| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
ডিজিএফআই বিলুপ্ত নয়, সংস্কার ও পুনর্গঠনই হোক জাতীয় নিরাপত্তার মূলমন্ত্র।
সম্প্রতি কিছু প্রবাসী ইউটিউবার ও আত্মপ্রচারপ্রিয় বিশ্লেষক ডিজিএফআই বিলুপ্তির দাবি তুলেছেন। তাদের বক্তব্যে “মানবাধিকার” ও “গণতন্ত্র” এর আড়ালে লুকিয়ে আছে অন্য এক ভয়ংকর উদ্দেশ্য- বাংলাদেশকে দুর্বল করে পার্শ্ববর্তী দেশের প্রভাববলয়ে ঠেলে দেওয়া। যারা আজ ডিজিএফআই নিষিদ্ধ করার কথা বলছে, তারা হয়তো বুঝে বা না বুঝে এমন এক ষড়যন্ত্রে সহায়তা করছে যা রাষ্ট্রের অস্তিত্বের জন্যই হুমকি।
একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব টিকে থাকে তিনটি স্তম্ভে- জনগণ, সরকার এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। ২০০৫ সাল পর্যন্ত দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা এবং রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স (ডিজিএফআই) সত্যিকার অর্থেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু এরপর থেকে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে যায়। রাষ্ট্রের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত সেই সংস্থাকে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার যন্ত্রে পরিণত করা হয়। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজ বদলে শুরু হয় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নজরদারি, দমন-পীড়ন ও ভয় দেখানো এমনকি গুম হত্যার মতো অমানবিক কার্যক্রম।
আরও উদ্বেগজনক বিষয় হলো- যেসব সৎ, ন্যায়পরায়ণ ও পেশাদার সেনা কর্মকর্তা এ ধরনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছিলেন, কিংবা নৈতিক কারণে সরকারের অন্যায় সিদ্ধান্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, তাদেরকেই ‘প্রতিবন্ধকতা’ মনে করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
এক সময় যে সংস্থা ছিল রাষ্ট্রের চোখ ও কান, আজ সেটিকেই কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ব্যবহার করছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের অস্ত্র হিসেবে। এ যেন জাতির নিরাপত্তা নয়, বরং একটি রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা বাহিনীর অপব্যবহার- যা দেশের স্বাধীনতা ও সেনাবাহিনীর মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত।
ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে ডিজিএফআই-এর পুনর্গঠনঃ
শেখ মুজিবুর রহমানের পতনের পর, ১৯৭০-এর দশকে জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্বাধীনতার পরবর্তী অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তিনি একটি পেশাদার, সুশৃঙ্খল ও আধুনিক গোয়েন্দা সংস্থা গঠনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। সেই প্রেক্ষাপটেই ডিজিএফআই পুনর্গঠিত করেন, যার মূল লক্ষ্য ছিল পেশাদারীত্বের সাথে জাতীয় প্রতিরক্ষা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা।
ডিজিএফআই-এর প্রকৃত ভূমিকা ও দায়িত্বঃ
রাজনৈতিক বিতর্ক ও নানা সমালোচনার আড়ালে ডিজিএফআই-এর প্রকৃত কার্যক্ষেত্র প্রায়শই আড়ালেই থেকে যায়। সংস্থাটি শুধু রাজনীতির খবরাখবর রাখে না, বরং রাষ্ট্রীয় নিয়োগ, প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি, সাইবার নিরাপত্তা, বিদেশি গুপ্তচরবৃত্তি প্রতিরোধ, এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের ঝুঁকি নির্ণয়ের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকে। এক কথায়, এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র।
দুর্নীতি ও অপরাধে জড়িত কর্মকর্তারা নয়, প্রতিষ্ঠানই মুখ্যঃ
তবুও এটা সত্য- ডিজিএফআই-এর কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তা গুম ও খুনের মতো ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মুখোমুখি হয়েছেন। এ ঘটনা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক।
তবে এখানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠে আসে- কয়েকজন অপরাধী কর্মকর্তার জন্য পুরো প্রতিষ্ঠানকে বিলুপ্ত করা কি ন্যায্য বা যুক্তিসঙ্গত?
একটি রাষ্ট্রের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা বিলুপ্ত করে দেওয়া মানে তার আত্মরক্ষার বর্ম খুলে ফেলা। এটি কেবল বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে ঝুঁকিতে ফেলবে না, বরং প্রতিবেশী শক্তিধর দেশগুলোর সামনে আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতাকে ন্যস্ত করে দেওয়ার শামিল।
সংস্কারই হোক মুক্তির পথঃ
গুম, খুন বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো আপসের সুযোগ নেই। কিন্তু প্রতিষ্ঠান ধ্বংস নয়, সংস্কারই হতে হবে মুক্তির পথ।
ডিজিএফআই-কে রাজনীতি ও ক্ষমতার প্রভাবমুক্ত রেখে, পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিতার কাঠামোর মধ্যে এনে পুনর্গঠন করতে হবে। তাহলে এই সংস্থা আবারও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।
শেষকথাঃ
একটি রাষ্ট্র তখনই দুর্বল হয়, যখন সে নিজের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানকে সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে।
আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়- ডিজিএফআই কোনো দলের নয়, কোনো সরকারের নয়- এটি বাংলাদেশের নিরাপত্তার প্রতীক। কয়েকজন দুষ্কৃতিকারীর জন্য এই প্রতিরক্ষা প্রাচীর ভেঙে দেওয়া মানে আমাদের স্বাধীনতাকে বন্ধক দেওয়া।
অতএব, অপরাধীদের বিচার হোক, সংস্কারও হোক; কিন্তু প্রতিষ্ঠান টিকে থাকুক- রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থে।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫
জুল ভার্ন বলেছেন: স্বভাব চরিত্র পরিবর্তন না হলে- নাম/পোশাক বদলিয়ে কোনো লাভ নাই। উদাহরণঃ অনেক ব্লগার বারবার নাম বদলায় কিন্তু কুস্বভাব বদলায় না!
২|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: সমর্থন
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:০৬
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
ভিজিএফআই কি স্বাধীন কোন সংস্থা? সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে যেয়ে একটি সংস্থার রিভল্ট করার কোন সুযোগ আছে? পৃথিবীর কোথাও এমন কোন নজির আছে? ইরাক, আফগানিস্তান আক্রমণ, গুয়েতেমালা কারাগারে বন্দিদের উপর নির্যাতনে মার্কিন সেনাবাহিনী, সিআইএ, এনএসএ কোন সংস্থা কি বিদ্রোহ করেছে নাকি এর কার্যক্রমের দায়ভার নিয়ে নিসিদ্ধের প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকাতে কি গনতন্ত্রের উপস্থিতি কম?
তাহলে বাংলাদেশে এই প্রশ্ন উঠছে কেন? কথিত বিদেশে বসে "আংগুল ফুলে কলাগাছ" হওয়া ইউটিবার, নতুন বন্দোবস্ত ডাক দেওয়া জুলাই ব্যাবসায়ীরা ভিজিএফআই, সেনাপ্রধান, আওয়ামী, জাপা নিষিদ্ধ সর্বপরি বিএনপি কে দুর্বল না করতে পারলে নতুন "হাসিনা" হয়ে ছড়ি ঘুড়াতে পারবে না।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলা যায়-
ডিজিএফআইসহ যে কোনো রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বা প্রতিরক্ষা সংস্থা কখনোই “স্বাধীন” কোনো প্রতিষ্ঠান নয়; তারা সংবিধান ও সরকারের নির্বাহী আদেশের অধীনেই পরিচালিত হয়। বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশেই সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বেসামরিক প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকে- তা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কিংবা ভারত- সব জায়গাতেই একই নিয়ম প্রযোজ্য।
তাই কোনো সংস্থা সরকারের নীতির বিরুদ্ধে “বিদ্রোহ” করবে- এমন ধারণা বাস্তবসম্মত নয় এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় তা বিদ্রোহ বা রাষ্ট্রদ্রোহ হিসেবেই বিবেচিত হয়। তবে প্রশ্ন উঠতে পারে সংস্থাগুলোর দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিয়ে- যেখানে নীতি বা আদেশ যদি মানবাধিকার বা আইনের পরিপন্থী হয়, তখন তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দায় নির্ধারণ করা উচিত, ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক বিদ্বেষে নয়।
বিদেশি ইউটিউবার বা প্রবাসী সমালোচকদের বক্তব্যে আবেগ থাকলেও বাস্তবতা হলো, রাষ্ট্রীয় সংস্থার শক্তি বা দুর্বলতা নয়- তাদের জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা-ই গণতন্ত্রের শক্তি নির্ধারণ করে।
ধন্যবাদ।
৪|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৪৫
ক্রেটোস বলেছেন: জুল ভার্ন,
কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের কাজটা করে NSI, DGFI তো ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স। এক্ষেত্রে দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে গোয়েন্দাবৃত্তি সম্পাদন করে এই প্রতিষ্ঠানটি। এই দেশের প্রধান গুপ্তচর সংস্থা হলো NSI আপনি যেসব কাজের কথা উল্লেখ করেছেন তার প্রায় সবটাই করে NSI। তাই মনে হয় এখানে একটু সংশোধনী প্রয়োজন!
আমার প্রশ্নটি হলো DGFIকে কী বিলুপ্ত করা সম্ভব? এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান, এই প্রতিষ্ঠানটি সামরিক প্রতিষ্ঠানের অংশ। হয়তো নাম পরিবর্তন করে আরেকটি সংস্থা করা যাবে কিন্তু সেটা তো ঘুরে ফিরে সেই সামরিক সংস্থা হবেই তাই নয়কি? বিলুপ্তি বলতে তো নাম পরিবর্তন বাদে আর কিছুই হবে না। তাহলে বিলুপ্তি নামক প্রহসনের কী প্রয়োজন?
দোষীদের শাস্তি হোক তার চেয়ে বড় কথা এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয় এখন এই ক্ষেত্রে কী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগও এই দায়ে দায়ী হবে না? বিচার, সংস্কার সব একদিকেই ধাবিত হবে এটাও তো কাম্য নয়।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১০:২৮
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি, বিষয় উল্লেখিত লেখার বিষয়ে আমি বিশেষজ্ঞ নই। তবে সেনাবাহিনীর বেসিক বিষয়ে যৎসামান্য পড়াশোনায় একান্তই নিজের উপলব্ধি শেয়ার করেছি। কাজেই তা স্বতসিদ্ধ হবার কোনো কারণ নাই।
আপনি যে সংশোধনীটা উল্লেখ করেছেন- NSI মূলত কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স করে এবং DGFI হলো ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স- তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবসম্মত। সেই দিকটি স্পষ্ট না করলে নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো ভুল পথে যেতে পারে। নিচে বিষয়গুলো সংক্ষেপে বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করছিঃ-
সমস্যা ও উদ্বেগঃ
বিলুপ্তির কথা আমি বলিনি। বিদেশে থাকা কতিপয় ইউটিউবার, প্রধানত পিনাকী ভট্টাচার্য বলেছে, তারপর তার সাগরেদরা সমস্বরে বলছে। DGFI বা যেকোনো গোয়েন্দা সংস্থা “বিলুপ্তি” করা হলে বাস্তবে তা প্রায়শই নাম-পরিবর্তন আর দফতরি রি-ব্র্যান্ডিংয়ে শেষ হয়। ফলে মূল সমস্যা- কাঠামোগত দায়-দায়িত্ব, নজরদারি অভ্যাস, এবং সাংস্কৃতিক ত্রুটি- থেকেই যায়।
ব্যক্তি vs প্রতিষ্ঠান বিভ্রান্তি: দোষী কর্মকর্তাদের শাস্তি জরুরি, কিন্তু কেবল তাই হলে institutional failures অগ্রাহ্য থেকে যায়। ব্যক্তিদের বিচার করলেই প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুশৃঙ্খল হবে- এ ধারণা ভ্রান্ত হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানগত দায়/অধিকার: যেহেতু DGFI প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ও সামরিক অংশ হিসেবে কাজ করে, তাই কেবল সংস্থাকে আক্রমণ করলেই সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায় মুক্ত হবে না। করণীয় হলে দায়িত্ববণ্টন স্পষ্ট করা।
অতিরিক্ত সিঙ্গেল-পথ বিপদ: শুধু বিচার বা শুধু ‘সংস্কার’- যে একপক্ষের দিকে ধাবিত হবে- তাও কাম্য নয়; নীতিগতভাবে দুটোই চলবে এমন সমন্বিত পথ দরকার।
গঠনমূলক পথে কী করা যেতে পারে (সংক্ষিপ্ত পরিকল্পনা):
(১) স্বতন্ত্র, জনগণের কাছে জবাবদিহি রাখার মতো অনুসন্ধান কমিশনঃ আন্তর্জাতিক মান বা আদালত-সমর্থিত বিশেষ তদন্ত দল দিয়ে নিরপেক্ষভাবে ঘটনা খতিয়ে দেখা- তবে এটি ব্যক্তির বিচারকে বাধা দিতে পারে না।
(২) ব্যক্তি-পর্যায়ের দায়বোধ নিশ্চিত করাঃ বিচার ও শাস্তি হবে প্রমাণের উপর ভিত্তি করে; একইসঙ্গে সামরিক নীতিতে অনৈতিক আচরণকে দমন করা।
(৩) প্রতিষ্ঠানগত সংস্কার (Institutional reform): নাম বদলানো নয়- কিন্তু মেন্ডেট স্পষ্টকরণ, অপারেশনাল চেক-অ্যান্ড-ব্যালান্স, লিখিত রুলস ও রাইটার্স/জবাবদিহি মেকানিজম তৈরি।
(৪) নাগরিক ও পার্লামেন্টারি তত্ত্বাবধানঃ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়ে রেগুলার রিপোর্টিং, পার্লামেন্টারি কমিটি বা স্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড থাকা উচিত- গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেশি স্বচ্ছতা।
(৫) প্রশিক্ষণ ও পেশাদারিত্বঃ মানবাধিকার, সিভিল- মিলিটারি সম্পর্ক, ও ইন্টেলিজেন্স অ্যাকাউন্টেবিলিটি বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কনসেলিং বাধ্যতামূলক করা।
(৬) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করাঃ যদি প্রতিষ্ঠান ভুল কাজ করেছে, মন্ত্রীপর্যায়ের সিদ্ধান্ত বা নির্দেশনাও যদি যুক্ত থাকা যায়, তা তদন্তে আনা হবে- ন্যায় তান্ত্রিকভাবে কেউ ছাড়া পাবে না।
(৭) স্থানীয় তত্ত্বাবধায়ক + আন্তর্জাতিক মান অনুসরণঃ গোপনীয়তা রক্ষা করে আরোপিত অভিযোগের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া ও মানদণ্ড মেনে চলা উচিত- বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য প্রয়োজন।
সব শেষে বলতে চাই-
প্রকৃত বদল আসে জবাবদিহি, স্বচ্ছতা ও কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে। দোষীদের বিচারের দাবি এবং সংস্থার নিরাপত্তাগত গুরুত্ব- দুটোই সত্য ও যুগোপযোগী; তাই সমন্বিত, নীতিগত এবং আইনিভাবে শক্ত পথই গ্রহণযোগ্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
নতুন নামে আসতে পারে।
আবার, পরবর্তী সরকার এটা নতুন করে গঠন করতে পারেন।