নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠক।

জুনায়েদ বি রাহমান

মৌসুমি রোদ্দুর মেঘ হলে, আমি বৃষ্টির জলে খুঁজবো তোমাকে; নীল খামে কাব্য করে বর্ষার ঠিকানায় লিখবো প্রেমপত্র।

জুনায়েদ বি রাহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সীমান্তে বিএসএফের অনুপ্রবেশ, খবরদারী\'র প্রতিবাদে বিডিআর কর্তৃক রচিত স্মরণীয় দুটি ইতিহাস ও পরবর্তী ফলাফল!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪২


ছবিটি বাংলাদেশের একটি অনলাইন দৈনিক থেকে নেওয়া। পতাকা বৈঠকের পর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, বুড়িমারী স্থলবন্দর সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী বিএসএস সদস্যের ফেলে যাওয়া শটগান, গুলি এবং ওয়াকিটকি শনিবার ফেরত দিচ্ছে বিজিবি।

স্বেচ্ছায় দেওয়া আর বাধ্য হয়ে দেওয়া মধ্যে মেলা পার্থক্য আছে। কারো সুবিধা বিবেচনা করে আপনি তাকে কিছু দিলে সে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবে। আপনাকে মনে রাখবে। কিন্তু আপনাকে মাইনকা চিপায় ফেলে কেউ আপনার নিকট থেকে কিছু আদায় করলে, সেটাকে সে তার ক্রেডিট হিসেবেই গণ্য করবে। আর তাই সে কখনোই আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে না। আপনাকে মনে রাখবে না। এটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে এটাই ঘটে আসছে।
স্বাধীনতার পর থেকেই ভারত যা চাইছে আমাদের সরকারগুলা তাই দিচ্ছে। এর ধারাবাহিতা বর্তমান সরকারও অব্যাহত রেখেছে। কিছুদিন পূর্বের কলকাতা সফরে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "বাংলাদেশ ভারতকে যা দিয়েছে, তা চিরকাল মনে রাখবে।" কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কথার বাস্তবতা দেখা যাচ্ছে না। ভারতীয়রা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথার মর্যাদা রাখছে না। তারা নির্বিচারে সীমান্তে হত্যা অব্যাহত রেখেছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যাটুকু আমাদের দিচ্ছেনা। একটু আগে 'প্রথম আলো'তে দেখলাম, আসামের এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ ৬ হাজার বাংঙ্গালিকে বাংলাদেশী বলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে চাইছে ভারত! তাদের রাজনৈতিক নেতা, সেনাসদস্য তথা অনেককেই ইদানীং বাংলাদেশের ভূখণ্ড দখল করার দুঃসাহসিকতা দেখিয়ে বক্তব্য রাখছেন। এসবের বিপরীতে আমাদের সরকার নবীর, নিস্তব্ধ। যেনো মুখে প্রতিবাদ জানানোর সাহসটুকো তাদের নেই। সরকারের এহেন নীরবতা একটাসময় আমাদের স্বাধীনতা, সর্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।


সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা, অনুপ্রবেশ, খবরদারীর বিপরীতে বিজিবির নীরবতার কারণ | প্রতিবাদের স্মরণীয় দুটো ইতিহাস ও ফলাফল:

১। মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল ফজলুর রহমান ২০০০ সালের ২৯ ই ফেব্রুআরি তিনি বিডিয়ারের ডিজির পদে অধিষ্ঠিত হন। তার সময়কালে; ২০০১ সালের ১৬, ১৮ ও ২৯ এপ্রিল পাদুয়া নিয়ে বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) (বর্তমান বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স(বিএসএফ) মধ্যেকার তিনটি যুদ্ধে অনুষ্ঠিত হয়। এবং বাংলাদেশের বিডিআরের জোয়ানরা বিজয় অর্জন করে। উইকিপিডিয়া, বিবিসি অনলাইনে পাওয়া তথ্যমতে ঐসব যুদ্ধে ভারতের ১০০জন ও বাংলাদেশের ১২ জন সৈন্য শহীদ হয়।
ফলাফল: মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানকে দ্রুত পদচ্যুত করেও গাদি ধরে রাখতে পারেনি আওয়ামীলীগ। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের পরাজয় ঘটে। এবং বিএনপির নতুন সরকার গাদিতে বসেই মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল ফজলুর রহমানকে চাকুরীচ্যুত করে। চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরে একুশে টিভিকে এক সাক্ষাৎকারে মেজর জেনারেল ফজলুর রহমাম বলেছিলেন,”এক সরকার আমাকে পদচ্যুত করে,অন্য সরকার আমাকে চাকরীচ্যুত করে”।
(২০০১ নির্বাচন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা কিছুদিন আগে কলকাতা সফরকালে বলেছেন, "২০০১–‌এ তো আমেরিকার নির্দেশে ভারতকে তুষ্ট করেই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল!‌ হাসিনা বললেন, ভারতকে গ্যাস বিক্রি করতে রাজি না হওয়ায় সেবার অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামি লিগকে জিততে দেওয়া হয়নি।")

২। ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল আখাউড়া সীমান্তে ভারতের সশস্ত্র বিএসএফ সদস্যদের একটি টিম ৬০-৭৫ জন ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশের ৩০০ গজ অভ্যন্তরে 'সীমান্তবর্তী হীরাপুর গ্রামে' অনুপ্রবেশ করে স্থানীয়দের মারধর ও লুটতরাজ শুরু করে। গ্রামবাসী বাধা দিলে বিএসএফ গুলি বর্ষণ শুরু করে; গ্রাম দখল করে রাখে।
বাংলাদেশী নাগরিকদের উদ্ধার এবং বিএসএফ কে বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে উপস্তিত বিডিআর সদস্যদের সাথে নিয়ে লেঃ কর্ণেল কামরুজ্জামান তাৎক্ষণিক সম্মুখ যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন। এবং তার নেতৃত্বে বিডিআর ও বিএসএফ এর মধ্যে সামনা-সামনি প্রায় ৪/৫ ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ এর কোম্পানী কমান্ডার এ্যাসিটেন্ট কমান্ড্যান্ট শ্রী জীবন কুমার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এবং কনষ্টেবল কে কে সুরেন্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হন (পরে মারা যান)। তিব্র গুলি বিনিময়ের কারনে সশস্ত্র বিএসএফ দল অন্য কোন উপায় না দেখে কোম্পানী কমান্ডারের লাশ ও আহত কনষ্টেবল (অস্ত্রসহ) কে ফেলে রেখে বাংলাদেশের ভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়।
ফলাফল: সীমান্ত সংঘর্ষে উপস্থিত বুদ্ধি, অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ লে কর্নেল কামরুজ্জামানসহ ২ জনকে বাংলাদেশ রাইফেলস পদক ৩ জনকে প্রেসিডেন্ট রাইফেলস পদক খেতাবে ভূষিত করেন যা বিডিআর এর সর্বোচ্চ সম্মান পদক। এবং ৮ জন কে ডিজি’র কমেনডেশন মেডেল প্রদান করা হয়।
(২০০৯ সালের বিডিয়ার বিদ্রোহের পূর্বের দিন (২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রাইফেলস সপ্তাহ- ২০০৯ প্যারেড শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিডিআর এর সর্বোচ্চ পদক “বিআরএম" নিজ হাতে লে কর্ণেল (অব: ) কামরুজ্জামানকে পরিয়ে দেন। তার পরদিন ২৫ শে ফেব্রুয়ারির২০০৯-এ ঘটা জঘন্য হত্যাকাণ্ড থেকে ভাগ্যগুণে বাংলাদেশের এই সীমান্ত রক্ষী, সফল যোদ্ধা প্রাণে বেচে যান।)

উপরে উল্লিখিত ঘটনাগুলোর প্রথমটাতে ভারতে অলৌকিক ক্ষমতার ছাপ স্পষ্ট। (একদল পদচ্যুত করে খুশি করতে চেয়েছে তো আরেকদল ক্ষমতায় গেলে কালপ্রিটকে চাকুরীচ্যুত করার অঙ্গীকার করেছে।)
দ্বিতীয় ঘটনার ৪ বছর পর, 'বিডিয়ার বিদ্রোহের নামে ৫৭ সেনা সদস্য হত্যার' পেছনেও ভারতের অলৌকিক ক্ষমতার ছায়া থাকবার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
লক্ষণীয়, শেষের ১৪ বছরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সীমান্তে আলোচিত কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। অথচ পত্রিকায় প্রায়ই বিএসএফের অবৈধ অনুপ্রবেশ, হত্যা, নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এসব ঘটনার বিপরীতে বিজিবি ও সরকারী কর্মকর্তারা দিনেরপর দিন পতাকা বৈঠক করে যাচ্ছেন। তাদের কর্মকান্ড দেখে মনে হচ্ছে, সব নিরবে সহ্য করার অঙ্গীকার করেছেন!
দেশের স্বার্থ পরিপন্থী গাদি রক্ষার এই এই অসুস্থ রাজনীতি আর কতদিন?!

[তথ্যসূত্র: frontinebd.com, বিবিসি, প্রথম আলো এবং উইকিপিডিয়া]

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

ইসিয়াক বলেছেন: যথার্থ । চমৎকার ।
ধন্যবাদ।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


কি জন্য বিএসএফ'এর 'অনুপ্রবেশ' ঘটে? তারা ভেতরে এসে কি করে?
অনুপ্রবেশ ঘটার মহুর্তে, ঠিক সেই যায়গায় বিজিবি উপস্হিত থাকার সম্ভাবনা কতটুকু? বিএসএফ'কে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর দেখলেই কি বিজিবি ফায়ার ওপেন করা উচিত?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ২০০১ ও ২০০৫ এর ঘটনা অবগত আছেন আশাকরি।
বিএসএফ বিভিন্ন অজুহাতে অনুপ্রবেশ করে। কোনো অজুহাত না পেলে বলে পথ ভুলে ঢুকে পড়েছে। (অবশ্য ভুল হতেই পারে)
তারা মূলত চোরাকারবারিদের ধরতে ভেতরে আসে। এবং গ্রামের মানুষের উপর গুলি চালায়। হত্যা করে।
মাঝেমাঝে সীমান্তবর্তী এলাকার নির্দোষ মানুষ ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন এবং হত্যার খবরও চোখে পড়ে।

বাংলাদেশের চোরাচালানকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের বিজিবি আছে, পুলিশ আছে, আইন আছে। ভারতী বাহিনী অনুপ্রবেশ করে ধরে নিয়ে যাবে কেন? তারা বিজিবিকে অবহিত করতে পারে। প্রয়োজনে আলোচনা সাপেক্ষ যৌথ অভিযানও হতে পারে।

বিএসএফ'কে বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর দেখলেই বিজিবি ফায়ার ওপেন করা উচিত নয়। কিন্তু অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ ফায়ার শুরু করলে, আত্মরক্ষার্থে ফায়ার ওপেন করা দরকার।
ভারতী পাব্লিক বা সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গ্রেফতার হলে আইনি পক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ছাড়া উচিত। উপরের ফোনকলে ছেড়ে দিয়ে তিনদিন পর পতাকা বৈঠকের কোনো মানে নেই।

৩| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



২ নং মন্তব্যের উত্তরের শেষ বাক্য, "উপরের ফোনকলে ছেড়ে দিয়ে তিনদিন পর পতাকা বৈঠকের কোনো মানে নেই। "

- বিএসএফ, বিজিবি কিসব প্রটোকলে অনুসরণ করে, কিভাবে অনুপ্রবেশ ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে, কিভাবে করা উচিত, এসব ব্যাপারে কি আপনার জানার কথা, নাকি অমুমানে বলছেন?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বিএসএফ, বিজিবি কিসব প্রটোকলে অনুসরণ করে, কিভাবে অনুপ্রবেশ ইত্যাদি সমস্যার সমাধান করে, কিভাবে করা উচিত, এসব ব্যাপারে আমার জানার কথা নয়। আমি সাধারণ একজন মানুষ।

আমার মন্তব্যটা ছিলো নিউজপেপারে প্রকাশিত 'বিএসএফ-বিজিবি'র' গ্রেফতার, ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত বেশ কিছু নিউজ পড়ে। জেনে।
আপনি চাইলে 'বিএসএস-বিজিবি'র সীমান্তে গ্রেফতার' সংক্রান্ত কিছু নিউজ এনালাইসিস করে দেখতে পারেন। বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ-এর হাতে গ্রেফতার হলে, বিএসএফ ভারত পুলিশের কাছে হস্তান্থর করে। কিন্তু বাংলাদেশে ভারতী অবৈধ অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতার হলে, ডাইরেক্ট বিএসএফ এর কাছে হস্তান্থর করা হয়। এটা কি আপনার স্বাভাবিক মনে হয়?

৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: প্রথমে একদল গাছের কিছু পাতা ছিড়েছে, অপরদল এর থেকে বেশি কিছু করতে গিয়ে গাছের কান্ড কেটে ফেলেছে। তখন প্রথম দলটি হয়ত তার থেকেও বেশি কিছু করতে গিয়ে পুরো গাছটাই কেটে ফেলেছে! সত্য কখনো গোপন থাকে না, একদিন ঠিকই প্রকাশিত হয়ে যায়।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: হ্যা ভাই, সত্য প্রকাশিত হয়। সত্য তখন প্রকাশিত হয়, যখন অপকর্মকারীরা ক্ষমতা আশেপাশে থাকে না।
জোট সরকারের আমলে, তারও আগে সেনা সরকারের আমলে, যুদ্ধের পর যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলো তাদের অপকর্মগুলোও প্রকাশিত হয়েছে।
এখন যারা করছেন তাদের অপকর্মও একটাসময় প্রকাশিত হবে।

৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪০

পদ্মপুকুর বলেছেন: কোনো কিছু করতে হলে মেরুদণ্ডটা শক্ত থাকা উচিৎ। দূর্ভাগ্যজনকভাবে দিনকে দিন আমাদের এই জিনিসটা ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সহমত।

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ার কারণে (প্রধান দলগুলোর মধ্যে রাজনীতির আদর্শগত, কৌশলগত দূরত্ব বাড়ার ও পরস্পরের প্রতি সম্মানবোধ কমায়) দিনদিন জাতিগত ঐক্য নষ্ট হচ্ছে।
শিক্ষাদীক্ষা পিছিয়ে থাকা এবং যোগ্যদের মূল্যায়ন না করার কারণে আমাদের মেরুদণ্ড নরম হচ্ছে।

৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো সম্পর্কে বাহির থেকে জানা মুশকিল; কমনসেন্সে যতটুকু কাভার করে, সেই এলাকায় থাকা উচিত।
বাংলাদেশের প্রশাসন পুরোপুরি স্বাভাবিক নয়, এর থেকে বুঝা যায় যে, বিশৃংখলা বিদ্যমান; তবে, সঠিক ধারণা করা কঠিন।

যারা বলেন, "বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতি", এদের নিজেদেরই সম্যক জ্ঞান নেই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে সহমত। তবে আমার মনে আমাদের দেশের পররাষ্ট্রনীতি'তে সরকার ও বিরোধীদলগুলোর সহবস্থান থাকা দরকার। ঐক্য থাকা দরকার।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪১

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভারতের সাথে কি আমাদের পররাষ্ট্রনীতি এখন অতীতের যেকোন অবস্থা থেকে খারাপ অবস্থায় আছে?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৯

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: তাত্ত্বিকভাবে বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি পূর্বের তুলনায় বেটার মনে হলেও বাস্তবতা দেখে বেটার বলা যাচ্ছে না।
ভারত আমাদের বন্ধু রাস্ট্র, তারা বলেছে তিস্তা চুক্তি হবে। সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু তারা সমস্যা ঝুলিয়ে রেখেছে। রোহিঙা নিয়েও বাংলাদেশের পক্ষে তারা কিছুই বলছে না। উল্টো আরো ১৯ লক্ষ ৬ হাজার মানুষ বাংলাদেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছে।

আলোচনার মাধ্যমে বর্তমান সমস্যাগুলোর যথাযথ সমাধান বের করতে পারলে বর্তমান পররাষ্ট্রনীতি প্রশংসার দাবীদার বলে বিবেচিত হবে।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: সীমান্তে দায়িত্বে থাকা দুই দেশের লোকদেরই বন্ধুর মতোন আচরন করা উচিত।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভারত তো আমেরিকা বা কানাডা না! সেথানে যদি অবৈধ বাংলাদেশী থেকে থাকে তাদের কোনো না কোনো দিন দেশে পাঠাতে পারে তা তাদের জানা উচিত ছিলো। ১৯৭১ এ যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয়ে ছিলো তারা সবাই কি ফিরে এসেছে? এখানে পররাষ্ট্রনীতি কি বলে? কি বলা উচিত? আমরা বার্মা থেকে আগত রোহিঙ্গা নিয়ে কি বলছি?

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ৭১ এ যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয়ে ছিলো তারা সবাই কি ফিরে এসেছে? এখানে পররাষ্ট্রনীতি কি বলে? কি বলা উচিত? আমরা বার্মা থেকে আগত রোহিঙ্গা নিয়ে কি বলছি?
-
খুব সুন্দর লজিক্যাল কিছু পয়েন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মাহমুদ ভাই। আন্তরিক ধন্যবাদ।
"৭১'রে বাংলাদেশী উদ্বাস্তুদের মুসলিমরা দেশের ফেরার কথা। কিছু হিন্দু রয়ে গেছে, এবং পরে আরো কিছু সংখ্যক ভারতে গেছে। ভারতের কাছে ৭১'র ও ৭১'রের পরে আশ্রিত বাংগালিদের সঠিক তালিকা নেই। তারা বর্তমানে যে প্রক্রিয়ায় তালিকা করছে, সেটা অনেকটা এরকম- ১৯৫১'র শুমারিতে যাদের নাম বা যাদের পূর্বপুরুষের নাম আছে তারা ভারতী বাদবাকি যারা তারা অবৈধ বাংগালি। কিছুদিন আগেও নিউজপেপারে দেখেছি, ভারতেও অবৈধ রোহিজ্ঞা আছে। এখন ঐ রোহিজ্ঞা'রা তাদের কাছে বাংঙ্গালি হিসেবে গণ্য হবে।

বাংগালিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে তারা ভাবতেই পারে। আলাপ আলোচনা করতেই পারে।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আগবাড়িয়ে খবরদারি করতে গেলে তার ফল তো ভোগ করতেই হবে। প্রতিবেশীকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাটা কোনো অবস্থায়ই কাম্য নয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ঠিক কবলেছে। ধন্যবাদ পদাতিক দা।

১১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাঙ্গালীর মাথা থেকে অবৈধ মাইগ্রেশনের ভূত তাড়াতে না পারলে এর অনাদায়ী ঋণ বাংলাদেশকে আজীবন অনন্তকাল কিয়ামত পর্যন্ত টানতে হবে। এরা রেমিট্যান্স যোদ্ধা না এরা অবৈধ অভিবাসী।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ইন্ডিয়াতে টাকা কামানোর জন্য খুব কম মানুষই যায়। সীমান্তে চোরাচালান, অবৈধ ব্যবসা বন্ধে বাংলাদেশের প্রশাসনের আরো তৎপর থাকতে হবে। আমাদের সিলেটের সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে যেসব পণ্য আসে সেগুলোর মধ্য অন্যতম- মদ, গাজা,ইয়াবা, গরু, মহিষ, বাইক, সিগারেট ও ভেজাল তেল।
এসব বন্ধ করতে হবে।
সিন্ডিকেট করে কিছু লোক ক্ষমতাধরদের সহায়তায় এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন। মরছে কিছু দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী কিছু অসহায় মানুষ। যারা সামান্য টাকার বিনিময়ে নিজের জীবন বাজি লাগিয়ে পণ্য পারাপারের কাজ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.