নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচিন্তা: ভাষার মাস.....

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২১

বিচিন্তা: ভাষার মাস.....

সকল ভাষা শহীদের জানাই হাজার সালাম
দুর্ভাগ্য জনক সত্য হচ্ছে- যে জাতি নিজ মাতৃ ভাষা বাংলার জন্য জীবন দিয়েছে সেই জাতি ভাষা দিবস পালন করে ইংরেজি সন তারিখ মেনে!

আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে তদানীন্তন অখণ্ড পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে যে ছাত্র-তরুণেরা পুলিসের গুলীতে প্রাণ দিয়েছিলেন, সেই ভাষাশহীদদের স্মৃতির প্রতি জানাই হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা।

না, আমাদের মুখের ভাষাকে কেউ 'কাইড়া নিতে' চায় নাই। এটা ডাহা মিছা কথা। বাংলা ভাষা নিষিদ্ধ হয়নি। বাংলায় কথা বলতে কেউ বারণ করেনি। বাংলা ভাষায় লেখাপড়া, সাহিত্যচর্চা ও সাংবাদিকতা করা যাবেনা তাও কেউ বলেনি। তদানীন্তন পূর্ব বাংলা বা ইস্ট বেঙ্গল প্রদেশে সব কিছুই বাংলায়ই চলতো।

প্রস্তাব হয়েছিল, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে এবং আন্তঃপ্রাদেশিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি অভিন্ন ভাষা বা লিঙ্গুয়াফ্রাংকা থাকবে, সেটা হবে উর্দু। এই ভাষাকে দেয়া হবে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ভাষা তো ইংরেজি ছিলই। পূর্ব বাংলায় ছাত্র-তরুণ, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে দাবি ওঠে উর্দুর সঙ্গে বাংলাকেও রাষ্ট্রভাষা করা হোক। সেই দাবি উপেক্ষিত হলে আন্দোলন শুরু হয়। সেই আন্দোলনে ছাত্র-তরুণদের প্রাণদানের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা পায় বাংলাভাষা। কেবল তাই নয়, ঐ আন্দোলনে পূর্ব বাংলার বাংলাভাষীদের মধ্যে স্বতন্ত্র জাতিসত্ত্বার চেতনার যে স্ফুরণ ঘটে তা' ধাপে ধাপে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।

পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যক মানুষের মাতৃভাষা ছিল বাংলা। তবে পাঁচটি প্রদেশের বাকি চার প্রদেশের লোকের কাছে বাংলা ছিল দুর্বোধ্য। অপরদিকে পাকিস্তানের শতকরা সাত ভাগেরও কম লোকের মাতৃভাষা ছিল উর্দু। কিন্তু পাঁচটি প্রদেশের সব ক'টিতেই শিক্ষিত সম্প্রদায়ের লোকেরা কমবেশি উর্দু জানতেন। এই বাস্তবতার কারণে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা বাংলাকে বাদ দিয়ে সংখ্যালঘুর ভাষা উর্দুকে লিঙ্গুয়াফ্রাংকা হিসেবে গ্রহনের চিন্তা করা হয়েছিল।

বহুভাষিক ভারতেও অন্য সকল ভাষাভাষীর দাবিকে উপেক্ষা করে হিন্দীকে রাষ্ট্রভাষা করা হয়। তবে ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিকের ভাষা হিন্দী। আসামে ভাষার দাবিতে অনেকেই প্রাণ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। ভারতে রাষ্ট্রভাষা হিন্দী হলেও অন্য ভাষাগুলো কেউ 'কাইড়া' নেয় নি। সবাই নিজ নিজ রাজ্যে করে যাচ্ছে মাতৃভাষার চর্চা।

পাকিস্তান আমলে বাংলা ভাষার জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিলেন খুব বেশি হলে ৭/৮ জন। সেই প্রাণদান আমাদের মাতৃভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিল। গত একযুগে এদেশে গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কত মানুষ জীবন দিয়েছে? কত মানুষ গুম, খুন, অপহরণের শিকার হয়েছে? গণতন্ত্র কি এসেছে? ফিরেছে কি ভোটের অধিকার? ওরা কেড়ে নিতে চেয়েছিল বাংলাভাষা। এরা কেড়ে নিয়েছে মুখের ভাষা!

অমর একুশে'র এই দিনে আমরা কি চেষ্টা করবো এই জ্বলন্ত প্রশ্নগুলোর জবাব খুঁজবার?


(দুই বছর আগের পোস্ট, সামান্য এডিট করা)

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতের তামিল নাড়ুর লোকেরা ব্রিটিশ আমলেই তাদের তামিল ভাষার জন্য বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ করেছে। অনেকে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে ঐ আন্দোলনে। এই আন্দোলন কয়েক দশক পর্যন্ত চলেছে। হিন্দিকে তারা মেনে নিতে চায়নি। এখনও মন থেকে তারা হিন্দিকে পছন্দ করে না।

বর্তমান বাংলাদেশে মানুষ মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার রাখে কিন্তু গণতন্ত্র নাই এই কথা বাংলায় বললে সমস্যা আছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: ভাষাভিত্তিক শক্তিশালী সাংস্কৃতিক ঐহিত্যের গর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও কম নয়। এর মধ্যে ওডিশা, কর্নাটক, পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্র অন্যতম। কেন্দ্রীয় সরকারের হিন্দি চাপানোর স্পষ্ট প্রতিবাদ হিসেবে মহারাষ্ট্র সরকার স্থানীয় বিভিন্ন ভাষাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক করেছে।

১৯৪০ সালে তৎকালীন মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির ব্রিটিশ গভর্নরের হস্তক্ষেপে বাধ্যতামূলক হিন্দি শিক্ষার আইন প্রত্যাহার করা হয়।
১৯৬৫ সালে যখন হিন্দিকে একমাত্র সরকারি ভাষা করা হয়। সে বছর, ২৬ জানুয়ারি এর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। প্রায় দুইমাস যাবত দাঙ্গা হয় দক্ষিণে রাজ্য মাদ্রাজে। শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। সারা দক্ষিণ এর প্রতিবাদে আত্মাহুতির ঘটনাও ঘটে। ১৯৬৭ তামিলনাড়ুর বিধানসভা নির্বাচনে আন্দোলনের পক্ষাবলম্বনকারী রাজনৈতিক দলগুলো বিজয়ী হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৬৭ সালে হিন্দির সঙ্গে ইংরেজিকেও ব্যবহারিক সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।



২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যতদুর জানি; ভারত স্বাধীন হলে রাষ্ট্রভাষা কি হবে সেটা জানতে চেয়ে মহাত্মা গান্ধী ততকালীন বিশিষ্ঠ ব্যক্তিদের কাছে পরামর্শ চেয়ে চিঠি লিখেছিলেন। এ ব্যাপারে নাকি শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছেই তিনি তিনবার চিঠি দিয়েছিলেন। সবদিক বিবেচনা করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি তিনবারই হিন্দীকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।

চমৎকার লিখেছেন; ইতিহাস কতভাবেই না বিকৃত হয়েছে।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা তপন ভাই, ইতিহাস সাক্ষী, স্বয়ং রবি ঠাকুর হিন্দিকে ভারতীয় রাস্ট্র ভাষা করতে সমর্থন করে ছিলেন।

৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫০

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া

তুমি দেখছি আমাদের জানা সব ইতিহাস দিনে দিনে ভুল তাহা বুঝায় দিচ্ছো।

সেদিন জানালে সিরাজউদ্দৌলার কথা আজ আবার ভাষা নিয়ে এই ভুলভাল ইতিহাস।

হায় হায় !! :(

আবার শেরজা ভাইয়া এইটা কি বললো, আমার প্রিয় রবীন্দ্রনাথও নাকি হিন্দী ভাষাই চেয়েছিলো!!!!!! :((

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আপু, সিরাজ উদ্দৌলা সম্পর্কে তপওনমোহনের লেখা ইতিহাস সম্পুর্ণ মুসলিম বিদ্বেষমূলক সাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনার ফসল।

তবে ভাষা নিয়ে, অর্থাৎ মাতৃভাষার অধিকার রক্ষার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে। অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। উদাহরণ:

দক্ষিণ আফ্রিকা:
দক্ষিণ আফ্রিকার ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল স্কুল পর্যায়ের ছাত্ররা। গাউটাংয়ের (তৎকালীন ট্রান্সভাল প্রদেশ) জোহানেসবার্গ শহরের সোয়েটোতে সংঘটিত আন্দোলনটি হয়েছিল ১৯৭৬ সালের ১৬ জুন । অঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ আফ্রিকানার ভাষায় (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত শ্বেতাঙ্গ ডাচদের জার্মান-ডাচ ভাষার মিশ্রণ) শিক্ষাদান স্কুলে বাধ্যতামূলক করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। তারা তাদের মাতৃভাষা জুলু এবং ব্যবহারিক লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা ইংরেজিতে শিক্ষা নিতে বেশি আগ্রহী ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়। এ ঘটনাকে বলা হয় সুয়েটো অভ্যুত্থান। আর ট্র্যাজেডির দিনটিকে বলা হয় ‘ডে অব চাইল্ড’।


যুক্তরাষ্ট্র:
যুক্তরাষ্ট্রে অনেক নেটিভ আমেরিকান ভাষা ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসকদের হাতে মৃত্যুবরণ করেছে। গত শতকের ষাট-সত্তুরের দশকে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সময় এই নেটিভ আমেরিকান ভাষা রক্ষার দাবিও সামনে চলে আসে। মূল প্রস্তাবনার দীর্ঘ ২০ বছর আন্দোলন এবং আলোচনার পর ১৯৯০ সালের ৩০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নেটিভ/আদি/স্থানীয় ভাষা রক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য একটি আইন পাস হয়। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক অঙ্গরাজ্যে ইংরেজির আধিপত্য কমেছে। সে স্থলে উঠে আসছে স্প্যানিশ বা অন্য কোনো ভাষা।

কানাডা:
কানাডাতে, বিশেষত কানাডার পূর্ব অংশের অঙ্গরাজ্য কুইবেকের রাজনীতিতে ভাষা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই অঞ্চল এক সময় সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রশ্নে স্বাধীনতা চেয়েছিল।

লাটভিয়া:
ভাষার প্রশ্নে চরম জাতীয়তাবাদের স্বরূপ দেখিয়েছে লাটভিয়ানরা। রুশ ভাষাকে দ্বিতীয় দাপ্তরিক ভাষা করার প্রশ্নে ২০১২ সালে এদেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটে স্পষ্ট ব্যবধানে রুশ ভাষাকে প্রত্যাখ্যান করেন লাটভিয়ানরা। যদিও রুশ সাম্রাজ্য এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকাকালে কয়েকশ বছর ধরে রুশ ভাষাই ছিল লাটভিয়ার।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভাষা শহীদ দের জন্য বিনম্র শ্রদ্ধা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ।

শহীদ শব্দটা উর্দু, মিনার শব্দটা ফার্সি, আর পুষ্প সংস্কৃত শব্দ। এই শব্দগুলা অনুমোদন দিয়েছে বাংলা একাডেমি। বাংলা একাডেমির "একাডেমি" শব্দটা ও ইংলিশ।
বড়ই বিচিত্র!!

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

জুল ভার্ন বলেছেন: এরাই চেতনার ফেরিওয়ালা!

৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: শহীদ মিনারে যাবেন আজ?
আমি বিকেলে কন্যাকে নিয়ে যাবো কিনা ভাবছি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

জুল ভার্ন বলেছেন: না ভাইয়া, আমি যাচ্ছিনা।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১১

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: এই লেখায় সারা দুনিয়ার ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ আছে।
https://www.somewhereinblog.net/blog/KAMAL5648/30012277

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: বাহ চমৎকার। এতো দুনিয়ার সকল ভাষা আন্দোলনের উইকিপিডিয়া।

৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১২

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: Click This Link

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: পড়েছি।

১০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভাষা আন্দোলনের নেপথ্যের কাহিনীটা অজানা ছিল। আর একদম শেষ অংশে রুঢ বাস্তব তুলে ধরেছেন।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

সারা দুনিয়ার ভাষা আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানতে চাইলে পড়ুন অনুজ প্রতিম প্রিয় ব্লগার লেখক এ. টি. এম. মোস্তফা কামালে লেখা... উপরে মন্তব্য দেখুন।

১১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনাদের মতো বিজ্ঞজনেদের পোষ্টে মন্তব্য করতে ভয়ই লাগে। তাও সাহস করে মন্তব্য করে ফেললাম। যা লিখেছেন তার বেশির ভাগই সত্য তবে একে সত্য তথ্যের কৌশলী ম্যানিপুলেশন বলা যায়। ধন্যবাদ, অনেক অনেক শ্রদ্ধা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৫

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি অতি সাধারণ একজন মানুষ। আমি সবজান্তা শমসের নই। আমার ব্লগে স্বাগতম।
ধন্যবাদ।

১২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: শেষাংশে এসে যা বললেন তা উপরের ইতিহাস ছাপিয়ে গেছে। লিখেও যে বিবেকের দরজায় উষ্ঠা মারা যায় শেষ প্যারাটায় তা পরিষ্কার।

পৃথিবীর সকল ভাষার প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফুয়াদের বাপ।

১৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: গুম,জেল , জুলুম এর মধ্য দিয়ে কঠিন পথ পারি দিয়েও আপনাকে থামাতে পারেনি অবৈধ অগনতান্ত্রিক সরকার। মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারীতে আপনি সাহস করে যে কথাগুলো লিখেছেন সে কথা উচ্চারন করার সাহসই বা কয়জনার আছে। সবার মাঝে বিবেকবোধ জাগ্রত হোক এটাই প্রত্যাশা ।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ আলীম।

১৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ভাষা ছিনিয়ে এনে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি,তাই গণতন্ত্রের খোজ খবর রাখা হয়নি।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: না ভাইয়া, আমি যাচ্ছিনা।

না গিয়ে ভালো করেছেন। গজব অবস্থা। প্রতিটা রাস্তায় জ্যাম। মানুষ আর মানুষ। ঠিক করে হাঁটা পর্যন্ত যায় না। আসলে বিশেষ বিশেষ দিন গুলোতে ঘর থেকে বের হওয়াই উচিৎ না।

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: বইমেলায় বই কিনতে যায় মাত্র ২০% লোক, বাকীরা ঘোরাঘুরি, ফুচকা চটপটি খেতে যায়, সাথে সেলফি তোলেন।

১৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৯

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: জোহানেসবার্গে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ দেখে এসেছি। নেলসন মেন্ডেলার বাড়ির কাছেই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

জুল ভার্ন বলেছেন: তুমি সত্যিই সৌভাগ্যবান।
২০০৯ সনে আমি সাউথ আফ্রিকা গিয়েছিলাম- যা নিয়ে এই ব্লগেই ধারাবাহিক কয়েকটা পর্ব লিখেছিলাম।

১৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুল ভার্ন,




যে শ্রেনীটা আগে বাংলাভাষা কেড়ে নিতে চেয়েছিলো, তাদের সমগোত্রীয় উত্তরসুরীরাই এখন কেড়ে নিয়েছে আমাদের মুখের ভাষা....
দারুন পর্য্যবেক্ষন!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করা খুবই বিপদজনক!

১৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

কামাল১৮ বলেছেন: পাকিস্তানের কোন অংশের লোকই উর্দু জানতো না এখনো জানে না।পাঞ্জাবিদের ভাষা উর্দু না সিন্ধিদের ভাষা উর্দু না।বাংগালীদের ভাষা উর্দু না,বেলুচদের ভাষা উর্দু না একমাত্র গুটিকয়েক নেতা যারা উত্তর প্রদেশ থেকে এসেছে তাঁরাই উর্দু জানতো।এবং তারাই ছিলো পাকিস্তান আন্দোলনের নেতা।বিহারিরাও উর্দু জানতো না।তারা পরে শিখেছে।এখনো বিহার গেলে উর্দু শুনতে পাবেন না।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: ২০০৯-২০১০ সনে ব্যবসায়িক কারণে বেশ কয়েকবার লম্বা সময়ের জন্য পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলাম- যা নিয়ে এই ব্লগেই "মৃত্যুপূরী থেকে ফিরে" ১২ পর্বের একটা ভ্রমণ সিরিজ লিখেছিলাম..... আমি মূলত করাচী, লাহোর, পেশোয়ার, শিয়ালকোট ভ্রমণ করেছি- সর্বত্রই উর্দুতে কথা বলে।

১৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার এই পোস্ট পড়ে ড. সলিমুল্লাহ খানের একটা কথঅ মনে পড়ে গেল !

কথাটি অনেকটা এমন , " মাতৃভাষার জন্য সংগ্রাম করতে হয় সেটা মুখ দিয়ে এমনিতেই বের হয় , রাষ্ট্রভাষার জন্য সংগ্রাম হয় কারণ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে এই নিয়ে না লড়লে তা প্রতিষ্ঠিত হয় না । "

ইতিহাসের চর্চা সুষ্ঠু না হলে ইতিহাস সহসাই নির্জলা মিথ্যে হয়ে যেতে পারে । ধন্যবাদ অগ্রজ এমন পোস্টের জন্য !!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: ড. সলিমুল্লাহ খান যথার্থই বলেছেন।

আপসোস, 'আত্মবাগড়ম্বরতা' আর 'মুই কি হনুরে' হনু বলদাগুলা বোঝেনা- ইতিহাস কথায় হয়না, ইতিহাস হয় কর্মে।

২০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: ২০০৯ সাল আর ১৯৪৭ সাল একনা।জিন্না কি উর্দু জানতো।সে কি উর্দুতে বলে ছিলো উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১১

জুল ভার্ন বলেছেন: জিন্নাহ উর্দুতে বলেছিলেন কিনা আমি জানিনা। তবে আমাদের ভাষা সৈনিকদের অনেক লেখাতেই তেমনটা উল্লেখ আছে। ২০০৯/২০১০ সনে আমি যখন পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলাম তখন দেখেছি- জিন্নাহর কবরের নাম ফলকে উর্দু এবং বাংলায় তার জন্ম-মৃত্যুর কথা লেখা আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.