|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 জুল ভার্ন
জুল ভার্ন
	এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
চণ্ডীদাস-রজকিনী প্রেমোপাখ্যান... (মিনি ভার্সন)।
"প্রেমের মরা জলে ডোবে না...
চন্ডিদাস আর রজকিনী...
তারাই প্রেমের শিরোমণি গো...
ও সে বারো বছর বড়শি বাইলো
বারো বছর...
ও সে বারো বছর বড়শি বাইলো তবু
আদার দিলো না দরদী...
প্রেমের মরা জলে ডোবে না.."- আবদুল আলীমের গান।
  
 
ঘটনা হইলগিয়া, চণ্ডীদাস বারো বছর ধরে শুকনো(পানিশূন্য) পুকুরে ছিপ বড়শি পেতে বসে আছে কিন্তু বড়শিতে আদার দেয়নায়। অন্যদিকে বারো বছর ধরে রজকিনী পুকুর ঘাটে আসেন, কাপড় কাচেন, জল তোলেন, চণ্ডীদাসের দিকে ফিরেও তাকান না। চণ্ডীদাস বসে আছেন অসীম ধৈর্যে....এদিকে পুকুরের পানি শুকিয়ে মাটি চৌচির হয়ে গিয়েছে -সেদিকে চণ্ডিদাসের খেয়াল নাই...তার একটাই অপেক্ষা, কখন রজকিনী আসবে পুকুর ঘাটে- জল নিতে! এদিকে রজকিনীও পানিশূন্য পুকুরের জল নিতে আসে অদৃশ্য এক নেশায়... এক দিন রজকিনীর মনে দয়া হলো। কিংবা নিতান্তই কৌতূহলবশত জিজ্ঞাস করলেন, "মাছ দুই একটা পাইলা ঠাকুর?"
চণ্ডীদাস উত্তর দিলেন, 'দীর্ঘ বারো বছরে এইমাত্র ঠোকর দিল!' 
চণ্ডীদাস আর রজকিনীর অমর প্রেমকাহিনীর কথা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। এই চণ্ডীদাস আর রজকিনীর প্রেমকাহিনী কোনো কিংবদন্তি নয়, এটি একটি সত্য ঘটনা যা শুরু হয়েছিল মাগুরা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে শালিখা উপজেলার শতখালি ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রাম। চণ্ডীদাস-রজকিনীর স্মৃতিঘেরা ধোপাখালী গ্রামটা পাখ-পাখালির ডাকে ছায়া সুনিবিড় সত্যিকারের বাংলার গ্রাম এখনও বিদ্যমান।
চণ্ডীদাস আর রজকিনীর প্রেমের ইতিহাস নিয়ে রয়েছে বহু মিথ। চণ্ডীদাস ছিলেন বাসলীদেবী মন্দিরের পুরোহিত। সেই মন্দিরের দেবদাসী ছিলেন রামি ও ওরফে রজকিনী। মন্দির ঝাঁট দেয়, ঠাকুরের বাসন-কোসন মাজে, কাপড় ধোয়। এক দিন সন্ধ্যা বেলা মন্দিরে ভোগ নিতে এলে ঠাকুর প্রথমে তার বাহু আঁকড়ে ধরেন। পিতৃমাতৃহীনা নিম্নবর্ণের রামি তাতে প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে আর্তনাদ করেন, 'কী করছেন, ঠাকুর!' ঠাকুর তার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন, "আমি তোমার মাঝে রাধারূপ দর্শন করেছি"- বলেই প্রেমিক চণ্ডিদাস তাঁর প্রেমাকাংখি রজকিনীকে জড়িয়ে ধরেন।
বলাই বাহুল্য, দেবদাসী রজকিনীর তখন ঠাকুরের পায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার দশা। রজকিনী দৌড়ে পালালেন। আর কখনো ঠাকুরের সামনে আসে না। দূর থেকে কাজকর্ম সারেন। ওদিকে ঠাকুরের হয়ে গেছে বেহাল দশা। বসে বসে শুধু কীর্তন গান। প্রেমলীলার এক অসামান্য আখ্যান রচনা করলেন তিনি এবং মর্মস্পর্শী সুরে গাইলেন, ‘কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি কালিনী নই কূলে/কে না বাঁশী বাএ বড়ায়ি এ গোঠ গোকূলে/আকুল শরীর মোর বেয়াকুল মন/বাঁশীর শবদেঁ মো আউলাইলোঁ রান্ধন।’ 
জনশ্রুতি আছে ১৪ শতকের শেষ ভাগের দিকের ঘটনা। চণ্ডীদাসের বাবা ছিলেন এ এলাকার একজন ছোটখাটো ব্রাহ্মণ জমিদার আর রজকিনী ছিল ধোপার মেয়ে। অপরূপা রজকিনীকে দেখে চণ্ডীদাস জাতপাত ভুলে তার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু সমাজ তাদের এ প্রেম মেনে নেয় না। নানা অপবাদে জর্জরিত হয়ে প্রেমিক-প্রেমিকা একদিন সব ছেড়ে পালিয়ে যায় ভারতের বাকুরা ছাতনা গ্রামে। সেখানেও সুখ না মিললে তারা বৃন্দাবনে চলে যান, তারপর তাদের কোনো খোঁজ আর পাওয়া যায়নি।
এই সেই চণ্ডীদাস যিনি বলেছিলেন, ‘কহে চণ্ডীদাস, শুনহ হে মানুষ ভাই, সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপর নাই।’- একথা বলেছিলেন - রজকিনী নিচু জাতের  বুয়া হলেও সে ঠাকুর চণ্ডীদাসের প্রেমিক মনে শুধুই একজন মানুষ! 
তথ্যসূত্রঃ "চন্ডিদাস -রজকিনী প্রেম-মাধুর্য"
—দীপক গুহ
 ২০ টি
    	২০ টি    	 +১/-০
    	+১/-০  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:০৭
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:০৭
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও একসময় এই ঘটনাকেও মিথ ভাবতাম। এখন ইতিহাস পড়ে দেখি- এটা কোনো মিথ নয়- খোঁদ বাংলাদেশেই ঘটনার সূত্রপাত!
২|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:১২
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:১২
শায়মা বলেছেন: এই গ্রামে যেতে হবে তাহলে এই পাগলা প্রেমীরা কই বসে বসে ১২ বছর ছিপ ফেলে থাকতো দেখতেই হবে।
তবে ভাবছি মানুষের জীবনে কি তখন কাজের এতই অভাব ছিলো!!!!!!!!
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:২১
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:২১
জুল ভার্ন বলেছেন: যখন কোনো ছেল-মেয়ে, বিশেষ করে টিন এজে প্রেমে পরে তখন যেটা করতে পারে না, করা সম্ভব না- সেটাও করার চেষ্টা করে! সেই জন্যইতো প্রবাদ আছে-  "... যখন সুখে খেতে ভূতে পেটায় তখন প্রেমে পড়ে ..."!  
৩|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:১৩
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:১৩
শায়মা বলেছেন: এই গ্রামে যেতে হবে তাহলে এই পাগলা প্রেমীরা কই বসে বসে ১২ বছর ছিপ ফেলে থাকতো দেখতেই হবে।
তবে ভাবছি মানুষের জীবনে কি তখন কাজের এতই অভাব ছিলো!!!!!!!!
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:২২
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:২২
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রেম করা কোনো কাজ নয়- স্রেফ আকাম! বেকারদেরই প্রেমে পরায় অগ্রাধিকার!
৪|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:৩৩
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:৩৩
শায়মা বলেছেন: এই কথা সত্যি বেকাররাই একনিষ্ঠ প্রেমিক বা প্রেমিকা হতে পারে।
কাজ পাগলা মানুষদের জীবনে প্রেম ক্ষনস্থায়ী। হয় সে নিজেই কিছুদিন পর বিরক্ত হয়ে যায় নয়ত তার প্রেমে যারা পড়ে তারাই হয়ে যায়। হা হা
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:৪০
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন:  তোমার অভিজ্ঞতার মূল্যয়ায়ণ করতেই হয়   
 
তবে অনেকেই আছেন যারা প্রেম করে নিজের আনন্দের জন্য এবং অন্যকে কষ্ট দেওয়ার জন্য!
৫|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:৪৭
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১১:৪৭
শায়মা বলেছেন: তারপর সেই কষ্ট দেখে কবিতা লেখার জন্য তাইনা???  
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:১০
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: সত্যিকারের কবি হতে গেলে হয়- খুব কষ্ট পেতে, না হয় খুব সুখী হতে। অন্যদিকে প্রেমে পরলে যেসব কবিতা রচনা হয়- তা ব্যাজ্ঞুন আজাইড়া- আকাইম্মা!   
৬|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:০৮
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:০৮
রাজীব নুর বলেছেন: চন্ডিদাস আর রজকিনী, শিরি-ফরহাদ, লাইলী মজনু এগুলো কি আসলেই সত্য ঘটনা। নাকি বানোয়াট কাহিনী?
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:১৩
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: অন্যগুলোর কথা জানাইনা, তবে- চন্ডিদাস আর রজকিনীর প্রেমের ঐতিহাসিক সত্যতা আছে। তাইবলে ১২ বছর শুকনা পুকুরে ছিপ ফেলে বসে থাকার ঘটনা অতিরঞ্জিত নিঃসন্দেহে!
৭|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:২৪
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:২৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন: 
পুরোহিত সাহেব রজকীনিকে ভয় দেখিয়েই ভুলটা করেছিলো।
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:৪৮
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১২:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: আজকালকার পুরোহিত হলে প্রেগন্যান্ট করে দিতো!
৮|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:২৬
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:২৬
শায়মা বলেছেন: ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:১০০
লেখক বলেছেন: সত্যিকারের কবি হতে গেলে হয়- খুব কষ্ট পেতে, না হয় খুব সুখী হতে। অন্যদিকে প্রেমে পরলে যেসব কবিতা রচনা হয়- তা ব্যাজ্ঞুন আজাইড়া- আকাইম্মা!  
হা হা হা 
তবে রবিঠাকুরের  কবিতা অমর......
তোমারেই যেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শতবার.......
কবিরা শতবার প্রেমে পড়ে
চন্ডিদাস সাধু প্রেমিক কবিরা শত প্রেমিক।
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:৩০
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:৩০
জুল ভার্ন বলেছেন: সবাইতো আর প্রেমিক কবি নন! তবে প্রেমে পরা একটা রোগ!  
৯|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৭:২০
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৭:২০
কামাল১৮ বলেছেন: ঘটনার সত্যতা হয়তো কিছুটা আছে তবে আতিরঞ্জন আছে অধিক।সেটা আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা বুঝতে পারি।এসব ঘটনা প্রমান করার কোন উপায় নাই।তাই রবি ঠাকুর বলেছেন, সেই সত্য যা রচিবে তুমি
                                                                                       ঘটে যা তা সব সত্য নহে।
  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  রাত ৮:৩২
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  রাত ৮:৩২
জুল ভার্ন বলেছেন: "তিলকে তাল বানানো"- আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য।
১০|  ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  রাত ৯:৪৮
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  রাত ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: আবার এলাম। 
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
  ০৫ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:৫৭
০৫ ই মার্চ, ২০২৩  দুপুর ১:৫৭
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:৫৫
০৪ ঠা মার্চ, ২০২৩  সকাল ১০:৫৫
শায়মা বলেছেন: এরা মানুষ ছিলো?
আমি ভেবেছিলাম রাঁধা কৃষ্ণের মত তারাও কোনো দেব দেবতা ছিলেন।