নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিচিত্র জীবন......

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

বিচিত্র জীবন.....

আর্জেন্টিনার বিখ্যাত কবি ও লেখক হর্হে লুই বর্হেস বই পড়াবস্থায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ট্রেনে যাচ্ছিলেন একটা গোয়েন্দা উপন্যাস পড়তে পড়তে। ট্রেন একটা টানেলে ঢুকল, যখন বেরিয়ে এল, বর্হেস অন্ধ হয়ে গেছেন বাকি জীবনের জন্য।


বর্হেস বলেছিলেন 'অন্ধদের জীবনে কোনো অন্ধকার থাকে না। চোখের সামনে হলুদ, কমলা, লাল, সবুজ ইত্যাদি মেশানো একটা গাঢ় কুয়াশা আটকে থাকে, সেটাকে ছাড়িয়ে চোখ বেরোতে পারে না। অন্ধদের জীবনে কোনো কালো রঙ নেই'।
কিন্তু, যদি ভাবি, শুধু অন্ধরা কেন? আমাদের চোখের সামনে ওই কুয়াশা কি অল্প বিস্তর নেই? আমরা হয়ত ওটাকে টের পাওয়ার মতোও চোখ রাখি না। অন্ধ পূর্ব বর্হেসের চাকরি জীবন ছিল এক গ্রন্থাগারে, এটাও উল্লেখযোগ্য।


বর্হেস চোখ হারিয়ে কী পেলেন? হয়ত চোখের আলোয় পেলেন চোখের বাহিরকে। সেই ডিটেকটিভ উপন্যাসটা কি বর্হেস শেষ করতে পেরেছিলেন? উল্লেখ নেই। তবে বর্হেসের স্ত্রী ভার নিয়েছিলেন বই পড়ে শোনানোর, লেখার ডিকটেশন নেওয়ার। তাইতো অন্ধ হয়েও বর্হেস তাঁর সৃজনশীল সৃষ্টিশীল লেখনীতে সমৃদ্ধ করে গিয়েছেন সাহিত্যের জগৎ।

আমরা যারা দেখতে পাই, যতই অনুমান করি বা কল্পনা করি, অন্ধরা কী দেখতে পায় কোনোদিনই জানতে পারব না।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

বিষাদ সময় বলেছেন: The best and most beautiful things in the world cannot be seen or even touched - they must be felt with the heart.

Helen Keller

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

জুল ভার্ন বলেছেন: চোখ হল আত্মার আয়না, হৃদয়ের প্রবেশদ্বার, যা আপনার আবেগ এবং অভ্যন্তরীণ সত্তাকে প্রতিফলিত করে।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৯

অপু তানভীর বলেছেন: হঠাৎ করে অন্ধ হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা ভাবার চেষ্টা করছি ! এমন যদি হয় আমার সাথে জীবন কী ভয়ংকর হয়ে উঠবে !

আমার সব থেকে বড় আফসোস হবে যে নিজের কেনা কত গুলো বই আর পড়া হবে না ।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

জুল ভার্ন বলেছেন: ২০১৮ সালের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে টানা আট ডিন চোখ বাঁধা অবস্থায় ছিলাম....দুনিয়ার আলো বাতাস, রুপ রস গন্ধ কিছুই বুঝতে পারিনি.... তারই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ২০১৯ সালের জুন মাসে আমার চোখে অপারেশন করতে হয়েছিলো.... চোখ থাকতেও অন্ধত্বের যন্ত্রণা ভোগ করেছি মর্মেমর্মে....

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আমার দাদার এই অবস্থা হয়েছিলো।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: দুখ জনক।

৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: জীবনের শেষ প্রান্তে এরকম অন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই ট্রাজিক খুবই কষ্টদায়ক। তবে ওনারা ব্যতিক্রম বলেই বিকল্প রাস্তা খুঁজে নিয়েছিলেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯

জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে সবাই ওনার মতো, হেলেন কেলার কিম্বা হকিংয়ের মতো সৌভাগ্যবান নন। বেশীরভাগ শারীরিক ভাবে অস্বাভাবিক মানুষের জীবনই দুর্বিষহ।

৫| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

বাকপ্রবাস বলেছেন: অন্ধ হওয়াটা এক বিষাদ জীবন

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: শুধুই কি অন্ধদের জীবন দুর্বিষহ? তাকিয়ে দেখুন- বোবা-কালা, অস্বাভাবিক খর্বকায়, অটিস্টিক, যাদের দুটো হাত,পা নাই, কিম্বা এসিডদগ্ধ মানুষের জীবন.......

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৩

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: ইশশ, আর কখনো সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত এই দুইটা দেখবোনা ভাবলেইতো কেমন লাগে৷!!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: ছোট্ট একটা বিষয় অথচ কী গভীর ভাবাবেগ!

৭| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২০

কামাল১৮ বলেছেন: চোখের আলোয় দেখে ছিলাম চোখের বাহিরে।রবি ঠাকুর
শ্যামল মিত্রের কন্ঠে গানটা প্রায় শুনি।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: রবীন্দ্র সংগীত মানেই কোনো না কোনো ভাবে জীবনের প্রতিচ্ছবি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.