নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক।

জুনায়েদ বি রাহমান

মৌসুমি রোদ্দুর মেঘ হলে, আমি বৃষ্টির জলে খুঁজবো তোমাকে; নীল খামে কাব্য করে বর্ষার ঠিকানায় লিখবো প্রেমপত্র।

জুনায়েদ বি রাহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মশা দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের চমৎকার দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি | দায়িত্বশীদের কার্যকারী পদক্ষেপ না নেওয়ার সম্ভাব্য কারণ

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রোগের উপদ্রব থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে "উবাকিয়া" ও জেনেটিক্যালি মডিফায়েড মশা বা বন্ধু মশা' নামে পরিচিত চমৎকার দুটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি নিয়ে ভাবছে সরকার। দেশের আবহাওয়া, পরিবেশ সব বিবেচনা করে যে পদ্ধতি বেশি কার্যকরী সেটা সিলেক্ট করার লক্ষে গঠন করা হয়েছে একটা স্পেশাল কমিটি। (সুত্র: The Daily Star অনলাইন)
কিন্তু দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, কমিটি গঠনের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও কমিটির লোকেরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌছুতে পারছেন না। কিংবা তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করছেন।
আমার ধারনা, তাদের এইসব গড়িমসি করার পেছনে নিশ্চয়ই চিকিৎসা বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ত গুষ্ঠি নোংরা উদ্দেশ্য জড়িত। সেই বক্তব্যে যাওয়ার পূর্বে উল্লিখিত পদ্ধতি দুটো সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।

উবাকিয়া পদ্ধতি:
"উবাকিয়া" একটি ব্যাকটেরিয়া, যা মশা ছাড়া প্রকৃতির প্রায় ৬০% কীট পতঙ্গের দেহকোষে আছে। এবং ডিমের মাধ্যমে এই ব্যাক্টেরিয়া এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে প্রবাহিত হয়।
ওয়ার্ল্ড মসকিটো প্রোগ্রামের বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতি নিয়ে বিশদ গবেষণা করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, উবাকিয়া ব্যাক্টেরিয়া আছে এমন মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাস বেড়ে উঠতে পারেনা। অর্থাৎ এডিস মশার কোষে উবাকিয়া ব্যাক্টেরিয়া ইনজেক্ট করে দেওয়া গেলে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়ার মতো ভাইরাসজনিত রোগ সংক্রমিত হবে না।
উলবাকিয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে ''ওয়ার্ল্ড মসকিটো প্রোগ্রামের" নিচের ভিডিওটা দেখুন-


অথবা বিস্তারিত পড়তে ভিজিট করুন- Click This Link

বিবিসি বাংলা হতে পাওয়া তথ্যমতে- এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে অষ্ট্রেলিয়া, ভারত, চীন, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশীয়া, ভিয়েতনাম, কলম্বিয়া, মেক্সিকো ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি দেশে সাফল্য পাওয়া গেছে।


জেনেটিক্যালি মডিফায়েড বা বন্ধু মশা:

এই পদ্ধতিতে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে মশার কোষে জিন প্রবেশ করিয়ে এমন কিছু জিনগত পরিবর্তন ঘটানো হয় যার ফলে মশার ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেঁচে থাকতে পারে না। ফলে ধীরেধীরে মশার সংখ্যা কমতে থাকে।
এই পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন-



বিস্তারিত পড়তে এই নিবন্ধন'টি পড়ুন- Click This Link
অথবা ভিজিট করুন তাদের সাইটে: https://www.oxitec.com/friendly-mosquitoes/

যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ কয়েকটি দেশে ব্যবহার করা হয়েছে ম্যালেরিয়া ও জিকো ভাইরাস প্রতিরোধে এই পদ্ধতি ব্যবহার হয়েছে।

উপরের দুটো পদ্ধতি'ই আমার ভালো লেগেছে। তবে এই পদ্ধতিগুলোর অপব্যবহার করে এডিস মশার পরিমাণ বাড়ানোও যাবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভবিষ্যতে যুদ্ধের বিকল্প হিসেব বিজ্ঞানের এইসব প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। আমাদের সরকারের উচিত, এইসব বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ সংস্থা গড়ে তুলা।


আমাদের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা এডিস মশার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী কোম পদক্ষেপ নেননি; কারণ, কার্যকারী পদক্ষেপ নিলে ডেঙ্গু আতংকে রূপ নিতো না। ডেঙ্গু আতংকে রূপ না নিলে চিকিৎসার নামে স্কয়ারের মতো প্রাইভেট ছোটবড় কসাইখানাগুলোর মালিকগুষ্টির চিকিৎসা বিজনেসটাও এতো জমজমাটভাবে চলতো না। আশেপাশের সরকারী, বেসরকারি ক্লিনিক, ফার্মেসিগুলাতে খুজ নিলে দেখা যাবে- ডেঙ্গু আতংক ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে সারাদেশে নির্দিষ্ট কিছু মেডিসিনের বিক্রি প্রচুর বেড়ে গেছে। এই মেডিসিনগুলো কোথায় উৎপন্ন হচ্ছে? কারা তৈরি করছে?
আমার ধারনা, এই মেডিসিনগুলার ৮০% বাংলাদেশের গলাকাটা বিজনেস গ্রুপ স্কয়ার এর 'স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাস লিমিটেড এবং দরবেশ বাবার 'বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড' উৎপাদন করছে।

আমি শিওর, দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের গড়িমসি কিংবা তালবাহানার পেছনে দেশের এইসব রাক্ষস গ্রুপগুলোর মালিকদের কালো হাত রয়েছে।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভিডিও উপরে দেখা না গেলে, নিচের লিংক কপি করে দেখে নিন-

https://youtu.be/ut2UxF5gEDI ( উবাকিয়া পদ্ধতি)

https://youtu.be/zlSTGkDyEfM (জেনেটিক্যালি মডিফায়েড পদ্ধতি)

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


নমরুদ নাকি মারা গেছে মশার আক্রমণে?

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গল্পটা বাইবেলে ছিলো। পবিত্র কুরানেও সম্ভবত এসংক্রান্ত কিছু আয়াত আছে।
ওয়াজ মহফিলকে হুজুরেরা এমন কিছু গল্প বলতেন, ছোটবেলায় শুনেছি।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এসব কার্যকর হলেই বা লাভ কি? যেমনটা বলেছেন, আমাদের দেশে সবকিছুতেই দু'নম্বরী চিন্তা করা হয় আগে। জনসাধারনের কল্যানের চিন্তা আদৌ করা হয় কিনা, যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আর বড় সমস্যা হলো, এ'সব কিছুই ঘটে প্রশাসনের ছত্রছায়ায়।

ডেঙ্গুর ব্যাপারে হাইকোর্ট আগেই সাবধান করেছিল গত ফেব্রুয়ারী মাসে। কিন্তু কোন পদক্ষেপই নেয়া হয়নি। এখানে দেখুনview this link

এসব দেখতে দেখতে এখন আর আশাবাদী হতেই ইচ্ছা করে না। :(

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:০৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। প্রশাসন, সরকার জনকল্যাণে চিন্তাভাবনা-কাজকর্ম করে না।

হাইকোর্টের বক্তব্য পড়লাম। রোল জারি হয়েছে, ব্যবস্থা নেওয়া হলেও হতে পারে। তবে
এইসব সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আলাদা আলাদা সংস্থা থাকা দরকার। স্প্রে, পাউডার.... ইত্যাদি প্রয়োগ করে খুব একটা লাভ হবেনা।

এসব দেখতে দেখতে আমরা সাধারণ মানুষ আসলেই ক্লান্ত।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভালর কি আর দাম আছে এই দেশে???

কেবলই মন্দের আর অন্ধত্বের জয়জয়কারের ভীরে
মৃত্যু নিয়ে বানিজ্যের আকালে
মূখোশের আড়ালে বিভৎসতা
রাতের আঁধারে যখন বদলে যায় জাতির ভাগ্য
আম জনতার কপালে সেদিনই লেগে গেছে শনির দশা!

এখন কেবলই পাপের শাস্তি ভোগ
অবিমৃষ্যকারীতার!
নিরবতার!
মৌন সমর্থনের!

ভালোর সূর্য উঠুক। মুক্তিপাক মানুষ মশা ও দশা থেকে !

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভালো দাম নেই এই দেশে। সব মন্দের দখলে চলে গেছে।

"কেবলই মন্দের আর অন্ধত্বের জয়জয়কারের ভীরে
মৃত্যু নিয়ে বানিজ্যের আকালে
মূখোশের আড়ালে বিভৎসতা

রাতের আঁধারে যখন বদলে যায় জাতির ভাগ্য
আম জনতার কপালে সেদিনই লেগে গেছে শনির দশা!

এখন কেবলই পাপের শাস্তি ভোগ
অবিমৃষ্যকারীতার!
নিরবতার!
মৌন সমর্থনের!" - খুব সুন্দর বলেছেন। এইসব আসলেই আমাদের'ই পাপের শাস্তি। দুর্নীতি, অন্যায়, অবিচার নীরবে সহ্য করে করে অপরাধীদের শিকড়-শাখাপ্রশাখা বৃদ্ধি হতে আমরাই সাহায্য করেছি।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো বাংগালীদের জন্য খুবই বড় ও কমপ্লিকেইটেড হাইটেক।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়া, শ্রীলংকা ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু সংক্রমণ প্রতিরোধে 'উবাকিয়া' পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। বাংলাদেশও চাইলে পারতো।

জেনেটিক্যালি মডিফায়েড মশা বন্ধু মশা প্রসেসটা কিছুটা জটিল এবং উবাকিয়া থেকে একটু বেশি ব্যয়বহুল।

উবাকিয়া প্রসেস একবার সাকসেস হলে, মশা না কমলেও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, জিকার মতো ভাইরাসজনিত রোগের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাবে বলেই মনে হচ্ছে।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: দুটো প্রক্রিয়ায় খুব জটিল বলে মনে হচ্ছে।

৩১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৩৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হুম। কিছুটা জটিল। তবে এইসব প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসা দরকার।

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ৯:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন।

০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই

৮| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:৩৮

নতুন বলেছেন: আমাদের দরকার মশার বংস বিস্তার রোধ করা।

কিন্তু যখন আমরা টাকা দিয়ে মশা কিনে আনবো এবং পরিবেশে ছেড়ে দেবো তখন তো ঐ মশাকে ভালো পরিবেশ দিতে হবে বেড়ে উঠার জন্য।

আবার যদি অন্য মশা মারতে ঔষুধ দেয় বা বাসা ধংষ করে তবে এই মশার ও ক্ষতি হবে।

তাই আমার মতে মশার বিস্তার রোধে আমাদের কাজ করা উচিত। নতুন এই পদ্বতীতে হয়তো বনে জঙ্গলে সম্ভব এবং ভালো হবে।

কিন্তু শহরে বা বাসা বাড়ীতে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাই আসল।

০১ লা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত। আমাদের দরকার মশার বংশ বিস্তার রোধ করা। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হচ্ছে, আমরা সেটা করতে পারতেছি না। তাই মশাগুলো যাতে প্রাণের জন্য হুমকি হয়ে না দাঁড়ায় সেজন্য এইসব প্রযুক্তির আশ্রয় নেওয়া দরকার।

বর্ষার সিজনে আমাদের শহরে মশার বেড়ে ওঠার খুব ভালো পরিবেশ থাকে। নতুন পুরাতন বিল্ডিং, নোংরা পলিথিনে জমে থাকা একটুখানি পানি... মশার বেড়ে ওঠার জন্য যথেষ্ট। আবহাওয়ার তাপমাত্রাও ঠিকঠাক।
রমজানের পরে যদি আমরা মশা ছাড়তে পারতাম তাহলে, এতদিনে (৮-১০) ৮০% এডিস মশায় উবাকিয়া ব্যাক্টেরিয়া বিদ্যমান থাকতো।
মশার সংখ্যাও আস্তে আস্তে কমতো।
২-৩ মাস পর পরিবেশের ৮০-৯০% মশায় উবাকিয়া চলে আসলে মশা মারলেও সমস্যা ছিলো না। আর এসব কিনে আনা মশাকে বাসা বাড়িতে থাকতে দেওয়ারও প্রয়োজন ছিলো না। সাধারণ মশা যেখানে থাকে, তারাও সেখানে থাকতো।

তবে কিছুদিন সরকারী উদ্যোগে স্পে... পাউডার প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হইতো, আমার সরকারী উদ্যোগে এই প্রয়োগ তো মাত্র কয়েকদিন পূর্বে শুরু হইছে।

সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ নতুন ভাই

৯| ০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৮

অন্তরা রহমান বলেছেন: ভালো পয়েন্ট তুলে ধরেছেন

০১ লা আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.