নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যার.....

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩০

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এবং অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যার.....

আমরা যারা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের 'বই পড়া আন্দোলন' এর সাথে জড়িত ছিলাম তাদের কাছে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ স্যার হলেন আদর্শ দার্শনিক। তিনি বক্তব্য রাখতেন বিভিন্ন বিষয়ে। অনেক সময়ই গ্রাম বাংলার প্রবাদ নিয়ে ব্যাখ্যা দিতেন, খনার বচণের ব্যাখ্যা দিতেন। বক্তব্য দিতেন অনির্দিষ্ট সময় নিয়ে। এমনও দেখেছি- টানা দুই ঘন্টা বক্তব্য পিনপতন নীরবতায় দর্শক শ্রোতারা শুনছেন, অনেকেই তাঁর বক্তব্য নোট করে নিচ্ছেন। মোদ্দা কথা বেশীরভাগ শ্রোতাদের মতো আমিও তাঁর বক্তব্য গ্রোগাসে গিলতাম..... অনেক বছর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যাওয়া হয়না, তবে স্যারের অনেক বক্তব্য মন-মস্তিস্ক এবং হৃদয়ে স্থায়ী আবাস হয়ে আছে। অনেক বছর আগে তিনি বিভিন্ন সময় ন্যায়নীতি উপদেশ মূলক বক্তৃতায় যা বলেছিলেন তা হুবহু মনে না থাকলেও বিষয়বস্তু ভুলিনি। যেহেতু স্মৃতি নির্ভর করে লিখছি তাই অনেকটাই এলোমেলো হলেও মূল বক্তব্য আমার মতো করে প্রকাশ করছিঃ-

* অপাত্রে দান করবে না। দুর্জনের উপকার করবেনা। মূর্খকে উপদেশ দিতে যাবেনা। অবাধ্য লোককে কিছু করতে বলা নিরর্থক। জড় প্রকৃতির লোককে সৎ বুদ্ধি দান নিষ্ফল। যে নদী প্রবল স্রোতস্বিনী একমাত্র সেই নদীকে বাঁধ দিয়েই জল বিদ্যুৎ তৈরী করা যায়। লোহাকেই ইস্পাতে পরিণত করা যায়, কিন্তু সোনাকে নয়।

* ভীরুর মধ্যে যদি সাহস না থাকে তাহলে তার হাতে শত অস্ত্র তুলে দিলেও সে ব্যবহার করতে পারবেনা। কারো মধ্যে যদি মূল্যবোধ না জন্মায় তাহলে তাকে ন্যায় নীতি ধর্ম কথা বলা নিরর্থক।

* শূন্য থেকে কিছুই নব জন্ম নিতে পারেনা। জন্ম সূত্রে জেনেটিক উত্তরাধিকার না নিয়ে জন্মালে অথবা সদ গুরুর সান্নিধ্যে এসে আত্ম সচেতনতা লাভ না করলে বৃষ্টির ধারার মত জ্ঞান কারো ওপর বর্ষিত হলেও তা মানুষ মুছে ফেলে।

* একমাত্র বদলে যেতে ইচ্ছুক মানুষ ছাড়া কোনো মানুষকে বদলানো যায়না। আপনি ইচ্ছা করলে কাউকে ক্ষমতায়িত করতে পারবেন না, যদিনা তার মধ্যে পরিবর্তনের ইচ্ছা জাগে। তৈল ধারনক্ষম প্রদীপেই তেল দিতে হয়ে। মাটিতে তেল দিয়ে লাভ হয়না। সমুদ্রই বৃষ্টির পানি অক্লেশে ধারণ করতে পারে। খানা ডোবায় সে পানি উপছে পড়ে চারিদিকের রাস্তা ঘাট ডুবিয়ে দেয়।

* প্রকৃতির রাজ্যে একই মাটি পানি বাতাস পেয়েও ভিন্ন ভিন্ন বৃক্ষ হয় কেন? কেন সব বৃক্ষ ফল দেয়না? ফল দিলেও সমান সুস্বাদু হয়না কেন সব ফল? রাষ্ট্র সবাইকে স্বাক্ষর করা শিখাতে পারে, কিন্তু শিক্ষিত নিজেকে হতে হয়। অপাবিদ্যা সবাই লাভ করতে পারে, কিন্তু পরাবিদ্যা গুরুর কাছে লাভ করতে হয়।

* প্রতিভা সৃষ্টিকর্তার দান। তা সবার মধ্যেই কম বেশী আছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কাউকে যোগ্য করে পাঠান না। যোগ্যতা অর্জন করতে হয় । সবার আগে যোগ্য হয়ে উঠতে হয় আত্ম জ্ঞানের জন্য।

* একজন ক্ষৌরকর্মী, আমরা যারা প্রচলিত ভাবে নাপিত বলি। মহাত্মা গান্ধী তাঁদের নাম দিয়েছিলেন- নরসুন্দর। পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে আমরা মেথর বলি, মহাত্মা গান্ধী তাঁদের সম্মান দিয়েছিলেন 'হরিজন' বলে। নাপিত একটা বংশ পদমর্যাদা হলেও "নাপিতের ষোল চুংগা বুদ্ধি" বলে গ্রামবাংলায় একটা প্রবাদ আছে। নাপিতের 'ষোল চুংগা বুদ্ধি' আছে কিনা জানা নাই, তবে আমাদের সমাজে 'নাপিত' শব্দটা গালি হিসেবেও ব্যবহার করতে দেখি। পেশাদারী কাজের সময় একজন ক্ষৌরকর্মী যদি রাজার কান ধরে কানের পাশের চুল কিম্বা কানের লোম পরিস্কার করে বলে- "আমি রাজার কান মলে দিয়েছি" সেটা নিতান্তই বাঁদর সুলভ কাজ বৈ অন্যকিছু না। সেই বাঁদর সুলভ স্বভাবের এক শ্রেণীর মানুষ আমাদের সমাজে আছে- যারা বিদ্যান, জ্ঞানী-গুণী মানুষের নামে নিন্দা করে, অসম্মান জনক মন্তব্য করে নিজেকে প্রচারণায় রাখতে পছন্দ করে- তারা মূলত ক্ষৌরকর্মীও নয়, স্রেফ নাপিত!

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

কামাল১৮ বলেছেন: নিজে একজন আলোকিত মানুষ,অনেককে আলোকিত করেছেন।তার সম্পাদিত কন্ঠস্বরের একজন নিয়মিত পাঠক ছিলাম।অনেক গুলি পুরনো সংখ্যা আমার কাছে আছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি তাঁর বই পড়া আন্দোলনের শুরুতে একজন মাঠ কর্মী ছিলাম। কলাবাগান- গ্রীণ রোড এলাকায় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে বই পড়ায় উজ্জিবীত করতে অনেক সময় দিয়ে পাঠকদের বেশ মনোযোগী করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৪

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: কথার মাঝে স্যারের দেওয়া উপমা-উদাহরন অস্বাধারন। কথার পিষ্টে শব্দ গাঁথুনী মুগ্ধকর। তিনি অন্ধকার সমাজে একজন আলোর মশালের ঝান্ডা বাহক।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০১

জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আমি পরিচিত অনেকে রেজিস্টার করে,বই এনে পড়তো বাসায়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ৮/১০ বছর আগেও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী(গাড়ি) বই নিয়ে এলাকা ভিত্তিক সকাল সন্ধ্যা অবস্থান করতো। যেখানে আগ্রহী তালিকাভূক্ত পাঠকেরা বই সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট সময়/দিনের জন্য বাড়ি নিয়ে যেতে পারতেন। আবার গাড়ীর ভেতরে বাইরে বসেও বই পড়তে পারতেন। এখন অবশ্য ভ্রাম্যমান গাড়ি চোখে পরে না।

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মাঝে মাঝে যাই। ভাল লাগে। এখন তো সেখানে প্রতিদিন কোনো না কনো অনুষ্ঠান হয়। হল রুম গুলো ভাড়া পাওয়া যায়।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ২০১২ সনে শেষবার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে গিয়েছিলাম।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আলোকিত এই ব্যক্তিত্বের কথাগুলো আমাদের পাঠ্যবইয়ে সংযোজন হওয়া উচিত।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: আইনস্টাইন, রবি ঠাকুর, নজরুল বাদ- এখন আমাদের স্কুলের পাঠ্য বইয়ে মোদির জীবনী পড়ানো হয়। আজ পত্রিকায় দেখলাম- স্যার জাফর ইকবাল নিজ নামে পাঠ্য বইয়ে নকল লেখা দিয়েছেন!

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আলোর পথের মানুষ। নিজেই আলো ছড়িয়েছেন আমাদের মাঝে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: একমত।

৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: স্যারের ক্লাসে আমি ছিলাম- ঢাকা কলেজে থাকতে। তার সেই স্পিচগুলো এখনো স্মৃতিতে অম্লান!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: যেকোনো পর্যায়ে স্যারের ছাত্ররাও স্যারে আদর্শে উজ্জীবিত, বিশেষভাবে সততায়, পড়ায় এবং লেখালেখিতে। কাজেই তাঁর ছাত্ররা তাঁকে কখনো ভুলবেনা।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: তিনি এই অন্ধকার সমাজে যেন এক দীপ্যমান আলোকবর্তিকা। এখানে উল্লেখিত তার প্রতিটি কথাই অমূল্য। + +

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অথচ স্যারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের একজন সিনিয়রমোস্ট সাংসদের সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ করার সাহস অনেকেই করেনি বরং তার দলীয় সাংসদরা টেবিল চাপড়িয়ে বাহবা দিয়েছে!

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২২

নতুন বলেছেন: মানুষকে আলোকিত করে বই।

বর্তমানে পুলাপাইন ফেসবই পড়ে মূর্খ একটা জাতিতে পরিনত হচ্ছে।

আলোকিত মানুষ তৌরির আন্দোলন আরো জোড়ালো ভাবে করতে হবে। নতুবা সামনে প্রজন্মর ভবিষ্যত ভালো হবেনা।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অথচ ব্লগের এক স্বঘোষিত পণ্ডিত ব্লগ পড়েই সর্বজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে জাহির করছে!

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ওনার এই বাণীটা আমার বেশ ভালো লাগে -

ভালো মানুষের মধ্যে কোন যোগাযোগ থাকে না কিন্তু শয়তানদের মধ্যে দারুণ যোগাযোগ । একজন যদি হুক্কহুয়া বলে তো আর সবাই বলে উঠে ক্যায়া হুয়া ক্যায়া হুয়া!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এগুলো হলো- বাণী চিরন্তন! আপনার বর্ণিত এই বাণী নিয়েইতো স্যারের বিরুদ্ধে ক্ষমতাসীন দলের একজন সিনিয়রমোস্ট সাংসদের সংসদে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন এবং তার দলীয় সাংসদরা টেবিল চাপড়িয়ে বাহবা দিয়েছে!

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উনার কথা নতুন প্রজন্ম কতটুকু জানে বলে আপনার ধারণা ? উনার কাজ জেলা উপজেলায় ছড়িয়ে দেওয়া দরকার ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: নতুন প্রজন্ম বিভোর হয়ে আছে বিশিষ্ট গর্তেন্টাইন যোদ্ধা, কপি পেষ্ট শিক্ষাবিদকে নিয়ে!

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ২০১২ সনে শেষবার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে গিয়েছিলাম।

আমি প্রায়ই যাই।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯

জুল ভার্ন বলেছেন: তুমি সৃজনশীলতা ধরে রাখতে পেরেছো- সেজন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১৩

চারাগাছ বলেছেন:


আলোক বর্তিকা হাতে।
ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল কিংবা একজন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার।
ভুল বললাম কি?

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন।

ধন্যবাদ।

১৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:১৯

কলাবাগান১ বলেছেন: টেক্সট বুক কিভাবে লিখা হয় না জেনে ঢালাও অভিযোগ করা আরম্ভ করলেন। পৃথিবীর সবাই খারাপ আপনিই একমাত্র সৎ। জাফর ইকবাল স্যার যদি আজ জামাতি/রাজাকার দের পক্ষ নিতেন তাহলে আপনাদের মত 'সৎ' লোকদের চোখে সম্পাদনা কে সম্পাদনা হিসাবেই দেখতেন। উনার যে অবদান আছে, তার সামান্য কিছু করে তারপর এমন ঢালাও অভিযোগ করবেন।

পত্রিকায় দেখলাম- স্যার জাফর ইকবাল নিজ নামে পাঠ্য বইয়ে নকল লেখা দিয়েছেন!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: এটাই হলো আপনাদের ঢালাও অভিযোগ এর উদাহরণ! আমি নিজ থেকে বলিনি- আপনার মতো পত্রিকায় পড়েই বলেছি। আপনার এবং আমার জানার সূত্র একই- তাহলে আমার দোষটা কোথায়! পত্রিকায় যা লিখেছে- তা তথ্য প্রমাণ সহ লিখেছে। যখন রাজাকারদের সাথে আপনারা ঘনিষ্ট হন তখন আপনাদের চেতনা নেতাইয়া যায়, আর অন্যদের বেলায় চেতনা চেতাইয়া ওঠে!

এগিয়ে যান..... শুভ কামনা।

১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: @কলাবাগান১, @কলাবাগান১,

১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২১

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: @কলাবাগান১, @কলাবাগান১, এটা ওনার পুরানো দোষ, ওনার লেখা গল্পগুলোও সব বিদেশি গল্প মেরে তৈরি

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

জুল ভার্ন বলেছেন: এই সত্য আমাদের প্রিয় কলাবাগান১ ভাইটি কখনোই স্বীকার করবেন না! =p~

১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি যে বললেন জাফর ইকবাল স্যার নিজে কপি করেছেন ন্যশনাল জিউগ্রাফীর ওয়েব সাইট থেকে আর আমরা সবাই ঘাস খাই বলে এটা মেনে নিব। বইএর লিখক রা এক টা চ্যাপটার নকল করেছেন, উনার দোষ উনি ধরতে পারেন নাই কেন সম্পাদনা করার সময়।

পুরfাই দেখেছি এখানে কোন নতুন কোন তত্ত্ব দেওয়া হয় নাই....। সবার জানা সাধারন কথা ....নিজে লিখলেও এমন হত...।
আপনাদের ক্ষেদ শুধুই জাফর ইকবাল স্যার এর উপর ........বললাম তো উনার মত একটা পেটেন্ট করা আবিস্কার করেন, বেল ল্যাবে রিসার্চ করার বা কাজ করার অভিজ্ঞতা নেন..... আর কারা বেল ল্যাবে কাজ করার সুযোগ পায় তা বুঝার মত জ্ঞান বুদ্ধি কুয়ায় বাস করা লোকজন যারা ঐ ল্যাবের দরজাও মাড়াতে পারবে না, তারাই জাফর স্যার এর সমালোচনা বেশী করে.......।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি আবিস্কারক নই, বিজ্ঞানী নই- একজন সাধারন মানুষ। আমি আমার সমালোচনার উতস বলেছি।

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: একজন জ্ঞানী মানুষকে তুচ্ছার্থে 'গর্তস্টাইন' বলেছেন........।আর আপনি কি নিজেকে বড় করার শো অফ হেন কোন কাজ নাই যেটা করেন নাই আবার লিখেন যে নিজেকে যে বড় বলে সে বড় না
আপনি বই প্রেমী, আপনি প্রকৃতি প্রেমী, আপনি জন দররদি, আপনি গরীবের দু:খে দ:খী, আপনি প্রায় নোবেল পাওয়ার কাছাকাছি আছেন এমন মহান ব্যাক্তিকেই খুজছে নোবেল কমিটি
জাফর স্যার এর নখের যোগ্য আপনি নন উনার ফিজিস্ক এ যে জ্ঞান দিয়ে ২০-২৫ বছর ধরে পড়িয়েছেন তার এক লাইন আপনি বুঝতে পারবেন বলে মনে হয় না।

আপনার পোস্টে এটাই শেষ কমেন্ট যে সমস্ত লোক একজন লোককে এমন নীচু ভাষায় আক্রমন করতে পারে সে কোন মুখে নিজেকে মহান বলে জাহির করেন...।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আমার থেকে আপনার মন্তব্যে উগ্রতা, অসৌজন্যতা অভব্যতা বেশী। তা জিজ্ঞেশ করি- আপনি মহাজ্ঞানী হয়ে- কোনো লোম্বাটা ফালাইছেন?
আপনি আমার পোস্টে মন্তব্য না করলেই আমার টাইম লাইন পরিচ্ছন্ন থাকবে।

শুভ কামনা।

১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: বিভিন্ন নিউজ মিডিয়ায় প্রকাশিতঃ

* ডক্টর জাফর ইকবাল একজন সফল সাহিত্যক। বাংলা সাহিত্য তার কাছে অনেক ঋনী। তাঁর লেখা বিশেষ করে সাইন্স ফিকশান গুলো সারা বিশ্বে এত জন প্রিয়তা পেয়েছে যে বিভিন্ন দেশের নামি দামী লেখকগন স্যারের লেখা চুরি করে।
নিচে কিছু তার উদাহরন দেওয়া হল-

* তিনি "অবনীল" নামক একটি বই প্রকাশ করেন ২০০৪ সালে। কিন্তু অনেক আগেই বইটি হবুহ নকল করে ২০০০ সালে জিম হুইট আর কেন হুইট নামে দুই ভাই মিলে "পিচ ব্লাক" নামে একটি হলিউডের সিনেমা বানিয়ে ফেলেন!

* তিনি ১৯৯৯ সালে "নিতু তার বন্ধুরা" নামক আরেকটি বই লেখেন। কিন্তু তার অনেক আগেই এই বইটা নকল করে দানি দেভিতো নামে এক ভদ্র লোক "ম্যাটিল্ডা" নামে এক হলিউডের সিনেমা বানিয়ে ফেলেন ১৯৯৪ সালে। ছবিটি বাজেটের চেয়ে ৬৫ কোটি ডলার বেশি নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন অথচ স্যারকে একটি টাকাও দিলেন না!

* ডক্টর জাফর ইকবাল ২০০৫ সালে বের হওয়া "আমি তপু" বইটি ছাপানোর ১০ বছর আগে ১৯৯৫ সালে ডেবিড পেলজার নামে আমিরিকান এক সাহিত্যক নকল করেন। আর বইটির নাম দেন "আ চাইল্ড কল্ড ইট"!

* স্যারের ২০০০ সালে বের হওয়া "মেকু কাহিনী" বইটি নকল করে ১৯৯৪ সালে প্যাট্রিক রিড জনসন নামে এক হলিউডের পরিচালক বানিয়ে ফেললেন বিশ্ব বিখ্যাত শিশুতোষ ছবি "বেবিজ ডে আউট"!

২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: যাহাদের জন্য প্রযোজ্য- যাহাদের জন্য প্রযোজ্য-

২১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার একটা লেখা পত্রিকায় পড়েছিলাম। উনি এক সময় নিজে গাড়ি চালিয়ে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের জন্য দৌড়াদৌড়ি করেছেন দেশের আনাচে কানাচে নিজের টাকায়। একবার নাকি কোন এক জেলায় অনেক রাতে পৌঁছে এক লোকের বাসায় ছিলেন। যেখানে খুব নিম্নমানের পরিবেশে থাকতে হয়েছিল।

কয়েক বছর আগে শাড়ী নিয়ে লিখে কিছু নারীর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। এক সময় বিটিভিতে একটা ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন। দেখতে ভালো লাগতো। একটু বেশী রোমান্টিক ছিলেন মনে হয়। ঢাকা কলেজের ছাত্ররা বলত যে উনি ক্লাসে রোমান্টিক প্রেম ভালোবাসা নিয়ে কথা বলতেন প্রায়ই।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

জুল ভার্ন বলেছেন: উনি যখন প্রথম বই পড়া আন্দোলন(আলোকিত মানুষ গড়ার) শুরু করেছিলেন তখন একাই জনে জনে ধরে বই পড়ায় উতসাহ দিতেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ওনার অনে গুণাগ্রাহী ওনার সাথে যোগ দেন। বই কেনার জন্য বড় বড় কর্পোরেট হাউজে ইনহাউজ লাইব্রেরী করতে এবং বই দান করা জন্য সাহায্য সহযোগীতা কামনা করতেন.... তখন যারা তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতেন তারাই এক পর্যায়ে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের জন্য যায়গা দিতে প্রস্তাব দেন, ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন, ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর জন্য গাড়ী দেওয়ার প্রস্তাব করেন এমনকি দেশ বিদেশের অনেক নাম করা এনজিও আর্থিক সহায়তা হিসেবে দেশের প্রতিটি জেলায় গাড়ি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলো!

শাড়ী নিয়ে লেখায় যারা সমালোচনা করেছিলেন তারা নকলবাজ ডক্টর স্যারের সমর্থক। স্যার সত্যিই রোমান্টিক। তিনি নিজেই বলেছেন- "বাংগালীরা হাসিমুখ পছন্দ করেন না। হাসিমুখে কথা বললে তাকে বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না। আমি হাসি, তাই তাই আমাকে কেউ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গণ্য করেনা"!

স্যার অনেকগুলো টিভি প্রোগ্রাম করেছিলেন তার মধ্যে খুব জনপ্রিয় হয়েছিলো- 'মনের জানালা' এবং 'আবহমান'।

২২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমার মতে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইদ সাহেব সঠিক কাজটিই শুরু করেছিলেন। কারণ শুধুমাত্র আলোকিত মানুষ তৈরির মাধ্যমেই আলোকিত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব, অন্য কোনো উপায়ে নয়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: স্যারের এমন মহতী কাজের একজন কর্মী ছিলাম- এটা আমার সৌভাগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.