নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ্যাসিবাদের নির্মমতা......

২৫ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৪০

প্রিয় দর্শক, আমি দীপন দেওয়ান, আর টিভির বিশেষ অনুষ্ঠান 'ফ্যাসিবাদের নির্মমতা' অনুষ্ঠানে আপনাদের স্বাগত জানাই। আমাদের আজকের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি জনাব হুমায়ুন কবির সাহেবকে, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জুলভার্ন নামে সমধিক পরিচিত। জনাব হুমায়ুন কবির জুলভার্ন সাহেবের রয়েছে এক বর্ণাঢ্য জীবনালেখ্য। তিনি একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। লেখাপড়া করেছেন ঝিনেদা ক্যাডেট কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে সম্মান সহ স্নাতকোত্তর এবং এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি একজন কীর্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড়। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল টীমের নেতৃত্ব দিয়েছেন। খেলাধুলায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পুরস্কার 'ব্লু অ্যাওয়ার্ড' অর্জন করেন ১৯৮০ সালে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের অন্যতম ছিলেন।

তিনি রাজনীতিবিদ নন, তবে রাজনৈতিক সচেতন নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদ দলের সমর্থক এবং কর্মী। পেশায় ব্যবসায়ী। লেখালেখি তার প্যাশন। ইতোমধ্যেই তার লেখা বিষয় ভিত্তিক 'মুক্তিযুদ্ধের টুকরো স্মৃতি', 'গুম এবং অতঃপর', 'দ্যা আনটোল্ড স্টোরি' নামে তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রকাশের অপেক্ষায় আছে গবেষণা মূলক বই- 'সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের ক্রমবিকাশ'। আজ আমরা তার উপর ফ্যাসিস্ট সরকারের গুম-নির্যাতন এবং বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তার কথা শুনবো। তার আগে জনাব হুমায়ুন কবির এর কর্মময় জীবন নিয়ে আর টিভি নির্মিত চার মিনিটের একটি সচিত্র প্রতিবেদন দেখি......(সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার)।
[
★ জনাব হুমায়ুন কবির, আমাদের দর্শকদের কাছে আপনার নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন।
★★ আচ্ছালামুয়ালাইকুম। আরটিভি কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য। অত্যন্ত বিনয় এবং সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলছি- ভিডিওতে আমাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সূচনা বক্তব্যে দীপন দেওয়ান আমার সম্পর্কে যা বলেছেন- সেটাই আমার জন্য অনেক সম্মানের। কাজেই আমি অনুরোধ করবো, আমাকে আজকের আলোচ্যে বিষয়ে প্রশ্ন করার জন্য।

★ দীপন দেওয়ানঃ ধন্যবাদ। গুম সম্পর্কে আপনার বক্তব্য শুনতে চাই।
★★ প্রথমেই আমি দর্শক শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি- প্রায় সাত বছর হতে চলছে আমি কিছুটা ডিমেনশিয়া আক্রান্ত তার উপর গুছিয়ে কথা বলতে না পারার জন্য। আমি মনে করি- গুম হচ্ছে স্বৈরশাসকদের অন্যতম জঘন্য হাতিয়ার। একজন মানুষকে গুম করা কিছু ক্ষেত্রে মেরে ফেলার চেয়েও অধিক ভয়ের বিভীষিকার। কোনো মানুষ মারা গেলে প্রিয়জনরা তার শেষকৃত্য করতে পারে, মৃত মানুষেরও সমাজে কিছু অধিকার আছে। যেমন, তার সৎকারের অধিকার কিংবা উত্তরাধিকাররা তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ভোগ করতে পারে, মানুষটা নেই জেনে শোক চেপে হলেও নিজেদের জীবনের পরিকল্পনা করতে পারে। কিন্তু, গুমের শিকার মানুষজনের প্রিয়জনরা সেই অধিকারগুলোও পাননা। বরং একটা অসম্ভব আশায় তাদের দিন পার করতে হয়। আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়। এমনকি গুম হয়ে যাওয়াদের সন্ত্রাসী কিংবা ঋণের ভয়ে পলাতক বলেও আখ্যা দেয় স্বৈরশাসকের বাহিনীগুলো। বাংলাদেশে গুমের এক ঘোর অমানিশা নেমে এসেছিল বিগত আওয়ামী সরকারের সময়। সে সময় হাজারো মানুষকে সরকারি বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়েছিল। ‘আয়নাঘর’ নামে অজ্ঞাত নির্যাতন সেলে দিনের পর দিন অসহনীয় দিন কাটিয়েছেন কেউ, কাউকে মেরে লাশ লুকিয়ে ফেলা হয়েছে।

(সুপ্রিয় দর্শক, আমরা ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন বিরতিতে যাচ্ছি, ফিরে আসবো কিছুক্ষণের মধ্যেই। আপনারা আমাদের সাথেই থাকবেন)

★ কি কারণে আপনাকে গুম করে নির্যাতন করা হয়েছিল বলে মনে করেন?
★★ আমাকে কেন গুম করা হয়েছিল সে প্রশ্নের জবাব দেবার আগে দুনিয়া জুড়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরতে হবে। ফ্যাসিস্টরা নিজনিজ দেশে প্রথমেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' স্লোগান এবং রংবেরঙের উন্নয়নের ডামাডোল প্রচারণা করবে। অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশের কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিক্ষক তথা সাংস্কৃতিক অংগন, তথাকথিত লোলুপ বুদ্ধিজীবী এবং পেশাজীবীদের বশ করে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে পেশাদারিত্ব থেকে ব্যক্তিগত লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিনত করবে। শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-কার্যক্রম থেকে সরিয়ে বিভিন্ন রকম আনন্দ উৎসবে মাতিয়ে রাখে। অর্থাৎ সর্বত্রই ইয়েস স্যার / ইয়েস মিনিস্টার কায়েম করে। দৃশ্যমান কিছু উন্নয়ন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের বাহবা নেবে। উন্নয়নের আড়ালে করে বেশুমার লুটপাট।

অনৈকতা দিয়ে দেশের সব মানুষকে বশ মানানো যায়না। দেশপ্রেমিক বিবেকবান নাগরিকরা প্রতিবাদী হবেই। কিছু সংখ্যক দেশপ্রেমিক বিবেকবান নাগরিদের প্রতিবাদী কণ্ঠ এবং লেখনী স্তব্ধ করে দিতেই নৈতিক বিবর্জিত বাহিনী দিয়ে তাদের দমন-পীড়ন চালায়। তাদের নানাবিধ নির্যাতন নিপীড়নের মধ্যে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল বন্দী করা, গুম-হত্যাকেই আইনী প্রকৃয়ায় বৈধতা দেওয়া হয়।

আমি আমার লেখালেখি এবং বক্তব্যে কখনওই নিজের রাজনৈতিক মতাদর্শ লুকাইনি বরং শত প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রকাশ করেছি। সত্য কথা বলেছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্যসূত্র উল্লেখ করে দুর্নীতি, অন্যায় অনৈতিকতার বিরুদ্ধে লিখেছি। সেইসব কারণেই আরও অনেকের মতো আমাকেও গুম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

★ আমরা জানি আপনি গুমের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গুম তদন্ত কমিশনে অভিযোগ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলা করেছিলেন। গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের রেসপন্স কেমন ছিলো? সেই অভিযোগ বা মামলার অগ্রগতি কি?
★★ জ্বি আমি গুম কমিশন অব ইনকোয়ারিতে অভিযোগ জানানোর পর তারা অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং ধৈর্যের সঙ্গে আমার দীর্ঘ জবানবন্দি ধারণ করে এবং টেকনিক্যাল বিষয়গুলো ক্রস চেক করে। পরবর্তীতে আইনী প্রকৃয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করার জন্য আমাকে এডভাইস করে। আমি আমার আইনজীবীর সহায়তায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করার পর, আমার অভিযোগ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত কমিশনে প্রেরণ করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত কমিশনের তদন্তকারী কর্মকর্তারা বিস্তারিত তদন্ত করে এবং আমাকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এই পর্যন্ত আমি সন্তুষ্ট হলেও গত চার মাসে আর কোনো অগ্রগতি জানিনা।

★ আপনার কাছাকাছি সময়ে আরও অনেকেই গুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তাদের অনেকেই আপনার সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় আসামি হয়ে জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আপনারা সবাই কি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে মামলা করেছেন?
★★ গুমতো জোটবদ্ধভাবে করেনি, প্রত্যেককেই আলাদা আলাদা ভাবে বিভিন্ন সময়ে গুম করে নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে। তবে একই রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং একই প্লাটফর্মে সক্রিয় থাকায় অনেকের সাথেই আমাদের দীর্ঘদিনের পারস্পরিক সম্পর্ক। আমার পরিচিতদের মধ্যে সবার আগে গুম করা হয় এস এম সাগরকে। তারপর রাজন বেপারী, আরজান ইভান, ইফতেখার ওয়াসীমুল হক, রেজওনুল হক শোভন, ফসিউল আলম এবং আমাকে। উল্লেখ্যজনদের মধ্যে এস এম সাগর কোথাও অভিযোগ করেননি। গুম নির্যাতনে ট্রমাটিক আরজান ইভান ইতোমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন। ট্রাইবুনালে আমি একাই মামলা করেছি। শোভন, রাজন, ওয়াসীম, ফসিউল এখন পর্যন্ত মামলা দায়ের করেনি, তবে প্রক্রিয়াধীন।

(সুপ্রিয় দর্শক, আমরা আবারও ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন বিরতিতে যাচ্ছি, ফিরে আসবো কিছুক্ষণের মধ্যেই। আপনারা আমাদের সাথেই থাকবেন)

★ গুম এবং নির্যাতনের বিচার কি একই মামলায় হবে?
★★ গুম কমিশন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ তদন্ত কমিশন বলেছে- জাতিসংঘ মানবাধিকার আইনে গুম হচ্ছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। কিন্তু নির্যাতন নিপীড়ন এর অপরাধ সেই আইনের আওতায় পরে না। তাই নির্যাতনের জন্য সাধারণ ফৌজদারি অপরাধ আইনে মামলা করতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি মানবতা বিরোধী অপরাধ আইনে কিছু সংশোধনী যুক্ত করেছে, যেখানে উভয় অপরাধের বিচার একই আদালত করতে পারবে। যদিও নতুন অধ্যাদেশ আমি এখনো পড়তে পারিনি তাই বিস্তারিত বলতে পারছিনা।

★ আপনি কি মনে করেন- গুমের তদন্ত এবং বিচার প্রক্রিয়া সঠিকভাবে এগুচ্ছে?
★★ এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে জাতিসংঘ প্রণীত মানবাধিকার আইন অনুসরণ করে হচ্ছে- যা জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থা ছাড়াও গোটা বিশ্বের অবজারভেশনে আছে। তাই সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে যেয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ার গতি অত্যন্ত শ্লথ। আমি মনে করি- যেখানে তদন্তই সঠিকভাবে এগুচ্ছে না, সেখানে বিচার সূদুর পরাহত। এর পেছনে সরকারের সদিচ্ছার খুব অভাব বলবো না, বলতে পারি- যোগ্য অভিজ্ঞ লোক বলের অভাব। তাছাড়া মামলা দায়েরেও অনেক খুঁত থাকায় তদন্ত সংস্থা যথাযথ প্রক্রিয়ায় এগুতে পারছেনা।

★ গুমের বিচার চেয়ে মামলা করায় আপনি কি নিরাপত্তা নিয়ে আশংকায় আছেন?
★★ নিরাপত্তাহীনতা আছে, তবে একজন মৃত্যুঞ্জয়ী হিসেবে ওসব ভয় পাইনা।

★ রাষ্ট্রের কাছে, সরকারের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
★★ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যে দুঃশাসনের বিষবৃক্ষ রোপণ করে এবং এস্টাবলিশ করে গিয়েছে, সেই দুঃশাসনের বিষবৃক্ষ উপরে ফেলে এবং এস্টাবলিশমেন্টের খোলনলচে পুনর্গঠন করতে হবে। এই দেশের রাজনীতিতে আর কোনোদিন যেন নতুন কোনো শেখ হাসিনা, শেখ পরিবারের জন্ম নাহয়। আর কোনো দানব বাহিনীর জন্ম না হয়। বাকস্বাধীনতার জন্য, নাগরিকদের মৌলিক সাংবিধানিক অধিকারের জন্য কোনো আন্দোলন সংগ্রাম করতে না হয়। শাসক যেনো শোষক না হয়।

একই সাথে আমার দাবী, মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলা ভুক্তভোগী করলেও বাদীপক্ষ হয়ে আইনী লড়াই যেনো রাষ্ট্র করে। কারণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে আসামি পক্ষ দেশ বিদেশি জাদরেল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। আসামিদের প্রত্যেকেই শেখ হাসিনা পরিবারের মতো অজস্র কোটি টাকা লুটপাট করে দেশ বিদেশে পাচার করেছে- সেই টাকায় তারা দেশ বিদেশে বড়ো বড়ো আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে। আমার মতো ভুক্তভোগীদের আর্থিক সংকুলান সম্ভব হবে না আসামি পক্ষের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে দেশী বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিয়ে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়া।

★ আমাদেরকে সময় দেওয়ার ধন্যবাদ জনাব হুমায়ুন কবির। হয়তো আবারও কথা হবে অন্যকোনো অনুষ্ঠানে অন্য কোনো বিষয়ে।
★★ আপনাকেও ধন্যবাদ। ধন্যবাদ আর টিভির সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং দর্শকদের।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.