![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের ছেলেবেলা নানা কারণেই অদ্ভুত। উদাহরণ বা দৃষ্টান্ত দিয়ে কুলানো মুশকিল। একটি বলি, আমাদের পিতামাতা, শিক্ষক, অভিভাবকেরা এসএসসি পরীক্ষার আগে জানতে চাইতেন, কয়টা রচনা মুখস্ত হয়েছে? গরু বিষয়ক একটি রচনা লেখার আহ্বানটি যে মুখস্তের নয়, এটা বুঝতেও তারা অক্ষম ছিলেন। যাই হোক, সেই দারুণ আমলে আমাদের একটি রচনা মুখস্ত করতে হতো ইংরেজি, বাংলা দুই ভাষাতেই। এইম ইন লাইফÑ আর আমরা সবাই ডাক্তার বা শিক্ষক হতে চাইতাম। মহান পেশা, দেশ, মানুষ এইসবের সেবা ঠোঁটস্থ করতে গিয়ে ঘেমে উঠতাম।
আসলে আমার মনে হয়, আমাদের সবারই জীবনের লক্ষ্য অন্য মানুষকে উচিত কথা শোনানো বা উচিত শিক্ষা দেওয়া। যতো মানুষ দেখি বেশিরভাগই মনে করেন, এ জগতে আমার মতো করে শিক্ষা কেউ পায়নি, অন্যরা আমার মতো যতটুকু মেনে নেবে ততটাই আলোর পথে সে আসবে।
যাই হোক, উচিত কথা বিষয়ে একটি গল্প বলা যাক।
একজন মুসাফির গ্রাম থেকে গ্রামে ঘুরে বেড়ান। এমনি এক গ্রামের দুপুরের নির্জনতায় বেশ কিছুক্ষণ মাত্র কাটা ফসলের মাঠের আইল ধরে কোনাকুনি হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎ খানিক চিৎকার চেঁচামেচি। এগিয়ে যান মুসাফির। ১৫ বা ১৬ বছরের একজন কিশোর খুব চিৎকার করছে।
আমার বাবায় আমার মারে পিট্টা মাইরা লাইলো। আফনেরা কেউ আইয়া আমার মারে বাঁচান।
মুসাফির দেখেন খানিক দূরে লুঙ্গি পরা আধবয়সী একজন, ঘোমটা দেওয়া একজনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দিচ্ছেন।
তোমার বাবা তোমার মায়েরে মারে কেন?
আমার মায়ের ঘরে পোলাপাইন হয় নাতো। এল্লেইগা বাবায় রাগ হইছে।
অ্যা। তোমার মায়ের ঘরে পোলাপাইন হয় না! তাইলে তুমি কে?
বুঝেন অবস্থা? এতদূর উচিত কথা কওনের মতো লোক পুরা গ্রামডাতে নেই!
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৭
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: গল্পটা মজার।
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: বেশ।
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪
আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: শেষের কৌতুকটা কী জন্যে বুঝি নাই।
৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আরোগ্য বলেছেন: মন্তব্যের উত্তর না দিলে প্রতিক্রিয়া খারাপ হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
টিয়া রহমান বলেছেন: হা হা