নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণেঃ
ইদানীং খুব জোরেসোরে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ তাদের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনা চলছে। বিষয়টি আজ সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরাও মনে করি, মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে শিক্ষকগণ তাদের অর্জিত জ্ঞান ও প্রশিক্ষণ দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োগ করে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের আধুনিক ও মনস্তাত্ত্বিক ইতিবাচক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে উদ্যোগী হবেন। আর এজন্য তাদের অবশ্যই স্বশিক্ষিত, সুশিক্ষিত এবং বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
কিন্তু এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আজ পর্যন্ত আলোচনায় আসছে না। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে কিংবা শিক্ষার মানোন্নয়নে যেমন শিক্ষকদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে, তেমনি ন্যূনতম স্নাতক পাস একজন শিক্ষককে পরিচালনা করতে যে অনুরূপ সমশিক্ষিত একজন ব্যক্তির অত্যন্ত প্রয়োজন- সেটি কেউই উপলব্ধি করছেন না। অথচ শিক্ষকদের কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটিতে খুনী, মস্তান ও অশিক্ষিত লোক এসে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাটাকেই কলঙ্কিত করে তুলছে এবং কাঙিক্ষত শিক্ষার মানোন্নয়নে ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে অন্তরায় সৃষ্টির প্রধানতম বাহক হিসেবে কাজ করছে। এ সকল লোক দাপট দেখিয়ে কিংবা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের পকেটে পুরে শান্তিপ্রিয় ও মেধাবী শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে তাদের অতিষ্ঠ করে তুলছে এবং সামগ্রিকভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশকে অস্থির ও অশান্ত করছে।
এধরনের বর্বর জণপ্রতিনিধিদের হাত থেকে শিক্ষা ব্যবস্থাকে রক্ষা করার প্রয়াসে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের মেয়াদের শেষ দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সদস্যদের ক্ষেত্রে গুণগত কিছু পরিবর্তন আনতে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলেন- যেটির সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে কার্যকর করলে নেহায়েত মন্দ হতো না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান সরকার সেটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং সেই সংগে দলীয় ক্যাডার মাস্তানদের হাতেই স্কুল কলেজ পরিচালনা কার্য্যক্রম ফিরিয়ে দিয়েছে! নিশ্চয়ই অধিকতর যুগোপযোগী করার মানসে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে অহেতুক অনাকাঙিক্ষত ঘটনা না ঘটে এবং সত্যিকার বিদ্যানুরাগী, নিবেদিতপ্রাণ ও শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ দ্বারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হয়- সেদিক বিবেচনা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জারিকৃত ঐ প্রজ্ঞাপনটি সংস্কার সাধন করে বর্তমান সরকার সেটি অচিরেই বলবৎ করবে বলে সাধারন মানুষ প্রত্যাশা করেন।
এই পোস্টে লেখার কারণ হচ্ছে- কয়েকদিন যাবত একটা নিউজ দেখতে পাচ্ছি- স্কুল কমিটির সভাপতি চার জন চাকুরী প্রার্থীদের নিকট থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছে। কিন্তু স্কুল কমিটির অন্যসব সদস্য এবং শিক্ষকগণ তার প্রতিবাদ করায় সভাপতির পছন্দের লোকদের স্কুলে নিয়োগ না দেওয়ায় স্কুলের অন্যসব শিক্ষকদের বেতন বিলে সেই সভাপতি সাহেব গত চারমাস যাবত সই/দস্তখত না করায় স্কুলের শিক্ষক এবং দপ্তরীর বেতন তুলতে পারছেনা।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মূল হোতা বর্তমান সরকার।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাম্যবাদী রাশেদ খান মেনন সাহেবও ভিখারুন্নেসা স্কুলে ভর্তি বাণিজ্য করেছেন বলে শোনা যায়।
০৬ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৪০
জুল ভার্ন বলেছেন: ভর্তি বানিজ্যে মেনন সাহেবের মতো সাফল্য আর কেউ অর্জন করতে পারেনি।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের মূল হোতা বর্তমান সরকার।
একদম খাটি কথা। লাখ কথার এক কথা।
এখন পাশের হার বেড়েছে। একটা গরুকে যদি পরীক্ষা হলে বসানো হয়, দেখা যাবে সে-ও জিপিএ ৫ পেয়ে গেছে।
০৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
জুল ভার্ন বলেছেন: এ বিশয়ে বিস্তারিত বলার অনেক ক্ষেত্র থাকলেও বলা যাবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
গত কয়েক বছরে বা দশকে শিক্ষা ব্যবস্থার উপরে এতো বেশী চাকু চালিয়েকে যে সেটি এখন মৃতপ্রায়।