নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ \n\nএক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

টায়ার আবিস্কারের কথা......

২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৭

টায়ার আবিস্কারের কথা......

জেনে অবাক হবেন- টায়ার আবিস্কার করেছিলেন একজন বিখ্যাত পশু চিকিৎসক!

জীবনের সবচেয়ে ভালো সময় হলো দুরন্ত কৈশোর। এই কৈশোরে সব ছেলের স্বপ্নের বাহন হলো একটি বাইসাইকেল। এখন সব বাইসাইকেলের চাকায় থাকে রাবারের টায়ার। শুধু বাইসাইকেল কেন প্রায় সব স্থলযানবাহনের চাকায় থাকে রাবারের টায়ার। কিন্তু ১৮৮৭ সালের আগে চাকার উপর থাকত না এমন টায়ার।


জন বয়েড ডানলপ। একজন ভেটেনারিয়ান চিকিৎসক। তিনিই আবার “ডানলপ টায়ার” কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা। ৫ই ফেব্রুয়ারী ১৮৪০ সালে স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহন করেন। ভেটেরিনারি সার্জন হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ভেটেরিনারি মেডিসিন বিষয়ে পড়তে এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন।

ডিভিএম ডিগ্রী অর্জনের পর নিজের ক্যারিয়ার শুরু করতে ১৮৬৭ সালে তিনি স্কটল্যান্ড থেকে আয়ারল্যান্ডে চলে আসেন। সেখানে তিনি তার ভাই জেমস্ ডানলপের সাথে মিলে “ডওনি ভেটেরিনারী ক্লিনিক” প্রতিষ্ঠা করেন। এই ক্লিনিকেই তিনি ভেটেরিনারি প্রাক্টিস শুরু করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রসিদ্ধ ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে পরিচিতি পান। তৎকালীন আয়ারল্যান্ডে ভেটেরিনারিয়ানদের মাঝে তিনি অন্যতম প্রসিদ্ধ ভেটেরিনারি প্যাক্টিশনার ছিলেন।

১০ বছর বয়সী ছেলের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে বাবা তার ছেলেকে নিয়মিত সাইকেল চালাতে নিয়ে যেতেন। সেখানে ছেলে দেখল শুধু চাকাসহ যে সাইকেল এগুলো চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে । কিন্তু সেই চাকার উপর যদি রাবারের আস্তরন দেওয়া যায় তবে সাইকেল চালানো অনেক সহজ হয়ে যায়। এরপর এই ছেলেই পরবর্তীতে অনেক গবেষনা করে।

তবে চাকার চারিদিকে লোহার বেড় পরানোর সূচনা হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ অব্দের দিকে, সেল্টিক ঘোড়ার গাড়িতে। কিন্তু সেই থেকে অষ্টাদশ শতক পর্যন্ত চাকার ইতিহাসে তেমন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিই হয়নি। তবে ১৮০২ সালে এই খরা কাটান জি এফ বাউয়ার। তিনিই প্রথম পেটেন্ট নেন ধাতব তার সমৃদ্ধ স্পোকের। তবে আরও অনেক বছরের প্রচেষ্টার পর, গোলাকার ধাতব তারের স্পোক একটি ভদ্রস্থ পর্যায়ে পৌঁছায়। এখনো সাধারণ বাইসাইকেলে এই স্পোকের চাকাই ব্যবহৃত হয়।

ধাতব তারের স্পোকের পরবর্তী ধাপ ছিল নিউম্যাটিক টায়ার, অর্থাৎ যেসব টায়ারের ভিতরে বায়ু প্রবেশের মাধ্যমে স্ফীত করা হয়। ১৮৪৫ সালে আর ডব্লিউ থম্পসন এধরনের টায়ারের পেটেন্টের জন্য নিবন্ধন করেন।
আর এই টায়ারকে আরও উন্নত করে তোলেন জন ডানলপ। সে সময়ে ব্যবহৃত শক্ত রাবারের বদলে তিনি তার নিজের তৈরি নিউম্যাটিক টায়ার ব্যবহার করেন এবং সেটির পেটেন্ট নেন।

তিনি ১৮৮৭ সালে প্রথম নিউমেটিক টায়ার প্রস্তুত করেন (যদিও আর. ডাব্লিউ. থমসনকে প্রথম আবিষ্কারক বলা হয় কিন্তু তিনি এটি বাস্তবিক ও বানিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করতে অসফল হন)। ৭ ই ডিসেম্বর ১৮৮৮ সালে তিনি তার তৈরী নিউমেটিক টায়ারের স্বত্ত্ব লাভ করেন। ধীরে ধীরে তার সৃষ্টি টায়ার জনপ্রিয় হতে থাকে। একবার এক সাইকেল প্রতিযোগীতায় জন বয়েড ডানলপের সৃস্টি নিউমেটিক টায়ার ব্যবহার করে এক সাইক্লিস্ট প্রথম হয়ে যায়। এরপরেই এই টায়ারের জনপ্রিয়তা গগনচুম্বী হয়ে পরে।

দীর্ঘ ২৫ বছর প্রানী চিকিৎসা করার পর ১৮৯২ সালে তিনি অবসর নেন এবং তার এক সহকর্মীর সাথে টায়ার প্রস্তুতকারক কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন।

তথ্যসূত্র এবং ছবি: উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০১

রাজীব নুর বলেছেন: সেদিন আমি ভাবছিলাম- মানুষের অনেক কিছু আবিস্কার নিয়ে। পৃথিবী এরকম ছিলো না। কোনো অলৌকিক উপায়ে আজকের এই আধুনিক সভ্যতা গড়ে উঠেনি। মানুষের সীমাহীন প্রচেষ্টায় আজকের এই আধুনিক পৃথিবী। যা কিছু করার মানুষই করেছে। প্রয়োজন মানুষকে দিয়ে সব করিয়েছে।

ঈশ্বর শুধু পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। বাকি যা কিছু সব মানুষ করেছে।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: ঈশ্বর প্রদত্ত জ্ঞান মেধা দিয়ে মানুষ অনেক কিছুই করেছে এবং আরও করবে।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:০৭

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রিয় ভাই,
পোস্ট বরাবরের মতোই অসাধারণ এবং তথ্য সমৃদ্ধ। ভালো লাগলো।
অফটপিক- সারাদিন নিশ্চই খুব ব্যস্ত ছিলেন। নয়তো নজর এড়াবার কথা নয় যে আপনার জন্য খোলা তরবারি নিয়ে ঘুরছি।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:১৭

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা ভাইয়া আমি আজ সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছি। আমার বিজনেস হচ্ছে দুটো ইউরোপীয় (বেলজিয়াম) কোম্পানির প্রোডাক্ট বাংলাদেশে মার্কেটিং করা.....তাদের নিয়ে আজ হোটেল সোনারগাঁওয়ে দিনভর সেমিনার সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হলো.... উপস্থিত ছিলেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ছাড়াও সরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। উপস্থিত ছিলেন বেলজিয়ামের হাইকমিশনার ছাড়াও বেলজিয়ামের দুই মন্ত্রী..... ৩১ তারিখ পর্যন্ত বিজি থাকবো। সারাদিন ব্লগ কিম্বা ফেসবুকে ছিলাম না, তাই কিছুই জানিনা।

৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


রিপোস্ট মনে হচ্ছে।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:২২

জুল ভার্ন বলেছেন: এক বছর আগে ফেসবুকে লিখেছিলাম।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:১০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: ভালো পোস্ট। +++

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:১৮

জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবাক লাগে সাইকেলের স্পোক কীভাবে এতো ওজন নেয়।

বাতাসেরও অনেক শক্তি। একটা বিশাল প্লেনের ওজন নিচ্ছে কয়েকটা টায়ার।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা অদৃশ্য শক্তি বাতাসকে শক্তি সম্পর্কে চিন্তা করলেই সৃষ্টিকর্তার শক্তি সম্পর্কে ভাবতে পারে....সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসীরা।

৬| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কিছু দিন আগেই এই বিষয়টি পড়েছি। কোথায় পড়েছি মনে নেই।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৪:২১

জুল ভার্ন বলেছেন: আরও ফেসবুকে লিখেছিলাম বছর আগে।

৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৬:২২

কামাল১৮ বলেছেন: টায়ার আবিস্কারের চেয়ে হাজার গুন বেশি গুরুত্বপূর্ণ চাকার আবিস্কার।রেল গাড়ির টাকায় এখনো টায়ারেক প্রয়োজন হয় নাই।তবে ভবিষ্যতে হয়তো দ্রুতগামী রেলের চাকার জন্য টায়ারের প্রয়োজন হতে পারে।

২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:০৬

জুল ভার্ন বলেছেন: ভবিষ্যতে এমন অনেক কিছুই আবিস্কার হবে যা আমরা এখনও কল্পনাও করিনি।

৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেখলাম আপনি ব্লগ ছাড়ার চিন্তা-ভাবনা করছেন!! আপনার রাগ-বিরাগ, মান-অভিমান যাই থাক না কেন, ভুলেও এই কাজ করবেন না। এটা করলে তো আপনি অপশক্তির কাছে হেরে গেলেন। সবচেয়ে ভালো, যখন সময় পান ব্লগে আসবেন। প্রতিদিন আসার দরকার কি?

কে কি বলে, সেটা নিয়ে বসে থাকলে হবে? আপনি জ্ঞানী মানুষ, এর চেয়ে বেশী কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। :)

আর হ্যা, ''টায়ার কথন'' চমৎকার হয়েছে। তথ্যবহুল।

৯| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ডানলপ সাহেবের টায়ার আবিষ্কার করেছেন জানতাম কিন্তু নেপথ্যে কাহিনী জানতাম না।সত্যিই অবাক হতে হয় কোথায় ভেটেরিনারি আর কোথায় টায়ার তৈরি। পোস্টে ভালোলাগা রইলো।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।

১০| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঈশ্বর প্রদত্ত জ্ঞান মেধা দিয়ে মানুষ অনেক কিছুই করেছে এবং আরও করবে।

'জ্ঞান'। দুনিয়াতে সবচেয়ে সুন্দর জিনিস হচ্ছে জ্ঞান।
কেন হুজুরদের জ্ঞান কম? তাঁরা শুধু চিল্লায়। আর ইহুদী নাস্তিকেরা আবিস্কার করে যাচ্ছে?

১১| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার পোষ্টগুলো সব সময় ভালো হয় বলে মনে হয়।

১২| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

অধীতি বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা। ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.