুষ খুব সহজেই পরপুরুষ কিংবা পরনারীতে আসক্ত হচ্ছেন। এই অবক্ষয় একদিনে বা বছরে হয়নি। প্রতিনিয়ত এহেন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলছে আমাদের সমাজ। আর এর জন্য দায়ী শুধু পরিবারই নয়, আমাদের রাস্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থাও।


ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

সামরিন হক বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
মাদকাসক্তি আমাদের গোটা সমাজকে কুঁরে কুঁরে খাচ্ছে।ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাঁজা, মদ, হেরোইনের নেশায় বুঁদ হয়ে জগত সংসার, বাস্তবতা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কত মানুষ তার হিসাব জানা নেই কারও।
চোখের সামনে এটি দেখতে দেখতে এখন বিরক্ত হয়ে গেছি। নিকের কষ্ট যারা বুঝে না, তাদের জন্য কিছু করা খুব কষ্টের কাজ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আহ! আমাদের স্বপ্নের ভবিষ্যত কী বিপর্যয়ের সম্মুখীন ভাবতেই পারছিনা।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

অপু তানভীর বলেছেন: মাদক সমস্যার মূলে রয়েছে প্রশাসনের ব্যর্থতা । আমাদের দেশে প্রশাসন যদি চায় তাহলে এই মাদক সমস্যআ একেবারে মুল থেকে উপড়ে ফেলতে পারে । সত্যিই পারে । মাদক ব্যবসায়ীরা জান নিয়ে পালানোর পথ পাবে না যদি প্রশাসন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে । আমাদের গ্রামের কথা বলি । আমাদের গ্রামে মাঝে এমন অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো যে গ্রামের বলতে গেলে ৯০% ছেলে থেকে বুড়ো এই মাদকে আক্রান্ত । বলতে গেলে অনেকেই গ্রামের ভেতরে এই ব্যবসা শুরু করে দিয়েছিলো । চাহিদা রয়েছে তাই ব্যবসাও বেড়েছে । কী ভয়ানক অবস্থা যে ছিল । তারপর পুলিশ ১৭ সালের দিকে কঠিন অভিযান চালালো আমাদের ও আমাদের পাশের গ্রামে । মাদক ব্যবসায়ীগুলো সব ঘর থেকে পালালো । এখন যে নেই বলবো না তবে এখন অনেক অনেক কম।

আর এছাড়া বর্তমান এই সময়ে ছেলে মেয়েদের বিপদে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ আমার কাছে বাবা মায়েদের উদাসীনতা । আমার মাথায় এটা আসে না যে এসএসসির আগে কেন ছেলে মেয়েদের হাতে ৫০ হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোন দিতে হবে? কেন?
আমার কাজ যেহেতু ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এদের আচরণ সম্পর্কে আমি খুব কাছ থেকে অবগত । বর্তমান সময়ে ছেলেমেয়েদের নষ্ট হওয়ার পেছনে বাবা মায়েদের ভূমিকা সব থেকে বেশি ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার মন্তব্য আমাদের সমাজের বাস্তব প্রতিচ্ছবি। জানিনা আজকালকার টিনএজ ছেলেমেয়ের হাতে এতো দামী গ্যাজেটস কিভাবে আসে.....কিভাবে এরা এতটা উচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে! কোথায় পায় সব অনিস্টের রসদ! সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ ধরে রাখার মূল নিয়ামক শক্তি রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের শাসন ব্যবস্থায় যদি গলদ থাকে, তবে এর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সর্বত্র পড়তে বাধ্য। সুশাসন থাকলে তার ফলাফল পরিবার ও সমাজে ছড়িয়ে পড়ে। যারা শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত, তারা যদি বলেন, বাড়ির বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়, তাহলে তো অপরাধীদের বেডরুমে প্রবেশ করে মহাউল্লাসে নাচার কথা। তা তারা করছেও। কোনো নাগরিকই প্রত্যাশা করে না তার বেডরুম সরকার পাহারা দিক। তার প্রয়োজনও নেই, যদি সরকার ঘরের বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। এখন পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে, ঘরের বাইরেই তো মানুষকে বেঘোরে প্রাণ হারাতে হচ্ছে। তাদের স্বাভাবিক চলাচল ও নিরাপত্তা নাজুক হয়ে পড়েছে। বাইরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। তাহলে মানুষ কেন নিরাপদ বোধ করছে না? এ প্রশ্নের উত্তর সহজ। যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জননিরাত্তা বিধান করবে, তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই খুন, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, বিনা কারণে মানুষকে হয়রানি, আটকে রেখে অর্থ আদায়, থানায় নিয়ে নির্যাতনের মতো মারাত্মক অপরাধে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে।

ধ্বংসাত্মক পাল্টে যাওয়া জীবনযাপনে পরিবর্তনগুলোকে পজেটিভভাবে দেখে এর মন্দ প্রভাব থেকে নিজেদের রক্ষা করতে হবে। নৈতিক অধঃপতন থেকে নিজেকে সচেতন হতে হবে। নৈতিকভাবে দুর্বল হলে প্রতারক দুর্বৃত্ত সুযোগ নিতে পারে। অতএব, সব অস্বস্তি, অপ্রাপ্তির যন্ত্রণা, হতশা, অপরাধবোধ কাটিয়ে সুন্দর ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ড- পরিচালিত করতে হবে। রাতারাতি সব অসঙ্গতি অন্যায় অনিয়ম দূর করা যাবে না এটা মাথায় রেখে পজেটিভ পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে ধীরে সুস্থে ভেবেচিন্তে।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: গাঁজা, ইয়াবা সারা দেশে ছড়িয়ে পরেছে, ইদানিং মানুষ মোবাইলেও নেশাগ্রস্থ হয়ে পরেছে।
দিন দিন সবকিছু যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৯

জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিই, মোবাইল এডিকশন গাঁজা ইয়াবা থেকে কম নয়। একশ্রেণীর মানুষ রিকশায়, গণপরিবহনের ভীড়ে এমনকি হেঁটে হেঁটেও মোবাইল ফোনের স্ক্রিন থেকে চোখ সরায় না!

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মাদকের গডফাদারের ছেলের গ্রেফতারে ১০ সেনা সহ ২৯ জন নিহত মেক্সিকোতে। বাংলাদেশকে মেক্সিকো বানানো সম্ভব?

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

জুল ভার্ন বলেছেন: বাংলাদেশের ইয়াবা গড ফাদার ইয়াবা বদি সহ বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য হয়ে আমাদের জাতীয় সংসদ ধন্য করেছিলেন..... মেক্সিকোর মাদক গড ফাদার সেই লেভেলের সম্মান রাস্ট্র থেকে পাওয়ার নজির নেই।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ভাল একটা পোষ্ট দিয়েছেন। এসব বিষয় অনেক অনেক লেখালেখির দরকার আছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: টুকটাক লিখিতো অনেক কিছুই....পড়ার পাঠক নাই!

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




মূল্যবোধের অবক্ষয় তো হয়ে গেছে বহু আগেই! এখন কোন কিছুর "মূল্য'ও নেই "বোধ'ও নেই.......

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি ভাইজান, ওই যে কথা আছেনা- "পরিকল্পনার পরিরা উড়ে যায়, কল্পনা খাবি খায় "!

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমরা যারা প্রাচীন পন্থি তারা না পারছি নতুনকে গ্রহন করতে না পারছি পুরনোকে বর্জন করতে।আমি যখন ছোট ছিলাম মানে ৬০/৭০ বছর আগে তখনো যা শুনতাম আজকে তা শুনছি।আজকালকার পোলাপান মুরব্বি মানে না।নেশা ভাং করে।মানে বিড়ি শিগারেট খায়।তখন অবশ্য ইয়াবা মদ ছিল না।
এমন করেই চলছে পৃথিবী।নতুন আর পুরনোদের দ্বন্দ্বের মাঝ দিয়ে।আমি ইচ্ছা করলেই যুবকদের মতো চিন্তা করতে পারবোনা।আবার যুবক ইচ্ছা করলেই আমার মতো চিন্তা করতে পারবে না।যদি করে তবে সেটা হবে বেমানান।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্য দ্বিমত করার সুযোগ নাই। নতুন পুরাতন দ্বন্দ চিরন্তন হলেও পার্থক্য আছে বিরাট। আপনার সময় কিম্বা আপনার বছর দশেক পর অর্থাৎ আমার সময় মুরব্বিদের মুখে 'ততকালীন বর্তমান' উচ্ছন্নে যাওয়া আর চলতি বর্তমানের উচ্ছন্নে যাওয়ার তফাজ্জল অনেক বেশী যা অস্বীকার কারার সুযোগ নাই। মনে করে দেখুন, আপনার আমার সময়ে কোনো স্কুল কলেজ গোয়িং ছাত্র কতোটা লুকিয়ে ছাপিয়ে ধুমপান করতো....আর এখন এটা কোনো অনৈতিকতার মধ্যেই পরেনা।

পুরোনোকে মূল্য দিয়েছেন পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞানীরা। বৃদ্ধ সিফালাস বয়সের ভারে ন্ব্যুজ। অনেক প্রবীণ মানুষ। তাইতো তাকে মূল্যহীন না ভেবে সক্রেটিস বললেন, "বলো সিফালাস তোমার সারাজীবনের সঞ্চিত জ্ঞান দিয়ে, ন্যায় কী?"

প্রাজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য বয়স অতি মূল্যবান। এছাড়া পুরোনো দিনের সাহিত্য, শিল্পকলা, দর্শন এমনকি বিজ্ঞানের কথা আমরা গর্বভরে উচ্চারণ করি। বাংলা সাহিত্যের গৌরব আমলের কথা উঠলেই ফিরে যেতে হবে এক’শ বছর আগে। বাল্মিকীর রামায়নের মত উচুঁ দরের সাহিত্য পরবর্তীতে তৈরী হয়েছে কিনা কে জানে? কালিদাসের মেঘদূত আধুনিক কালের সব রোমান্টিকতাকে পেছনে ফেলেছে অনেকদিন। এমনকি গতিশীল প্রতীচ্য সাহিত্যের চিরায়ত রূপটিও বলতে গেলে চার’শ বছরের পুরোনো। বাঙালী জীবনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁরও জন্মের দেড়’শ বছর পার হয়ে গিয়েছে। দর্শন বলতে আমরা যাঁদের কাছে ফিরে যাই তাঁদের সময়কাল হাজার বছরের কম না। অনেক ভুল-চুক তথ্য উপাত্ত দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করলেও বিজ্ঞান, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রচিন্তক হিসেবে মৌলিক ও অগ্রণী চিন্তা নায়কদের কথা উঠলেই অ্যারিষ্টটলের নাম করতেই হবে। তাছাড়া মানব-ভাবনার সামগ্রিক ইতিহাসে যাঁরা বিশেষ অবদান রেখেছেন তাঁরা কয়েক হাজার বছর আগের মনীষীবৃন্দ। এমনকি যাকে আমরা হাল আমলের অপ্রতিদ্ব›দ্বী চিন্তানায়ক হিসেবে মানি, সেই বার্ট্রান্ড রাসেলও শতবর্ষের পুরোনো মানুষ।

সুতরাং পুরোনো কে ফেলব কী করে? পুরোনোকে কবি ব্রাউনিং কিভাবে পুরস্কৃত করেছে শুনুন---- ‘Youth ended, I shall try/ My gain or loss there by ; / Leave the fire ashes, what survives is gold; / And I shall weigh the same, / Give life its praise or blame; / Young, all lay in dispute; I shall know, being old”.

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই অবক্ষয় রোধ করা আর কী সম্ভব হবে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: "প্রতি শত বর্ষে একবার করে জাতিগত বিপর্যয় পরিবর্তন হয়"- একথা একজন দার্শনিক বলেছিলেন।

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: টুকটাক লিখিতো অনেক কিছুই....পড়ার পাঠক নাই!

পাঠকের সংখ্যা কমে গেছে। সবাই ব্যস্ত ফেসবুক, ইউটিউব আর টিকটক নিয়ে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার ধারণা, লেখালেখি, পড়া এগুলো একটা সময়ের উন্মাদনা। আমরা এখন সেই সময়টাকে অতিক্রম করে স্থবির হয়ে গিয়েছি। বই পড়াতো এই প্রজন্মের মধ্যে নাই বললেই চলে। এরা ব্লগ পোস্ট এবং ফেসবুকের লেখা পড়ে/লিখেই নিজেকে বিরাট দার্শনিক ভেবে আত্মতৃপ্তিতে বাকবাকুম করছে!

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

মুক্তা নীল বলেছেন:
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মানবিক কিছু বিষয় নিয়ে আপনি চমৎকার একটি লেখা লিখেছেন । একটা প্রবাদ প্রবচন আছে না, যে ঘুমায় তাকে জাগানো যায় কিন্তু যে জেগে ঘুমায় তাকে কি করে জাগাবো ?
ধন্যবাদ আপনাকে ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: একটা ভালো মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

১৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: এ বিষয়গুলো খুবই ভাবায় আমাকেও। আমার ভাইবোনেরা এখন দেশে দাদাদাদী পর্যায়ে, কিন্ত তাঁদের নাতীদের নিয়ে খুব চিন্তায় থাকেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা যারা দাদা/দাদী, নানা/নানী তারা তাদের নাতী-নাতনীদের জন্য যতটা চিন্তায় থাকি নাতি-নাতনীরা ততটাই চিন্তামুক্ত, দায়িত্ব মুক্ত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.