নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস...খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে...কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়।আমার অদক্ষ কলমে...যদি পারো ভালোবেসো তাকে...ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে,যে অকারণে লিখেছিল মানবশ্রাবণের ধারা....অঝোর

জুল ভার্ন

এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।

জুল ভার্ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজেকে বদলে ফেলুন, দেশটাকে গড়ে তুলি.....

২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:২৫

প্রস্তুতি কারোই নাই, গরম গরম ভাষণ সবাই দেয়....

দেশে একগ্রুপ হুই তুলেছে- "দেশের রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করতে হবে, যেন আর কোন ফ্যাসিষ্ট তৈরি না হয়"।

বেশিরভাগ জনগন (আওয়ামিলীগ ছাড়া) এই ব্যবস্থাই চায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন পরিবর্তন চায় এমন কোন দলের নেতাকে বলতে শুনলাম না যে, ফ্যাসিষ্ট সিস্টেম পরিবর্তনের সিস্টেমটা কি?
কোন পদ্ধতিতে তা পরিবর্তন করা যাবে?
সংবিধান পরিবর্তন করলেই কি মানুষের মনের বিকৃত রুচির পরিবর্তন হবে?

দেখেননি ধর্ষণে, বলতকারে, নিঃসংশয়তার কোন পক্ষ্যই পিছিয়ে নেই। আবার বিরাট শিক্ষিত ক্যামব্রিজ স্কুলের মালিক মানুষের পরিচয় বাদ দিয়ে 'লায়ন' পরিচয়ে ছাত্রদের টাকা মারে, বিদেশে পাচার করে! হামিম গ্রুপের মালিক গার্মেন্টস কর্মীদের ঠকিয়ে আইন প্রনেতা হয়ে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে তার পক্ষে স্লোগান তোলে। কিম্বা ব্যাংক মালিক সমিতির প্রধান আর এক লায়ন নজরুল ইসলাম কি সুন্দর লেবাসধরে ফ্যাসিষ্ট সরকারের জন্যে স্লোগান ধরে। সব আমলে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের পোলা তরুনীদের কাউকে না কাউকে গর্ভবতি করে, মেরে ফেলে- বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়িরা ঘন্টায় ঘন্টায় বাজার মনিটর করে ভোক্তাদের পকেট হাতড়ে নেয়!

উপরে যা বললাম তা সবই রাজনীতির সাথে যুক্ত। রাজনীতি বাইরে থেকে চাপিয়ে দেয়ার কোন বিষয় নয়। আমরা প্রতিদিন ঘরে, ঘরের বাইরে যা যা করি তারই সম্মিলিত রূপ রাজনীতি। রাজনীতি নষ্টদের দখলে চলে গেছে। স্বাধীনতার আগে থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এখন তা মহিরুহ আকার ধারণ করেছে।

স্বাধীনতার আগে আমরা এক ধরনের পরিবর্তন দেখেছি, স্বাধীনতার অব্যহিত পরে আরেক ধরনের পরিবর্তন দেখেছি, এরপর ধীরে ধীরে অনেক পরিবর্তন দেখেছি। এখন চলছে আগ্রাসী ধ্বংসের ষোলকলা পূর্ণ করার পরিবর্তন।

সব চেয়ে বেশি নষ্টামি শুরু হয়েছিল ৮০র দশকের দীর্ঘ মেয়াদি সরকারের আমলে। সেই আমলে আমাদের নীতিবোধের যে অবক্ষয়ের বীজ হৃদয়ে বপন করা হয়েছে, তা থেকে কেউ বের হতে পারেনি। কি বিচার, কি শিক্ষা, কি নৈতিকতায়। তখন রাষ্ট্রের শীর্ষনেতাই পরের বউ ভাগাইত, এঞ্জয় করত। অনেকেই উপরে উঠতে নিজের বউকেও সাপ্লাই দিত। তার গিন্নি অযাচিতভাবে সরকারে হস্তক্ষেপ করত, স্বামী পরিত্যক্তা হলেও বলত আমি ফার্স্টলেডি!

সরাসরি বললে সিস্টেম থেকে বের হবার উপায় ছিল
ন্যায় বিচার করা আর ন্যায় বিচারের আইন প্রয়োগ করা। ভোগ বিলাশ থেকে মানুষের মন কে ফিরিয়ে আনা। সে লক্ষে দেশের ট্যাক্স সিস্টেমকে আয়ের সাথে মিল করে করা। চাকুরীজিবীদের কঠিন শৃংখলায় আনা। এক আনার দুর্নীতির শাস্তিও ১৬ আনা নিশ্চিত করা।

ইতিহাস দেখুন, যে সব দেশ উন্নত করেছে তাদের প্রায় সবাই কঠোরতা দিয়ে আর ন্যায় সাম্যতার আইনের প্রয়োগ করেই উন্নতি করেছে। সেই কঠোরতার পিছনে অন্তরে লুকিয়ে ছিল মংগলহিতাসি দেশপ্রেম। যার ঘাটতি আমাদের দেশে ১০০%! স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও এখনো দেশের লোকের ভিতর যে কোন এক প্রশ্ন করলে দেখবেন একটা সিংগেল ইস্যুতে কেউ ৬০% একমত নয়!

কারণ কি?

স্বার্থ ভংগ!

তাহলে আমরা কি ন্যায় বিচার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো?
তার প্রয়োগ করতে পারব?

অবশ্যই পারবো যদি-

দেশপ্রেমিক সাহসী বিচারক, সাহসী উকিল, সাহসী প্রশাসক, সাহসী শিক্ষক এবং সাহসী রাজনিতিক! সর্বপরি জনগণের সহযোগিতা।

এদেশে কি বর্তমানে উপরের এই দলে দেশপ্রেমিক কেউ আছে? বেশিরভাগই নাই, বিপথে আছে। ২% হয়ত এখনো সৎ সাহসি আছে। তাদের দিয়ে কি লড়তে পারবেন?

অন্ততঃ রাজনীতি যদি ঠিক না করেন, তবে এদের ঠিক করা সম্ভব নয়। যার কাজ তাকে করতে হবে, আবার তাকে করতেও দিতে হবে। সিস্টেম বদলাতেও রাজনীতি লাগবে! দেশপ্রেমিক সাহসী নেতা লাগবে। তাকে নির্বাচিত করে কাজ করার পরিবেশ দিতে হবে।

লোম বাছতে কম্বল উজার করার মত একটা বিরাট ক্ষতির উপর দাঁড়িয়ে হয়ত ভবিষ্যত প্রজম্মকে রক্ষা করতে হবে! এর জন্যে প্রচুর ছাটাই করতে হবে, বহিস্কার করতে হবে; অগ্নিপরীক্ষায় সতিত্বে নির্ধারন করতে হবে। সতিত্ব পরীক্ষা করেন কিম্বা সংস্কার করেন, তা যে কোন স্থানের জন্যেই করেন, তার অনুমোদনের জন্যে লাগবে-

নির্বাচন।
নেতা একজনকেই বানাতে হবে। পিআর দিয়ে একক নেতা বানানো যায়না।

এদেশে একক না করলে গ্রুপিং করবে, হোক টুপিওয়ালা হোক টুপিছাড়া। হোক বয়স্ক হোক তরুণদের কেউ! স্বার্থের কাছে সবাই অন্ধ! যা দিয়ে নিজেকে গড়া যায়। দেশ গড়া যায়না।

আমাদের দেশের রাজনীতিক যে কোন দলের নেতা আর কর্মিরা কি দেশ গড়তে প্রস্তুত?

আমি, আপনি, আমরা?

'হুম' বললেই হবেনা, কর্মে দেখান। বুকে হাত দিন আপনার বিবেক বিশ্বাস নিয়ে সত্যি করে বলুন, আপনি কি প্রস্তুত? যদি প্রস্তুত হন তো আমাদের কে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবেনা!

এর জন্যে একজন নেতা চাই যে হবে:
নিরহংকার, আত্মীয়য়স্বজন বর্জিত কঠোর শৃংখলামানা দেশপ্রেমিক নেতা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এরকম নেতা কি দেশে আছেন ?

২২ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: নেতা তৈরী হয় দুঃসময়ে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

রবিন.হুড বলেছেন: তৃতীয় ধারার নতুন দল, বাড়াবে সবার মনোবল। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে দেশ প্রেমিক সংগঠক চাই।

২২ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০

জুল ভার্ন বলেছেন: সকল ভালোর জন্য শুভ কামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.