|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
লেখক যিনিই হোন, তার বইয়ের একটা মহিমা আছে..... 
খুনী কিম্বা কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারী, লুচ্চা বদমাশ যখন বই লেখে তার সকল অপকর্মগুলো আশ্চর্য ন্যায়বিচার পায়! ফ্যুয়েরার 'মাইন কাম্প', সেখান থেকে স্মরণীয় উক্তি জীবনের আদ্যোপান্ত ঘুরে বেড়ায়, কিছু মানুষ সেখান থেকেও দর্শন বুঝতে যান। ব্রিটিশ রাজপুত্র ফ্যান্সি পোশাকে নাজি চিহ্ন 'হাকেনক্রুজ' (স্বস্তিক) নিয়ে গর্বিত পার্টি করেন। বেনিতো মুসোলিনি লেখেন 'আমার জীবন' (মাই অটোবায়োগ্রাফি)।  ফ্রান্সিস্কো ফ্রাঙ্কো লেখেন 'ম্যাসোনেরিয়া।' ফিলিপিন্সের স্বৈরাচারী ফার্দিনান্দ মার্কোসের গোপন ডায়েরি- এমন অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। 
উল্লেখিত বইগুলি যেমন একদিকে ঐতিহাসিক দলিল। আবার রাষ্ট্র ব্যবস্থার শীর্ষে থাকা মানুষেরা প্রায়শই তাঁদের কৃতকর্মের সাফাই হিসেবে একটি বই লিখে রাখেন বা তাঁর হয়ে লিখে দেন কেউ। কর্মজীবনে সঞ্চিত ঘৃণা, একটি বই এসে ক্ষতস্থানে প্রলেপ দেয়। একদিন ইতিহাস খোঁড়া হলে বইটি থেকে যাবে প্রকৃত সত্যের মুখোশ হয়ে- বইয়ের মহিমা এমনই!
প্রায় প্রতিটি মানুষের শৈশবের বিশ্বাস- "ছাপার অক্ষর কখনো মিথ্যে বলে না"। 
জীবন শেখায়- চরম মিথ্যেবাদী হতে পারে একটি বই। খানিক সত্য, খানিক মিথ্যে, খানিক নীরবতা, খানিক এড়িয়ে যাওয়া মিশে কোনো কোনো বই আসলে স্বৈরাচার, বদমন-পীড়ন, নৃশংসতাকে চমৎকার সহমর্মী ভারসাম্যে পাতার পর পাতা সাজিয়ে রাখে। 
আসলে খুনির লেখা বই মূলত তার খুনের সপক্ষে সাফাই ছাড়া কিছু নয়। একজন খুনীর বই লেখা খুনের চেয়েও বড় অপরাধ। একজন খুনী বই লিখে ইতিহাসকেও খুন করতে চায়, করেও। সবখুনী লিখতে পারেন না, সব খুন লেখাও যায় না। কিছু কিছু খুনকে লেখনীর ধারালো অস্ত্র আরো ভয়ঙ্কর করে দেয়। তবু কোনো খুনেরই জাস্টিফাই হয় না। অজুহাত হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। একনায়কতন্ত্রীদের লেখাগুলো নেহাৎই স্বপ্নভঙ্গের খতিয়ান, অসহায়ত্বের অভিব্যক্তি। খুন তো পরাজিতের কুৎসিততম নমুনা। ঠিক একই ভাবে কুখ্যাত দুষ্কৃতিকারী, লুচ্চা বদমাশ যখন বই লেখে তার সকল অপকর্মগুলোকে আড়াল করে নিজের জয়ধ্বনি করে নিঃসংকোচে!
আফসোস, খুনীর লেখা বই পড়ে, দুষ্কৃতিকারী, লুচ্চা বদমাশদের লেখা পাঠকদের কাছে আশ্চর্য ন্যায়বিচার পায়। মৃতেরা উঠে দাঁড়িয়ে কৃপাসুন্দর চোখে তাকায়। কি সেলুকাস!
 ২৬ টি
    	২৬ টি    	 +৫/-০
    	+৫/-০  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৪:২০
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৪:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: তা নাহলে- 'জন্ম ও যোনির ইতিহাস' কেউ পড়ে!
২|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৫:৩৫
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৫:৩৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পুরো লিখাটির বক্তব্যের সাথে একমত।
  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:০৩
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৫:৫৯
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৫:৫৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'ক' পড়ে তসলিমা নাসরিন সম্পর্কে কিছু মানুষের সহানুভূতি জন্মালেও অধিকাংশ পাঠকই তাকে আরো বেশি ঘৃণা করতে থাকেন। জান্নাতুল নাঈমের বই পড়ি নি, কিন্তু আশেপাশে ঐ বই সম্পর্কে যা দেখি, তাতে তার সম্পর্কে পজিটিভ মনোভাব খুব কমই দেখা যায়।
  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:০৫
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সোনা ভাই, কিছু বেউকুব পাব্লিক এখনো আছে, যারা ছাপার অক্ষর মানেই বেদবাক্য মানে। তাদের বাহবা পেয়েই হাগ-ছাগীগুলো লাফায়।
৪|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:৪০
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:৪০
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি একদম সত্য কথাই বলেছেন আমরা বইয়ের লেখাকে সত্য বলেই ধরে নিই । কারণ আপাতত মানুষের কাছে ইতিহাসকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করবার বা তদন্ত করবার আর কোন উপায় নেই । তবুও অনেক মিথ্যাকে আমাদের মেনে নিতে হয় এই যেমন প্লুতার্চের লিখাতে ইতিহাসবিদরা জিমনোসফিস্টকে মেনে নেন । যদিও প্লুতার্চের কথায় খাদ থাকে তবুও লিখিত বলেই একে মেনে নিতে হয় !
  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৮:৪৬
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৮:৪৬
জুল ভার্ন বলেছেন: উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ দেখাতে চাইনা। তবে বর্তমানে সব চাইতে বেশী মিথ্যা লেখা হয় ইতিহাস। যুদ্ধের ইতিহাস সব সময়ই বিজেতার পক্ষে, ক্ষমতাসীনদের ইতিহাস সব সময়ই ক্ষমতাসীনদের পক্ষে।
৫|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৭:৪৫
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৭:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপরাধবোধ থেকে অনেকে লেখে সম্ভবত। ছাপার লেখা দেখলে অনেকে সহানুভূতিও দেখায়। কিছু সমর্থকও জূটে যায়।
  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৮:৪৮
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৮:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আগে হাড্ডি খেতো কুত্তায়, এখন সব চাইতে বেশী হাড্ডি খায়- একশ্রেণীর লেখক কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ বুদ্ধিজীবী।
৬|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৯:৩৮
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিবছর সমাজের অনেক দুষ্টলোক বই প্রকাশ করছে। কেউ কেউ তো অন্যকে দিয়ে বই লিখিয়ে নিজের নামে ছাপাচ্ছে। 
দুষ্টলোকজন তাদের খারাপ দিক গুলো লুকানোর জন্য বই প্রকাশ করছে।
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৩৬
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৩৬
জুল ভার্ন বলেছেন: একদম পার্ফেক্ট রিয়ালাইজেশন।
৭|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৯:৫৫
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ৯:৫৫
কামাল১৮ বলেছেন: প্রতিটা বই কেউ পড়ে না প্রতিটা বই পড়ার প্রয়োজন নাই।যার যেটা প্রয়োজন তার সেটা পড়লেই যথেষ্ট।
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৩৭
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: রাইট।
৮|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ১০:১৮
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ১০:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সবচেয়ে বড় চুরি হচ্ছে ইতিহাস চুরি তথা সত্য চুরি করা কিংবা সত্যকে বিকৃত করা, মুছে ফেলা। 
আপনি ঠিকই বলেছেন, ইতিহাসে বিজয়ীদের জয়গাথা থাকে। বিজিতদের ইতিহাস ম্লান ও মলিন থাকে, যত বড়ই তাদের অর্জন হোক না কেন। 
তবে সমসাময়িক কালে না হলেও, ভ্রান্ত ইতিহাস একদিন সংশোধিতও হয়ে যায়, যেতে পারে।
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪২
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪২
জুল ভার্ন বলেছেন: লেখা চোরদের লেখা পড়েও পাঠকদের জ্ঞানের পরিধি বাড়ে- যদিও মূল লেখকদের নামটা আমরা অনেকেই জানতে পারিনা, মূল লেখকদের সম্মান দিতে পারিনা। কিন্তু ইতিহাস বিকৃতির চাইতে ক্ষতিকর কিছু হতে পারেনা! যেমন ধরেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি, আমাদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস বিকৃতি- এগুলোর খেসারত দিতে হবে শত শত বছর ব্যাপী।
৯|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ১০:৪৬
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ১০:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: পৃথিবীর খুব কম লেখকেরই লেখায় তার সত্যিকারে ব্যক্তি মানিসকতার প্রতিফলন ঘটে! 
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৪
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: ব্যক্তিস্বার্থপরতায় উনিশ-বিশ হতেই পারে- তবে যখন সেটা শতভাগ বানোয়াট লেখা হয় তখন তা অত্যন্ত ভয়ংকর হয়!
১০|  ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ১১:২৯
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  রাত ১১:২৯
বিষাদ সময় বলেছেন: সচেতন কোন ব্যক্তিকে লেখা দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারলেও তা সাময়িক। যার চোখ, কান খোলা সে সহজেই খবর থেকে খবরের পেছনের খবরটা বের করতে পারে।
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৫
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমরা বেশীরভাগই গড়পরতা পাঠক- কাজেই বিভ্রান্তির সম্ভাবনাই বেশী।
১১|  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  রাত ১:৩২
০১ লা মার্চ, ২০২৩  রাত ১:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদ কী সত্যিই কবিতা লিখেছেন
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৭
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: "বাড়ির পাশে ধানক্ষ্যাত, ব্যাংক করে ঘোঁতঘোঁত"- এটাই হলো কবি এরশাদের সৃজনশীল কবিতা! বাকীসব জঞ্জাল!
১২|  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৮:৫৫
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৮:৫৫
স্মৃতিভুক বলেছেন: তথাকথিত সুশীলতার মোড়কে নিজেকে ঢেকে দেশের আনাচে-কানাচে ওৎ পেতে থাকা, কিছু  নারী শিকারী; তথাকথিত এলিট শ্রেণী এখন একটু ভয়ে আছে - কে কখন খোলা মাঠে হাঁড়ি ভেঙে দেয়।
এই ঘাগু লুইচ্চা শ্রেণী শুরুটা করে ধরেন খুব সফিস্টেকেটেড ওয়েতে। লক্ষ্য একটাই, বড়শিতে গেঁথে মাছ কখন ডাঙায় তুলবে আর লক্ষ্য পূরণ হইলেই কাছ খুলে দে দৌড়।
তাগো কথা হইলো - লুচ্চামি করমু বাট কেউ জানবো না আর ধরা খাইলেই নিজে ধোয়া তুলসী পাতা, ভাজা মাছটাও উল্টায়া খাইতে জানে না তখন। মেয়েটার ঘাড়ে তখন সব দোষ চাপায়া নিজে সাধু সাজার আপ্রাণ চেষ্টা!
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৯
০১ লা মার্চ, ২০২৩  সকাল ৯:৪৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এই শেণীর লোকেরাই হলেন মিডিয়া সেলিব্রেটি!
১৩|  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:১৩
০১ লা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
  ০১ লা মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৩:১১
০১ লা মার্চ, ২০২৩  বিকাল ৩:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার সময় হয়না ভাইয়া। আমি লগইন হয়েই অফিসের সব কাজ করি। এইতো লগইন হয়ে ১২ কিলোমিটার আপ-ডাউন করে আসলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৪:০৬
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩  বিকাল ৪:০৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আসলেই খুবি ভাবনার কথা বলেছেন
আমি ভাবতে ভাবতে কোন উত্তর পেলাম না দাদা
ভাল থাকবেন-----