নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক।

জুনায়েদ বি রাহমান

মৌসুমি রোদ্দুর মেঘ হলে, আমি বৃষ্টির জলে খুঁজবো তোমাকে; নীল খামে কাব্য করে বর্ষার ঠিকানায় লিখবো প্রেমপত্র।

জুনায়েদ বি রাহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিজস্ব মতামতঃ নাস্তিক আস্তিক দ্বন্দ্ব নিরসনে আমাদের করণীয়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

নাস্তিক এবং আস্তিক দ্বন্দ্বটি বাংলার প্রবাহমান বিবাদগুলোর অন্যতম একটি। দিনদিন এই বিবাদে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আশংকা প্রকটভাবে বাড়ছে। তাই এই বিবাদ নিরসনে আমাদের সবাইকে ভাবতে হচ্ছে। আর এই ভাবনা থেকে স্বল্প পরিসরে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

লক্ষ করলে দেখবেন, এই দ্বন্দ্ব সৃষ্টির পেছনে আমাদের ধর্ম প্রীতির চাইতে ধর্মভীরুতা এবং প্রগতিশীলতার চাইতে নিজেকে প্রগতিশীল প্রমাণের মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াই বেশি সক্রিয়। তা না হলে আমরা (ধার্মিকরা) ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে এবং প্রগতিশীলরা প্রগতির ধর্ম মেনে শান্তভাবে নিজেদের দায়িত্ব বা করণীয় ঠিক করতাম। এখানে "প্রগতির ধর্ম" বলতে উন্নতির ধারা/নিয়মের কথা বলছি।

আমাদের অনেকেরই ধারনা 'ধর্ম ও প্রগতি' অনেকটা 'তেল ও জল'এর মতো। আমি এই ধারনার বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় না গিয়ে সরাসরি বলবো, ধর্ম ও প্রগতিকে মুখামুখি দাড় না করিয়ে বরং রেললাইনের মতো সমান্তরালে চলতে দেওয়া উচিত। কারণ, বিশ্বাস আর যুক্তির সমন্বয়ই শান্তি। তাছাড়া, সবাইকে বিজ্ঞানী হতে হবে এমন তো কোনো যুক্তি নেই। যেহেতু, ধর্ম স্বতন্ত্রভাবে বিজ্ঞানের বিপক্ষে দাঁড়াচ্ছে না। সেহেতু খামখা কেন আমরা তাকে বিজ্ঞানের বিপক্ষে দাড় করাবো? (যারা জেনে বুঝে ধর্মকে বিজ্ঞানে বা বিজ্ঞানকে ধর্মে বিপক্ষে দাড় করাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য ধর্মপ্রীতি, ধর্মভয় বা প্রগতি নয়; ভিন্ন কিছু। আর এই ভিন্ন উদ্দেশ্যটাকে খুঁজে বের করাটাই আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।)

মহান আল্লাহতালা বলেন-
‘আর আমি এতে তাদের উপর অবধারিত করেছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান ও দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং জখমের বিনিময়ে সমপরিমাণ জখম। অতঃপর যে তা ক্ষমা করে দেবে, তার জন্য তা কাফ্ফারা হবে। আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করবে না, তারাই যালিম।’ {সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৪৫}

ধর্ম রক্ষার নামে যারা অমানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা যে ভুলপথে তা বুঝতে এই আয়াতই যথেষ্ট। একজন মুসলিম হিসেবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি- ইসলাম কখনো অন্যায়, অবিচার বা অমানবিক কর্মকাণ্ড সাপোর্ট করে না। নবী করিম (সঃ) এর সময়কার সবকটি যুদ্ধের ইতিহাসই তার প্রমাণ। আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে জানার এবং বুঝবার তৌফিক দান করে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: সমস্যা হল জোর করে চাপিয়ে দেয়া, ধর্মের নামে কিছু মানুষ যেমন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে ঠিক একই মুহুর্তে বাক স্বাধীনতার নামে কিছু সাইবার সন্ত্রাসীদের টার্গেট থাকে একটা ধর্ম। তারা এই দুনিয়ায় আর কিছু দেখে না, পারলে ইসলাম ধর্মকে তুলে দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে এক একজন।
যারা ধর্মকে ব্যবহার করছে তাদের উদ্দেশ্য সফল করার জন্যে তারা যেমন সন্ত্রাসী ঠিক অনুরুপভাবে কোন একটা গোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে কটু কথা বলার কোন অধিকার দেয়নি মুক্তচিন্তকদের।

এক দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা বলতে পারি জঙ্গীরাও হল মুক্তচিন্তক।

আর আমি সত্যিই জানিনা উভয়পক্ষের এই দ্বন্দ্ব কখনো বন্ধ হবে কিনা। আমার মনে হয়না যে মুক্তচিন্তকরা তাদের নিজেদের মত করে থাকবে আর অন্ধরা তাদের হত্যা করে ইহকাল ও পরকালের শান্তি পাওয়া থেকে বিরত থাকবে /:)

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: থামবে বলে আমারো মনে হয় না। তবে আমরা সাধারণ মানুষের ধর্ম সম্পর্কে জানলে ধর্মব্যবসায়ীরা আমাদের আবেগকে পুঁজি করে ব্যবসা করতে পারবেনা। ঠিক তেমন, তথাকথিত প্রগতিশীল সাইবার ক্রিমিনালরা ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিলেও ধার্মিকদের কিছু যাবে আসবেনা।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: “দুরচ্ছেদং হি চার্বাকস্য চেষ্টিতম”।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কঠিন কথা ভাই। এসব বুজবার মতো জ্ঞানার্জন এখনো করতে পারিনি।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নাস্তিকের সাথে আস্তিকের কোন দ্বন্দ্বই নেই। যে নাস্তিক সে মনে মনে নাস্তিক থাক বা ঘোষণা দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিক, তাতেও কারও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু নাস্তিকতার আড়ালে যখনই ধর্মের উপর বিশেষ করে ইসলামের উপর আঘাত করা হয়, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়, নবীজি (সাঃ) কে গালি দেয়া হয় তখনই তা চরম দ্বন্দ্বের আকার ধারণ করে। আর এদেশের নাস্তিক মানেই তো ইসলামকে টার্গেট করে পাশ্চাত্যের ভিসা বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা।

তুমি ধর্ম মানবে না সেটা তোমার বিষয়, কেউ তোমাকে মাথায় বাড়ি দিয়ে তা মানতে বাধ্য করতে যাবে না। কিন্তু অন্যের ধর্মবিশ্বাস নিয়ে তুমি ঠাট্টা-মশকরা করবে সেটা তো হওয়ার নয় (নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে)।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। নাস্তিক-জঙ্গি উভয় দলের উদ্দেশ্যই অর্থনৈতিক ফায়দা। স্রেফ কৌশল ভিন্ন


ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ মন্তবব্যের জন্য।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

বারিধারা ২ বলেছেন: নাস্তিকদের সাথে আমাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই, যতক্ষন না তারা আমাদের ধর্ম নিয়ে টানাটানি করে। তুমি থাক না বাবা তোমার বিজ্ঞান, মানবতা আর যুক্তি নিয়ে, আমার ধর্ম নিয়ে টানাটানি কেন? আমি তো নাস্তিক্যবাদ নিয়ে কোন অনর্থক চোপাচুপি করতে যাইনা!

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সেটাই। যারা অন্যের অনুভূতিতে আঘাত করে, তারা অপরাধী। তারা কখনো প্রগতিশীল হতে পারে না। এসব ধান্ধাবাজি আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার হচ্ছে।

ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশ ব্যতিত আর কোন দেশে এতগুলো ব্লগারকে প্রাণ হারাতে হয়েছে? যদি অন্য কোথায়ও এতগুলো ব্লগারকে হত্যা করা না হয়, তা'হলে বাংলাদেশে অনেক জল্লাদ আছে!

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বাংলাদেশে অনেক জল্লাদ আছে কথাটা ভুল নয়। তবে এইসব জল্লাদ তৈরির দায় কার?

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে কতজন ব্লগার মানুষ মেরেছেন?

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ব্লগার'রা মানুষ মারেন নি। তবে অযথা কথা বলে জল্লাদ তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৭

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
চাঁদগাজী প্রসঙ্গ টা ভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এখানে নাস্তিক আর আস্তিকের কথা বলা হচ্ছে এখানে ঢালাওভাবে ব্লগারদের কথা বলা হচ্ছে না। সব ব্লগারই যেমন আস্তিক নয় তেমনি সব ব্লগারই নাস্তিক নয়।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তিনি বিজ্ঞ মানুষ। একটু ঘুরিয়ে বলেন! এই আর কি।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০১

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:

ধর্ম মানা না মানা সম্পূর্ণ নিজস্ব ব‍্যাপার। ধর্মের ব্যাপারে জোর জবরদস্তি চলে না। কাউকে দিয়ে জোর করে ধর্ম পালন করানো যায়না। ধর্ম সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার। ধর্ম যদি মন থেকে পালন না করে তবে তো আল্লাহর কাছেও গ্রহণযোগ্য হবে না। এটা যেমন আস্তিকের বোঝা উচিত।তেমনই নাস্তিককেরও মনে রাখা উচিত আলোচনা-সমালোচনা হতে হবে ভদ্রতা বজায় রেখে। অশ্লীল ভাষা দিয়ে নয়।


সমস্যা হচ্ছে বর্তমান এই digital যুগে মানুষ ঘরের কোণে বসে অতি সহজেই যা মনে চায় তা লিখে বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দিতে পারে। লোক চক্ষুর আড়ালে বসে মানুষ মানুষের, ধর্মের, রাজনীতির সমালোচনা করতে গিয়ে এমন কিছু ভাষা ব্যবহার করে যা সত্যিই ভদ্র সমাজে অগ্রহণযোগ্য। নিজেকে লুকিয়ে রেখে নিক নাম ব্যবহার করা যায়। এখানে একমাত্র বিবেকই পারে মানুষকে কন্ট্রোলে রাখতে ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:২৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সবার বিবেক জাগ্রত হোক।

পৃথিবীর বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষও সচেতন হচ্ছে। প্রগতি, নিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা শব্দগুলো ব্যবহার করে যারা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করছে- তাদের মুখোশ ও উন্মোচিত হচ্ছে।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১৮

প্রামানিক বলেছেন: সবার বিবেক জাগ্রত হোক।

০৯ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৫০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তাই হোক। শুভকামনা।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগারেরা যদি অযথা কথা বলেন, সঠিক কাহারা বলছেন, রওশন এরশাদ?

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সবকথা সবাই বুঝবে বা সবাইকে বুঝতে হবে এমনও ত কথা নেই। সারমর্মে যেতে না পারলে - কথা অযথা মনে হওয়াটা স্বাভাবিক।

১১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

আবু আফিয়া বলেছেন: ধর্ম একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়, আল্লাহ চাইলে সবাইকে একই ধর্মের অনুসারী করে সৃষ্টি করতে পারতেন, কিন্তু তা তিনি করেন নি, এর বিষয়ে তিনি স্বাধীনতা দিয়েছেন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আল্লাহ মানুষকে মুক্ত এবং স্বাধীন করে দিয়েছেন বলেই যা-চ্ছে তাই করতে পারছে।
ইসলাম, কোরআন, হাদিস, নাবী রাসূল এসব দিকনির্দেশক। যাতে মানুষ সঠিকপথ সহজে খুঁজে পায়, দুনিয়ার ভালোভাবে থাকতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.